User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#বুক_রিভিউ: ৮ বইয়ের নাম: আজাদির সন্তান লেখক: সাব্বির জাদিদ প্রকাশনায় ঐতিহ্য প্রকাশনী বইয়ের ধরণ: ফিকশন পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৭৬ চমৎকার একটি বই পড়ে শেষ করলাম। আমি সাধারণত ফিকশন পড়তে তেমন আগ্রহবোধ করি না। কিন্ত সাব্বির জাদিদের ফিকশনধর্মী বইগুলো অসাধারণ। আমি তার পিতামহ বইটি প্রথম পড়েছিলাম। পিতামহের মতই ইতিহাসকে আশ্রয় করে লেখা তার আরেকটি উপন্যাস হলো আজাদির সন্তান। এই বইয়ে তিনি কাশ্মীরের আজাদির ইতিহাস উপন্যাসের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। ইতিহাসকে সামান্যতমও বিক্রিত করেননি, উপন্যাসেও কোন অশ্লীল বর্ণনা নেই। ইতিহাস বর্ণনার পাশাপাশি কাশ্মীরের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরতেও সচেষ্ট হয়েছেন। কাশ্মীরীদের খাবার কেমন, কাশ্মীরের জীবন কতটা উৎকণ্ঠার মধ্যে কাটে, কাশ্মীরের আবহাওয়া কেমন, কাশ্মীরের নদীগুলো কেমন; এই জাতীয় বিষয়গুলো তিনি চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। সেই ইংরেজদের সময় থেকে নিয়ে বর্তমান পর্যন্ত কাশ্মীরের ইতিহাস গল্পের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরেছেন। ইতিহাস বর্ণনার ধারাও এত চমৎকার! পড়তে সামান্যতম ক্লান্তি লাগবে না।, বইটি পড়তে আমার বেশ সময় লেগেছে। লেখার শৈলী এতটাই চমৎকার, কিছু কিছু জায়গা বারবার পড়া ছাড়া তৃপ্তি পেতাম না। চমৎকার সব বাংলা শব্দ ব্যবহার করেছেন। কাশ্মীরের ইতিহাস, কাশ্মীরের প্রকৃতি ও কাশ্মীরের মানুষের জীবনাচার জানার জন্য এই বই দারুণ সহায়ক হবে। সেই সাথে বাংলা সাহিত্যের চমৎকার একটি বইয়ের সাথে আপনার পরিচয় ঘটবে। লেখক সাব্বির জাদিদ মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের হওয়ার কারণে তার বইগুলো কেন যেন তেমন পরিচিতি পায়নি, সেকুলার ধারার কেউ এমন বই লিখলে সেই বই নিয়ে হাউকাউ লেগে যেত। এটা আমার ব্যক্তিগত অনুসন্ধান। বইয়ের উপন্যাস চরিত্র নিয়ে লিখলে অনেক কিছুই লিখা যাবে, কিন্ত শুধু উপন্যাসের চরিত্র জানার মাধ্যমে আসলে তেমন কোন উপকার নেই। বরং উপন্যাসের মধ্য দিয়ে কিছু শেখা যায়, কিছু জানা যায় তবেই উপন্যাসের গল্প স্বার্থক। অন্যথায় শুধু উপন্যাস পড়ে সাময়িক আবেগের ভেলায় ভাসাকে আমি কখনোই প্রোডাক্টিভ কাজ মনে করি না। তাই উপন্যাস চরিত্র নিয়ে কিছু লিখছি না। তবে যারা ফিকশন পছন্দ করেন তাদের জন্য এই বইটি উত্তম সঙ্গী হবে। ভালো একটি বইয়ের সাথে আপনার সময় কাটবে। অবসর সময় কাটানোর জন্য এই বইটি উত্তম সহায়ক হবে। যাদের হাতে অবসর সময় আছে অথবা যারা ফিকশন পড়তে পছন্দ করেন, তারা আর দেরী না করে চমৎকার এই বইটি পড়া শুরু করুন। (বিঃ দ্রঃ: বইটি ঐতিহ্য Oitijjhya প্রকাশনী থেকে পড়ার জন্য নিয়েছি। ঐতিহ্য প্রকাশনী চমৎকার একটি সিস্টেম চালু করেছে। নামেমাত্র টাকা দুয়ে তাদের থেকে বই নিয়ে পড়তে পারবে। যারা টাকার অভাবে বই পড়তে পারছেন না, তাদের জন্য বই পড়ার খুবই সুন্দর সুযোগ ঐতিহ্য তৈরি করে দিয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
সময়ের সাথে সমাজের পরিবর্তন হয়। সমাজের অংশ হিসেবে মানুষের মাঝেও সেই পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগে। মানুষ কি সমাজের পরিবর্তন করে নাকি সমাজ মানুষকে? একটা অবস্থা থেকে আরেকটা অবস্থার সৃষ্টি হয়। ভাঙনের হাওয়া লাগে সর্বত্র। পরিবর্তনের পালাবদলে ভাঙে দিন ভাঙে মানুষের সম্পর্কের ঋণ। কারাগারের বন্দীদশা থেকে দীর্ঘ ১৪ বছর পর মুক্তি মেলে ফয়সালের। সুন্দরপুর বাসস্ট্যান্ডে নেমে সবাই তড়িঘড়ি করে যার যার গন্তব্যে চলে যায়। কিন্তু ফয়সালের মধ্যে কোনো তাড়া নেই। সে যাবে নিজ গ্রাম ছুটিপুরে। যেখানে কেউ তার পথ চেয়ে অপেক্ষায় নেই। বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রামে ফেরার ধীরগতি কি তাহলে কারো অপেক্ষায় না থাকার অনীহার কারণ? অদৃশ্য এক বাসনায় গ্রামের পানে যেতে ইজিবাইকে উঠে বসে ফয়সাল। ইজিবাইকে তার সামনে বসা দুটো ছেলের মধ্যে একজনের মুখের দিকে চেয়ে পুতুলের কথা মনে পড়ে। পুতুল ছিল ফয়সালের স্কুলের এক শ্রেণী উপরের ছাত্রী। সেই পুতুলের সাথে এই ছেলের কোথায় যেনো একটা প্রচ্ছন্ন মিল রয়েছে! পুরনো নানা কথা মনে পড়ে। ধনীর আদুরে কন্যা পুতুলের সাথে তাদের স্কুলের গরীব কেরানী লিটনের সম্পর্ক হয়। সেই সম্পর্কের নানান দিক ও পরিণতির কথা মনে মনে আওড়াতে থাকে। দীর্ঘ ১৪ বছরে পুরো পৃথিবীর আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বাদ পড়েনি ফয়সালের গ্রাম ছুটিপুর। স্মৃতির পাতা থেকে - গ্রামে প্রথমবার বিদ্যুৎ আসা, আব্বাসবাগের বটতলা যার মাথায় ভদ্র জ্বীন থাকে, প্রাইমারী স্কুলসহ নানান জায়গার কথা স্মরণ করে। কিন্তু হায় এইসব জায়গা বদলে গেছে। তবুও মূলের কি পরিবর্তন হয়! নাহলে কিসের টানে তার এই ছুটে আসা আর কিসের জন্যই বা তাকে যেতে হয়েছিল অন্ধকার কারাগারে? ইজিবাইকের এগিয়ে চলার সাথে সাথে ফয়সাল যত পুরনো স্মৃতি মন্থন করে ততই প্রশ্নের জাল ভাঙে। তরুণ লেখক সাব্বির জাদিদের লেখা উপন্যাস 'ভাঙনের দিন' ২০১৯ অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়। সমাজের সর্বস্তরে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। গ্রাম থেকে গ্রামান্তর পরিবর্তিত হয়ে গড়ে উঠছে মফস্বল, কখনোবা ছোটখাটো শহর। কিন্তু গ্রামের কিছু বিষয়ের আবেদন থাকে সেই আগের মতোন। মূলত গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে লেখা এই উপন্যাস পাঠকের মাঝে ভিন্নরকম অনুভূতির সৃষ্টি করবে। যাঁরা পূর্বে গ্রামে ছিলেন কিন্তু এখন অন্যত্র থাকেন তাঁরা যেমনি গ্রামের আদিরূপের স্মৃতিচারণ করবেন তেমনি আজন্ম শহরবাসীরাও বেশ ভালোই ধারণা পাবেন। দুটো পর্বে এগিয়ে চলা উপন্যাসের কাহিনি বিন্যাস, একটি বর্তমান ও অন্যটি অতীত। কেন্দ্রীয় চরিত্র ফয়সালের মাধ্যমে লেখক ঘুরিয়ে আনবে বর্তমানের পাশাপাশি অতীতের আধুনিকতার ছোঁয়া বিবর্জিত এক জনপদ থেকে। যেখানে মানুষের মাঝে হাসিকান্না, হিংসা-বিদ্বেষ, সহমিলনের সাথে আছে বিভেদ। সমাজে নানান ধরনের মতবিরোধ রয়েছে। কখনো তা আর্থসামাজিক শ্রেণী বৈষম্য আবার কখনো ধর্মীয় চিন্তাধারার ভিন্নতা। এসব বৈপরীত্যের দারুণ সম্মিলন ঘটেছে। উপন্যাস জুড়ে বিভিন্ন চরিত্রের দেখা মিলে। একটা চরিত্রের কথা না বললেই নয়, মসজিদের ইমাম সাহেব। তাঁর মাধ্যমে লেখক শাশ্বত শান্তির জয়গান গেয়েছেন। সমগ্র উপন্যাস খুব শান্ত সৌম্য ভঙ্গিতে এগিয়ে গেছে। যার রেশ বজায় রেখে সমাপ্তি ঘটেছে ভাঙনের দিনের।
Was this review helpful to you?
or
MUST READ
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউ বই- ভাঙনের দিন লেখক- সাব্বির জাদিদ প্রকাশক- ঐতিহ্য প্রকাশকাল- ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ এই বইয়ের প্রধান চরিত্র ফয়সাল। চোদ্দ বছর জেল খেটে সুন্দরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামে। ফাঁসি হওয়ার কথা ছিলো। শেষে যাবত জীবন কারাদণ্ড হয়। তার স্বভাবে মুগ্ধ হয়ে জেলার যাবত জীবন চোদ্দ বছরে ক্ষান্ত করে। এমন সুষ্ঠ একজন ছেলের কারাদণ্ড হওয়ার কারণ আপনি বইটা পড়ে জানুন। ভাল্লাগবে। আমি লেখকের পাঠক হলাম এই বইয়ের মাধ্যমেই। আগে ফেবুতে রেগুলার লেখা পড়তাম। ভালো লাগতো। আমি আবার সব লেখককে গিলতে পারিনা। যেমন আহমদ ছফা সমগ্র, ফুটন্ত গোলাপসহ আরো কতক বই আমার বুক সেলফে অসহায় অবস্থায় পড়ে আছে এক বছর হবে। কেনো জানি আজো পড়তে ইচ্ছে হয়না। জানি একদিন হবে। সেদিনের অপেক্ষায় আছি। যাইহোক ভাবলাম ফেবুতে যখন ভালো লাগছে একটা বই তবে কেনা যায়। কোনটা কিনবো? নতুনটাই কিনি। গরম গরম সবি মজা। ভালো লাগলে আগের গুলোও কিনবো। আর হ্যাঁ আমি কিনিও। যার লেখা একবার আমার ভালো লাগে। আমি তার সব বই পড়ে ছাড়ি। এটা কেমন যেন রক্তে মেশা এক স্বভাব হয়ে গেছে। আমি মনে করি, প্রথমদিকে সবার এটাই উচিত। হাজার বই না পড়ে পছন্দের লেখকদের বই পড়ে নিজেকে তৈরি করে পরে সব ঘেঁটে দেখা। ফয়সাল সুন্দরপুর থেকে ইজিবাইকে নিজ গ্রাম ছুটিপুরে যাওয়ার পথে তার স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে শৈশবের রংবেরঙের স্মৃতি। স্কুলে কাজলের সাথে ঝগড়া করে প্রথম রক্তের স্বাদ গ্রহণ, প্রথম ছুটিপুরে কারেন্ট আসার পরে তার নেতৃত্বে আব্বাসবাগের অনুষ্ঠান, তাদের মসজিদের ইমাম সাহেবের স্মৃতি, তার ভালোলাগা পুতুল আর সোহাগের সারা জাগানো প্রেম, জিন কাহলুলের কান্ড, সাদাকালো বিটিভিতে প্রতি শুক্রবার ছবি দেখে সামনের সারা সপ্তাহ তার ডায়লগ জপা, তাদের খাল দিয়ে অচেনা এক তরুণীর বেআব্রু লাশ ভেসে আসা ইত্যাদি ইত্যাদি। ফয়সাল তার সাথে ইজিবাইকে থাকা দুই ছোকরার কর্মকান্ডে শুধু বিস্ময়বোধ করে আর মনে মনে ভাবে, চোদ্দ বছর আগের জগত আর আজকের জগতের তফাত আকাশ জমিন। এখন কেউ আর নতুন মানুষ দেখে এগিয়ে আসেনা, পথ বলে দেয়না। বিটিভিতে বাঙলা সিনেমা দেখেনা। সবাই হিন্দি সিনেমায় বিভোর থাকে। মোটকথা সোনার বাঙলায় হঠাৎ যে উন্নয়ন হয়ে গেলো। সেটা নিয়ে আমি আপনি তেমন ভাবিনি বা ভাবা কাজ মনে করিনি। কিন্তু যে কিনা চিঠির যুগে জেলে গিয়ে উন্নয়নের দশ বছর পূর্তিতে ছাড়া পেয়েছে। তার কাছে বিষয়টা অবশ্যই চোখে বাজে। অনেকটা এমন যে, গ্রাম ছেড়ে শহুরে হলো কেউ। দশবছর বাদে নিজ এলাকার উন্নতি দেখে চিন্তায় পড়ে। এটা সেই আমাদের গ্রামটাই নাকি ভুল করে অন্য কোথাও এসে পড়েছি। তিনি একটা গ্রামীণ সমাজের বিবরণ দিয়েছেন। পরে শহরের ছোঁয়ায় তার অবস্থা সম্পর্কে লিখেছেন। উস্তাদের মর্যাদা ফুটিয়ে তুলেছেন। হানাফী আর আহলে হাদীসদের যেই ধন্ধ সমাজে বিরাজমান তার ব্যাখ্যা সুক্ষ্মভাবে দিয়েছেন। তবে লেখক কাউকেই দোষী করেননি। কারণ পৃথিবীর সবাই দোষী আবার সবাই নির্দোষ। এক কথায় আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে বইটা। অনেক বই পড়ার মাঝে অনেক জিজ্ঞাসা জাগে। পাঠকের যা কোনোদিনই জানা হয়না। কিন্তু এ বইটায় সবকিছু ক্লিয়ার ভাবে বলা হয়েছে। লেখক কতটুকু উপরে আছেন আমি জানিনা। তবে ধারণা করতে পারি, যতটুকু উপরে তার অবস্থান। ততটুকু উপরে তিনি নেই। কারণ হচ্ছে, বান্ধbi, মস্তিষ্কের ক্যানভাস সহো আরো (নাম বলতে চাচ্ছিনা) কতক বই। যা আমরা শুধু লেখক বা লেখিকার চেহারা আর ফেবু ফলোয়ার দেখে কিনেছি। শুধু কিনেই ক্ষান্ত হইনি। একমাসে পঞ্চম প্রকাশে নিয়ে ঠেকিয়েছি। যার জন্য সাব্বির জাদিদের মতো শক্তিমান লেখকেরা আজ চাপা পড়ে আছেন। এদিন থেকে আমাদের ফিরতেই হবে। অবশ্যই হবে। নচেৎ! থাক আজ আর না।
Was this review helpful to you?
or
পড়ছিলাম......... ভাঙনের দিন ~ সাব্বির জাদিদ ১৪ বছর পর জেল থেকে বের হয়ে গল্পের নায়ক দেখে যে শহর রেখে জেলে গিয়েছিল সে শহর আর নেই। সবকিছু কেমন পাল্টে গেছে। গ্রামের পথে যেতে যেতে তিনি চলে যান অতীতে। তার গ্রামের নানা কথা ঘুরে ফিরে মনে পরে। এটাই গল্প বইটির। ১৪ বছরের দেশ অনেক পাল্টে যায়। কিন্তু আমাদের নিয়েই পাল্টায় বলে চোখে পরে না বা খেয়াল করিনা। এই গল্প পড়ে মনে হলো আরে তাইতো আমার গ্রাম তো অনেক পাল্টে গেছে। কি কি পাল্টেছে তার লিস্ট করা শুরু করলাম বই পড়া রেখে। গল্পের নায়কের সাথে আমিও চলে যাচ্ছিলাম অতীতে। চলে যাচ্ছিলাম চিঠির যোগে যেখানে মোবাইল ফোন ছিল না। পিড়িতে বসে চুল কাটা, বিটিভিতে সিনেমা দেখা এবং ভিলেন হওয়ার স্বপ্ন দেখা। মুভিতে ভিলেনের মৃত্যু দেখে কান্না করা। একটা মানুষ সিনেমার জন্য জীবন দিয়ে দিল! পরের সাপ্তাহে একই ভিলেন কে অন্য মুভিতে দেখে অবাক হওয়া। স্কুলে ভালো লাগা মেয়েটির কথা। বড় ভাইদের লাইলি মজনু মতো প্রেম দেখে মুগ্ধ হওয়া। গল্পটি পড়ে আপনার অবশ্যই মনে হবে আরে এতো আমারই গল্প। এমনতো আমিও করেছিলাম। আপনার মন খারাপ হয়ে যাবে গ্রামটা কেন পাল্টে গেল? আগের মতো গ্রাম ফিরতে পেতে চাইবেন। আফসোস করবেন ইশ আগের গ্রাম যদি ফিরে পেতাম। ১৪ বছর পর জেল থেকে বের হওয়া নায়কের নিজেকে ভিনগ্রহের প্রাণি মনে হতো লাগলো। মনে হতে লাগল টাইম মেশিনে করে সে ভবিষ্যতে চলে এসেছে। সময় এতো দ্রুত পাল্টায় কেন? এই বই পড়ে আমি ঠিক করেছি ফেসবুকে আর আসবো না নিয়মিত। মেসেঞ্জারে তো সাপ্তাহে একবার। কি ভয়ংকর ভাবে আসক্ত হয়ে গেছি আমরা এটার সাথে! গল্পে নায়কের মতো হয়ে যাওয়া যায় কিনা ভাবছি। উপন্যাসের নাম সার্থক হয়েছে। এরচেয়ে ভালো নাম আর হতেই পারতো না এই বই এর জন্য। লেখকের লেখা প্রথম পড়লাম। পড়া শেষ করে মনে হলো এই লেখককেও প্রিয় লেখক লিস্টে রাখতে হবে। পরের মেলায় যে বই বের হবে সেটাও অবশ্যই কিনতে হবে। লেখকের লেখা আমার ভালো লেগেছে। সহজ সরল লেখা। এমনই তো চাই আমি। আমার রেটিং..... ৫/৫ ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত