Our User Product Reviews

মার্কেটিং এর জন্য ভালো বই

বেশ সুন্দর লিখেছেন

বইটা আমার খুব ভাল লেগেছে। খুব সহজ ভাষায় মার্কেটিং বুঝানো হয়েছে।

An excellent book about marketing. I really enjoyed it.

good

ভালো লাগলো

Excellent!!

Good

07/10

good

Excellent writing

অসাধারণ লিখেছেন মুনির হাসান স্যার।যতক্ষন পড়েছি অনেক নতুন কিছু জানতে পেরেছি।আশা করছি নিজের ব্যবসায় ইমোশনাল মার্কেটিং কাজে লাগিয়ে আরো এগিয়ে যেতে পারবো।

good

effective

GREAT

Good books

Awesome ❤️❤️

বইটি সত্যিই অনেক ভালো।

10/10

ভালো বই।

এভারেজ। আরো সমৃদ্ধ হতে পারতো বইটা।

Good

good book

good book.

Great book for Modern marketing!

One of the best book on marketing so far

মার্কেটিং শিখার জন্য খুব ভালো একটি বই

মার্কেটিং নিয়ে লেখা বইয়ের মাঝে এটি একটি অন্যতম।

Good.

বিপণন নিয়ে সেরা বইগুলোর মধ্যে একটি

A1

Great Book

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবসার উপর লিখিত সুন্দর একটি বই, যেটা যেকোনো কারো কাজে লাগতে পারে।

Nice book to know something

Very informative

মার্কেটিং বা নিজের ব্যবসার সাথে যারা আছেন তাদের পড়া উচিত

বইটিতে যা আশা করেছিলাম। তার সবই পেয়েছি।

Pdf version kevabe pabo.... desh er baher thake bolche...

Good Book.

Just rubbish.

Good

ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ব্যবসা শিখাতে আসলে যাক হয় আরকি্‌,,,,,,,,,,বিভিন্ন জায়গায় দুইটা কথা বলে নাম হইছে আর যা টা বই ছারছে!! আগে ব্যবসা পড়ে ায় এরপর এই ধরনের বই লিখতে আসিছ।।

এটা খুবই ভাল বই। ইতিবাচক দৃষ্টিভংগী তৈরি করার মতো।

খুব ভালো বইটি

ততোটা effective বই না।

This is a good book

Good book

Good for marketer.

One of the best book about marketing written in Bengali. I specially like to articulate the style of example giving method by author. He used QR code scanning option in his book that makes the entire reading experience interactive and in an another level. I love to receommend this book to all marketing students and professionals. Thanks.

বিজ্ঞাপন নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখায় বইটি। আশাকরি পরবর্তী বইতে আরও ভালো কিছু নিয়ে হাজির হবেন লেখক আমাদের মাঝে।

Very Informative. Although I expected more.

Book is too good but author should have been more careful about preface. Author have used a word"HIZABWALI" in preface that really hurt me a lot. Please be careful about using this kind of word which may seems you are underestimating someone . But book is really good.

ব্যবসা করছি, তাই এই বই নিলাম।।।

চমৎকার বই, তবে আরেকটু ডিটেলিংয়ে যাওয়া যেত।

'প্রচলিত পন্থায় কাজ হচ্ছনা'-অনেক ব্র্যান্ড কাস্টোডিয়ানদের মতামত। প্রযুক্তি, স্মার্টফোন আর সোশ্যাল নেটওয়ার্কের এই যুগে ক্রেতা এখন নানাভাগে বিভক্ত, নানাভাবে তারা শিক্ষিত। সময় এখন টেকনোলজির সাথে পার্সোনাকে মেশানোর। আর কাস্টমারকে বুঝতে পারার জন্যে তার অনুভূতি বোঝা দরকার, তার আগ্রহ বোঝা দরকার, তার সফট কর্নার এবং বিরক্তির কারণ খুঁজে পাওয়া দরকার। সেই প্রেক্ষিতেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গল্পের আবহে মুনির হাসান লিখেছেন 'ইমোশনাল মার্কেটিং' বইটি। যারা মুনির হাসানকে চেনেন তারা জানেন মুনির হাসান একজন দারুণ একজন স্টোরিটেলার, একজন দুর্দান্ত গ্রোথহ্যাকার। তিনটি ভাগে লেখা তার এই বই ব্র্যান্ড প্র্যাক্টিসনার্সদের নানাভাবে সাহায্য করবে বলেই আমার বিশ্বাস।

বুক রিভিউঃ ইমোশনাল মার্কেটিং লেখকঃ Munir Hasan স্যার বইমেলায় অনেক ভালো বই আসছে, অনেক মন্দ বইও আসছে, তবে মন্দ বই আছে বলেই ভালো বই চেনা যায়। কাজেই বাজারে উভয় রকমের প্রোডাক্টেরই দরকার আছে। বাংলাদেশে বর্তমানে আত্মোন্নয়ন মূলক বইয়ের প্রতি পাঠক ঝুকেছেন, এটা ভালো দিক। অনেকেই ভাবছেন, খারাপ বই পড়ে পাঠক বই কেনা থেকে বিমুখ হচ্ছেন, আমি এই ব্যাপারেও একমত না। একটা বই কেনার আছে সেই বইয়ের সূচীপ্ত্র দেখতে হয়, কন্টেন্ট দেখতে হয়, দুই এক পেজ পড়তে হয়, তারপর কিনতে হয়। লেখক কে, সে এই লাইনে কাজ জানে কি না, সেটাও বিবেচ্য। এগুলো বিবেচনা না করে, কেউ যদি এখন সিনেমার নায়িকার লেখা বই কিনে সেখান থেকে সাহিত্য আশা করেন, এবং আশা ভংগ হওয়ায়, যদি বই কিনা বা বই পড়া ছেড়ে দেন, তাহলে তাকে বলার জন্যে আমার কাছে একটা শব্দই আছে। বেকুব। গতকাল ৭ ফেব্রুয়ারি মেলায় সন্ধ্যার পর বইটা এসছে, আমি মে বি প্রথম সারির একজন ক্রেতা। কারন এই বইয়ের সাথে আমার ২০১৯ সাল থেকে ইমোশোনাল অ্যাটাচমেন্ট হয়ে গেছে। তবুও বইটা কেনার আগে নেড়েচেড়ে দেখেছি। গতকাল অনেক বই দেখেছি, অনেকে সেলিব্রেটিও বটে, তবে ঐযে আমি সিনেমার নায়িকার কাছ থেকে ভালো মুভি আশা করি, ভালো বই না। বইয়ের লেখক ইমোশনাল মার্কেটিং বইটাকে চারটা ভাগে ভাগ করে লিখেছেন, প্রথম পর্বে আছে ইমোশনাল মার্কেটিং নিয়ে বেশ কিছু অধ্যায়। যেমন হালাল সাবান এই ট্যাগ লাইন কাজে লাগিয়ে এককালে আমাদের দেশে অ্যারোমেটিক সাবান বাজার দখন করে। ডাভ সাবানের উদাহরন দেয়া হয়েছে। অনেক গুলো অ্যাডের ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে বইয়ে। আবেগের ছয়টা মৌলিক দিক ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনে আবেগকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়, তা বলা হয়েছে। প্রোক্টর এন্ড গ্যাম্বল এর অ্যাডের ব্যাখ্যা দেয়া আছে, আছে অসংখ্য উদাহরন, যেগুলো পড়তে পড়তে আপনার মাথায়ও কোন আইডিয়া খেলে যেতে পারে। কাস্টমারকে চমকে দেয়ার অনেক ট্রিক্স রয়েছে বইয়ে। নারীদের জন্যে কিভাবে বিজ্ঞাপন ডিজাইন করতে হবে, সেরকম বেশ কিছু উদাহরন রয়েছে। বইয়ের রয়েছে, বেশ কিছু বার কোড, সাথে ইউআরএল লিংক দেয়া আছে, আপনি চাইলে স্কান করে, অ্যাড দেখতে পাবেন, বাংলা বইয়ে এরকমটা প্রথম মনে হয়। বইয়ের দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা করা হয়েছে, ইমোজি নিয়ে। ইমোজি নিয়ে বাংলায় এরকম বিশদ আলোচনা এর আগে আমি আর পড়িনি। স্যারের প্রতিটা কথার সাথে রয়েছে ডাটা। যখন পরিসংখ্যান দেখি, সংখ্যা দেখি, তখন বিশ্বাসটা পোক্ত হয়। জাপানের লোক নাকি এগুলা বের করেছে, জাপানিদের মতে, “শেয়ারিং নলেজ ইজ পাওয়ার” অবাক লেগেছে যেটা, প্রতিদিন নাকি মানুষ মেসেঞ্জারে ৫০০ কোটি ইমোজি ইউজ করে। তৃতীয় পর্বে চারটা কেস স্টাডি দেয়া আছে, প্রথমটা ডলার শেভ ক্লাবের, দ্বিতীয়টা কোকা-কোলার (বইয়ে উল্লেখিত লিংক ধরে সেই আশি সালের বিজ্ঞাপনগুলো দেখলাম), তৃতীয়টা ওয়েস্টজেট এয়ার লাইন্সের, চতুর্থটা ফারুকী ভাইয়ের তৈরি ক্রাউন সিমেন্টের অ্যাড নিয়ে। বইয়ের চতুর্থ পর্বে ফেসবুকে কিভাবে ইমোশোনাল মার্কেটিং করা যাবে, তাই নিয়ে লেখা, কাস্টমারের মাঝে কিভাবে কেনানোর মনোভাব করা যায়, এসব নিয়ে বেশ কিছু হ্যাকস আছে। এই তো, বই শেষ, ইমপ্লিমেন্টেশন নিজের উপর। বইটি প্রকাশিত হয়েছে আদর্শ প্রকাশনী থেকে। বইমেলায় স্টল নম্বর ৪২১,৪২২,৪২৩,৪২৪। বইটির গায়ের দাম ২৬৭ টাকা।

khub valo boi

অসাধারন একটি বই। বইটির টপিকগুলো পড়তে পড়তে টিভিতে দেখা পুরোনো অ্যাডগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। (হ্যা, হয়তো এটাই ইমোশনাল মার্কেটিং).... নতুন কিছু শেখা হলো... পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম বইয়ে পকেমন এবং অন্যান্য প্রোডাক্টের কথা যে উল্লেখ আছে, লেখক কী.. লেখার বাহানায় সিকরেটলি এগুলোর মার্কেটিং করে দিল না তো??.... qr কোডের ব্যবহার... আধুনিকতার ছাপ। সচরাচর দেখা যায় না। ইমোশনাল মার্কেটিং শব্দটার সাথে আমার পরিচিতি ছিল না। লেখক ও আদর্শের পরিশ্রমের ফলে এ ব্যাপারে ঘরে বসেই অভিজ্ঞতা অর্জন হয়ে গেল। ............ধন্যবাদ। : D

বই নামটা যেমন মজার। বইটা পরেও তেমন মজা পাবো আসা করি।বইটা অনেক ভালো হবে আসা করি।ধন্যবাড়।

আমার কাছে তেমন ভালো লাগেনি। কারণ বইটার সাজানো আমার কাছে একটু খারাপ লেগেছে।

একাডেমিক কিছু নেই বইতে। শুধু চারপাশের ঘটনা, এডভার্টাইজ বিশ্লেষণ, হাবিজাবি বিষয় লিখেছেন লেখক। এটা মোটেও গবেষণাধর্মী বই নয়। যে কথা চার লাইনে লেখা যেত তা লেখক ইনিয়ে-বিনিয়ে একটা অধ্যায় করেছেন। সর্বপরি কিছু বিজ্ঞাপন দেখে তার রিভিউ দেওয়া ছাড়া এ বই আর কিছুই নয়।

কোন উপকার ই হয়নি। বিবিএ স্টুডেন্ট এর জন্য এটা একটা অযথা বই। বিশেষ করে আমি কোন উপকার ই পাইনি।

ইউটিউবের ভিডিও দেখে দেখে বর্ণনা ছাড়া কিছুই মনে হয়নি। ইমোশনাল এডস লিখে ইউটিউবে সার্চ দিলেই সব পাওয়া হয়ে যেতো। গভীরতার লেভেল শূন্য বলা যায় এই বইয়ে। অপ্রয়োজনীয় ছবিতে ভরপুর। ইমোজির চ্যাপ্টারটাতে ইমোজি কিছুই বুঝা যায় না। উনার এই ধরণের বই লেখা থেকে বের হয়ে আসা উচিত।

please provide it

মার্কেটিং এর কাজ হচ্ছে কোন পণ্য বা কোন ধরনের প্রোডাক্ট বা অন্য কিছু প্রমোট করা। ওই জিনিসটা সম্পর্কে মানুষকে জানানো। আর এই মার্কেটিং টা যদি হয় ইমোশনালি, তাহলে সত্যিকার অর্থে এর একটা খুব ভালো ফলাফল আসে। কারণ আমার সামনে থাকা লোকটা ঠিকই যাচ্ছে আমার কাছে কী চাচ্ছে। ঠিক সেইভাবে যদি আমি উপস্থাপন করতে পারি তাহলে আমার মার্কেটিং এর মূল লক্ষ্যটা অর্জিত হয়। আর এক্ষেত্রে ইমোশনাল মার্কেটিং বইটা সকলকে সাহায্য করবে আশা রাখছি।

হাল্ট প্রাইজ এর অন ক্যম্পাসের পর কোলকাতা রিজিওনাল ফাইনালের জন্য যখন বেশ স্টার্টআপ নিয়ে দৌড়া দৌড়ি শুরু করি তখন এই বইটা পড়ে ছিলাম। আমার বন্ধু ফুটবলার রোনালদো এর বিশাল বড় ভক্ত এবং আরেকটা অভ্যাস আছে যে সে সারাদিন সময় পেলেই পাব্জি খেলে । কিছুদিন আগে একটা বিজ্ঞাপন বের হল যে পাব্জি এর মতো একটা গেম নাম ফ্রি ফায়ারের ( আগে থেকেই ছিল) অ্যাড ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো করছে এবং সেই গেম এ রোনালদো এর নামে একটা ক্যারেক্টার ও আছে যাকে নিয়ে গেমে খেলা যাবে। তার কিছুদিন পর দেখি সে দেখি ফ্রিফায়ার খেলছে সারাদিন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কিরে তোর না পাব্জি পছন্দ ? বলে রোনালদো যেখানে আমি সেখানে । এরকম আবেগ বা ইমোশনকে কাজে লাগিয়ে মার্কেটিং এর চল কিন্তু নতুন নয়। মুনির হাসান স্যার তার এই বইটিতে ইমোশনাল মার্কেটিং করে একদম কাস্টমারকে নিজের করে নেয়ার হ্যাকসগুলোই বলেছেন। স্যার বইটিকে ৪টি ভাগে ভাগ করেছেন । প্রথম ভাগে ইমোশনাল মার্কেটিং কি ? কিভাবে কাজ করে? এ ব্যাপারগুলো বর্ণনা করেছেন । দ্বিতীয় ভাগে ইমোজি দিয়ে কিভাবে ইমোশনাল মার্কেটিং করা যায় তা তুলে ধরেছেন । তৃতীয়ভাগে কিছু হেভিওয়েট কেস স্টাডি করেছেন এবং চতুর্থভাগে কিভাবে ফেসবুকে ইমোশনাল মার্কেটিং করা যায় তা ব্যাখ্যা করেছেন । বইটির সবথেকে যেই ব্যাপারটি ভালো লেগেছে তা হলো লেখক কোন মার্কেটিং এর তত্ত্বে না গিয়ে একদম নিজের মতো করে বাস্তব ধর্মী সব উদাহরণ টেনে ইমোশনাল মার্কেটিংটিকে বুঝিয়েছেন । এই বইয়ে ইমোশনকে বুঝাতে স্যার এর লেখনীর আমার প্রিয় দুটি লাইন আপনাদের বলি, ইমোশন হচ্ছে দুটি প্রাইমারি ইমোশনের যোগফল । আন্দাজ আর আনন্দ মিলে হলো অপটিমিজম অন্যদিকে আনন্দ আর বিশ্বাস মিলে হলো ভালবাসা । ইমোশনাল মার্কেটিং এর সেই শুকুরের চর্বি থেকে সিপাহী বিদ্রোহের সূচনার উদাহরণ থেকে শুরু করে পোকেমন গো এর নস্টালজিয়া করে দেয়া উদাহরণ যেমন দিয়েছেন তেমনি কেন এই ইমোশনাল মার্কেটিং কাজ করে তার একটা ধারণা তিনি দিয়েছেন । ডমিনোস পিজ্জা তাদের অ্যাপে ইমজি ব্যাবহার শুরু করে ফলাফল স্বরূপ তারা ৫ সেকেন্ডের মধ্যে তারা অর্ডার একসেপ্ট করতে পারে তা যেন ইমজি মার্কেটিং এর এক মস্ত উদাহরণ। আর কেস স্টাডিগুলোর এর মধ্যে আমার অন্যতম ফেভারিট কেস স্টাডির নাম হলো “ ইউর বিল্ডিং মাই কান্ট্রিস সিমেন্ট” । এই নামটা শুনেই হয়তো বিজ্ঞাপন এর কথা চোখে জল জল করছে তাইনা? এই বিজ্ঞাপনে দেশের সিমেন্ট বাইরে দেশে রপ্তানি , রেমিটেন্স যোদ্ধাদের শ্রম ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে কিভাবে দেশের গর্বের দিকটি দিয়ে আপনার আবেগে টোকা দিয়েছে তা হয়তো আর বলে বুঝাতে হবেনা । মোট কথায় আবেগে বশীকরণ করে কিভাবে আপনার কাস্টমারকে আপনি ধরে রাখবেন তা জানতে চাইলে এই বই আপনি পড়তে পারেন ।

মুনির হাসান স্যার, প্রিয় একজন মানূষ। তবে বই কিনে ঠকেছি বলতে হয়। পুরো বইটি মানুষের আবেগ নিয়ে ব্যবসার অনেকগুলো উদাহরণ আর ইউটিউব রেফারেন্সে ভরা। যার বেশির ভাগ মুনির হাসান স্যারের ব্লগে পড়েছিলাম। আর বইটি "১০০$ স্টার্টাপ" বই ধাঁচের যা আমার কাছে ভালো ঠেকেনি। আপনি যদি স্যারের ব্লগের পাঠক না হয়ে থাকেন তবে বইটি পড়তে পারেন। তাছাড়া সব ভালো।

Good book

বইটা আমার কাছে দারুন লেগেছে। সহজ সাবলীল ভাষা।

very good book

অসাধারণ একটা বই। খুবই সুন্দর এবং সহজ ভাবে সব বিষয় উপস্থাপন করেছেন।বইটা পড়ে অনেক কিছু বুঝতে ও শিখতে পারলাম। তাই লেখককে অনেক ধন্যবাদ। এমন সুন্দর একটা বই লেখার জন্য।

ইমোশনাল মার্কেটিং সমৃদ্ধ কন্টেন্টে ভরপুর ============== ১) খুব বিখ্যাত কমেডি মুভি Andaz Apna Apna রিলিজ পেয়েছিলো ১৯৯৪ সালে। অবাক হয়েছি, যখন জেনেছি মুভিটা বক্স অফিস ফ্লপ। এত ভালো মুভি হয়েও কেন ফ্লপ? প্রধান কারন অনেক দেরি করে রিলিজ। ৩২ মাস সময় নিয়েছে মুভিটা রিলিজ হতে। মুভিটাকে ঘিরে দর্শকদের ভিতর যে ক্রেজ ছিলো, দর্শকরা সেটা এত দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে পারেনি । মুনির হাসান স্যারের শরবতে বাজিমাত , গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং বইগুলো পড়ে ব্যবসায় আগ্রহী পাঠকরা স্বস্থির নিশ্বাস ফেলেছে। যাক আমাদের দেশে ব্যবসায়ের উপর এত সুন্দর ভাষায় কেউ লিখতে পারে, দারুন লিখতে পারে। একে অন্যকে রিকোয়েস্ট শুরু করি, ব্যবসায়ে ভালো করতে চাইলে মুনির হাসানের ওই বইদুটো পড়েন। এরপর যখন জানতে পারলাম "ইমোশনাল মার্কেটিং" বই আসছে, ঈদের চাদের মতো আমরা খুজতে লাগলাম, কখন আসবে, কখন আসবে। ২০১৯ এর ফেব্রুয়ারিতে অপেক্ষা করেছি নির্ধারিত ডেটে বই রিলিজ পাবে। পায়নি। তারিখ পেছালো। পেছানো তারিখেও খোজ নিলাম। তখনও আসেনি। বইটার প্রতি যে ক্রেজ ছিলো, স্বভাবতই কমতে শুরু করলো, মাথায় একেরপর এক নেতিবাচক চিন্তা আসতে লাগলো, "মনে হয় বই ভালো না, তাই লেখক ছাপতে দেরি করছে।" মার্কেটিং এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট হচ্ছে Consumer behaviour. বইটির প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গির যে Behaviour সেটা অলরেডি চেঞ্জ হতে শুরু করেছে। আমি শেষে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললাম, "নাহ, এই বই কিনবোনা!" ২) বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে আমি আর আমার স্ত্রী বইমেলায় গেলাম । কিছু বই কিনলাম। আমার স্ত্রী কানিজ ইংরেজির প্রভাষক এবং কবিতা আবৃতি করে। বিজনেসে ওর আগ্রহ কম থাকলেও। ও আমাকে ভালো বোঝে। আমাকে আদর্শ স্টলে নিয়ে গিফট করলো "ইমোশনাল মার্কেটিং" বইটি। ওইদিন বইয়ের সাথে গোলাপ ফুলও গিফট দিলো আদর্শ প্রকাশনী। সাথেসাথেই গোলাপ ফুলটা ওকে দিলাম। আদর্শ আমার ছবি তুললো বইয়ের সাথে (হায়রে কপাল, আমার ছবি ওরা আপলোড করেনাই ।) স্ত্রীর গিফট, ফেলে রাখা যায়না। পড়তে শুরু করলাম। ৩) বইটি পড়ার পর বুঝতে পারলাম, বাংলা ভাষায় মার্কেটিং এর উপর সমৃদ্ধ একটি বই পড়ছি। বইটি যত সমৃদ্ধ ভাষা ততটা সহজ। শুধু সহজই না, আমার পড়া বাংলা ভাষায় সবচেয়ে ডিজিটাল বই ছিলো এটা। প্রায় একুশটা QR Code ছিলো (সাথেই ইউটিউব লিংক) বইজুড়ে। যা আমাকে বইয়ের পাশাপাশি ভিডিও দেখে বিষয়গুলো বুঝতে অনেক সহজ হয়েছে। যেমন লেখার প্রয়োজনে একটি টিভি এডের ব্যাখ্যা দিলো, সাথে সেই টিভি এড দেখার জন্য QR Code এবং লিংক। দ্রুত এডটা দেখে ফেলছি। আমরা অনেক সময় সেমিনারে প্রেজেন্টেশনের পাশাপাশি যেমন ভিডিও দেখি। অনেকটা সেই রকম মনে হয়েছে। বইটা পড়ার সময় মনে হচ্ছিলো মুনির হাসান স্যারের সেমিনারে বসে আছি। লেকচারের ফাকেফাকে উনি ভিডিও দেখাচ্ছেন। ৪) ইমোশনাল মার্কেটিং এর প্রয়োজন আমরা আগে থেকে জানলেও, এর গুরুত্ব বুঝিয়ে বুঝিয়ে বুঝিয়ে ক্লিয়ার করা হয়েছে বইয়ের প্রথম চ্যাপ্টার জুড়ে। শুধু বুঝিয়েই ক্ষান্ত হননি। কিভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে এইব্যাপারেও রোডম্যাপ দিয়েছেন "চাই সঠিক কৌশল" চ্যাপ্টারে। ফুল যখন ছড়ানো ছিটানো থাকে ভালো লাগে। যখন মালা গাথা হয়, আরও অনেক সুন্দর লাগে। এই বইয়ের অনেক লেখা আমি স্যারের ব্লগে পড়েছি। লেখাগুলো তখন ছড়ানোছিটানো ছিলো, তবে কিছুটা ভালো লেগেছে। কিন্তু বইতে যখন সুন্দরভাবে সাজানো অবস্থায় পেলাম। অপুর্ব লাগলো। ৫) ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর অনেক কোর্সে আমি অংশগ্রহণ করেছি। ফ্রি কোর্স, পেইড কোর্স। যাদের ক্লাস আমি করেছি, তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, তারা অনেকে বয়সে আমার ছোট হলেও তারা আমার শিক্ষক। তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। তবে এই বইতে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ভালোভাবে শিখলাম, যা আমি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোর্সে তেমনভাবে পাইনি। সেটা হচ্ছে "ইমোজি"। ইমোজির ব্যবহারে আমি উদাসীন ছিলাম। এই বইটা পড়ার পর ইমোজীকে উপেক্ষা করা আমার জন্যে ডিফিকাল্ট হয়ে গেছে। কন্টেন্টের এতবড় একটা হাতিয়ার " ইমোজী"কে ব্যবহার না করে আমি আর বোকামীর ভান্ডার বাড়াতে চাইনা। এম্নিতেই আমার চেহারা আবার বোকাসোকা টাইপের। ৬) ইমোশনাল মার্কেটিং এর উপর কিছু কেসস্টাডি আছে এই বইতে। যা আমাদের বইয়ের জ্ঞান এপ্লাই করতে সাহস যোগাবে। বইয়ের শেষের দিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম ফেসবুকে ইমোশনাল মার্কেটিং কীভাবে এপ্লাই করবো এই ব্যাপারে ধারণা পেলাম। ফেসবুকের অনেক জানা গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো আবারও ঝালাই হলো। ৭) Andaz Apna Apna মুভি এবং ইমোশনাল মার্কেটিং বইটা দেরি করে রিলিজ পেলেও। এদের মধ্যে মিলও আছে, অমিলও আছে। ইমোশনাল মার্কেটিং টাইম মতো রিলিজ পেলে হয়তো আরও দাপিয়ে বেড়াতো বইমেলা জুড়ে। তবে ইমোশনাল মার্কেটিং ফ্লপ হয়নি, এটা সফল একটি বই। এবারের বইমেলায় বিজনেস বইয়ের লিস্টে বইমেলায় বইটি এখনও এক নাম্বার ধরে আছে। তবে আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যেই করেন। মুনির স্যারের একটা ইন্টারভিউতে জানতে পারলাম, বইটা যদি সেই সময় প্রকাশিত হতো, তাহলে শুধু ইমোশনাল মার্কেটিং চ্যাপ্টারটাই থাকতো। বইয়ের সাইজ হতো অর্ধেক। দেরি করে রিলিজের কারনে "ইমোজি", "কেসস্টাডি" এবং "ফেসবুক" চ্যাপ্টারগুলো থেকে বঞ্চিত হতাম। যার গুন বেশি, তার দায়িত্বও বেশি। মুনির স্যার দারুন ভাষায় বন্ধুসুলভ ভাষায় মার্কেটিং এর মতো জটিল জিনিসের উপর বই লিখতে পারেন। এখন তার দায়িত্ব কি??? আরও মার্কেটিং এবং বিজনেস রিলেটেড বই লেখা। ঘনঘন লেখা। আমরা লেখকের সার্বিক কল্যাণের জন্যে দোয়া করছি। ধন্যবাদ এতক্ষণ সাথে থাকার জন্যে।

বই পড়ে বুঝলাম কীভাবে সুন্দর নাম এবং বুক কভার দিয়ে একটা আবর্জনা বই বিক্রি করা যায়। দুই একটা কপি করে লেখা কন্টেন্ট ছাড়া বই এ শিখার মত তেমন কিছুই নাই।

চার পর্বে বিন্যস্ত বইটি নিয়ে প্রত্যাশা ছিল অনেক। বইয়ের নাম দেখে ভাবছিলাম নতুন কিছু শিখব, জানব। সেই প্রত্যাশা বাস্তব হয়নি। বইয়ে লো-রেটেড বিজ্ঞাপন উদাহরণে ভরপুর। ১ম পর্বে বিদেশি অনেক গুলো বিজ্ঞাপনের ইউটিউব লিংকের কিউআর কোড দিয়ে বিজ্ঞাপনের উদাহরণ দেয়া হয়েছে। যার থেকে আমাদের দেশে অনেক অনেক ভালো বিজ্ঞাপন আছে। সেগুলোর উদাহরণ দিলে বইটি কিছুটা উপভোগ্য হত। ২য় পর্বে লেখক ইমোজি নিয়ে অনুপভোগ্য লেখা লিখিয়েছেন। ওয়ান টু-র বাচ্চাদেরকে ইমোজি ব্যবহার শিখানোর চেষ্টা বলা যায়। ৩য় পর্বে চারটি কেস স্টাডি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কেস স্টাডি গুলোর উদাহরণ কিছুটা মানসম্পন্ন (নাহয় ১স্টার রেটিং দিতাম!) বলা চলে। ৪র্থ পর্বে ফেসবুকে ইমোশনাল মার্কেটিং করার কায়দা সম্পর্কে লেখা হয়েছে। ওভার অল বইটি ভালো লাগেনি। পূর্বে লেখকের অন্ধ ভক্ত থাকার কারনে বইটি কিনে হতাশ হয়েছি।

ভাই, খুব আগ্রহ নিয়ে কিনলাম। চরম হতাশ হলাম। এত ফালতু বই। কিন্তু একটা শিক্ষায় শিক্ষিত হলাম- " Don't judge the book by It's cover".

খুব আগ্রহ নিয়ে বইটা কিনেছিলাম । যেহেতু লেখকের আগের বই গোগ্রাসে গিলেছি তাই আশা ছিল অনেক ভাল কিছুর । দুঃখের সাথে বলতে হয় বইটার হেড লাইন যতটা ভাব গম্ভীরপূর্ণ ভেতরের লেখাটা ঠিক ততটাই অন্তঃসার শূন্য । পুরো বইটা পড়ে মনে হচ্ছে আমি কোন ইউটিউব রেফারেন্স পড়তেছি । কোন কিছু গুছিয়ে লেখা না । লেখক বইটা সেল করতে পেরেছেন - মনে হচ্ছে না বইয়ের কথাগুলো সেল করতে পেরেছেন । পুরো টাকাই পানিতে ।