User login

Sing In with your email

Email Address
Password
Forgot Password?

Not Account Yet? Create Your Free Account

Send

Recipients:
Message:

Share to your friends

Copy link:

    Our Price:

    Regular Price:

    Shipping:Tk. 50

    • Size:
    • Color:
    QTY:

    প্রিয় ,

    সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
    মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?

    Please Login to Continue!

    Our User Product Reviews

    Share your query and ideas with us!

    Customer Reviews

      By Mobassira

      24 Dec 2025 10:50 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      good

      By Jakir Hossain

      23 Nov 2025 12:41 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      রহস্যের উন্মোচন, ভালোই

      By Md. hasan

      19 Oct 2025 11:23 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      সমসাময়িক কালের উপন্যাসের মধ্যে একটি ভালো উপন্যাস

      By sul****om

      12 Apr 2025 12:43 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটি আমার অনেক ভালো লেগেছে

      By Asad Sheikh

      27 Mar 2025 03:31 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      গল্পের প্লট টা আপনাকে ধরো রাখবে, মোটামুটি থ্রীল পাবেন। এটা রেজা সিরিজের প্রথম বই। খারাপ না...

      By Zubaer Al Islam

      26 Feb 2025 01:41 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুবই অসাধারন একটি বই।আপনারাও চাইলে নিতে পারেন।

      By 880****362

      12 Feb 2025 02:11 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      হুমায়ূন আহমেদ হওয়ার বৃথা চেষ্টা.. চূড়ান্ত অখাদ্য বই

      By Nandini Das

      29 Jan 2025 09:23 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ 😊

      By Anime Fever

      28 Jan 2025 11:39 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      মোটেও থ্রিলারের মতো লাগছে না মানুষ মরলেই থ্রিলার হয় এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

      By Dipto Hossain

      28 Jan 2025 11:37 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      উপন্যাসটা মোটেও উপন্যাসের মতো লাগেনি।

      By xanderxmaster Bd

      28 Jan 2025 11:35 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      তেমন কোনো টুইসড নেই এই লেখার মধ্যে আর তাছাড়া লেখাটা খুবই বোরিং টাইপের।

      By raihan ahmed

      28 Jan 2025 11:30 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      গল্পটা পড়ে তেমন একটা ভালো লাগে নি। থ্রিলার বই হবে মূলত মাথা নষ্ট করা। তবে এই লেখাটা পড়ে মেজাজ নষ্ট হয়ে গেছে।

      By Rumana Islam

      16 Nov 2024 12:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      দারুণ একটি বই❤️ ধন্যবাদ রকমারি ❤️

      By Raktim barua

      29 Sep 2024 08:10 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালো ছিল।

      By Jannatul Jannat

      26 Mar 2024 08:57 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      তেমন একটা ভালো গল্প না, নিম্ন মানের লেখনি ছিল।

      By Tania Hasan

      23 Mar 2024 09:15 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      onek thrill................

      By Mekail Biswas

      11 Mar 2024 12:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছু না।

      By 880****746

      14 Jan 2024 01:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এখানে বলার মতো তেমন কিছু নেই। আমি বলেও বুঝাতে পারবো না। যারা ক্রাইম থ্রিলার রহস্য পছন্দ করেন তাদের জন্য এই বইটা। (সাধারণ কেউ হয়তো বুঝতে পারবে তবে একটু ব্যতিক্রম)

      By Leeon Haque

      21 Dec 2023 11:27 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ভালো লেগেছে অনেক।

      By N K Adhikari

      25 Nov 2023 08:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      The book is useful and helpful.It will enrich the readers of this book. The price however ought to be kept at a marginal profit level so that more readers could provide to purchase this book and get the utility of it. Moreover, the publisher should be more careful in setting and coosing variable atrractive fonts to enhanch it standard. LAST BUT NOT THE LEAT, The service of ROKOMARI.COM is undoubtedly very praiseworthy.

      By Reazul hoque Khondokar Tamim

      19 Oct 2023 08:42 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_সাদাত_হোসাইন_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই:- ছদ্মবেশ লেখক:- সাদাত হোসাইন প্রকাশনী:- অন্যধারা পৃষ্ঠা:- ১৪৪ মূল্য:- ৩০০টাকা Enmity often comes into our lives in the guise of good people, sometimes as our friends or as our well-wishers. কিন্তু ধরুন চিরচেনা সে শুভচিন্তক যদি কখনও এক নোংরা মুখোশের আড়ালে দিনাতিপাত করে, যদি সে মুখোশ উন্মোচন হয় তখন কেমন হবে? পৃথিবীতে আমরা এক একজন ছদ্মবেশী, একটা নকল মুখোশের আড়ালে নিজেদের ঢেকে রাখি। প্রকৃত পরিচয় প্রকাশে আমরা কেউ আগ্রহী না। ছদ্মবেশেই আমাদের আগ্রহ বেশী। কেউবা ভালো মুখোশের অন্দরমহলে বসে থাকে ঠায়, কেউবা কালো অন্ধকার মুখোশের আবডালে। তবে সত্যিই “রোজকার ভানের পৃথিবীতে, ছদ্মবেশী অসংখ্য মানুষের ভিড়ে এমন একটা পৃথিবী খুব দরকার। এমন ভানহীন, অকপট, আনন্দময়।” তবেই তো সুন্দর পৃথিবী তৈরী হতো। সদ্য পঠিত সাদাত হোসাইন এর রেজা সিরিজের প্রথম উপন্যাস “ছদ্মবেশ” তারই এক আখ্যান। থ্রিলারের গন্ডিতে সাদাত হোসাইন এর অভিষেক “ছদ্মবেশ” উপন্যাসের মাধ্যমেই। গল্প সংক্ষেপঃ ছোট্ট মফস্বল শহর পলাশবাড়ী। উন্নয়নের ছোঁয়া এই লাগলো বলে। ব্রিজ,কালভার্ট,ব্যাংক এখনো সেভাবে গড়ে উঠেনি। নদী লাগোয়া পলাশবাড়ীতে বন্যার পাদুর্ভাবে ঘর-বাড়ি ভাসিয়ে নেবার অপেক্ষায় কাল ঠায় হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানকার চুন্নু চেয়ারম্যানের করা বাধঁ খানা। জনগনের স্বস্তির অন্ত নেই যেনো এতে!! কিন্তু বাদ সাঁধলো সেই নদীতে উদ্ধার হওয়া চেয়ারম্যানের ভাগ্নের পঁচা-গলা মৃত দেহ! নির্জীব শহরে যেনো উত্তাল হাওয়া বইতে লাগলো। সাদা চোখে যেমন মুদ্রার কালো পিঠ দেখা যায়না তেমনি রাজনীতির হাতিয়ার গুলোও সুস্পষ্ট হয়না রাজনীতির মাঠে না নামলে। একই মাঠের আরেকজন প্রতিপক্ষ গোলাম মাওলা। একে অপরকে দোষছেন ক্রমাগত। সেই খুনের তদন্তে নামলেন পলাশবাড়ী থানার নতুন সাব ইন্সপেক্টর রেজাউল হক। তদন্তের মোড় ঘুড়ে আঙুল পড়লো নদীর কাছ ঘেঁষা সদ্য নতুন বাড়ি “অপেক্ষা”র উপর। বাড়ির মালিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক লতিফুর রহমান। পেনশন ও সারাজীবনের অর্থ ব্যয় করে এই বাড়িটাই তার নির্মাণ, যদিও শেষ হয়নি এখনো অনেক কাজ। টাকার অভাবে পড়ে আছে। অসুস্থ স্ত্রী ও কাজের মেয়ে নিয়েই বাড়িতে থাকেন তিনি। চেয়ারম্যানের ভাগ্নের খুনের সঙ্গে নিরীহ শিক্ষক লতিফুর রহমান কে কেন টানছেন সাব ইন্সপেক্টর রেজাউল হক অবচেতন মনে? সবকিছু কি কাল্পনিক নাকি আদৌও যোগসূত্র আছে?? পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ “থ্রিলার” শব্দটা কখনও কখনও বাস্তব জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতে অনড়ভাবে ধাক্কা খায়। থ্রিলার হলো “ডার্ক সাইড অব দি মুন”—জীবনের অন্ধকারাচ্ছন্ন গল্পগুলোই উঠে আসে এখানে। অন্যসব গল্পের মতো এখানেও প্রেম-ভালোবাসা, মানবিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের সাথে উঠে আসে মানবিক ত্রুটি, খুন, ষড়যন্ত্র আর রহস্য। আর এটাই থ্রিলারের মূল উপজীব্য। এখানে পাঠককে গল্পটা এমনভাবে জানাতে হয় যেন তাঁরা রোমাঞ্চিত হন, রহস্যের গন্ধ পান, বাধ্য হন শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত পড়তে। এখানেই লেখক সাদাত হোসাইন নিজের লেখনীয়তে উতরে গেছেন, ছোট্ট একটা ক্লু এর মাধ্যমে রহস্যের জাল বিস্তার করে উপন্যাসের শেষাংশে এমনভাবে টেনেছেন যেন আচমকা পাঠকের চোখে সমস্ত রহস্যের জট ক্রমশই খুলে যাবে। ▪️থ্রিলার উপন্যাসে সবচেয়ে সাসপেন্স থাকে খুনী কে? এবং কেনো খুন করেছে?এক্ষেত্রে “ছদ্মবেশ” উপন্যাসের প্রথম অংশেই পাঠকের চোখে অনেক কিছুই লেখক প্রকাশ করে দিবেন। কিন্তু তারপরও লেখক পাঠককে আকৃষ্ট করে রাখবে উপন্যাসের শেষ পাতা অবধি, আদৌও খুন হয়েছিল কেন? কিভাবে? আর কে? এই তিনটা প্রশ্নের উত্তরে!! A bitter bite taken at right time often makes life sweeter. জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষগুলোকেই আমরা চিনতে পারিনা। তাদের গুরুত্ব বুঝতে পারিনা, ফলে সেই মানুষগুলোই রয়ে যায় আড়ালে, আবডালে। ঠিক সময়ে সেই ঠিক মানুষগুলোকে চিনতে পারলে, তাদের গুরুত্ব বুঝতে পারলে জীবন খুব সহজ হয়ে যেতে পারত। “জীবনের অনেক বড় বড় সমস্যার খুব দ্রুত সহজ সমাধান হয়ে যেত।” লেখক এই সুন্দর সম্পর্কের সমীকরণ গুলোই শিক্ষক লতিফুল রহমানের মাধ্যমে আলোকপাত করেছেন। চেনা মুখো অবয়বে যে সম্পূর্ণ অচেনা কদর্য মানুষ আড়ালে রয়ে যায় তা সত্যিই আশ্চর্যের। ▪️“ক্ষমতাই শক্তি” আর এই শক্তির সাথে ধারক বাহকগন যখন সে শক্তির অপপ্রয়োগ ঘটায় তখনই নেমে আসে দূর্ভোগ। “ছদ্মবেশ” উপন্যাসে ও লেখক থ্রিলারের মোড়কে জীবনের কিছু নির্মম অন্ধকার মুখোশ উন্মোচন করেছেন রাজনীতির প্রেক্ষাপটে। চুন্নমিয়া ও গোলাম মাওলার টিকেট পাওয়া নিয়ে, জেতার লড়াইয়ে মানবিকতা বিকিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে খেলতে ভাবেননি দুবার। ক্ষমতা আর লোকবল মানুষকে কতটা নিচে নামায় লেখক তাই তুল ধরেছেন বাস্তব কিছু দিক উপন্যাসে তুলে ধরে। ▪️শুধুমাত্র রহস্য উত্তেজনা ছাড়াও লেখক সুন্দর এক ভালোবাসার সমীকরণে বেঁধেছেন কিছু চরিত্রকে সুন্দরভাবে উপন্যাসে “ভালোবেসে কাছে এসে সেই দেয়াল ভাঙ্গা হয় না বলে তা ক্রমশই মহাপাচীর হয়ে উঠতে থাকে। একসময় হয়ে উঠে অলঙ্ঘনীয়।” ▪️একটা উপন্যাস তখনই গঠনগত ভাবে পরিপূর্ণতা পায় যখন সে উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র বাস্তবে কলমের কালিতে উপন্যাসের পাতায় লেখা হয়। এই উপন্যাসেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। উপন্যাসের প্রয়োজনে চরিত্রের বিন্যাস ঘটানো, নিপুণ কৌশলে চরিত্রায়ণের জাল পুরো উপন্যাসে বিছিয়ে দিয়েছেন সাদাত হোসাইন। চেয়ারম্যান ও একই দলের গোলাম মাওলা, ইন্সপেক্টর রেজাউল হক, লতিফুল রহমান সহ গুরুত্বপূর্ণ সব চরিত্র। আপনি যে চরিত্র কে পারিপার্শ্বিক চরিত্র ভেবে গুরুত্ব দিবেননা, লেখক তাকেই গল্পের মোড় ঘুরিয়ে ক্লাইম্যাক্স ঘটিয়েছেন উপন্যাসে। তবে খুনের বর্ণনা গুলো, তদন্ত গুলো আরো জোড়ালো ও বর্ণনা সাপেক্ষ হলে সুন্দর হতো। ▪️অন্যধারার প্রোডাকশন কোয়ালিটি সবসময়ই দূর্দান্ত হয়। সম্পাদনা খুব সুন্দর করে করা হয়েছে। টাইপিং মিস্টেক কিংবা বাক্যগঠন গত ভুল নেই বললেই চলে। উপন্যাসের প্রচ্ছদ কাহিনির সাথে রিলেটেবল যদিও আরও আকর্ষনীয় করা যেতে পারতো! গতানুগতিক থ্রিলার থেকে বের হয়ে যারা সমাজে চলমান অন্ধকার দিকের গল্প জানতে চান থ্রিলারের মোড়কে তারা পড়তেই পারেন রেজা সিরিজের প্রথম উপন্যাস “ছদ্মবেশ”

      By Mehrin Huque

      19 Oct 2023 06:23 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এবারেজ। চলে। গতানুগতিক থ্রিলার

      By Tamim Khondokar

      19 Oct 2023 06:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_সাদাত_হোসাইন_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই:- ছদ্মবেশ লেখক:- সাদাত হোসাইন প্রকাশনী:- অন্যধারা পৃষ্ঠা:- ১৪৪ মূল্য:- ৩০০টাকা Enmity often comes into our lives in the guise of good people, sometimes as our friends or as our well-wishers. কিন্তু ধরুন চিরচেনা সে শুভচিন্তক যদি কখনও এক নোংরা মুখোশের আড়ালে দিনাতিপাত করে, যদি সে মুখোশ উন্মোচন হয় তখন কেমন হবে? পৃথিবীতে আমরা এক একজন ছদ্মবেশী, একটা নকল মুখোশের আড়ালে নিজেদের ঢেকে রাখি। প্রকৃত পরিচয় প্রকাশে আমরা কেউ আগ্রহী না। ছদ্মবেশেই আমাদের আগ্রহ বেশী। কেউবা ভালো মুখোশের অন্দরমহলে বসে থাকে ঠায়, কেউবা কালো অন্ধকার মুখোশের আবডালে। তবে সত্যিই “রোজকার ভানের পৃথিবীতে, ছদ্মবেশী অসংখ্য মানুষের ভিড়ে এমন একটা পৃথিবী খুব দরকার। এমন ভানহীন, অকপট, আনন্দময়।” তবেই তো সুন্দর পৃথিবী তৈরী হতো। সদ্য পঠিত সাদাত হোসাইন এর রেজা সিরিজের প্রথম উপন্যাস “ছদ্মবেশ” তারই এক আখ্যান। থ্রিলারের গন্ডিতে সাদাত হোসাইন এর অভিষেক “ছদ্মবেশ” উপন্যাসের মাধ্যমেই। গল্প সংক্ষেপঃ ছোট্ট মফস্বল শহর পলাশবাড়ী। উন্নয়নের ছোঁয়া এই লাগলো বলে। ব্রিজ,কালভার্ট,ব্যাংক এখনো সেভাবে গড়ে উঠেনি। নদী লাগোয়া পলাশবাড়ীতে বন্যার পাদুর্ভাবে ঘর-বাড়ি ভাসিয়ে নেবার অপেক্ষায় কাল ঠায় হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানকার চুন্নু চেয়ারম্যানের করা বাধঁ খানা। জনগনের স্বস্তির অন্ত নেই যেনো এতে!! কিন্তু বাদ সাঁধলো সেই নদীতে উদ্ধার হওয়া চেয়ারম্যানের ভাগ্নের পঁচা-গলা মৃত দেহ! নির্জীব শহরে যেনো উত্তাল হাওয়া বইতে লাগলো। সাদা চোখে যেমন মুদ্রার কালো পিঠ দেখা যায়না তেমনি রাজনীতির হাতিয়ার গুলোও সুস্পষ্ট হয়না রাজনীতির মাঠে না নামলে। একই মাঠের আরেকজন প্রতিপক্ষ গোলাম মাওলা। একে অপরকে দোষছেন ক্রমাগত। সেই খুনের তদন্তে নামলেন পলাশবাড়ী থানার নতুন সাব ইন্সপেক্টর রেজাউল হক। তদন্তের মোড় ঘুড়ে আঙুল পড়লো নদীর কাছ ঘেঁষা সদ্য নতুন বাড়ি “অপেক্ষা”র উপর। বাড়ির মালিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক লতিফুর রহমান। পেনশন ও সারাজীবনের অর্থ ব্যয় করে এই বাড়িটাই তার নির্মাণ, যদিও শেষ হয়নি এখনো অনেক কাজ। টাকার অভাবে পড়ে আছে। অসুস্থ স্ত্রী ও কাজের মেয়ে নিয়েই বাড়িতে থাকেন তিনি। চেয়ারম্যানের ভাগ্নের খুনের সঙ্গে নিরীহ শিক্ষক লতিফুর রহমান কে কেন টানছেন সাব ইন্সপেক্টর রেজাউল হক অবচেতন মনে? সবকিছু কি কাল্পনিক নাকি আদৌও যোগসূত্র আছে?? পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ “থ্রিলার” শব্দটা কখনও কখনও বাস্তব জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতে অনড়ভাবে ধাক্কা খায়। থ্রিলার হলো “ডার্ক সাইড অব দি মুন”—জীবনের অন্ধকারাচ্ছন্ন গল্পগুলোই উঠে আসে এখানে। অন্যসব গল্পের মতো এখানেও প্রেম-ভালোবাসা, মানবিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের সাথে উঠে আসে মানবিক ত্রুটি, খুন, ষড়যন্ত্র আর রহস্য। আর এটাই থ্রিলারের মূল উপজীব্য। এখানে পাঠককে গল্পটা এমনভাবে জানাতে হয় যেন তাঁরা রোমাঞ্চিত হন, রহস্যের গন্ধ পান, বাধ্য হন শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত পড়তে। এখানেই লেখক সাদাত হোসাইন নিজের লেখনীয়তে উতরে গেছেন, ছোট্ট একটা ক্লু এর মাধ্যমে রহস্যের জাল বিস্তার করে উপন্যাসের শেষাংশে এমনভাবে টেনেছেন যেন আচমকা পাঠকের চোখে সমস্ত রহস্যের জট ক্রমশই খুলে যাবে। ▪️থ্রিলার উপন্যাসে সবচেয়ে সাসপেন্স থাকে খুনী কে? এবং কেনো খুন করেছে?এক্ষেত্রে “ছদ্মবেশ” উপন্যাসের প্রথম অংশেই পাঠকের চোখে অনেক কিছুই লেখক প্রকাশ করে দিবেন। কিন্তু তারপরও লেখক পাঠককে আকৃষ্ট করে রাখবে উপন্যাসের শেষ পাতা অবধি, আদৌও খুন হয়েছিল কেন? কিভাবে? আর কে? এই তিনটা প্রশ্নের উত্তরে!! A bitter bite taken at right time often makes life sweeter জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষগুলোকেই আমরা চিনতে পারিনা। তাদের গুরুত্ব বুঝতে পারিনা, ফলে সেই মানুষগুলোই রয়ে যায় আড়ালে, আবডালে। ঠিক সময়ে সেই ঠিক মানুষগুলোকে চিনতে পারলে, তাদের গুরুত্ব বুঝতে পারলে জীবন খুব সহজ হয়ে যেতে পারত। “জীবনের অনেক বড় বড় সমস্যার খুব দ্রুত সহজ সমাধান হয়ে যেত।” লেখক এই সুন্দর সম্পর্কের সমীকরণ গুলোই শিক্ষক লতিফুল রহমানের মাধ্যমে আলোকপাত করেছেন। চেনা মুখো অবয়বে যে সম্পূর্ণ অচেনা কদর্য মানুষ আড়ালে রয়ে যায় তা সত্যিই আশ্চর্যের। ▪️“ক্ষমতাই শক্তি” আর এই শক্তির সাথে ধারক বাহকগন যখন সে শক্তির অপপ্রয়োগ ঘটায় তখনই নেমে আসে দূর্ভোগ। “ছদ্মবেশ” উপন্যাসে ও লেখক থ্রিলারের মোড়কে জীবনের কিছু নির্মম অন্ধকার মুখোশ উন্মোচন করেছেন রাজনীতির প্রেক্ষাপটে। চুন্নমিয়া ও গোলাম মাওলার টিকেট পাওয়া নিয়ে, জেতার লড়াইয়ে মানবিকতা বিকিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে খেলতে ভাবেননি দুবার। ক্ষমতা আর লোকবল মানুষকে কতটা নিচে নামায় লেখক তাই তুল ধরেছেন বাস্তব কিছু দিক উপন্যাসে তুলে ধরে। ▪️শুধুমাত্র রহস্য উত্তেজনা ছাড়াও লেখক সুন্দর এক ভালোবাসার সমীকরণে বেঁধেছেন কিছু চরিত্রকে সুন্দরভাবে উপন্যাসে “ভালোবেসে কাছে এসে সেই দেয়াল ভাঙ্গা হয় না বলে তা ক্রমশই মহাপাচীর হয়ে উঠতে থাকে। একসময় হয়ে উঠে অলঙ্ঘনীয়।” ▪️একটা উপন্যাস তখনই গঠনগত ভাবে পরিপূর্ণতা পায় যখন সে উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র বাস্তবে কলমের কালিতে উপন্যাসের পাতায় লেখা হয়। এই উপন্যাসেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। উপন্যাসের প্রয়োজনে চরিত্রের বিন্যাস ঘটানো, নিপুণ কৌশলে চরিত্রায়ণের জাল পুরো উপন্যাসে বিছিয়ে দিয়েছেন সাদাত হোসাইন। চেয়ারম্যান ও একই দলের গোলাম মাওলা, ইন্সপেক্টর রেজাউল হক, লতিফুল রহমান সহ গুরুত্বপূর্ণ সব চরিত্র। আপনি যে চরিত্র কে পারিপার্শ্বিক চরিত্র ভেবে গুরুত্ব দিবেননা, লেখক তাকেই গল্পের মোড় ঘুরিয়ে ক্লাইম্যাক্স ঘটিয়েছেন উপন্যাসে। তবে খুনের বর্ণনা গুলো, তদন্ত গুলো আরো জোড়ালো ও বর্ণনা সাপেক্ষ হলে সুন্দর হতো। ▪️অন্যধারার প্রোডাকশন কোয়ালিটি সবসময়ই দূর্দান্ত হয়। সম্পাদনা খুব সুন্দর করে করা হয়েছে। টাইপিং মিস্টেক কিংবা বাক্যগঠন গত ভুল নেই বললেই চলে। উপন্যাসের প্রচ্ছদ কাহিনির সাথে রিলেটেবল যদিও আরও আকর্ষনীয় করা যেতে পারতো! গতানুগতিক থ্রিলার থেকে বের হয়ে যারা সমাজে চলমান অন্ধকার দিকের গল্প জানতে চান থ্রিলারের মোড়কে তারা পড়তেই পারেন রেজা সিরিজের প্রথম উপন্যাস “ছদ্মবেশ

      By Tamim Khondokar

      19 Oct 2023 06:03 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_সাদাত_হোসাইন_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বই:- ছদ্মবেশ লেখক:- সাদাত হোসাইন প্রকাশনী:- অন্যধারা পৃষ্ঠা:- ১৪৪ মূল্য:- ৩০০টাকা 𝕰𝖓𝖒𝖎𝖙𝖞 𝖔𝖋𝖙𝖊𝖓 𝖈𝖔𝖒𝖊𝖘 𝖎𝖓𝖙𝖔 𝖔𝖚𝖗 𝖑𝖎𝖛𝖊𝖘 𝖎𝖓 𝖙𝖍𝖊 𝖌𝖚𝖎𝖘𝖊 𝖔𝖋 𝖌𝖔𝖔𝖉 𝖕𝖊𝖔𝖕𝖑𝖊, 𝖘𝖔𝖒𝖊𝖙𝖎𝖒𝖊𝖘 𝖆𝖘 𝖔𝖚𝖗 𝖋𝖗𝖎𝖊𝖓𝖉𝖘 𝖔𝖗 𝖆𝖘 𝖔𝖚𝖗 𝖜𝖊𝖑𝖑-𝖜𝖎𝖘𝖍𝖊𝖗𝖘 কিন্তু ধরুন চিরচেনা সে শুভচিন্তক যদি কখনও এক নোংরা মুখোশের আড়ালে দিনাতিপাত করে, যদি সে মুখোশ উন্মোচন হয় তখন কেমন হবে? পৃথিবীতে আমরা এক একজন ছদ্মবেশী, একটা নকল মুখোশের আড়ালে নিজেদের ঢেকে রাখি। প্রকৃত পরিচয় প্রকাশে আমরা কেউ আগ্রহী না। ছদ্মবেশেই আমাদের আগ্রহ বেশী। কেউবা ভালো মুখোশের অন্দরমহলে বসে থাকে ঠায়, কেউবা কালো অন্ধকার মুখোশের আবডালে। তবে সত্যিই “রোজকার ভানের পৃথিবীতে, ছদ্মবেশী অসংখ্য মানুষের ভিড়ে এমন একটা পৃথিবী খুব দরকার। এমন ভানহীন, অকপট, আনন্দময়।” তবেই তো সুন্দর পৃথিবী তৈরী হতো। সদ্য পঠিত সাদাত হোসাইন এর রেজা সিরিজের প্রথম উপন্যাস “ছদ্মবেশ” তারই এক আখ্যান। থ্রিলারের গন্ডিতে সাদাত হোসাইন এর অভিষেক “ছদ্মবেশ” উপন্যাসের মাধ্যমেই। গল্প সংক্ষেপঃ ছোট্ট মফস্বল শহর পলাশবাড়ী। উন্নয়নের ছোঁয়া এই লাগলো বলে। ব্রিজ,কালভার্ট,ব্যাংক এখনো সেভাবে গড়ে উঠেনি। নদী লাগোয়া পলাশবাড়ীতে বন্যার পাদুর্ভাবে ঘর-বাড়ি ভাসিয়ে নেবার অপেক্ষায় কাল ঠায় হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানকার চুন্নু চেয়ারম্যানের করা বাধঁ খানা। জনগনের স্বস্তির অন্ত নেই যেনো এতে!! কিন্তু বাদ সাঁধলো সেই নদীতে উদ্ধার হওয়া চেয়ারম্যানের ভাগ্নের পঁচা-গলা মৃত দেহ! নির্জীব শহরে যেনো উত্তাল হাওয়া বইতে লাগলো।সাদা চোখে যেমন মুদ্রার কালো পিঠ দেখা যায়না তেমনি রাজনীতির হাতিয়ার গুলোও সুস্পষ্ট হয়না রাজনীতির মাঠে না নামলে। একই মাঠের আরেকজন প্রতিপক্ষ গোলাম মাওলা। একে অপরকে দোষছেন ক্রমাগত। সেই খুনের তদন্তে নামলেন পলাশবাড়ী থানার নতুন সাব ইন্সপেক্টর রেজাউল হক। তদন্তের মোড় ঘুড়ে আঙুল পড়লো নদীর কাছ ঘেঁষা সদ্য নতুন বাড়ি “অপেক্ষা”র উপর। বাড়ির মালিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক লতিফুর রহমান। পেনশন ও সারাজীবনের অর্থ ব্যয় করে এই বাড়িটাই তার নির্মাণ, যদিও শেষ হয়নি এখনো অনেক কাজ। টাকার অভাবে পড়ে আছে। অসুস্থ স্ত্রী ও কাজের মেয়ে নিয়েই বাড়িতে থাকেন তিনি। চেয়ারম্যানের ভাগ্নের খুনের সঙ্গে নিরীহ শিক্ষক লতিফুর রহমান কে কেন টানছেন সাব ইন্সপেক্টর রেজাউল হক অবচেতন মনে? সবকিছু কি কাল্পনিক নাকি আদৌও যোগসূত্র আছে?? পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ “থ্রিলার” শব্দটা কখনও কখনও বাস্তব জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতে অনড়ভাবে ধাক্কা খায়। থ্রিলার হলো “ডার্ক সাইড অব দি মুন”—জীবনের অন্ধকারাচ্ছন্ন গল্পগুলোই উঠে আসে এখানে। অন্যসব গল্পের মতো এখানেও প্রেম-ভালোবাসা, মানবিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের সাথে উঠে আসে মানবিক ত্রুটি, খুন, ষড়যন্ত্র আর রহস্য। আর এটাই থ্রিলারের মূল উপজীব্য। এখানে পাঠককে গল্পটা এমনভাবে জানাতে হয় যেন তাঁরা রোমাঞ্চিত হন, রহস্যের গন্ধ পান, বাধ্য হন শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত পড়তে। এখানেই লেখক সাদাত হোসাইন নিজের লেখনীয়তে উতরে গেছেন, ছোট্ট একটা ক্লু এর মাধ্যমে রহস্যের জাল বিস্তার করে উপন্যাসের শেষাংশে এমনভাবে টেনেছেন যেন আচমকা পাঠকের চোখে সমস্ত রহস্যের জট ক্রমশই খুলে যাবে। ▪️থ্রিলার উপন্যাসে সবচেয়ে সাসপেন্স থাকে খুনি কে? এবং কেনো কেনো খুন করেছে?এক্ষেত্রে “ছদ্মবেশ” উপন্যাসের প্রথম অংশেই পাঠকের চোখে অনেক কিছুই লেখক প্রকাশ করে দিবেন। কিন্তু তারপরও লেখক পাঠককে আকৃষ্ট করে রাখবে উপন্যাসের শেষ পাতা অবধি, আদৌও খুন হয়েছিল কেন? কিভাবে? আর কে? এই তিনটা প্রশ্নের উত্তরে!! ▪️𝐀 𝐛𝐢𝐭𝐭𝐞𝐫 𝐛𝐢𝐭𝐞 𝐭𝐚𝐤𝐞𝐧 𝐚𝐭 𝐭𝐡𝐞 𝐫𝐢𝐠𝐡𝐭 𝐭𝐢𝐦𝐞 𝐨𝐟𝐭𝐞𝐧 𝐦𝐚𝐤𝐞𝐬 𝐥𝐢𝐟𝐞 𝐬𝐰𝐞𝐞𝐭𝐞𝐫 জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষগুলোকেই আমরা চিনতে পারিনা। তাদের গুরুত্ব বুঝতে পারিনা, ফলে সেই মানুষগুলোই রয়ে যায় আড়ালে, আবডালে। ঠিক সময়ে সেই ঠিক মানুষগুলোকে চিনতে পারলে, তাদের গুরুত্ব বুঝতে পারলে জীবন খুব সহজ হয়ে যেতে পারত। “জীবনের অনেক বড় বড় সমস্যার খুব দ্রুত সহজ সমাধান হয়ে যেত।” লেখক এই সুন্দর সম্পর্কের সমীকরণ গুলোই শিক্ষক লতিফুল রহমানের মাধ্যমে আলোকপাত করেছেন। চেনা মুখো অবয়বে যে সম্পূর্ণ অচেনা কদর্য মানুষ আড়ালে রয়ে যায় তা সত্যিই আশ্চর্যের। ▪️“ক্ষমতাই শক্তি” আর এই শক্তির সাথে ধারক বাহকগন যখন সে শক্তির অপপ্রয়োগ ঘটায় তখনই নেমে আসে দূর্ভোগ। “ছদ্মবেশ” উপন্যাসে ও লেখক থ্রিলারের মোড়কে জীবনের কিছু নির্মম অন্ধকার মুখোশ উন্মোচন করেছেন রাজনীতির প্রেক্ষাপটে। চুন্নমিয়া ও গোলাম মাওলার টিকেট পাওয়া নিয়ে, জেতার লড়াইয়ে মানবিকতা বিকিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে খেলতে ভাবেননি দুবার। ক্ষমতা আর লোকবল মানুষকে কতটা নিচে নামায় লেখক তাই তুল ধরেছেন বাস্তব কিছু দিক উপন্যাসে তুলে ধরে। ▪️শুধুমাত্র রহস্য উত্তেজনা ছাড়াও লেখক সুন্দর এক ভালোবাসার সমীকরণে বেঁধেছেন কিছু চরিত্রকে সুন্দরভাবে উপন্যাসে “ভালোবেসে কাছে এসে সেই দেয়াল ভাঙ্গা হয় না বলে তা ক্রমশই মহাপাচীর হয়ে উঠতে থাকে। একসময় হয়ে উঠে অলঙ্ঘনীয়।” ▪️একটা উপন্যাস তখনই গঠনগত ভাবে পরিপূর্ণতা পায় যখন সে উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র বাস্তবে কলমের কালিতে উপন্যাসের পাতায় লেখা হয়। এই উপন্যাসেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। উপন্যাসের প্রয়োজনে চরিত্রের বিন্যাস ঘটানো, নিপুণ কৌশলে চরিত্রায়ণের জাল পুরো উপন্যাসে বিছিয়ে দিয়েছেন সাদাত হোসাইন। চেয়ারম্যান ও একই দলের গোলাম মাওলা, ইন্সপেক্টর রেজাউল হক, লতিফুল রহমান সহ গুরুত্বপূর্ণ সব চরিত্র। আপনি যে চরিত্র কে পারিপার্শ্বিক চরিত্র ভেবে গুরুত্ব দিবেননা, লেখক তাকেই গল্পের মোড় ঘুরিয়ে ক্লাইম্যাক্স ঘটিয়েছেন উপন্যাসে। তবে খুনের বর্ণনা গুলো, তদন্ত গুলো আরো জোড়ালো ও বর্ণনা সাপেক্ষ হলে সুন্দর হতো। ▪️অন্যধারার প্রোডাকশন কোয়ালিটি সবসময়ই দূর্দান্ত হয়। সম্পাদনা খুব সুন্দর করে করা হয়েছে। টাইপিং মিস্টেক কিংবা বাক্যগঠন গত ভুল নেই বললেই চলে। উপন্যাসের প্রচ্ছদ কাহিনির সাথে রিলেটেবল যদিও আরও আকর্ষনীয় করা যেতে পারতো! গতানুগতিক থ্রিলার থেকে বের হয়ে যারা সমাজে চলমান অন্ধকার দিকের গল্প জানতে চান থ্রিলারের মোড়কে তারা পড়তেই পারেন রেজা সিরিজের প্রথম উপন্যাস “ছদ্মবেশ”

      By Mayhek Shikder

      29 Sep 2023 02:40 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রকমারি_সাদাত_হোসাইন_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগিতা "জীবন কখনো কখনো প্রিয়তম মানুষদের মধ্যেও তুলে দেয় অদ্ভুত অভিমানের অলংঘনীয় দেওয়াল।" ~ "সাদাত‌ হোসেন" ✍️সারকথা ও প্রারম্ভিকা~ ------------------------------------ বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ঔপন্যাসিকদের তালিকায় প্রথম সারিতে সাদাত হোসেনের নাম না রাখার উপায় নেই কারো। কবিতা যেমন দারুন লিখেন, তেমনি লিখেন সামাজিক ও রোমান্টিক ঘরানার উপন্যাস। এগুলো থেকে বেরিয়ে এসে, এবার তিনি প্রথমবারের মতো লিখেছেন রহস্য উপন্যাস "ছদ্মবেশ" ( রেজা সিরিজ)। এই উপন্যাস লেখার পেছনেও রয়েছে এক মজার কাহিনী। রহস্য গল্প লেখা কঠিন। আমি একমত আসলেই কঠিন। তিনি আরোও বলেছেন ~ এই কঠিন কাজটি আমি নিয়মিত করতে পারবাে কিনা, তা নিয়ে খানিক সংশয়ও আছে। সেই সংশয় নিয়েই আমার প্রথম রহস্যোপন্যাস "ছদ্মবেশ।" ‘ছদ্মবেশ’ শেষ অবধি রহস্যোপন্যাস হয়ে উঠতে পেরেছে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত পাঠকের। কি সুন্দর সাবলীল ভাষায় এ উপন্যাসটি রহস্যোপন্যাস হয়ে উঠতে পেরেছে কিনা তার প্রশ্ন তিনি পাঠকদের কাছেই রেখে গেছেন। বইটির প্রথম প্রকাশকাল ১৫ ইং জুলাই ২০১৯। নবম মুদ্রণ সেপ্টেম্বর ২০২৩। ✍️ নামকরণ ও প্রচ্ছদ~ --------------------------------- আমি বই বাছাই করার ক্ষেত্রে সর্বদাই বইটি যে বিষয়ে লেখা, সে বিষয় এবং লেখার প্রতি বেশি গুরুত্ব আরোপ করি। তবে নামকরণটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বইয়ের প্রেক্ষাপটের সাথে সাদৃশ্য রেখে বইটির নামকরণ করা হলে নামকরণ সার্থক হয় বলেই মনে করি। এক্ষেত্রে "ছদ্মবেশ" বইটি ও ব্যতিক্রম ছিল না। সহজেই বলা যায় নামকরণে লেখক স্বার্থক। তেমনি প্রচ্ছদটিও ছিল আকর্ষণীয়। "ছদ্মবেশ" উপন্যাসটির প্রচ্ছদটি কাহিনীর সাথে সামঞ্জস্য রেখেই খাপ খাওয়া। অনেক ক্ষেত্রে একটি বইয়ের নাম এবং প্রচ্ছদ বইটির প্রতি আকর্ষণ তৈরি করতে কার্যকরী হয় পাঠকদের মাঝে। 💙 কাহিনী সংক্ষেপ ~ ------------------------------- অপেক্ষা.......!! লতিফুর রহমানের সারা জীবনের সঞ্চয় তিনতলা এই বাড়িটি। মূলত তার এই স্বপ্নের বাড়ির নামই ছিল অপেক্ষা। যদিও এখনো বাড়িটির অনেক কাজই অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। একদিন এক ভাড়াটে আসলো। লতিফুর রহমান ও বেশ আগ্রহ নিয়ে তিন তলা ঘরগুলো ভাড়াটেকে দেখাতে নিয়ে গেলেন। তখনই ঘটল এক আকস্মিক ঘটনা। ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই বিকট দুর্গন্ধে লতিফুর রহমানের পেট গুলিয়ে উঠল। লতিফুর রহমান হতভম্ব অবস্থা কাটানোর জন্য হাসতে চেষ্টা করে বলে উঠলেন~ ইদুর,বেড়াল কিছু এটা পচে আছে, বুঝলেন ভাই সাহেব? রুমালে নাকমুখ ঢেকে আড়াল করে রাখা নতুন ভাড়াটে তাতে সন্তুষ্ট হলেন কিনা বোঝা গেল না। পুরো ঘর তন্ন তন্ন করেও কোথাও কিছু খুঁজে পাওয়া গেল না। পরিশেষে, মাস্টার বেড রুমের সঙ্গে যে বাথরুমটি তার দরজা খুলতেই সে আচমকা থমকে দাঁড়ালেন। মনে হচ্ছে তার চারপাশের জগৎটা চরকির মতো পাক খেয়ে খেয়ে ঘুরছে। সে এমন কিছু দেখলো যা দেখার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। বাথরুমের মেঝেতে কাত হয়ে পড়ে আছে একটা লাশ। লাশটার গলা থেকে মাথাটা প্রায় ছুটে এসে বিভৎসভাবে ঝুলে আছে বুকের ওপর। পচে যাওয়া লাশটার শরীর বেয়ে ভনভন করে উড়ছে মাছি........ আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই 'ছদ্মবেশ' বইটির কাহিনী রচিত। 💙 তাৎপর্য ~ -------------------------- এখন প্রশ্ন হলো খুনি কে ? লতিফুর রহমান সাহেব ? নাকি আড়ালে লুকিয়ে থাকা ছদ্মবেশী কেউ ? কি করেই বা লাশটা বৃদ্ধ লতিফুর রহমানের বাসায় আসলো ? কেনই বা লতিফুর রহমানের দিকে নজর যাচ্ছে বারবার এস. আই রেজার? কিছু একটা রহস্য তো আছেই , নাকি সবই কারো সাজানো পরিকল্পনা? চুন্নু মিয়া বা গোলাম মাওলা'র রাজনৈতিক দ্বন্দই কি এই খুনের কারণ? নাকি আছে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে অন্য কারো হাত? এমনকি খুব কাছের নতুন শহরটিতে ঘটে যাচ্ছে আরো নানান‌ ঘটনা। জনপদ বাড়ছে, অপরাধ বাড়ছে। এস. আই রেজা কি পারবে এই সব পরিস্থিতির সামাল দিতে? এছাড়া আরো বেশ কিছু চরিত্রের সমাগম রয়েছে 'ছদ্মবেশ' বইটিতে। কি বা ছিল তাদের কাজ কি ভূমিকাই বা তারা পালন করেছে? এসব প্রশ্নের উত্তর উন্মোচন করতে হলে অবশ্যই আপনাকে লেখক সাদাত হোসাইনের লেখা “ছদ্মবেশ ” উপন্যাস টা পড়তে হবে । ✍️ চরিত্রায়ণ ~ ----------------------- চরিত্র গুলোকে বিন্দু পরিমাণেও বিশ্লেষণ করতে আমি আগ্রহী নয়। এটা সিক্রেট রাখতে চাই। কেননা যে কোন বইয়ে বা উপন্যাসে চরিত্রগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। রেজা সিরিজের এই বইটিতে বেশ কিছু চরিত্রের সমাগম রয়েছে। লেখক তার নিপুন হাতের দক্ষতা দিয়ে যার যার স্থান থেকে তার চরিত্রকে বেশ ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। বইটিতে রয়েছে~ এস.আই রেজা, লতিফুর রহমান, নাসিমা বেগম, সৈকত, ডালিয়া, চুন্নু মিয়া, গোলাম মাওলা, শরিফুল, মোবাশ্বের, সোহরাব মোল্লা, এনায়েত, আলাউদ্দিন হাজী প্রভৃতি জনের মতো আছে লিখন যাকে নিয়ে এই সিরিজের এতকিছু। 💙পাঠ প্রতিক্রিয়া ~ ----------------------------- এই বইটি নিয়ে অনেকের আলোচনা সমালোচনা দেখেছি। এটাই স্বাভাবিক প্রত্যেকটা জিনিসেরই আলোচনা সমালোচনা থাকবেই। সবার খারাপ লাগা ভাললাগা এক নয়। সব সময়ই এই জিনিসটাতে ভিন্নতা কাজ করে। তাই এখানে আমি সম্পূর্ণই আমার নিজের মতামতটাই বিশ্লেষণ করবো। প্রথম রহস্যোপন্যাস হিসেবে, লেখক বেশ ভালো লিখেছেন। উপন্যাসটা খুব বেশি টানটান উত্তেজনাময় থ্রিলার না হলেও পেজ যতই একটার পর একটা পড়ে যাচ্ছিলাম প্রশ্ন‌ যেন‌ দাড় করানোই ছিল। যাকে রহস্য বললেও কম হবে না। রহস্য উপন্যাস একটু ধীরগতিতে এগিয়ে গেলেই যেন ভালো হয়। সে ক্ষেত্রে লেখক ১৪৪ পেইজের মধ্যে তার লেখন শৈলী দিয়ে বেশ ভালোভাবেই প্রথম চেষ্টাতেই অনেকটা ভালো করেছেন। উপন্যাসটির মধ্যে কোন বাড়তি কথন ছিল না। অযথা কোথাও কোনো সংলাপ বাড়ানো হয়েছে বলে মনে হয়নি। উপন্যাসটিতে আমার পছন্দের অনেক জিনিস ছিলো। যেমন আকাশে মস্ত বড় চাঁদ ওঠার ব্যাপারটা, দক্ষিণ দিকের দেয়াল জুড়ে বিশাল জানালা প্রভৃতি। মূলত দক্ষিণ দিকের প্রতি আমার একটা অন্যরকম ভালোবাসা কাজ করে। আমার থাকার রুমটাও দক্ষিণ দিকে আর একটা বিশাল বড় জানালাও রয়েছে। বইটির মধ্যে সংলাপ গুলো পড়ে ভালো লেগেছে। তবে বেশি ইন্টারেস্টিং সংলাপ ছিল সেগুলো যেখানে রেজার কথোপকথন থাকত। মনে হচ্ছিল যেন আমিই কথা বলছি। বইটা সম্পূর্ণ পড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত, অনেকগুলো চরিত্র নিয়ে বইটি রচিত হওয়ায় একেক সময় একেক জনকে খুনি মনে হচ্ছিল। এটা কি রহস্য নয়? এছাড়া লতিফুর রহমানের আসল রূপ জানার পর আমি হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। তবে এ গল্পের থেকে আমি কিছু কিছু জিনিস খুব গভীরভাবে ভেবে শিখতেও পেরেছি। যেমন নিজের কাজ নিজে করার মধ্যে একটা অমায়িক আনন্দ থাকে। তবে লতিফুর রহমানের অমায়িক আনন্দ হয়েছিল কিনা সেটা আমার জানা নেই। লোকটার প্রতি প্রথমদিকে আমার খুব মায়া হয়েছিল, শেষের দিকে খুব বেশি রাগ হলেও তার মৃত্যুতে কষ্ট পেয়েছিলাম। কষ্ট পেয়েছিলাম ঠিক তখনও যখন দেখছিলাম, সন্তানকে কত বছর ধরে কাছে না পাওয়ার আকুতি। কি ভীষণ এক যন্তনা। পুলিশ কর্মকর্তা রেজা যিনি এলাকার প্রভাবশালীদের থেকে মাসিক খোরাকিও নেন, আবার দরকার হলে এদের পশ্চাদ্ধাবন ও করতে পারেন। এই ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে। এখানে পড়ার শুরুর দিকে আমার মাথায় একটা প্রশ্ন ছিল সেই খোরাকি টা কি কারণে নিচ্ছিল সে? কোন কারনে সে কি জানে খুনি কে? নাকি খুনিকে বাঁচাতে? কিন্তু না। ব্যাপারটা সম্পূর্ণই ভিন্ন দেখা মিলে পরিশেষে। যা আমাকে অবাক করেছে। খুনের ঘটনায় ময়নাতদন্ত, ঘটনাস্থল ইত্যাদি নিয়ে আলোকপাত এড়িয়ে লেখক মূলত জোর দিয়েছেন মানবচরিত্রের দিকে। তবে শেষের দিকটা একটু রহস্যে ঢাকা রেখেই শেষ করলে ভালো হতো এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। তবে সে যাইহোক, লেখক রহস্যের অংশটুকুকে আরো একটু রহস্যপূর্ণ করে তুলতে পারলে যেন আরও একটু বেশি ই ভালো হতো। কিন্তু প্রথম উদ্বেগ হিসেবে আমি বলব বেশ ভালোই ছিল। ✍️ লেখনশৈলী ~ ------------------------------ লেখকরা তাদের লেখার যাদু দিয়েই পাঠক সমাজের মন জয় করে নিতে সক্ষম হয়। তেমনি সাদাত হোসেনের লেখনশৈলী সম্পর্কে যতই বলি না কেন কম হয়ে যাবে। আমরা অনেকেই তার লেখার সাথে পরিচিত। তাই বেশি কিছু বলার প্রয়োজন হবে বলে মনে হচ্ছে না। বরাবরই আমি তার লেখা খুব বেশি পছন্দ করি। তার প্রত্যেকটি শব্দচয়ন, সংলাপের ব্যবহার খুব সুন্দর ভাবে করা হয়েছে এই বইটিতে , ভাষাগুলো বেশ সাবলীল ছিল। তাই পড়ার ক্ষেত্রে কষ্টসাধ্য হবে না। আমি বেশ উপভোগ করেই পড়েছি। আগ্রহী যে কেউ খুব সহজেই বইটি পড়ে শেষ করতে পারবে। ✍️প্রোডাকশন কোয়ালিটি~ -------------------------------------- "ছদ্মবেশ" (রেজা সিরিজ) বইটি মূলত প্রকাশিত হয়েছে অন্যধারা প্রকাশনী থেকে। বইয়ের কভারটি মূলত হার্ডকভার এবং হার্ডকভারটির উপরেই মোটামুটি পুরু একটি পেপারে পুনরায় বইয়ের প্রচ্ছদটি প্রদর্শিত হয়েছে। যা আমার কাছে বেশ আকর্ষণীয় লেগেছে। আমরা অনেকেই অনেক জায়গা থেকে বই ক্রয় করি। তারপর দেখা যায় যে হয়তো বইয়ের কালি লেপ্টে আছে, নয়তো লেখা বুঝা যাচ্ছে না বা লেখা অস্পষ্ট, ছাপ উঠে নিয়ে এমন অনেক সমস্যা। কিন্তু এই বইটি পড়ার সময় এমন কোন সমস্যারই মুখোমুখি হতে হয়নি। পৃষ্ঠা, এক লাইন থেকে অন্য লাইনে স্পেস, ফন্ট সাইজ , দাড়ি - কমা সবকিছু ঠিকঠাক মনে হয়েছে। বানান ভুলও তেমন একটা চোখে পড়েনি। আর এর জন্য "অন্যধারা" প্রকাশনীর কাছে কৃতজ্ঞ। তবে হার্ড কভার এবং কাগজের মান আরেকটু উন্নত করা প্রয়োজন বলে মনে করছি। বইয়ের বাঁধন নিয়ে এখনো তেমন একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি। তবে বইয়ের বাঁধন শক্তপোক্ত হলে বেশ ভালো হয়। এই বিষয় গুলো প্রত্যেক প্রকাশনীর বই সম্পাদনের সময় একটু লক্ষ রাখা উচিত। ইনশাআল্লাহ, আশা করি "অন্যধারা" প্রকাশনী সামনে আমাদের এইভাবেই ভালো ভালো কাজগুলোই উপহার দিবে। শুভকামনা। ✍️ বই হতে পছন্দের কিছু চরণ ~ ---------------------------------------------- 🔵 অতি সতর্ক হতে গিয়ে মানুষ অনেক অস্বাভাবিক আচরণ করে। 🔵 আঘাতের বিষয় না জানলে শক্ত হওয়াও যায় না। 🔵 মাথা না খাটালে এই শহর অন্যের হয়ে যেতে সময় লাগবে না। 🔵 দুনিয়ার সব বড় শহর হচ্ছে নদীর পাড়ে। নদী মানেই জীবন, সম্ভাবনা। 🔵 ভালোবেসে কাছে এসে সেই দেয়াল ভাঙ্গা হয় না বলে তা ক্রমশই মহাপাচীর হয়ে উঠতে থাকে। একসময় হয়ে ওঠে অলঙ্ঘনীয়। ✍️মতামত ও লেখক এর উদ্দেশ্যে কিছু কথা~ --------------------------------------------------------------- সকলের মতামতের পক্ষেও হতে পারে বিপক্ষে ও হতে পারে আমার মতামত। আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি উপন্যাসটা আমার খারাপ লাগেনি। বইটি আমার ভালো‌ লেগেছে এবং উপভোগও করেছি। আমি লেখককে উৎসাহের সহিত বলতে চাই, এটা ছিল শুরু। ছদ্মবেশের পর "রেজা সিরিজের" পরবর্তী দুইটা বই হচ্ছে শেষ অধ্যায় নেই, সত্যটা মিথ্যা। "সত্যটা মিথ্যা" বইটি ( থ্রিলার ক্যাটাগরিতে) রকমারি বেস্ট সেলার পুরস্কার প্রাপ্ত হয়েছে। ২০১৯ সালের শেষের দিকে অথবা ২০ সালের শুরুর দিকে হবে ঠিক মনে পড়ছে না। তখন থেকেই আমি আপনার লেখার সাথে পরিচিত হই। সেই থেকেই আপনার লেখার প্রতি ভালো লাগা কাজ করা। মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর লেখনশৈলী আপনার। এভাবেই আমাদের মাঝে আপনার হাতের জাদু দিয়ে মানসম্মত বইগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ। "শুভকামনা" ✍️ রেটিং ~ ৩/৫ ---------------- ✍️বই বিত্তান্ত ~ ---------------------- বই ~ "ছদ্মবেশ" ( রেজা সিরিজ) লেখক ~ সাদাত হোসেন প্রকাশক ~ মোঃ মনির হোসেন পিন্টু প্রকাশনী ~ অন্যধারা প্রচ্ছদ ~ সনদ কুমার বিশ্বাস মুদ্রণ ~ একাত্তর প্রিন্টার্স জনরা~ থ্রিলার পেজ ~ ১৪৪ মূল্য ~ ২৫৪ টাকা ( রকমারি ডট কম) রিভিউদাতা ~ নিতু শিকদার আয়াত বি.দ্র~ রিভিউটিতে সম্পূর্ণটাই আমার নিজের ব্যক্তিগত মতামত প্রদান করেছি আমি। ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।

      By Manna Chakraborty

      20 Jul 2023 01:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      good

      By Tanvir Supriyo

      21 Jun 2023 12:40 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার পড়া বেস্ট থ্রিলার গল্প। সাদাত হোসাইন ভাই thriller ভালোই লেখে। এরকম thriller গল্প বেশী বেশী শুনতে চাই সাদাত হোসাইনের কাছে। Must read ✅✅

      By Rohan kabir

      13 Jun 2023 08:02 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসম্ভব সুন্দর একটি বই!

      By shahrin Ribna

      22 Oct 2022 08:29 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অবশেষে আমিও বইটি পড়া শেষ করলাম। অনেকগুলো চরিত্রের মধ্যে আমার ৩ টা চরিত্রকে প্রধান মনে হয়েছে যারা হলো লতিফুর রহমান, রেজা ও লিখন। সব মিলিয়ে গল্পটি ভালোই ছিল তবে আমার মনে হয়েছে যে শেষের দিকে একবারে সব ইনফরমেশনগুলো না দিয়ে আস্তে আস্তে প্রকাশ করলে আরো ইন্টারেস্টিং হতো গল্পের কাহিনি।

      By Jahid Hasan

      21 Sep 2022 10:09 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুব রহস্যময়

      By Soptomi Mitro

      16 Sep 2022 08:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      It's too good

      By Jewel Manzur

      28 Jun 2022 03:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      gr8 book

      By Adittya Chowdhury Joy

      04 Apr 2022 12:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      besh

      By শারমিন লিনা

      31 Mar 2022 03:02 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      OSADARON

      By Mominul Islam

      12 Mar 2022 12:29 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      alhamdulliah khub valo

      By Mohammad Zahid Hossain

      27 Jan 2022 10:15 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      valoi legeche...ending ta o valo laglo...jantam last e rohossher sommukhin hobo..kintu eto eto rohossher sommukhin hobo vebei parini

      By Mahir mohammed

      11 Jan 2022 08:03 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Liked the book

      By Zerin Jannat

      03 Jan 2022 08:29 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Loved it. Been a while since I read a thriller this engrossing.

      By S M Imrul Hasan

      19 Dec 2021 08:02 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Nice

      By sadi shariar

      14 Oct 2021 01:55 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      thriller boi porar Ekta alada e Moja ache

      By Omarfaruk

      31 Aug 2021 08:21 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Good

      By SA Azmi

      11 Aug 2021 11:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Excellent

      By Shottom Das

      04 Aug 2021 04:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বেশ ভালো গল্প

      By Md. Ifaz Hossain

      01 Aug 2021 02:21 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এটি আমার সাদাত হোসেন এর কেনা প্রথম বই। এবং এই বইটি এক কথায় আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। কেনার জন্য রেকমেন্ড করছি।

      By Samin Malik

      17 Jun 2021 02:06 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Typical thriller story.

      By Sharif

      06 May 2021 07:26 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      wonderful book.

      By Samira

      03 May 2021 08:00 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমাদের সাধারন জীবনের মধ্যেই অসাধরণতা বের করা হয়েছে এই ছদ্মবেশের মাধ্যমে।

      By Foysol Ahmed

      07 Apr 2021 04:31 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      পুরো বইটিতে এক টান টান উত্তেজনা আর রহস্যের জাল

      By Abdur Rahman

      21 Mar 2021 01:57 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার পছন্দের একটি বই। অনেক ভালো লেগেছে।

      By Sheikh Mahadi

      21 Mar 2021 12:49 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারন ছিল বইটা!

      By Md. Jahidul Islam

      19 Mar 2021 11:32 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      valo legeche.

      By Mahin

      09 Mar 2021 05:49 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমি পৃথিবী কে যতটা সহজ ভাবে দেখি, পৃথিবী আসলে ততটা সহজ নয়। পৃথিবীতে বসবাসরত মানুষদের মন গুলো যত সুন্দর ভাবি, আসলে সেই মনগুলো ততটা সুন্দর নয়। আশেপাশের মানুষ গুলোকে যতটা সাধারন ভাবি, তারা আসলে ততটা সাধারণ নয়। আমি পৃথিবীটাকে যত সুন্দর ভাবি, পৃথিবী আসলে ততটা সুন্দর নয়। নিজের মনকে যতটা পবিত্র মনে করি, হয়তো আমার মন ততটা পবিত্র নয়। চারপাশের মানুষগুলোর মন গুলোকে যতটা সরল মনে করি, তাদের মন গুলো আসলে ততটা সরল নয়। তাদের মন গুলো জটিল থেকে জটিলতর, কুটিল চিন্তাধারার অধিকারী। স্বাভাবিক আচরণ এর মাঝে কখনো কখনো প্রকাশ পায় কিঞ্চিৎ রহস্যময়তা। আমি চিনি আমার চারপাশের মানুষ গুলোর চেহারা, তাদের স্বাভাবিক আচরণ গুলো। কিন্তু আমি চিনিনা সেই সরল চেহারার পেছনে লুকিয়ে থাকা ব্যক্তিটিকে, চিনিনা তার মাঝে লুকিয়ে থাকা রহস্যময় আচরণের অধিকারী সত্ত্বাটিকে। আমি জানিনা, হয়তো আমার মাঝেও লুকিয়ে আছে এমন কোন সত্ত্বা! হয়তো আমার অবচেতনে সে আমাকে পরিচালনা করে। হয়তো আমি তাকে এখনো চিনি না, হৃদয় দ্বারা অনুভব করতে পারিনা। হয়তো সে চিরকাল রয়ে যাবে আমার জ্ঞান সীমানার বাহিরে।

      By Ferdous Rahad Protic

      07 Mar 2021 05:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      খুবই ভালো বই। পড়তে পেরে খুবই আনন্দিত হলাম।আশা করি লেখক আমাদেরকে এমন আরো নতুন মতুন গল্প লিখে আমাদেরকে মাতিয়ে রাখবেন। ধন্যবাদ লেখক আপনার সুন্দর আর মহান এ সৃষ্টির জন্য। আপনার লেখনীর ধার ও মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ুক দিগ্বিদিক। অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল আমার পক্ষ থেকে আপনার প্রতি।

      By নিয়াজ তাহান

      06 Mar 2021 09:12 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ লেগেছে। একটা চক্র, পত্রিকা থেকে কৌশল শেখা সব মিলিয়ে টানটান উত্তেজনা ছিলো পুরোটা উপন্যাস জুড়ে।😊

      By Jahid Hasan

      28 Feb 2021 05:42 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Khub Valo akti boi

      By Mast Jesmine Ara Begum

      20 Feb 2021 11:00 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      The Book Was Very Mistrious

      By Md. Meraz Hasan

      03 Feb 2021 02:22 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Valo lagce boi ta pore...

      By Habibur Mejbah

      24 Jan 2021 06:22 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      nice

      By Mostafizur Rahman

      07 Dec 2020 12:51 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বুক রিভিও "ছদ্মবেশ" লেখক- সাদাত হোসাইন ব্যক্তিগত রেটিং- ৭/১০ সাদাত হোসেনের লেখা রহস্যোপন্যাস 'ছদ্মবেশ'। আমার যতটুকু ধারনা গল্পের প্রধান যে চরিত্র রেজাউল করিম (রেজা)। তাকে নিয়ে আরও অনেক গুলো গল্প আমরা পাব। কলেজের অবসরপ্রাপ্ত বাংলা বিভাগের শিক্ষক সাধারণ জীবনযাপন ও তার নতুন নির্মিত একটি বাড়ি নিয়ে।সেই বাডিতে থাকতেন লতিফুর রহমান, তার স্ত্রী ও তার বাড়ির কাজের মেয়ে।তাদের ছেলে সৈকত পরিবার সহ থাকে আমেরিকাতে। বাবা মায়ের সাথে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। হঠাৎ করেই সে তার মাকে চিঠি পাঠায় সে দেশে আসবে। এজন্যই লতিফুর রহমানের স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ছেলে যা যা পছন্দ করে সেসব খাবার একেবারে তাজা অবস্থায় জোগাড় করেন। এক সপ্তাহ পর গ্রাম থেকে ফিরে এসে এক ভড়াটিয়াকে ঘর দেখাতে নিয়ে গেলে সেখানে বাথরমে দেখতে পেল একটি লাশ বিভৎস অবস্থায় পড়ে আছে! তখন লতিফুর রহমান বুঝে উঠতে পারলেন না যে তিনি আসলে কি করবেন। তার ঘরের চাবি তো অন্য কারও কাছে নেই তাহলে লাশ টা আসলো কিভাবে? অপর দিকে উপজেলা নির্বাচন কে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গোলাম মাওলাকে লিখন হত্যার অভিযোগে দায়ী করেন চুন্নু চেয়ারম্যান। আাবার গোলাম মাওলা উল্টা চু্ন্নু চেয়ারম্যানকে দায়ী করেন। এই হত্যা কাহিনি তদন্ত করার দায়িত্ব পান রেজাউল করিম। তবে আমার ভালো লাগার কারণ হলো গল্পে সবগুলো পদক্ষেপে আমি যে কজনকে দোষী মনে করছিলাম খুনের জন্য তারা কেউই আমার সাথে মেলেনি। এমনকি আসল খুনির কথা মাথায়ও আসে নি। সব মিলিয়ে বইটি খারাপ নাহ। তবে, গল্পে চরিত্র গুলোর মাঝে কিছু জড়তা ছিলো। যেহেতু প্রধান চরিত্র নিয়ে আরো গল্প লিখবেন সেহেতু আশা করা যায় সামনে ভালো কিছু আসবে।

      By Tahsin

      03 Oct 2020 06:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Onek bhalo legeche pore. Shurute jemon bhebechilam temon na holeu pore moja peyechi

      By Zarin Irtiza

      11 Sep 2020 09:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      One of his best writing

      By Jobayed Hossen Ratul

      31 Aug 2020 10:55 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সাদাত ভাই এর লেখা প্রথম রহস্যউপন্যাস ছদ্দবেশ"নিজ ব্যক্তিগত ভাবে বললে বইটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে!আপনাদের পড়ার নিমন্ত্রণ দিলাম

      By Siam Mehraf

      25 Jun 2020 11:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইঃ ছদ্মবেশ লেখকঃ সাদাত হোসাইন প্রকাশনীঃ অন্যধারা প্রচ্ছদঃ সনদ কুমার বিশ্বাস পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৪৪ মুদ্রিত মূল্যঃ ২৫৫ টাকা মাত্র প্রথম প্রকাশঃ ১৫ই জুলাই ২০১৯ ঘটনার শুরুটা একটা বাড়িকে ঘিরে যেই বাড়ির নাম অপেক্ষা। বাড়িটার মালিক লতিফুর রহমান। যিনি একজন প্রফেসর। পেনশন, গ্রামের ফসলি জমি সবকিছু মিলিয়ে শেষ বয়সে এসে পূরণ করলেন নিজের স্বপ্নটা। যেটা হচ্ছে তার এই বাড়ি। তার স্ত্রী নাসিমা বেগম, কাজের মেয়ে ডালিয়া এবং সে, এরাই হচ্ছে তার এই স্বপ্নে অবস্থানরত মানুষগুলো। কিন্তু তবুও একটা শুন্যতা। সেই শুন্যতা তার ছেলেকে কাছে না পাওয়ার। কাছে না পাওয়ার যন্ত্রণায় যেমন ব্যতীত হন সে, তেমনি হন তার স্ত্রীও। মাঝে মাঝে সেই না পাওয়ার যন্ত্রণা আর নিজের মানষিক অশান্তি মিলিয়ে উন্মাদের মতো আচরণ করেন লতিফুর রহমানের স্ত্রী। তবে সেই না পাওয়া কাটিয়ে তার ছেলের দেশে ফেরার একটা চিঠি আসে তাদের কাছে। উন্মাদ থেকে মূহুর্তের মা হয়ে ওঠেন নাসিমা বেগম। পাগল হয়ে যান ছেলেকে সমাদর করার জন্য। স্বামীকে সাফ জানিয়ে দেন গ্রামে যেতে হবে। ছেলের জন্য তিনি আনবেন অনেক খাবার, মাছ, আরও কত কি! সেই সুখে গ্রামে যাওয়া। তবে ফিরে এসেই বাধে বিপত্তি। লতিফুর রহমান ঘর ভাড়া দেয়ার চেষ্টা করছেন বহু আগে থেকেই, গ্রাম থেকে ফিরে যখনই ঘর দেখার জন্য লোক এলো তিনি টের পেলেন এক অদ্ভুত রকমের গন্ধ। পরক্ষণেই দেখা গেলো তার সেই নতুন ঘরের বাথরুমেই লুটিয়ে আছে এক লাশ। গ্রামের বাড়ি গিয়ে ফেরত এলেন সে আর তার স্ত্রী, ঘর ছিলো বন্ধ! তবুও কিভাবে এলো এই লাশ তা সঠিক বুঝে উঠতে পারলেন না তিনি। শেষ চেষ্টাটা করতে দ্বিধাবোধ করলেন না। লাশটা তাকে সরাতেই হবে। যেই কথা সেই কাজ। সরিয়েও ফেললেন, নিজের উপর থেকে বোঝা কমাতে। ঝামেলা কমাতে। পুলিশ যখন লাশ খুঁজে পায়, তখন এই কেসের দায়ভার পড়ে পলাশবাড়ি থানার সাব-ইন্সপেক্টর রেজাউল হকের উপরে। ঐদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান নিয়ে যাদের ভীষণ প্রতিযোগিতা তারা হলেন চুন্নু মিয়া এবং গোলাম মাওলা। যার লাশ পাওয়া গিয়েছে সে হচ্ছেন চুন্নু মিয়ারই আপন ভাগনে লিখন। স্বভাবতই পুরো দোষটা তিনি চাপাচ্ছেন্ন তার প্রতিযোগী গোলাম মাওলার দিকে। তদন্তে নামলে সেভাবে কোনো কিছুরই কুল-কিনারা খুঁজে পাওয়া যায়না। তবে একের পরে এক তথ্য সামনে আসতে থাকে। যেই তথ্যগুলো খুব গ্রহণযোগ্য এমন নয়, আবার যে হাওয়ায় উড়িয়ে দেয়া যাবে এমনও নয়। এসব ধরেই সামনে এগোতে থাকে কেস। কোনো এক ভাবে চোখে না পড়া কিছু একটা খোলাসা করে দেয় কেসটা রেজাউল হকের চোখের সামনে। তবে সেসবও শুধু তার অনুমান। এসব সুত্র ধরে মাঠে নামলে প্রমাণ পান সবকিছুর সত্যতার। খুনের সত্যতা খুঁজতে গিয়ে সামনে আসে আরও কিছু তথ্য। যা মুহুর্তেই বদলে দেয় অনেকের জীবন! পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ সাদাত হোসাইন এর প্রথম রহস্যময়ধর্মী বই এটি। প্রথমে স্বাভাবিকভাবেই শুরু হলেও বুঝতে পারা যায় গল্পটা স্বাভাবিক না। কিংবা কিছু কিছু জায়গায় এমন কিছু বলা আছে যেখানে স্পষ্ট ধারণা দেয়া যে গল্পটার শেষটা স্বাভাবিকভাবে হবেনা। তবে প্রথম দিকে একদমই সাধারণভাবে চলতে থাকে গল্পটা, যেটা গতিবেগ প্রাপ্ত হয় গল্পের শেষের দিকে এসে। তবে আমার মনে হয় গতিবেগটা যদি আরও আগে থেকে হতো কিংবা আরও আগে থেকে বিভিন্ন মারপ্যাচে জড়িয়ে রাখা যেতো তবে সেটা সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট হতো। তবুও এমনটা নয় যে শেষের দিকে এসে গতিবেগ প্রাপ্ত হওয়ার খুব একটা খারাপ লাগবে। মনোযোগ ধরে রাখতে ভালোই সক্ষম হয়েছে বইটি। তবে যারা প্রথম থেকেই অনেক রহস্য আশা করে তাদের জন্য প্রথম দিকে একটু ধীর গতিসম্পন্ন মনে হতে পারে, কিন্তু শেষের পৃষ্ঠাগুলো পর্যন্ত গেলে আমার ধারণা তারা ওখানে মুগ্ধ হবেন। সাদাত হোসাইনের আরো কিছু বই পড়েছি আমি, সেসবের মতোই লেখার ভাষা খুবই সাবলীল লেগেছে আমার কাছে। তেমন কঠিন কোনো শব্দ ব্যবহার না করায়, পড়তে কারোই ঝামেলা হবার কথা না আমার মতে। চরিত্রগুলো সবাইকেই মোটামুটি ভালো জায়গা দেয়া হয়েছে, এক্ষেত্রে চরিত্রগুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপণ করা সম্ভব হবে। হুটহাট বিশাল কোন রহস্য সামনে তুলে ধরা হয়নি, যাতে পাঠকের মনোযোগ একটার পর একটা বিষয় নিয়ে ভাবতে বাধ্য হয়। একদম স্বাভাবিক, সাধারণভাবে চলতে থাকা গল্পটার শেষে এসে আপনি জট পাকানো স্বাভাবিক গল্পটার রহস্যের উদ্ধার দেখে ভালোই অবাক হবেন। এবং সেইসবের সাথে সাথে আরও এমন অনেক কিছুই চোখের সামনে দেখতে পাবেন যা গল্পের বিভিন্ন স্থানে টুকটাক তুলে ধরা হলেও সেভাবে চোখে পড়েনি। সুতরাং, প্রথম রহস্য উপন্যাস হিসেবে বেশ ভালোই কাজ দেখিয়েছেন সাদাত হোসাইন। যারা থ্রিলার পড়তে চান, পড়ার ইচ্ছা আছে, কিন্তু প্রথমেই খুব বেশি থ্রিল বা রহস্যে যেতে চাচ্ছেন না, তারা এই বইটি দিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার থ্রিলারের যাত্রা।

      By hridita

      15 Jun 2020 12:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে৷ গল্পের কাহিনী যেভাবে শুরু হয়েছিলো,শেষ হয়েছে ঠিক তার উল্টোভাবে৷কাহিনী শুরু হয়েছিলো এক খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে৷খুনের ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকলেও আড়ালে কলকাঠি নেড়ে গেছে এক ভয়াবহ খুনী৷ভয়ঙ্কর সেই খুনী সকলের চোখের সামনে থেকেও ছিলো কার্যত অদৃশ্য৷মুখোশের আড়ালে কে এই ছদ্মবেশী?? কী তার আসল পরিচয়?একের পর এক বেপরোয়া হত্যাকাণ্ডের পেছনে তার উদ্দেশ্যইবা কী?? এসব ঘটনার কিনারা করা ছিলো দুঃসাধ্য৷৷

      By Sakib Al Hasan

      21 Mar 2020 10:38 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সবচেয়ে ভালো লাগার ব্যাপার হলো গল্পের শেষটা পাঠকের কল্পনার অনেক উর্ধে,,,আমি ভাবতে পারি নাই শেষটা এমন হবে।

      By Saziya Chamaly

      08 Mar 2020 06:02 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেক অনেক ভালোলাগার একটা বই।

      By maruf morshed

      13 Feb 2020 12:04 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      ছদ্মবেশ সাদাত হোসাইন।. সাদাত হোসাইন যে গোয়েন্দা গল্প লেখতে পারেন ভাবতেই অবাক লাগে. প্রথমে ভাবলাম যে হুমায়ূন আহমেদের মতন মিসির আলি টাইপের বই লিখবেন কিন্তু পরে দেখলাম চেনা আসলেই তার একটা লেখার আলাদা ধারা আছে. হয়তোবা মাঝখানে অনেক উপমা থাকবে অনেক প্রকৃতির বর্ণনা থাকবে কিন্তু আমার সকল আশা ভঙ্গ করিয়া তিনি তার মতোই লিখে গিয়েছেন. বলেছেন যে তিনি পরবর্তীতে এই চরিত্রটি নিয়ে আরও অনেক বই লিখবেন এবং হয়তোবা একসময় হয়তোবা রেজা চরিত্রটি অনেক নাম করে যেতে পারে। বইটি এখানে প্রসঙ্গে বলতে গেলে বলা যায় প্রথম থেকেই যাকে মূল দোষী বলে মনে হচ্ছিল না থাক বলবো না তাহলে আবার বইয়ের স্পয়লার হয়ে যাবে। সাদাত হোসাইন যে নরমাল মোটামুটি উপন্যাসের সাথে সাথে রহস্য চরিত্র গোয়েন্দা চরিত্র তুলে ধরতে পারেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। অন্য ধরনের উপন্যাস কেনার পয়সা নেই তারা নিঃসন্দেহে ছদ্মবেশ কিনতে পারেন। রেজা চরিত্রটি নিয়ে আলোচনা করা যায়. চরিত্রটি বেশ বয়স্ক না উস্কোখুস্কো চুল নেই। মাসুদ রানার মতন পুলিশ চরিত্র কিন্তু তিনি যে ব্যাপক মারামারি করেছেন তাও না। মাঝে মাঝে হাল ছেড়ে দিয়েছেন তাও রাতের বেলা লতিফ সাহেবের বাসার পাশে লুকিয়ে থেকেছেন। হয়তো বা দশ বছর পরে চরিত্রটি বিখ্যাত হতে পারে তবে আপাতত না।

      By Abu Noor Md. Faisal

      12 Feb 2020 01:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সাদাত হোসাইনের লেখা প্রথম পড়লাম। মৌলিক থ্রিলার হিসেবে বেশ ভালো। যে বিষয়টা প্রসংশার দাবী রাখে তা হলো- পুরোপুরি দেশী প্রেক্ষাপটে লেখা হয়েছে। ভিলেজ পলিটিক্সের যে বিষয়টা এখানে উঠে এসেছে তা আমাদের গ্রামগুলোতে হরহামেশাই ঘটে। তবে একটা বিষয় ভালো লাগেনি, তা হলো একেবারে শেষে গিয়ে পুলিশ অফিসার সবকিছুর সমাধান দিয়ে দিলেন। মাঝে কোথাও একটু হিন্স দিলে মন্দ হতো না।

      By Sanowar Morshed

      08 Feb 2020 06:02 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বই: ছদ্মবেশ লেখক: সাদাত হোসাইন জারনা: রহস্যোপন্যাস প্রকাশনী: অন্যধারা পৃষ্ঠা: ১৪৪ মলাট মূল্য: ২৫৫ টাকা কাহিনী সংক্ষেপ: লতিফুর রহমান বাথরুমের দরজাটা খুললেন। তারপর চিৎকার করতে গিয়েও আচমকা থমকে দাঁড়ালেন। তার হাত-পা কাঁপছে। তিনি টলছেন মনেহচ্ছে তার চারপাশের জগৎটা চরকির মত পাক খেয়ে খেয়ে ঘুরছে। পেটের ভিতর গুলিয়ে বমি হয়ে উঠে আসছে নাড়ি—ভুড়ি। তিনি তীব্র আতঙ্ক নিয়ে আরো একবার চোখ মেলে তাকালেন। বাথরুমের মেঝেতে গলা থেকে মাথা প্রায় ছুটে এসেছে। বিভৎসভাবে ঝুলে আছে বুকের উপর। পচে যাওয়া লাশটার শরীর বেয়ে ভনভন করে উড়ছে মাছি। লতিফুর রহমান লাশটাকে বস্তাবন্দি করে বাড়ির পাশের নদীতে ফেলে দিলে জেলেরা তা পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খবর নিয়ে জানতে পারে লাশটি পলাশবাড়ি শহরের উপজেলা চেয়ারম্যান চুন্নু মিয়ার ভাগিনা লিখনের। ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব পড়ে পলাশবাড়ি থানার সাব-ইন্সপেক্টর রেজাউল হকের উপর। লিখনের খুনের মামলায় ডালিয়া, আলাউদ্দিন হাজি ও মোবাশ্বের সহ ছয় জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। লতিফুর রহমানের শাস্তি হচ্ছে এতদিনকার স্বচ্ছ ভাবমূর্তিটা যেন নিমিষেই উধাও হয়ে গেল। পাঠ প্রতিক্রিয়া: গল্পের প্রতিটি চরিত্র ছদ্মবেশে আছে, রেজা সাহেব একে একে সবার মুখোশ খুলতে সফল হন। এক কথায় ফেলুদার গোয়েন্দাগিরির থেকে কোন অংশে কম না। রহস্যোপন্যাস গুলো বরাবরই আমার ভালো লাগে, এটি ও তার ব্যাতিক্রম ছিলো না। গল্পের প্রতিটি লাইন সংগতিপূর্ণ। এক লাইন পড়লে আরেক লাইন পড়ার আগ্রহ জাগে। একটা অংশ পড়ে আরেকটা পড়ার ইচ্ছা জাগেছে। এভাবেই পাঠক মনে আগ্রহ জন্মিয়ে লেখক সাদাত হোসাইন উঠে যাক অনন্য উচ্চতায়। আমার মনেহয়, বইটি সব বয়সের পাঠকদের জন্য উপযোগী। ছোটরা এ বই খুব আগ্রহ নিয়ে পড়বে আর বইয়ের ভাষা ও বুঝতে পারবে। কিছু উদ্বৃতি ভালো লেগেছে: জীবন কখনো কখনো প্রিয়তম মানুষদের মধ্যেও অদ্ভুত অভিমানের দেয়াল তুলে দেয়। ভালোবেসে কাছে এসে সেই দেয়াল ভাঙা হয় না বলে তা ক্রমশই মহাপ্রাচীর হয়ে উঠতে থাকে। এক সময় হয়ে ওঠে অলঙ্ঘনীয়ও। জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ গুলোকেই আমরা বেশির ভাগ সময় চিনতে পারি না, তাদের গুরুত্ব বুঝতে পারিনা। ফলে সেই মানুষ গুলোই রয়ে যায় আড়ালে, আবডালে। ঠিক সময়ে সেই ঠিক মানুষ গুলোকে চিনতে পারলে জীবন খুব সহজ হয়ে যেতে পারত, জীবনের অনেক বড় বড় সমস্যা খুব দ্রুত সহজ সমাধান হয়ে যেত। মানুষ গুরুত্বপূর্ণ মানুষের সাথে ভাবগম্ভীর আচরন করে। রেটিং: ৯/১০

      By অল্প

      06 Feb 2020 12:57 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      এই গল্পের অপেক্ষা করছিলাম অনেক আগে থেকে,লেখক যখন তার ফেইসবুকে সামান্য উল্লেখ করেছিলেন।।ক্রাইম থ্রিলার আমার বরাবরই খুব পছন্দ।কিন্তু প্রায় গল্পেই আগেই বুঝতে পারা যায় কী হবে না হবে।কিন্তু এই বইয়ে লেখক সাসপেন্স ধরে রাখতে পেরেছেন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত।  . গল্প শুরু হয়েছে একটি খুনকে কেন্দ্র করে।কিন্তু ঘটনাচক্রে বেরিয়ে এসেছে আরও নানান অপরাধ।রেজা সাহেবকে পছন্দ হয়েছে-লেখক ভূমিকায় বলেছেন তিনি তাঁকে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখতে চান🙌🙌🙌 সবচেয়ে ভালো লেগেছে বইতে সাদাত হোসাইন তার সিগনেচার টাচ দিতে ভুলেননি।।মানে হলো-মায়াময় প্রেমের ছোঁয়া রেখেছেন - যা মনকে শান্ত করে দেয় কিছুক্ষণের জন্য। . আর ডালিয়া গণি সাহেবকে খুন করার পর ধরা পড়লে ভালো লাগতো😑মানুষরূপী অমানুষ।। গণি সাহেবের মতোন মানুষ চুন্নু মিয়া বা গোলাম মওলা সাহেবের চেয়ে ভয়ানক হয়।। .. . quote ::জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষগুলোকেই আমরা বেশিরভাগ সম্য চিনতে পারিনা।তাদের গুরুত্ব বুঝতে পারিনা,ফলে সে মানুষগুলো রয়ে যায় আড়ালে,আবডালে। ঠিক সম্যে মানুষগুলোকে চিনতে পারলে, তাদের গুরুত্ব বুঝতে পারলে জীবন খুব সহজ হয়ে যেতে পারতো।জীবনের অনেক বড় বড় সমস্যার খুব দ্রুত সহজ সমাধান হয়ে যেত। © Saima Taher Shovon

      By Ashikur Rahman

      28 Jan 2020 08:18 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      চমৎকার একটা রহস্য উপন্যাস । লেখক সাদাত হোসেন ভাই কে ধন্যবাদ এমন একটা অসাধারণ বই লেখার জন্য বইয়ের মাঝামাঝি ও শেষে ভালো টুইস্ট ছিল । সাদাত ভাইয়ের কাছ থেকে আরও রহস্য উপন্যাস পাঠক হিসেবে আশা করছি ।

      By Marjiya

      07 Oct 2021 05:17 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ❤️❤️

      By Dr. Md. Kamrul Hassan Mozumder

      20 Jan 2020 08:07 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      চমৎকার একটি বই। অসম্ভব রকমের ভালো লেগেছে।

      By Aman Ullah Nirob

      03 Jan 2020 11:32 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বুক রিভিউ: ছদ্মবেশ লেখক: সাদাত হোসাইন সাদাত হোসাইন এর প্রথম রহস্য উপন্যাসের নাম ছদ্মবেশ। রহস্য মানে এক অজানা আর্কষণ। রহস্য ধরে রাখতে আমরা আশে-পাশের মানুষকে আমরা রহস্যের মায়াজালে ধরে রাখতে পছন্দ করি। আবার নিজেরা রহস্যের জালে আটকা পড়লে বের হয়ে আসতে ছোটাছুটি করি। মানুষ নিজের স্বার্থের জন্য হিংস্রতার বশবর্তী হয়ে জ্ঞান শূন্য হয়ে মারাত্মক অপরাধ করে ফেলে। একটার পর একটা অপরাধ করে ফেলে। লতিফুর রহমান যখন নিজের অপরাধ লুকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তখন এস আই রেজা ও নিরপেক্ষভাবে অপরাধীকে খুঁজে বের করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এস আই রেজা গুরুত্বপূর্ণ ভাবে নিজের দ্বায়িত্ব পালন করেন এবং একটা সময় অপরাধীকে খুঁজে বের করতে সক্ষম হন। সাদাত হোসাইন এর উপন্যাসে প্রেম ভালোবাসা যেন অপরিহার্য। অনু কি যত্ন করে এস আই রেজার জন্য অপেক্ষায় আছেন। শেষের দিকে যখন প্রত্যেকের মুখুশ উন্মচিত হচ্ছিল । তখন প্রায় সব গুলো চরিত্র তেই স্বার্থ নিয়ে কাজ করার চিত্র ফুটে উঠেছে একমাত্র ছেলে হারানো মা ব্যাতিত । একটা সময় অপরাধীকে খুঁজে বের করতে সক্ষম হন এস আই রেজা। এই উপন্যাসটা খুব মনযোগ সহকারে পড়তে হয়েছে। সাদাত ভাইয়া এতো ভালো লিখেছেন যে বই থেকে চোখ সরানোর কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অটুট থাকুক লেখকের লেখনী।

      By Dr. Asif Shufian Arnab

      29 Dec 2019 09:52 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এ সময়ের অন্যতম পাঠকপ্রিয় লেখক সাদাত হোসাইন।এবং নিঃসন্দেহে সর্বাধিক প্রশংসনীয় ও সমালোচিতও।উনার সর্বশেষ প্রকাশিত রহস্যোপন্যাস 'ছদ্মবেশ' পাঠ করেছি।সাদাত হোসাইনের ভক্তবৃন্দ,পাঠক,সমালোচকসহ অন্যান্য যারা উনার লেখার সাথে পরিচিত সকলেই হয়তো জেনে থাকবেন যে,সাদাত হোসাইনের লেখা প্রায় প্রতিটা উপন্যাসই রহস্যাবৃত।রহস্যের মায়াজালে আটকে রেখে পাঠককে একটি ঘোরের মধ্যে ফেলে দেয় কোন কোন চরিত্র। এই বইটিও তার ব্যতিক্রম নয়।

      By Mobashir Kaynad

      27 Dec 2019 04:20 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ছদ্মবেশ অসাধারন এক থ্রিলার। যার শুরু লতিফুর রহমান এর দোতলায় এক রুমের বাথরুমে মৃত এক লাশ পরে আছে এই থেকে। এর পর শুরু হয় এই উপন্যাসের কাহিনি। পুলিশ রেজার বিচক্ষণতা দিয়ে খুনিকে বের করা উপন্যাসের একেবারে শেষ অংশে। এছাড়া রাজনৈতিক নেতারা নিজের স্বার্থ হাসিলেরজন্য যেই জনগনের জন্য শপথ নেয় সেই জনগনের ক্ষতি করা তাও ফুটে উঠেছে খুব সুন্দর ভাবে। থ্রিলার উপন্যাস হলেও গল্পের শেষাংশে ভালোবাসার এক আভা দেখে যায় পুলিশ রেজা আর অনুর। বাড়ি ফিরেই অনুকে খেলতে দেখা বাচ্চাদের সাথে আর তার দাড়িয়ে তাকে দেখা। ছদ্মবেশ থ্রিলার হলেও লেখক খুব সুন্দর ভাবে অনেক কিছু এর মাঝে তুলে ধরেছেন।

      By Nahidujjaman Nahid

      26 Dec 2019 11:13 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার পড়া অনেক ভালো বইয়ের মধ্যে এটা জায়গা করে নিয়েছে! সবচেয়ে বড় জিনিস গল্পে অনেক সাসপেন্স ছিল এবং ঘটনা গুলো অনুমান করা যায় নি! সবমিলিয়ে ভালো লেগেছে আমার।

      By Reshmee Md. Rafique

      20 Dec 2019 03:56 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      লেখকের প্রথম থ্রিলার বই হিসেবে এটা একটা উদ্বোধনী মাস্টারপিস পাঠকদের জন্য। উদ্বোধনী বললাম একারণে যে, আমি আশা করি উনি আরো থ্রিলার লিখবেন এবং সেগুলো একের পর এক মাস্টারপিস হতেই থাকবে। আমি লাইফে থ্রিলার পড়েছি অনেক। তিন গোয়েন্দা থেকে শুরু করে মাসুদ রানার গুণমুগ্ধ আমি। অগাথা ক্রিস্টির বাংলা অনুবাদগুলো পড়ে ফেলেছি, যেগুলো সামনে পেয়েছি। ফেলুদা, বোমকেশ কেউ আমার হাত থেকে নিস্তার পায়নি। আমি বলব না, আমি সব বই পড়ে ফেলেছি। থ্রিলার সবসময় পড়তে ভালোও লাগে না। থ্রিলার পাঠক হিসেবে নিজেকে এভারেজে রাখব আমি। তবু বলব, ছদ্মবেশ বেশি ভালো লেগেছে। কারণ কী জানেন? এটা একটা মৌলিক থ্রিলার। এখানে আমি বিদেশী কোনো থ্রিলারের ছায়া বা গন্ধ পাইনি। পড়তে গিয়ে কোনো থ্রিলারের কথা মনে পড়েনি যে, এখানে এটার সাথে একটু মিল আছে। সম্পূর্ণ নতুন, তাজা একটা মৌলিক থ্রিলার লিখেছেন উনি আমার দেশের ভাষায়, যেটায় কীনা আমার দেশের গন্ধ আছে। এখন আসি বানানের কথায়। “বানাম নিয়া পোরবেচার সাবের বেহুদা পেরেশানি” হয়েছে মিস্ত্রীর। সে যদি জানতো, এই বইটার একজন পাঠক বানান নিয়ে কী পরিমাণ তুলকালাম করে, তাহলে বোধহয় লেখককে কাকুতি-মিনতি করে বলতো, “বাই, আমার এই কথাডা মুইচ্ছা দ্যান, পিলিজ লাগে”। আমি বই নিয়ে বসলে সাথে পেন্সিল থাকে। পেন্সিল ছাড়া বই পড়তেই পারি না। এটা বদভ্যাস হয়ে গেছে আমার। বই হাতে, অথচ পেন্সিল নেই। এমন পরিস্থিতিতে আমি একটা লাইনও পড়তে পারব না। কারণ পড়তে গিয়ে দুনিয়ার দাগাদাগি করি, বইয়ে ভুল ধরি। প্রতিটা লাইনে লাইনে ভুল না ধরলে আমার শান্তি হয় না। ছদ্মবেশেও অনেক ভুল ধরেছি। কম্পোজ করেছে প্রকাশনী। অতএব, বুঝাই যাচ্ছে কম্পোজের কাজটা ঠিকমতো করেনি। সাদাত হোসাইন লিখতে গিয়ে কোনো কঠিন শব্দ ব্যবহার করেননি। সুন্দর সাবলীল লেখা তার। অথচ কম্পোজ করতে গিয়ে প্রকাশনী অনেক ভুল করেছে। যেমন ঝোড়ো ঝড়ো, গাঁধাগাধা, ঝেরেঝেড়ে, কর্মিদেরকর্মীদের, তাঁরতার, খেপেক্ষেপে ইত্যাদি এরকম আরো কিছু ভুল আছে। অনেক জায়গায় একটা শব্দ স্পেস দিয়ে আলাদা করে দুইটা শব্দ করা হয়েছে, যেমন, সারা রাতসারারাত, কোনো মতেকোনোমতে, সেই সবসেইসব, আসা মাত্রইআসামাত্রই, খুন খারাবিখুনখারাবি, স্যান্ডেল জোড়াস্যান্ডেলজোড়া, হাত পাহাত-পা, ভোর রাতেভোররাতে, খানা খন্দখানা-খন্দ, পাঁচ শপাঁচশ, বেশির ভাগইবেশিরভাগই… ভুলগুলো এধরনের। পান্ডুলিপিটা বিজয় ফন্টে টাইপ করতে গিয়ে হয়েছে এই ভুলগুলো। আবার কিছু ভুল আছে, যেখানে দুইটা শব্দকে একসাথে একটা শব্দ টাইপ করেছে। যেমন, সবকিছুরইতো, বলোতো, বাচ্চাতো, হাত-ছাড়িয়ে, বহুবছর। একজন পাঠক হিসেবে আমি চাইব, জনপ্রিয় লেখকের লেখাগুলো যেন ভালোভাবে প্রুফ এডিট এবং কম্পোজ করা হয়। কারণ, এই ভুলগুলো লেখকের উপরও অনেকটা নেগেটিভ প্রভাব ফেলে। একজন এক্সপার্টকে দিয়ে কম্পোজ করানো উচিত এবং কম্পোজের পরেও একবার ফাইনাল রিভিশন দেয়া উচিত। জানি এই কাজটা বারবার করতে বিরক্ত লাগে। আমার নিজেরও বিরক্তি লেগেছিল পান্ডুলিপি ফাইনালাইজ করতে গিয়ে। একই গল্প বারবার লাইন ধরে পড়াটা আসলেই পেইনফুল। তবু একজন জনপ্রিয় লেখকের স্বার্থে এই বিরক্তিকর কাজটা মন দিয়ে করা উচিত। বইয়ের পেইজগুলো ভালো মানের ছিল। তবে মাঝখানে কয়েকটা পেইজ অন্যরকম ছিল। বইয়ের বাইন্ডিংস ভালো হয়েছে। বইটা পড়তে গিয়ে আরাম লেগেছে। তবে প্রচ্ছদটা আমার মন কাড়তে পারেনি। আমার কাছে গতানুগতিক লেগেছে এটা। একটু ভিন্ন ধারার প্রচ্ছদ হলে বেশ ভালো হতো। সবশেষে আবার লেখককে নিয়ে বলি। অনেক বছর পর সুন্দর সাবলীল একটা বই পড়েছি। আজকাল লেখকরা নিজেদের মান উন্নত করতে ভারী এবং কঠিন শব্দ দিয়ে গল্প-উপন্যাস লিখেন। উঠতি জেনারেশনের কাছে এই শব্দগুলো কতটা দুর্বোধ্য সেটার দিকে লক্ষ রাখেন না। বেশিরভাগেরই লেখাগুলো হয় ম্যাচিউর পাঠকদের জন্য। আর যারা ছাত্র-ছাত্রী, যারা এখনো শিখছে, তাদের সাথে একটা গ্যাপ রয়ে যায়। বই পড়ায় তাদের মনোযোগ কমে যায়। আমি ঠিক এধরনের পাঠক ছিলাম। কঠিন শব্দ দিয়ে লেখা অনেক কালজয়ী বই আমি ধরেও দেখিনি। কারণ, ওগুলো পড়ে আমার মাথায় কিছু ঢুকত না। প্রথম পাতায়ই আমি আগ্রহ হারাতাম। একারণেই হুমায়ুন আহমেদ আমার মতো অসংখ্য পাঠকের মন জয় করে নিয়েছেন তার লেখায়। কারণ, তিনি যাই লিখতেন সেটা আমাদের মত সাধারণ পাঠকদের জন্য খুবই সহজবোধ্য ছিল। শুরুটা হতো খুবই সাধারণভাবে। মনের ভাব প্রকাশটা সহজ হতো। এমনকি তার লেখা সায়েন্স ফিকশনগুলোও জনপ্রিয় ছিল। তিনি লিখতেন মানসম্মত, অথচ শব্দগুলো ছিল সহজ আর সাবলীল। সাদাত হোসাইনও এভাবেই লিখেন সহজ ভাষায়। একারণেই উঠতি জেনারেশনের কাছে তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। এবং অন্য লেখকরা যে গ্যাপটা তৈরি করেছেন উঠতি জেনারেশনের সাথে, সেটা তিনি পুরণ করে ফেলেছেন।

      By Salman Mahadi

      08 Dec 2019 07:02 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ছদ্মবেশ লেখকঃ সাদাত হোসাইন রেজাউল হক যাকে সবাই রেজা নামে চিনে আজ বেশ প্রফুল্ল।নিজের গোঁফে একটু হাত বুলিয়ে কেসের পুরো বর্ণনা একটি খামে করে শরিফুলের দিকে এগিয়ে দিলেন।শরিফুলের মন বিষণ্ন,আসন্ন বন্যার জন্য নয় আজ সে প্রথমবার বাজিতে হেরে যাচ্ছে।রেজা হাসি হাসি মুখে তার দিকে তাকিয়ে আছেন।দেখে মনে হচ্ছে প্রথমবার আজ বুক ভরে নিঃশ্বাস নিলেন।আকাশটা বেশ ভারী হয়ে এসেছে।মেঘের গর্জন না থাকলেও কালো মেঘগুলো ফেরেস্তার বাশির আওয়াজের জন্য অপেক্ষা করছে,অনুমতি পেলেই টুপ করে ঝড়ে পড়বে।এরই মাঝে দমকা হাওয়া শুরু হয়েছে।কিন্তু রেজা নির্বিকার। বারবার চোঁখের চাহনিতে শরিফুল হককে নির্দেশ দিচ্ছেন খামটি খোলার জন্য।শরিফুল খুব হতাশ মনে খামটি খুলে পড়া শুরু করে।এরই মাঝে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে, আশেপাশের সবাই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দৌড় শুরু করেছে।শরিফুল হতাশ হয়ে পড়া শুরু করলেও এখন তার চোঁখগুলো বড় হয়ে ওঠেছে,পড়ার গতিও আগের চেয়ে বেড়েছে।একেবারে শেষ লাইন, পরের পাতায় গেলেই জানা যাবে কে আসলে খুনি,বেরসিক এক দমকা হাওয়া সেই চিঠিকে একেবারে ছো মেরে শরিফুলের হাত থেকে কেড়ে নিলো।শরিফুল আচমকা এই বাতাসে হতবাক হলেও শেষ চেষ্টা হিসেবে অনেক দূর যাবত পিছু পিছু দৌড় দিলো ধরার জন্য, কিন্তু চিঠি যেন আজ পণ করেছে আকাশের সাথে মিতালি করবে বলে।শরিফুল দৌড় দিতে দিতে একসময় রেজার দৃষ্টি সীমার বাইরে চলে এলো।রেজা তার ভেজা বাইক নিয়ে এই বৃষ্টির স্পর্শকে ধারণ করে এগিয়ে চললো,আবার তাকে নতুন খাম কিনতে হবে,সাথে নতুন একটি গল্প।

      By Pritha Bhoumik

      07 Dec 2019 08:22 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      Just wow

      By Toufik Ahmed

      30 Nov 2019 09:32 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সাদাত হোসেন তার চিরচেনা রোমান্টিক ঘরানা থেকে বের হয়ে গোয়েন্দা কাহিনীর চেষ্টা করেছেন। যারা সাদাত হোসেনের নিঃসঙ্গ নক্ষত্র, অন্দরমহল বা অন্যান্য উপন্যাসের ভক্ত তারা কিছুটা আশাহত হতে পারেন। সাদাত হোসেনের কাছে প্রত্যাশা অনেক থাকে। উনার অন্যান্য উপন্যাসের চেয়ে এটি বড়ই সাদামাটা। কাহিনী সহজেই অনুমেয়, মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল উপন্যাসটি জোর করে বড় করা হচ্ছে। কিছু কিছু চরিত্রের প্রয়োজন একেবারেই অমূলক ছিল। তবুও তৃপ্তিদায়ক সমাপ্তি পাঠককে নিরাশ করবে না।

      By kariamoon

      22 Nov 2019 10:48 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ছদ্মবেশ নাম টাই আমাকে বেশি টেনেছে। রেটিংস ১০/১০ রকমারি ডটকম থেকেই বইটি নিয়েছিলাম ১৯২ টাকা মূল্যে। প্রচন্ড তৃপ্তি পেয়েছি বইটি পড়ে। রহস্য ভেদ করার সাধ্য আছে কার? তবু ছুটে চলা রহস্যের পিছে।

      By SAIMON SHAHRIAR

      20 Nov 2019 09:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      'ছদ্মবেশ' উপন্যাসে খুনখারাবি আছে, অপরাধী আছে, খুনিকে পাকড়ানো আছে; কিন্তু এই উপন্যাসটাকে ঠিক রহস্য উপন্যাস বলা যায় না, গোয়েন্দা গল্প তো নয়ই। বরং অপরাধবিষয়ক উপন্যাসই বলি। লতিফ সাহেবের বাড়িতে লাশ পাওয়া যায়। সেই লাশের খুনিকে খুঁজে বের করা নিয়েই উপন্যাস। সাথে জড়িয়ে যায় গোলাম মাওলা আর চুন্নু মিয়া নামে স্থানীয় দুই রাজনীতিবিদ এবং তাদের স্বার্থ। আর খোঁজার দায়িত্বে আছেন সাব-ইনস্পেকটার রেজা। সুন্দর উপন্যাস। এক বসায় পড়া যায়। এটা 'নির্বাসন' বা 'মানব জীবন' এর মতো বিশাল উপন্যাস নয় (যে কারণে আমি একটু কষ্ট পেয়েছি), এক বসায় পড়ে শেষ করার মতো একটা বই। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।

      By Mahbub Alom

      14 Oct 2019 11:04 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      #রিভিউ মানুষ রহস্য পছন্দ করে।তাই রহস্যের খোজে ছুটে বহদূর।কেউ কেউ রহস্য উন্মোচনে নিজের জীবনটাকেই খুইয়ে বসে। রহস্যের প্রতি মানুষের কেনো এতো আগ্রহ!জানা নেই। বাড়ির নাম 'অপেক্ষা'। অপেক্ষার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন অধ্যাপক লতিফুর রহমান। তিনি এই বাড়ির মালিক। একসময় লতিফুর রহমান ছিলেন বাংলার অধ্যাপক, প্রাইভেট টিউশন ছিল না,বাড়তি রোজগার ছিল না, তারপরও বাড়ির এই স্বপ্নটা সযত্নে তিনি বুকে পুষে রেখেছিলেন। বাড়ি তৈরিতে নিজের জীবনভর অবর্ণনীয় কৃচ্ছ্রতা আর শেষ বয়সের পেনশনের টাকাটাও যখন যথেষ্ট হলো না,তখন বিক্রি করে দিলেন গ্রামের ফসলি জমিটুকুও।এতেও বাড়িটি তার মনমতো করতে পারেননি। এখন তিনি যে অপেক্ষার সামনে দাঁড়িয়ে তা অসম্পূর্ণ তিনতলা একটি বাড়ি। ষোল বছর আগে একটি দুর্ঘটনায় লতিফুর রহমানের একমাত্র ছেলে সৈকত তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে আমেরিকা পাড়ি দেয়।কিন্তু নিজের গর্ভধারিণী মায়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারেনি সে।তাই মনে পড়লে মাঝেমধ্যে চিঠির মাধ্যমে মায়ের খোঁজ খবর নেয়।এদিকে দেশে থাকা সৈকতের মা নাসিমা বেঘম একমাত্র ছেলেকে কাছে না পেয়ে পাগলপ্রায়। একদিন চিঠি এলো সৈকত দেশে আসবে।নাসিমা বেঘম ছেলের চিঠি পেয়ে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠলেন।মনে মনে চিন্তা করেন ছেলে দেশে আসলে কি কি রান্না করে খাওয়াবেন, কারণ ছেলে যে তার মায়ের হাতের রান্না অনেক পছন্দ করে।তাই নাসিমা বেঘম স্বামী লতিফুর রহমানকে জোর দিতে লাগলেন, তিনি গ্রামে যাবেন।গ্রাম গিয়ে নিজে দেখে তরিতরকারি,ফল,মাছ,মাংস কিনে এনে ছেলেকে রান্না করে খাওয়াবেন।তিনি তার ছেলেকে শহরের ফরমালিন যুক্ত কোন কিছু খাওয়াতে ঘোর বিরোধী। এই বুড়ো বয়সে এসে ছেলেহারা লতিফুর রহমান ও নাসিমা বেঘমের একমাত্র সঙ্গী এখন কাজের মেয়ে ডালিয়া।স্ত্রীর জেদে তারা তিনজন মিলে গ্রামে গেলেন। প্রথমেই বলেছিলাম 'অপেক্ষা ' বাড়িটির কাজ এখনো অস্পূর্ণ, আর লতিফুর রহমানের কাছে আর কোন পুঁজি নেই যে,তিনি তা দিয়ে বাড়িটির কাজ সম্পূর্ণ করবেন। তাই তিনি ভাবলেন,যেটুকু কাজ হয়েছে তাতেই তিনি বাসা ভাড়া দিবেন, আর ভাড়া থেকে যে অর্থ আসবে তা দিয়ে তিনি ধীরেসুস্থে বাড়ির কাজ সম্পূর্ণ করবেন। লতিফুর রহমান গ্রাম থেকে বাড়ি ফিরে এসে দুটি দুঃসংবাদ পান।প্রথমটি হলো এক কারণ বশত তার ছেলে সৈকত দেশে আসবে না।দ্বিতীয়টি হলো একটি খুনের। গ্রাম শহরে নতুন ব্যাংক এসেছে।সেই ব্যাংকের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বাড়ি ভাড়ার জন্য লতিফুর রহমানের বাড়ি দেখতে আসেন।রফিকুল ইসলামকে তিনতলা অসম্পূর্ণ ঘর দেখাতে গিয়ে লতিফুর রহমান তীব্র পঁচা গন্ধ পান।লতিফুর রহমান ভেবেছিলেন কোন ইদুর বা বিড়ালের মরা পঁচার গন্ধ।ঘরের সবকিছু তন্নতন্ন করে খুঁজেও যখন লতিফুর রহমান কিছু পেলেন তখন মাস্টার বেডরুমের সাথে থাকা বথরুমটির দরজা খুলে তিনি প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলেন।বাথরুমের মেঝেতে কাত হয়ে পড়ে আছে একটি লাশ।লাশটার গলা থেকে মাথাটা প্রায় ছুটে এসে বিভৎসভাবে ঝুলে আছে বুকের ওপর।পচে যাওয়া লাশটার শরীর বেয়ে ভনভন করে মাছি উড়ছে। এর পরদিন বর্ষার অগভীর জলাশয়ে জাল ফেলে জেলেরা একটি লাশ পান।খুন হয়ে যাওয়া লাশটি ছিলো বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান চুন্নু মিয়ার ভাগ্নে লিখনের।এই খুনের ইনভেস্টিগেশনের দায়িত্ব পড়ে পলাশ বাড়ি থানার নতুন সাব ইন্সপেক্টর রেজাউল হকের ওপর। কোন ক্লু মা পেয়ে নানা সন্দেহের পর রেজাউল হক তদন্তের এক পর্যায়ে জানতে পারে লাশটি লতিফুর রহমানের বাড়ির সেই লাশটি।কিন্তু লতিফুর রহমান আসল খুণী নন।এখানে এসে রেজাউল হক তার তদন্তের ছন্দ হারিয়ে ফেলেন।তিনি বিরক্তির স্বরে মনের মধ্যে আওড়াতে থাকেন,তাহলে আসল খুণী কে? ঘরের চাবিগুলো সবসময় লতিফুর রহমানের কাছে থাকে।আর বাড়ির অবস্থান এই যে বাইরে থেকে এসে কেউ ঘরে ঢুকতে পারবে না।তাহলে লতিফুর রহমানের অগোচরে কিভাবে এই খুন হলো।রেজাউল হক এক পর্য়ায়ে এর সমাধানও বের করে ফেলেন।কিন্তু তবুও তিনি প্রশ্ন করতে থাকেন,আসল খুণী কে? এই উপন্যাসে বেশ কিছু ছদ্মবেশীর দেখা পাওয়া যায়। চেয়ারম্যান চুন্নু মিয়া এই খুনের দায়ী করেন তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী ও ব্যবসায়ী গোলাম মাওলাকে।কিন্তু রেজাউল হক তার বিরুদ্ধে খুনের এমন কোন তথ্য খুঁজে পাননি।এর মধ্যে রেজাউল হক বুঝতে পারেন গোলাম মাওলা তার লোকদের দিয়ে ভিতরে ভিতরে কোন খেল খেলছেন।তিনি জনসাধারণের সামনে ভালো সেজে পিছনে ছদ্মবেশীর মুখুশ পড়ে আছেন।আবার রেজাউল ভাবে সামনের নির্বাচনী প্রচারণা ও লিখনের সম্পত্তির জন্যে চুন্নু মিয়া নিজেই নিজের ভাগ্নেকে খুন করেছেন। ষোল বছর আগে হঠাৎ একদিন সৈকত বাড়ির ছাদে এসে দেখতে পায় তার নিজের পছন্দ এবং ভালোবাসার মেয়েটি তার বাবার কোলে বসে আছে! নাসিমা বেঘম তার স্বামীকে অবিশ্বাস করে,তাকে ছদ্মবেশী ভাবে!তিনি কি আসলেই পাগল!কেনো? এতো ছদ্মবেশের আড়ালে আসল ছদ্মবেশী কে? লতিফুর রহমানের বাড়ির দারোয়ান এনায়েত ভাষ্যমতে অপেক্ষা বাড়িতে ভূত আছে।এর কিছুদিন পর লতিফুর রহমানের বাড়ির সামনে তার লাশ পাওয়া যায়।এতো রহস্যের মাঝে কোন রহস্যের সমাধান করতে পারলে একে একে বাকি রহস্যের উন্মোচন করতে পারবে রেজা? নতুন ব্যাংকের পাশে ব্যবসা নিয়ে বসা চায়ের দোকানদার মোবাশ্বের ও মুচি হারাধন তাদের কাজের জন্য অল্প সময়ে সুনাম পায় এবং রেজাউল হকের সাথে বেশ পরিচয় বাড়ে তাদের।তদন্তে মোবাশ্বেরের দোকানের পিছনের ঘরে কিছু পত্রিকা পাওয়া যায়।তথ্যসূত্রে রেজাউল হক জানতে পারে সেই ঘরে লিখন মাঝেমধ্যে মাঝ রাতে মদ খেয়ে এসে থাকতো এবং পত্রিকাগুলো সংগ্রহ করে রাখতো।লিখন কেনো সেই পত্রিকাগুলো সংগ্রহ করতো?কি ছিল সেই পত্রিকায়! সেই রাত্রে খবর আসে বর্ষার জলে নতুন তৈরিকৃত বাঁধ ভেঙে পড়েছে।আসলেই কি বর্ষার অতিরিক্ত জলে বাঁধ ভেঙে পড়েছে নাকি অন্য কিছু রয়েছে এর পেছনে! কিন্তু রেজাউল হক সেই দিকে ভ্রক্ষেপ না করে নতুন ব্যাংকের ম্যানেজার রফিকুল ইসলামকে নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে ব্যাংকে ছুটে যান।পেয়ে যান আসল খুনীদের।কিন্তু খুনীদের সাথে রেজা আলাদাভাবে কথা বলে আবার জানতে পারে,এরাও আসল খুনী নয়।তবে রেজা আসল খুনীকে চিনতে পেরেছে।তাই হাবিলদার শরিফুলকে নিয়ে খুনীকে হাতেনাতে ধরার জন্য অপেক্ষা বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়।রেজাউল হক কি আসল খুনীকে ধরতে পারবে?তার জন্য কি এই খুনের পিছনে আরো রহস্য অপেক্ষা করছে? সে কি সেই রহস্যের খণ্ডন করতে পারবে? টেলিভিশনের অনেক নাটক,সিনেমার গোয়েন্দা সিনে পুলিশেরা মাঝে মাঝে একটি কথা বলে থাকে,''হয়তো খুণী আমাদের আশেপাশেই আছে,কিন্তু আমরা তার মুখোশটা টেনে বের করতে পারছি না" এতো রহস্যের জালে বাধাগ্রস্ত হয়েও রেজাউল হক কি পারবে সব রহস্যের উন্মোচন করে আসল খুণীকে ধরতে! পাঠ প্রতিক্রিয়া : এর আগে আর কোন গোয়েন্দা,থ্রিলার,রহস্যময় টাইপ বই পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি।সেই সাথে সাদাত হোসাইনের বইগুলোর মধ্যে এটাই আমার পড়া প্রথম বই।তাই তার লেখা কিরকম বা তার রহস্যোপন্যাসটি কেমন হয়েছে তা আমি বলতে পারবো না।তবে আমি একটি উদাহরণের মাধ্যমে বইটি পড়ার সময়কার আমার অনুভূতি ও ভালোলাগা বলতে পারবো।আমি যখন মোবাইলে কোন রহস্য টাইপ মুভি বা নাটক দেখি তখন রহস্য উন্মোচন সিনে এসে আমার হাতপা কাঁপা ও ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে যায়।প্রবল উত্তেজনায় হার্টবিট বেড়ে যায়,যে এরপর কি হবে! এতো উত্তেজনায় ভালোমতো সেই সিনটাই দেখা হয়না।ফলস্বরূপ আরো কয়েকবার টেনে দেখি। 'ছদ্মবেশ' পড়ার সময় আমার অনেকটা এরকম অনুভূতি হয়েছে। ছোটবেলা থেকে পড়ে আসছি,"চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ"।লোকমুখে শুনি, ইজ্জত কামাতে কয়েক যুগ লেগে যায় কিন্তু নিজের একটি ছোট্ট ভুলের জন্য সেই ইজ্জতে ঘৃণার কালো দাগ পড়ে যায়। এর যথার্থতা লেখক লতিফুর রহমানের মাধ্যমে দেখিয়েছেন।অবশ্য উপন্যাসের শেষ দিকে তিনি তার শাস্তি পেয়েছেন। রেজাউল হকের আম্মা তাকে আদর করে আনু ডাকে।তিনি অনন্যা নামের এক মেয়ের সাথে রেজার বিয়ে দিতে চান।ভাগ্যক্রমে মেয়েটিকে সবাই অনু বলে ডাকে। যখন রহস্যের চূড়ান্ত সময় এবং রেজাউল হক আস্তে আস্তে রহস্যের উন্মোচন করছেন, তখন লেখক আনুর সাথে অনুর কথোপকথনের রোমান্টিক আলাপ শুরু করে দেন।চরম উত্তেজনার মূহুর্তে ভালোবাসার পরশে যখন শান্ত হই,তখন আবার রহস্যে ঘিরে দেন।এরপর আবার রহস্য উন্মোচন করতে থাকেন।এই মুহূর্তে তিনি আবারো একই বিরক্তিকর মূহুর্তে আনু ও অনুর আলাপ করিয়ে দেন। এইভাবে পাঠকের ধৈর্য ও আকর্ষণ ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়েছেন লেখক।যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। রেজাউল হকের বড় বড় গোফ।মাঝেমধ্যে তা ছাটার সময় পান না।তার আবার চা পিরিচে ঢেলে খাওয়ার অভ্যাস।যখন তিনি চা পিরিচে ঢেলে চুমুক দেন,তখন গোফও তার সাথে প্রতিযোগিতায় যোগ দেয়।চুমুক দেয়া শেষে যখন মাথা উঁচু করেন তখন,তার গোফ থেকে টুপটুপ করে চায়ের ফোটা পড়তে থাকে।এই দৃশ্যে এসে থমকে দাড়াই।দারুণ ক্রিয়েটিভিটি। রেজা তার হাবিলদার শরিফুলের সাথে নিশ্চিত বিজয়ী হবে ভেবে বাজি ধরে,কিন্তু দূরভাগ্যবশত প্রতিবারই হেরে যান।এটুকু অনেক ভালো লেগেছে।এভাবে এই বইয়ের রেজাউল হক আমার প্রিয় চরিত্রে পরিণত হয়েছে।সাথে তার সততা ও দায়িত্ববোধ আমাকে মুগ্ধ করেছে। রেজাউল হক যখন রহস্য উন্মোচন করে ছুটি নিয়ে বাড়ি আসে তখন সে তার প্রিয় মানুষগুলোর হাসিখুশি মুখ দেখে বলে,এই পৃথিবীর অসংখ্য ছদ্মবেশী মানুষের ভিড়ে এমন একটি পৃথিবী খুবি দরকার।এই লাইনটি আমাকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। এই বইয়ের প্রতি ধাপে ধাপেই রহস্য লুকিয়ে আছে এবং লেখক তার রহস্যের বেড়াজাল খুবি সুন্দরভাবে খণ্ডন করেছেন।সব মিলিয়ে বইটি পড়ে আমার খুবি ভালো লেগেছে। আশা করি আপনারা যারা বইটি পড়বেন তাদেরও ভালো লাগবে। ব্যক্তিগত রেটিং : ৪.৫/৫ বইয়ের নাম : ছদ্মবেশ লেখকের নাম : সাদাত হোসাইন বইয়ের ধরণ : রহস্যোপন্যাস প্রকাশনী : অন্যধারা বইয়ের মূল্য : ২৫৫ টাকা প্রাপ্তিস্থান : রকমারি /অন্যধারা

      By Neel kontho

      13 Oct 2019 09:32 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      লেখক চাইলেই লেখাকে আরো প্রাণবন্ত ভাবে উপস্থাপন করতে পারতো। আমরা একটি শব্দের সাথে পরিচিত সুখ পাঠ্য বা হেপি রিডিং, সেখানে তেমন সুখ পাঠ্য লাগেনি। সত্য বলতে গল্পের জন্য বইটি শেষ করতে হলো। অলিতে গলিতে লুকিয়ে ছিলো রহস্য। আর ছদ্মবেশী মানুষ। আগে থেকে রহস্য বেধের অনেক চেষ্টা বা অনুমান করেছি কিন্তু পারেনি । এখানেই লেখকের সার্থকতা। উপন্যাসে বর্নীত প্রায় সবগুলো চরিত্রই ছিলো গুরুত্বপূর্ণ। এবং লেখক প্রতিটি চরিত্রকেই ভালোভাবে তুলে ধরেছেন সুন্দরভাবে। কোন চরিত্রই স্লিপ খেয়ে পড়ে যায়নি। এটা ছিলো ভালো লাগার মত।

      By Rezaul Karim Onik

      13 Oct 2019 10:58 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বাড়ির নাম অপেক্ষা। বাড়ির একমাএ মালিক লতিফুর রহমান। লতিফুর রহমানের স্ত্রী নাসিমা বেগম তাদের একমাএ ছেলে সৈকত। সৈকত দেশের বাইরে থাকে। তাদের বাড়িতে একজন কাজের মেয়ে থাকে ডালিয়া। লতিফুর রহমান কলেজে বাংলার অধ্যাপক। গোলাম মাওলা এলাকার নব্য ধনী। উপজেলার চেয়ারম্যান চুন্নু মিয়ার সঙ্গে তার সাপে -নেউলে সম্পর্ক। লতিফুর রহমান তার বাড়ির তিন তলা ভাড়া দেওয়ার জন্য টু লেট লাগিয়েছন। অবশেষে একজন ভাড়াটে এসেছে ভাড়া নেওয়ার জন্য। লতিফুর রহমান তাকে বাড়ি দেখাতে থাকল। হঠাৎ পচা গন্ধ পাইলেন তিনি ভাবলেন হয়তো ইদুর, বিড়াল কিছু একটা মরে পচে গেছে। কিন্তু ঘটনা ঘটলো উল্টো। তিনি বাতরুমের দরজা খুলতে দেখতে পেলেন মেজেতে একটা লাশ পচে গন্ধ হয়ে গেছে। তারপরের রহস্য আপনারা পড়লেই বুঝতে পারবেন।

      By Sabbir

      11 Oct 2019 11:34 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      মানুষ রহস্যময়তা পছন্দ করে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই সে সেটা বুঝতে পারে না। জীবনভর সে তার প্রিয়তম মানুষটিকেও পুরোপুরি বুঝে ফেলতে চায়, কিন্তু পুরোপুরি বোঝা হয়ে গেলে তার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। সে আসলে অবচেতনে সবসময়ই অনুদঘাটিত কিছু রহস্য উদঘাটন করতে চায়। যতক্ষণ অবধি সেই রহস্য থাকে, ততক্ষণ অবধি একটা প্রবল আগ্রহ, আকর্ষণ কাজ করে। রহস্য শেষ হয়ে গেলে আকর্ষণ ফুরিয়ে যায়। অথচ জীবনজুড়েই সে ভাবে, সে রহস্য পছন্দ করে না। মানুষের ভেতরে এই দ্বান্দ্বিক সত্ত্বাটা আছে। মানুষ ভাবে, সে ভয় পেতেও পছন্দ করে না, নৃশংসতা পছন্দ করে না। কথা সত্য না। সে অতি আগ্রহ নিয়ে গা হিম হয়ে আসা হরর সিনেমা দেখে, ভূতের বই পড়ে, সিরিয়াল কিলারের ভায়োলেন্ট মুভি দেখে, সাহিত্য পড়ে। এ কারণেই শিল্প-সাহিত্যে বৈচিত্র্যময় নানান ঘরানার সৃষ্টি হয়েছে। রহস্যোপন্যাস সাহিত্যের সেরকমই একটি সমৃদ্ধ শাখা। এই শাখাটির প্রতি আমার আগ্রহ একদম শৈশবেই। তবে তা শুধুই পড়ার জন্য, লেখার জন্য নয়। কারণ, এই ঘরাণাটিকে আমার খুবই কঠিন এবং একই সাথে গাণিতিক বা ‘ক্যালকুলেটিভ’ মনে হয়। ফলে এতোদিনে কখনোই রহস্যোপন্যাস লেখার কথা আমি ভাবি নি। তাহলে এই উপন্যাসটি কেন লিখছি? এই উপন্যাস লেখার কারণটা মজার। বহুবছর আগে এক দৈনিক পত্রিকায় হঠাৎ করেই একটি খুনের ঘটনা পড়েছিলাম। ঘটনাটি খুবই সাধারণ। পুলিশ লাশসহ খুনিকে গ্রেপ্তারও করেছে। কিন্তু তারপরও একটা রহস্য রয়ে গেছে। সেই রহস্যের কোন কুল কিনারা করতে পারছে না পুলিশ। বিষয়টা আমার মাথায় গেঁথে গেলো। কিছুতেই মাথা থেকে তাড়াতে পারছি না। অবচেতনেই ঘুরেফিরে বারবার মাথায় চলে আসতে লাগলো সেই ঘটনা। এই করতে করতেই আচমকা একদিন একটা গল্পও চলে এলো মাথায়। সেই গল্প লিখেও ফেললাম। লিখতে গিয়ে হঠাৎই আবিষ্কার করলাম, গল্পের প্রধান চরিত্রটিকে আমি বিশেষ পছন্দ করে ফেলছি। এই চরিত্রটি নিয়ে আমার ধারাবাহিকভাবে আরো লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে। প্রতিটি বইতে সে একেকটি রহস্যের সমাধান করবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, রহস্য গল্প লেখা কঠিন। এই কঠিন কাজটি আমি নিয়মিত করতে পারবো কীনা, সেটি নিয়ে খানিক সংশয়ও আছে। সেই সংশয় নিয়েই আমার প্রথম রহস্যোপন্যাস ‘ছদ্মবেশ’। 'ছদ্মবেশ' আদতেই শেষ অবধি রহস্যোপন্যাস হয়ে উঠতে পেরেছে কীনা, সেই সিদ্ধান্ত পাঠকের। ~ সাদাত হোসাইন

      By Sultan

      07 Oct 2019 10:57 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      একজন মানুষ শেষ বয়সে এসে তার বুকে জমানো সারা জীবনের স্বপ্ন, সঞ্চয় ও ভালোবাসা দিয়ে একটা বাড়ী গড়েছেন। বাড়ীর নাম 'অপেক্ষা।' যেন কারো জন্য তৃষিত হৃদয়ে অপেক্ষার জানান দিচ্ছে বাড়ীর ভেতরের মানুষগুলো! অর্থাভাবে তার মনমতো অনেককিছুই হয়নি এ বাড়িতে দোতলাটা ছাড়া। তবুও এ বাড়ীর প্রত্যেকটা ইটের ভাঁজে ভাঁজে মানুষটা নিজেও খেটে গেছেন প্রচুর। এই মানুষটার নাম প্রফেসর লতিফুর রহমান, নিঃসন্দেহে তিনি পলাশবাড়ীর সকলের কাছে সম্মানীয়। মাস চারেক হলো সাব ইন্সপেক্টর রেজাউল হক পলাশবাড়ীর থানায় যোগ দিয়েছে। এবার সে জড়িয়ে গেলো খালে ভেসে উঠা এক বেনামী পঁচাগলা লাশের তদন্ত করতে। লাশের আসল পরিচয় পেতে বেগ পেতে হয়নি রেজার। এই বেনামী লাশ আর কারো নয়, উপজেলা চেয়ারম্যান চুন্নু মিয়ার ভাগনে লিখনের, যে অনেকদিন ধরেই নিখোঁজ ছিলো। চুন্নু মিয়া তার আদরের ভাগনের খুনের দোষী সাব্যস্ত করলো তার রাজনৈতিক দলীয় প্রতিপক্ষ গোলাম মাওলাকে। পলাশবাড়ীর নদীর দুধারে প্রচুর ইটভাটা আর বালির ট্রলার, দ্রুত গড়ে উঠতে থাকা শহর পলাশবাড়ী যে সবদিক দিয়েই লাভবান হচ্ছে তারই সংকেত জানান দেয় এগুলো। আর বেশিরভাগ এই ব্যবসাগুলোর মালিকই গোলাম মাওলা, এলাকার নব্য ধনী। চুন্নু মিয়ার গোলাম মাওলাকে দোষী সাব্যস্ত করা তার প্রতিপক্ষ হওয়ার হিসেবে যতটুকু যুক্তিযুক্ত, ঠিক ততটাই গোলাম মাওলার নিজের পক্ষে এই যুক্তি দেখানো যে চুন্নু মিয়া নিজ ভাগনেকে খুন করিয়েছে ব্যক্তিগত রোষানলে এবং সেই সাথে পার্টির সমস্ত সমবেদনা নিজের দিকে টেনে ক্ষমতায় আসীন হওয়ার জন্য -একথাও অকাট্য। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে রেজার কারো পক্ষে একশন নেয়া সম্ভব হচ্ছিলো না উপরমহলের জারিজুরিতে। তারা কোনভাবেই আসন্ন নির্বাচনে এর প্রভাব ফেলতে দিতে চাননি। তাই রেজাকে প্রতিটা পদক্ষেপ নিতে হচ্ছিলো কিছুটা প্রকাশ্যে, কিছুটা সংগোপনে। রেজা যেন বারবার সমস্যার শেষে যেতে যেতেও ফিরে আসছে এক কানাগলিতে! নানারকম সন্দেহ এবং সম্ভাবনা ঠেলে দিয়ে কিছুতেই যেই জিনিসটা ভাবা থেকে রেজা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলো না, তা হলো নদী ঘেঁষে নিভৃতে দাঁড়িয়ে থাকা লতিফুর রহমানের তিনতলা বাড়িটি। কেনো যেন রেজার সন্দেহপ্রবণ মন বারবার জানান দিচ্ছিলো, এই বাড়ী এবং বাড়ীর লোকদের কোন না কোন যোগসূত্র অবশ্যই আছে এই খুনের সঙ্গে। কিন্তু এক বৃদ্ধ প্রফেসর, তার অসুস্থ্য স্ত্রী, কাজের মেয়ে ডালিয়া এবং দারোয়ান এনায়েত ছাড়া আর কোন প্রাণীর অস্তিত্ব সেখানে নেই। তবে এমন কী ঘটেছিলো যা এক বৃদ্ধ প্রফেসরের রোজকার জীবনকে বিপর্যস্ত করে খুলে দিয়েছিলো অতীতের কিছু ব্যক্তিগত মহড়া। একটা রহস্য উপন্যাস পড়তে গেলে যেটা হয়, স্পয়লার যতটা এড়িয়ে কাহীনির ভাবার্থ আরেকজনের কাছে পৌঁছে দেবার মত কঠিন কাজটা চলে আসে। এখানে কাহিনীর প্রত্যেকটা চরিত্র নিজের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ। চরিত্রগুলো এমনভাবে গঠন করা হয়েছে যেটা বাদ দিয়ে আপনি কাহিনী কল্পনা করতে পারবেন না। আপাতদৃষ্টিতে যাকে মনে হবে দোষী, তার দোষ আছে কিনা বা থাকলেও সেটা রেজাউল হকের কাছে কতটা এবং কোন দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তার চয়ন আগে থেকে করে রাখতে পারলেও তা পরিবর্তনশীল। লতিফুর রহমান এবং তার অসুস্থ্য স্ত্রীর বুকের কোণে জমে থাকা এক বেদনার নাম সৈকত, তাদের বিদেশ বিভুঁই একমাএ ছেলে। যে দেশে আসেনি ষোলটি বছর! কে জানতো লিখনের খুনের তাগিদে রেজা কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের করে আনার মত উন্মোচন করবে সহজসরল চেনা কিছু চরিত্রের আড়ে লুকিয়ে থাকা ছদ্মবেশ! রেজার সঙ্গে সর্বদা ছায়ার মত থাকা হাবিলদার শরীফুলের চরিত্রও এমনভাবেই গঠিত হয়েছে, যেটা অবিচ্ছেদ্য। এর থেকে কোন অংশেই বাদ যায়না মোবাশ্বের এবং হারাধনও। বরং বেশের পর বেশ ধারণকারী একেকজন আপনাকে রেজার এই তদন্তে আগ্রহী করে তুলবে। প্রিয় আরেকটি চরিত্র, যার কথা হয়তো না বললেই নয়! আশা করা যায় রেজাকে নিয়ে আবার যেই সিরিজ আসবে সেখানেও এই চরিত্রটিকে আরেকটু বিস্তৃতভাবে দেখানো হবে। চরিত্রটি অনু। যার সঙ্গে মনের গহীন ভিতরে একটা সূক্ষ টান আছে এই গম্ভীর ইন্সপেক্টর রেজার। ভবিষৎতে রেজাকে নিয়ে আরো বই পেতে যাচ্ছি নিঃসন্দেহে।

    • Was this review helpful to you?

      or

      বইঃ ছদ্মবেশ লেখকঃ সাদাত হোসাইন প্রকাশকঃ অন্যধারা প্রকাশনী প্রকাশকালঃ জুলাই, ২০১৯ ঘরানাঃ মার্ডার মিস্ট্রি প্রচ্ছদঃ সনদ কুমার বিশ্বাস পৃষ্ঠাঃ ১৪৪ মুদ্রিত মূল্যঃ ২৫৫ টাকা ধরণঃ হার্ডকাভার কাহিনি সংক্ষেপঃ লতিফুর রহমান একজন রিটায়ার্ড বাংলার অধ্যাপক। নিজের সারাজীবনের সঞ্চয় ব্যয় করে পলাশবাড়ি শহরের উপকণ্ঠে একটা তিনতলা বাড়ি বানিয়েছেন ভদ্রলোক। টাকার টানাটানিতে তাঁর এই বাড়ির তিনতলার অনেক কাজ তখনো বাকি। তাই লতিফুর রহমান ঠিক করলেন অর্ধসমাপ্ত অবস্থাতেই তিনতলা ও গ্রাউন্ড ফ্লোরের ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দিয়ে ধীরে ধীরে ভাড়াটিয়াদের অ্যাডভান্সের টাকায় বাড়ির কাজটা শেষ করবেন। কিন্তু পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত একটা আবিস্কার যে তাঁর জীবনটা একেবারেই পালটে দেবে, তা তিনি নিজেও বোধহয় বুঝতে পারেননি। একদিন এক ভাড়াটিয়াকে ফ্ল্যাট দেখানোর সময় তিনতলার বাথরুমে লতিফুর রহমান একটা লাশ আবিস্কার করলেন। লাশটা পচে গলে বিকৃত হয়ে গেছে। বীভৎস এই লাশটা আবিস্কারের পর দিশেহারা হয়ে গেলেন লতিফুর রহমান। আর তাঁর এই ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়াটাই পরবর্তীতে বদলে দিলো অনেকগুলো হিসেব। ব্যাপারটা আরো জট পাকিয়ে গেলো যখন জানা গেলো লাশটা চুন্নু চেয়ারম্যানের নিখোঁজ হওয়া আপন ভাগ্নে লিখনের। বর্ধিঞ্চু উপজেলা শহর পলাশবাড়ির চেয়ারম্যান চুন্নু মিয়া ও এলাকার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোলাম মাওলার মধ্যে সারাক্ষণ লেগে আছে ঠোকাঠুকি। লিখন হত্যার ঘটনার মাঝ দিয়ে যেন ঘোলা জলে মৎস শিকারে নেমেছে একদল মানুষ৷ ছোট্ট মফস্বল পলাশবাড়িতে নিত্যদিন ঘটতে লাগলো একের পর এক ছোটখাটো ঘটনা। পলাশপুর থানার এস.আই. রেজাউল হকও লিখনের হত্যাকারীকে খুঁজে বের করতে হন্যে হয়ে উঠলেন। চুন্নু চেয়ারম্যান, গোলাম মাওলা ও তাঁদের দলবলের কর্মকাণ্ড যেন বুঝতে বেগ পেতে হচ্ছে এস.আই. রেজাকে। তদন্তের স্বার্থে অধ্যাপক লুতফর রহমান, তাঁর অসুস্থ স্ত্রী নাসিমা বেগম, কাজের মেয়ে ডালিয়া, এলাকার নামকরা মুচি হারাধন, চায়ের দোকানদার মোবাশ্বের, ব্যাংক ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম সহ অনেকের সংস্পর্শে আসতে হলো এস.আই. রেজাকে। কিন্তু যখনই উনি ভাবতে লাগলেন কেসটা প্রায় সমাধানের দ্বারপ্রান্তে ঠিক তখনই ঘটে যেতে লাগলো অপ্রত্যাশিত সব ঘটনা। কিন্তু একটা সময়ে সরে গেলো সময়ের ছদ্মবেশ। বেরিয়ে এলো আসল চেহারা। পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ এই সময়ের জনপ্রিয় লেখক সাদাত হোসাইন তাঁর পাঠকমহলে পরিচিত আরশিনগর, অন্দরমহল, মানবজনম ও নিঃসঙ্গ নক্ষত্র-এর মতো জীবনমুখী উপন্যাসগুলোর জন্য। সেই সাথে তিনি লিখে চলেছেন কবিতাও। 'ছদ্মবেশ' তাঁর প্রথম মার্ডার মিস্ট্রি উপন্যাস। সাদাত হোসাইন যে কখনো থ্রিলার জগতে নাম লেখাবেন, তা আমি অন্তত কখনো ভাবিনি। কিন্তু যখন বইটা পড়লাম বুঝলাম, শুরুটা মন্দ হয়নি মোটেও। একটা লাশ আবিস্কারের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে 'ছদ্মবেশ'-এর গল্প। এরপর ধীরে ধীরে এগিয়েছে গল্পটা। রহস্যের চাদরে বেশ ভালোভাবেই গল্পটাকে মুড়িয়েছেন লেখক। তদন্তকারী এস.আই. রেজাউল হক চরিত্রটাও বেশ লেগেছে আমার কাছে। আর পলাশবাড়ির দুই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী চুন্নু মিয়া ও গোলাম মাওলার দ্বৈরথেও ছিলো বাস্তবতার ছোঁয়া। মফস্বলের অনেক জায়গাতেই স্থানীর রাজনীতির মধ্যে এমন নোংরামি দেখা যায়। সাদামাটা একটা মার্ডার মিস্ট্রি হতে হতেও পড়ার একটা পর্যায়ে গিয়ে পুরো ব্যাপারটাকে আরো একটু আলাদা বলে মনে হচ্ছিলো। আর শেষটায় লেখক রহস্যের এমন এক যবনিকাপাত ঘটিয়েছেন, যা সত্যিই বিস্ময়কর লেগেছে আমার কাছে। বেশ কিছু টাইপিং মিসটেকের দেখা পেয়েছি। কিছু ভুল বানানও চোখে পড়েছে। তবে সাদাত হোসাইনের লেখনী বেশ সাবলীল ও সুখপাঠ্য লেগেছে আমার কাছে। এর আগে উনার 'আরশিনগর' পড়েছিলাম। তবে সাদাত হোসাইনের জীবনমুখী উপন্যাসগুলোর দুই-একটার প্রথম কয়েকটা পৃষ্ঠা পড়েই বোর হয়ে গেছিলাম। 'ছদ্মবেশ'-এ এমনটা ঘটেনি। ভবিষ্যতে তাঁর কিবোর্ড থেকে আরো কিছু মিস্ট্রি ও থ্রিলার পাবো বলে আশা করছি।

      By Tamim Siam

      10 Sep 2019 03:25 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      নতুন মফস্বল। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হচ্ছে। নতুন নতুন দোকান, ব্যাংক তৈরি হচ্ছে। মানুষের ভিড় বাড়ছে। শত মানুষের ভিড়ে কলেজের প্রফেসর সারাজীবনের টাকা এক করে নতুন বাড়ি করেছে। নতুন বাড়ি নিয়ে তার যেনো আগ্রহের শেষ নেই। বাড়ির চাবি সে হাত ছাড়া করে না। তার ছেলের সাথে তার যোগাযোগ নেই। কেনো নেই? এর মাঝে প্রফেসর শহরের বাইরে যায়। তার বাড়ির এক ফ্লাটে এলাকার চেয়ারম্যানের ভাগ্নীর লাশ উদ্ধার করে। রাতের অন্ধকারে প্রফেসর একা গুম করে দেয় সেই লাশ। পরদিন লাশ ভেসে উঠে নদীতে। এই লাশ নিয়ে রাজনৈতিক মারপ্যাঁচ। পুলিশ কিছুতেই রহস্য খুঁজে বেড় করতে পারে না খুনী কে। রহস্য যখন বেড় হয়ে আসে মুখোসের আড়ালে অনেকের আসল চেহারা বেড় হয়ে আসে। বেড় হয়ে আসে ব্যাংক, চা, জুতা সেলাইর দোকানের এক রহস্য। সবমিলিয়ে বলতে হবে সাদাত হোসেনের লেখা আপনাকে মুগ্ধ করবে না তা হয় না। জী ধন্যবাদ

      By Shaharia Sumon

      10 Sep 2019 12:59 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      বইটা অনেক ভালো।

      By Rakibul islam

      23 Aug 2019 12:21 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসম্ভব ভাল লেগেছে বইটি পড়ে, এখন অপেক্ষার প্রহর গুনছি কবে এরকম আরো বই পাবো/এই সিরিজের বই পাবো প্রিয় লেখক সাদাত হোসেনের।

      By Sadik Khan

      16 Aug 2019 06:46 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অসাধারণ দেশীয় থৃল

      By Abrar Amin Shihab

      06 Aug 2019 04:28 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      এক কথায় রহস্য উপন্যাস হিসেবে অসাধারণ। এই বুঝি ধরে ফেললাম, আবার খই হারিয়ে যায়।

      By Yeasin

      31 Jul 2019 03:28 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      Ordinary start, but marvelous finish. Thanks to the writer for writing such a great book.

      By Dipto Hossain

      28 Jan 2025 11:43 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      থ্রিলার বই হিসেবে শুধু খুন হলেই থ্রুলার হয়ে যায় এটা আমি মনে করি না কারণ এখানে অনেক জটিল বিষয়ে সব সমীকরন থাকতে হয় তবে এ লেখায় সেগুলো নেই।

      By Zihad Al Zisan

      26 Mar 2024 12:02 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেক সুন্দর একটা বই। ধন্যবাদ সাদাত হোসাইন স্যারকে এত সুন্দর একটা বই পাঠকদের উপহার দেওয়ার জন্য।

      By Sheikh Fahim

      28 Jun 2022 11:46 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      লেখকের লেখা তো ভালো ই......... রকমারির উপস্থাপন আরো ভালো।

      By Abir Mahmud

      27 Jul 2020 05:34 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      গোয়েন্দা উপন্যাস হিসেবে এটা অসাধারণ। এটা গতানুগতিক গোয়েন্দা উপন্যাসের মত না। অন্যান্য গোয়েন্দা উপন্যাসে প্রধান চরিত্র যেমন আইনের বাইরে থেকে কাজ করে, এখানে তেমন না। এই উপন্যাসের গোয়েন্দা চরিত্র রেজা প্রশাসনের লোক। আমাদের বাস্তব জীবনে আমারা পুলিশকে যেভাবে দেখি এখানে তাকে সেভাবে দেখানো হয়নি। এখানে পুলিশ অফিসার রেজাকে একজন সৎ ও বুদ্ধিমান হিসেবে দেখানো হয়েছে। এ উপন্যাসে কাহিনির ধারাবাহিকতা খুবই সুন্দর। কোনো অতিরিক্ত কাহিনি জোর করে টেনে আনা হয়নি। কিন্তু উপন্যাসের চরিত্র সংখ্যা আমার মতে একটু বেশি হয়েছে। এই উপন্যাসটিতে "" নিঃসঙ্গ নক্ষত্র """ উপন্যাসের মত আকষ্মিক সমাপ্তি ঘটেনি যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সব মিলিয়ে বইটা অসাধারণ। আমি মনে করি ফেলুদা কিংবা মিসির আলির মত বাংলা সাহিত্যে নতুন একটা বিখ্যাত চরিত্র সৃষ্টি হবে আর সেটা হল সাদাত হোসাইনের "" রেজা"""

      By Mishu majumder

      11 Apr 2020 06:21 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ছদ্মবেশ লেখক : সাদাত হোসাইন বইয়ের ধরণ: রহস্যময় উপন্যাস। প্রথমেই বলে রাখি, আপনি যখন এক পৃষ্ঠা পড়বেন ঠিক তখন আপনার মনে হবে সামনের পৃষ্ঠা আমাকে পড়তে হবে। কাহীনিটা শুরু হয় কলেজের অবসরপ্রাপ্ত বাংলা বিভাগের লতিপুর স্যারকে নিয়ে।উনি ওনার পেনশনের টাকা দিয়ে সুন্দর একটি বাড়ি করলেন। সে বাড়িতে লতিপুর স্যার, তার স্ত্রী এবং একটি কাজের মেয়ে থাকতো। বাসা ভাড়ার জন্য, বাসার সামনে সাইনবোর্ড টাঙ্গি দেওয়া হল। এর মধ্যে অনেকে বাসা দেখে গেল। অতঃপর এক ব্যাংক কর্মকর্তা ওই বাসাটি ভাড়া নিলো। হঠাৎ একদিন বাথরুমে একটি লাশ পড়ে রইল। মূল রহস্যটা কিন্তুু এই লাস নিয়ে। ও লতিফ স্যারের কিন্তু একটি ছেলেও ছিল। তবে তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ। এমত অবস্থায় ওই লাশের তদন্ত শুরু করল ওই থানার পুলিশ কর্মকর্তা। পুলিশ কর্মকর্তা একে একে অনেকে সন্দেহ করতে লাগলো। মুচি থেকে শুরু করে গ্রামের চেয়ারম্যান মেম্বার কেও। কিন্তু এই খুনের সাথে ও কাজের মেয়ের সম্পৃক্ততা রয়েছে। হঠাৎ করে একদিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ রেজাউল স্যার তদন্ত করে আসামিকে ধরে ফেলল। সত্যি বলতে বইটা অনেক রহস্যময়। এবং পড়ার অনুভূতিটা অন্যরকম ছিল। এবং চরিত্রগুলো ছিল অমায়িক। happy reading.

      By Safayat Noor suprio

      28 Jan 2020 01:38 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সাদাত হোসাইন আমার প্রিয় লেখকদের মধ্যে একজন। ছদ্মবেশ সহ তার লেখা সব বই আমার পড়া। ছদ্মবেশ পড়েও অনেক ভালো লাগবে সবার। কারণ এটি সাদাত ভাইয়ের লেখা আগের উপন্যাসের থেকে অনেকটাই আলাদা ধাচের। এই বইটিতে যেমন আছে আমাদের আশেপাশে ঘটে যাওয়া দৈনন্দিন সব ব্যাপার বা ঘটনা যেগুলো আমরা এরিয়ে যাই সব সময় তেমনি আছে মানুষের নিজেদের ঘরোয়া ব্যাপার যা সবার জীবনেই হালকা পাতলা থাকে। তাই আমার কাছে বইটি অসাধারণ লেগেছে, একদিন এ পড়ে শেষ করার মতো বই এটি।

      By Jhumur

      12 Nov 2019 09:16 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সাদাত হোসাইনের রেজা সিরিজের প্রথম বই এটা এবং তাঁর লেখা প্রথম রহস্য উপন্যাস এটা। প্রফেসর লতিফুর রহমানের বাড়িতে খুন হয় এলাকার চেয়ারম্যান চুন্নু মিয়ার ভাগনে।এই ব্যাপারে লতিফুর রহমান নিজেও জানেন না।তিনি শুধু জানেন তার বাড়িতে একটা লাশ পড়ে আছে।চুন্নু মিয়ার ভাগনে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায়, তিনি ডায়েরি করে থানায়।পুলিশ রেজা এই রহস্যের কোনো কূল কিনারা করতে পারছেন না।যখনই মনে হয় এই রহস্য সমাধান করে ফেলেছেন, ঠিক তখনই কোনো না কোনো ঘটনায় সব আবার নতুন করে শুরু করতে হয়। কে বা কারা খুনি?আদৌ কি কোনো সমাধান হয়েছিল?

      By Tamjid Shajol

      05 Oct 2019 05:11 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      বাড়ির নাম অপেক্ষা। বাড়ির একমাএ মালিক লতিফুর রহমান। লতিফুর রহমানের স্ত্রী নাসিমা বেগম তাদের একমাএ ছেলে সৈকত। সৈকত দেশের বাইরে থাকে। তাদের বাড়িতে একজন কাজের মেয়ে থাকে ডালিয়া। লতিফুর রহমান কলেজে বাঙার অধ্যাপক। গোলাম মাওলা এলার নব্য ধনী। উপজেলার চেয়ারম্যান চুন্নু মিয়ার সঙ্গে তার সাপে -সম্পর্ক। লতিফুর রহমান তার বাড়ির তিন তলা ভাড়া দেওয়ার জন্য টু লেট লাগিয়েছন। অবশেষে একজন ভারাটে এসেছে ভাড়া নেওয়ার জন্য। লতিফুর রহমান তাকে বাড়ি দেখাতে থাকল। হঠাৎ পচা গন্ধ পাইলেন তিনি ভাবলেন হয়তো ইদুর, বিড়াল কিছু একটা মরে পচে গেছে। কিন্তু ঘটনা ঘটলো উল্টো। তিনি বাতরুমের দরজা খুলতে দেখতে পেলেন মেজেতে একটা লাস পচে গন্ধ হয়ে গেছে। তারপরের রহস্য আপনারা পড়লেই বুঝতে পারবেন। # পাঠ প্রতিক্রিয়া : ছদ্মবেশ নিয়ে সাদাত হোসেনের তিনটি বই শেষ করলাম। ভালই লাগলো বইগুলো। তবে ছদ্মবেশ বইটা বাকি দুইটা থেকে ভিন্ন প্রকৃতির। কারন ছদ্মবেশ বইটি হলো একটা লাসকে কেন্দ্র করে। আমি প্রথমে ভাবলাম বইটি পড়বো না। পরে যখন সামনের দিকে আগাতে শুরু করলাম তখন আমার কাছে ভালো লাগতেছিলো। পুরো বইটি যখন শেষ করলাম ভালই লাগলো আমার কাছে। ছদ্মবেশ বইটি পাঠ করে মজাই পেয়েছি। ভালো ছিলো বইটি। বাকি বইগুলোও পড়বো।

      By Md. Wahidur Rahman

      21 Sep 2019 03:30 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ছোট বেলা থেকেই তিন গোয়েন্দা পড়া শুরু। এর পর মাসুদ রানা, শার্লক হোমস, জেমস বন্ড - একের পর এক ...। তবে সাদাত হোসাইন এর লেখা ছদ্মবেশ বইটি পড়ে মনে হয়নি তার এটি প্রথম এই ধরনের লেখা। বেশ গুছিয়েই শুরু করেছেন তিনি। ঘটনাগুলোকে আমাদের সময়, সমাজের মতো করে লিখেছেন তিনি। সামনে এই সিরিজের আরো বই আসবে বলে তিনি নিজেই লিখেছেন। অপেক্ষোয় রইলাম।

      By Mahmudur Rahman

      09 Sep 2019 05:05 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সময় কাটানোর মতো বই পড়তে চাইলে এ বইটা খারাপ না। আমরা যারা ফেলুদা, ব্যোমকেশ পড়েছি, আমাদের কাছে ভালো লাগবে। কিন্তু কেউ যদি জটিল জটিল রহস্য পড়ে অভ্যস্ত হন এবং সেরকম কিছু চান তাহলে ভুল হবে। সাদাত হোসেন শেষ পর্যন্ত সাসপেন্স ধরে রাখতে পেরেছেন এটা একটা ভালো বিষয়। কিন্তু একসম শেষে এসে জটিলতা বাড়াতে গিয়ে একটু হিজিবিজি হয়ে গেলো। রহস্য ঘনীভূত করতে হয় গল্প তৈরি করার মধ্যেই। কিন্তু লেখক এখানে শেষে এসে বোঝাতে চাইলেন একের পেছনে আরও দুই রহস্য আছে। এটার প্রয়োজন ছিল না। সব মিলিয়ে গড়পড়তা বইটা। আরেকটা খারাপ বিষয় হলো মূল চরিত্রকে ইউটোপিয়ান কায়দায় ভালো মানুষ দেখানো। একজন পুলিশ অফিসার গ্রামে একটা শিশুদের স্কুল চালানোর জন্য নিজ থানা অঞ্চলের নেতার কাছ থেকে নিয়মিত সামান্য চাঁদা দেন, এই সিনেম্যাটিক ঘটনাটা বইয়ে সবচেয়ে বড় রহস্য হিসেবে রাখার ছেলেমানুষিটা না করলেও হতো।

    • Was this review helpful to you?

      or

      সাদাত হোসাইন। যাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা যা-ই থাকুক, বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের জনপ্রিয়তম ঔপন্যাসিকদের তালিকাতে প্রথম সারিতে তাঁকে না রাখার উপায় নেই কারো। সামাজিক ও রোমান্টিক ঘরানা থেকে বেরিয়ে এসে, এবার তিনি লিখেছেন রহস্য উপন্যাস। লেখকের সঙ্গে আমার চেনা প্রথমে নির্বাসন ও তারপর অন্দরমহল দিয়ে। দুঃখজনক হলো আমি তাঁর খুব একটা ভক্ত হয়ে উঠতে পারিনি। কিন্তু, আমার মতো অভক্তের কাছেও তিনি যে সাফল্যের সাথে পৌঁছে গিয়েছেন তার নতুন রহস্য উপন্যাসটি নিয়ে, এখানেই তার রাজত্ব প্রমাণিত। যা হোক, মূল গল্পে আসি। বাংলাদেশের এক বর্ধিষ্ণু মফস্বল শহর পলাশবাড়ী। শহরের শেষ মাথায় নদী, আর কিছু ইটের ভাটা, ভরা বর্ষায় ডুবন্ত। নিরুত্তাপ শহরটিতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলো, যখন নদীর সাথের খালে ভেসে উঠলো বস্তাবন্দি এক পঁচাগলা লাশ। লাশের পরিচয় পাওয়া গেল দ্রুতই। এলাকার উপজেলা চেয়ারম্যান চুন্নু মিয়ার ভাগনে লিখন, যে ক'দিন হলো নিঁখোজ ছিল। চুন্নু মিয়া লাশ সনাক্ত করে অভিযুক্ত করলেন একই দলীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ গোলাম মাওলাকে। এদিকে গোলাম মাওলা-ও অভিযোগ করলেন, তাঁকে ফাঁসানোর জন্য নিজেই খুনটা করিয়েছেন চুন্নু মিয়া। পলাশবাড়ী থানার নতুন সাব ইন্সপেক্টর রেজাউল হক, এখানে যোগ দিয়েছেন মাস চারেক হলো। লিখনের খুনের তদন্তে নেমে, কেন যেন রাজনৈতিক ছকের সরল সমীকরণটায় খটকা লাগলো তার। নদী ঘেঁষে, শহর থেকে একটু দূরে নির্জনে দাঁড়িয়ে থাকা লতিফুর রহমান সাহেবের তিনতলা বাড়িটা দৃষ্টি টানছে বারবার। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক লতিফুর রহমান তাঁর জীবনের সব সঞ্চয় ব্যয় করে বানিয়েছেন বাড়িটি। অর্থের অভাবে নির্মাণকাজ পুরো করতে পারেননি, এখন চেষ্টা করছেন দুটো তলা ভাড়া দিয়ে যদি বাকি কাজটা শেষ করা যায়। লতিফ সাহেব শহরের সম্মানিত নির্বিবাদী মানুষ হিসেবে পরিচিত। একমাত্র ছেলে অনেক বছর হলো প্রবাসী, বিয়ে থা করে ওখানেই থিতু হয়েছে। অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে ছেলের জন্য দীর্ঘশ্বাস ফেলা-ই লতিফুর রহমানের শেষ বয়সের নিয়তি, বাড়ির নামও তাই রেখেছেন 'অপেক্ষা'। বৃদ্ধ লতিফুর রহমানের দিকে কেন নজর যাচ্ছে বারবার এস. আই রেজার? কিছু একটা কিন্তু কি আছে, নাকি সবই তার অতিকল্পনা? চুন্নু মিয়া বা গোলাম মাওলা'র রাজনৈতিক জিঘাংসাই কি খুনের কারণ? শহরে ঘটে যাচ্ছে আরো অনেক কিছু। জনপদ বাড়ছে, অপরাধ বাড়ছে। রেজা কি পারবে সব সামাল দিতে? 'ছদ্মবেশ' উপন্যাসটি খুব টানটান উত্তেজনাময় থ্রিলার নয়, বরং সমসাময়িক বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া একটি অপরাধ নিয়ে পুলিশী তদন্তের গল্প। এতে প্রতিফলন ঘটেছে আমাদের পরিচিত কদর্য সমাজ, রাজনীতির খেলা, আর পারিপার্শ্বিকতার। লেখকের সামাজিক উপন্যাসগুলো নিয়ে যে অভিযোগ পাওয়া যায়, এখানে সেই সমস্যা ছিল না। গল্পে যা কিছু অবতারণা করা হয়েছে, সবকিছুর মাঝে যোগসূত্র ছিল, বাড়তি কথন ছিল না। আর লেখকের ঝরঝরে লেখনীর কারণে কিছুটা ধীর গল্পও একটানে পড়ে ফেলা যায়। রহস্য উপন্যাসটিতে অসুবিধা বোধ করেছি কেবল রহস্যের অংশটুকু নিয়েই। স্পয়লার এড়াতে বিস্তারিত আলোচনা করছি না, তবে খুনের ঘটনা নিয়ে অনেক কিছুতেই ফাঁক রয়ে গেছে বলে মনে হয়েছে। পুলিশ তদন্তে স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহভাজনের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করে থাকে, ছোট শহরে তো এমনিতেই একে অন্যের বিষয়ে খবর রাখে। এই ধরনের কিছু সাধারণ বিষয়ও লেখকের এড়িয়ে যাওয়া গল্পকে দূর্বল করেছে। বিষয়বস্তুর গভীরতার অভাব নিয়ে লেখকের প্রতি আমার যে পুরনো অভিযোগ, তা আরেকবার মাথা চাড়া দিল। ময়নাতদন্ত, ফিংগারপ্রিন্ট, ঘটনাস্থল ইত্যাদি নিয়ে আলোকপাত এড়িয়ে লেখক মূলত জোর দিয়েছেন মানবচরিত্রের দিকে। গোলাম মাওলা আর চুন্নু মিয়ার চরিত্রগুলো পছন্দসই ছিল। চুন্নু মিয়া এলাকার পুরনো ঘাঘু রাজনীতিবিদ, অন্যদিকে গোলাম মাওলা রাজনীতিতে নতুন হলেও অর্থকড়িতে বলীয়ান। দুজনেই অপরাধপ্রবণ, ক্ষমতা দখলের দৌড়ে নেমেছেন। এস. আই রেজার চরিত্রটিকে লেখক শুরুতে যেভাবে দেখিয়েছিলেন - একজন পুলিশ কর্মকর্তা যিনি এলাকার প্রভাবশালীদের থেকে মাসিক খোরাকিও নেন, আবার দরকার মতো এদের দাবড়ে দিতেও পারেন - তাতে তাকে বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছিল। সৎ অথবা অসৎ এর প্রশ্ন নয়, একজন রক্তমাংসের সাধারণ পুলিশ অফিসারের চরিত্রটি গল্পের শেষে সাধু-সন্ত চিত্রিত না করলেও চলতো। ভূমিকাতে লেখক সাব ইন্সপেক্টর রেজাউল হককে নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে লেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আশা রাখি রেজা'কে সঙ্গে নিয়ে লেখক থ্রিলারপ্রেমী পাঠকদের জন্য আরো চমৎকার সব রহস্য উপন্যাস নিয়ে আসবেন। বইঃ ছদ্মবেশ লেখকঃ সাদাত হোসাইন প্রকাশকালঃ ২০১৯ প্রকাশনায়ঃ অন্যধারা প্রচ্ছদঃ সনদ কুমার বিশ্বাস পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ১৪৪ মুদ্রিত মূল্যঃ ২৫৫ টাকা

      By Tahmina Ruma

      25 Jul 2019 05:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সিরিজের পরবর্তী বইয়ের অপেক্ষায় রইলাম। 🙂

    • Was this review helpful to you?

      or

      good

      By Iftekhar Islam

      28 Mar 2024 07:59 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      আমার পড়া সর্বপ্রথম এবং সার্থক থ্রিলার উপন্যাস ।

    • Was this review helpful to you?

      or

      সাদত হোসাইনের লেখা বইটি পড়ে ভদ্রলোকের লেখার প্রশংসা করতেই হয়। বাংলাদেশে ইদানীং থৃলার কাহিনী লেখার একটি জোয়ার এসেছে। এই জোয়ারে অন্যান্য বইগুলোর মত সাদত হোসাইনের 'ছদ্মবেশ' ভেসে যাবে না, আশা করি। লতিফুর রহমান সাহেবই যে আসল অপরাধী তা বইটির শেষ অংশে এসেই বুঝতে পারলাম। লেখকের কাছে এমন আরো রহস্যোপন্যাস কামনা করি। আশা করি নিরাশ হবো না।

      By Mahrin Afrooz

      24 Jul 2019 01:14 AM

      Was this review helpful to you?

      or

      রেজা চরিত্রটি খুব ভালো ছিল। পড়ে খুব আনন্দ পেয়েছি। সামনে এমন আরো অনেক অনেক বই চাই। আর এটিই আমার সাদাত হোসেনের পড়া প্রথম বই এবং এটা অনেক অসাধারণ ছিল। পাঠকদের বলছি বইটি আসলেই মজার অনেক।

      By Harun-Ar-Rashid

      08 Aug 2019 10:23 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #বুক_রিভিউ বই : ছদ্মবেশ লেখক : সাদাত হোসাইন প্রকাশনায় : অন্যধারা প্রচ্ছদ : সনদ কুমার বিশ্বাস পৃষ্টা সংখ্যা : ১৪৪ মুদ্রিত মূল্য : ২৫৫ টাকা রেটিং : ৫/৫ কিছুদিন ধরেই লক্ষ্য করছিলাম অনলাইন বুক শপ গুলোতে একটা বই নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। অটোগ্রাফসহ বইটি পাঠকের হাতে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বইয়ের স্তুপে লেখকের ক্লান্তিমাখা মুখের ছবি। বইপোকাদের ব্যাপক আলোচনায় প্রশংসার ছড়াছড়ি। প্রচন্ড আগ্রহ থেকে রকমারিতে বইটির অর্ডার করলাম। এরই মধ্যে বইটি নিয়ে একজন পাঠকের হতাশায় ভরপুর রিভিউ পড়ে মুহুর্তেই চরম হতাশায় রুপান্তরিত হলো আমার সকল আগ্রহ। বলছিলাম সাদাত হোসাইনের লেখা ছদ্মবেশ বইয়ের কথা। বইটি হাতে এসে পৌঁছালো। প্রায় এক সপ্তাহ হলো চরম অযত্নে বুক সেলফের এক কোণায় রেখে দিয়েছি। পড়তে মন সায় দিচ্ছিল না। হঠাৎ করে আবার কি যেন ভেবে আজ পড়া শুরু করলাম। কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় হলো, আমার জীবনে একটানা পড়ে শেষ করেছি এরকম বইয়ের সংখ্যা খুবই নগণ্য হলেও এর মধ্যে ছদ্মবেশ অন্যতম। এবার আসি মূল আলোচনায়। নিরুত্তাপ মফস্বল শহর পলাশবাড়ির শেষ মাথায় ইটের ভাটা আর নদী কেন্দ্রিক গড়ে উঠা কোলাহলমুক্ত এলাকায় জীবনের সব সঞ্চয় খরচ করে তিনতলা বাড়িটি বানিয়েছেন কলেজের বাংলা বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক লতিফুর রহমান। বাড়ির নাম অপেক্ষা। জীবনের শেষ সময়ে এসে লতিফুর রহমান আর নাসিমা দম্পত্তি এই বাড়িতে বসেই অপেক্ষা করেন তাদের একমাত্র প্রবাসী সন্তান সৈকতের জন্য, যে কিনা স্বপরিবারে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন আমেরিকায়। বৃদ্ধযুগলের নিরস বৃত্তবলয়কে আবদ্ধ করে এই বাড়িটিতে আরো বসবাস করছে কাজের বুয়া ডালিয়া এবং কেয়ারটেকার এনায়েত। বাড়িটির কাজ এখনো পুরোপরি সমাপ্ত হয় নি। লতিফুর রহমানের ইচ্ছা আংশিক সমাপ্ত হওয়া নিচতলা এবং তিনতলার কিছু ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়ে বাকি কাজটুকু সমাপ্ত করবেন। টানানো টু-লেট দেখে প্রতিদিন অসংখ্য ভাড়াটিয়ার আগমন ঘটতে থাকলো লতিফুর রহমানের বাড়িতে। শান্ত মফস্বল শহরে হঠাৎ যেন অশান্তির ঘনঘটা। নদীর পাশেই খালের মাঝে ভেসে উঠলো বস্তাবন্দী এক পঁচা গলা লাশ। সৃষ্টি হলো ব্যাপক চাঞ্চল্যের। বাতাসের গতিতে ছড়িয়ে পড়লো উদ্ধার করা লাশের খবর। লাশের পরিচয়টাও খুব দ্রুতই সনাক্ত করা গেলো। লাশটি এলাকার উপজেলা চেয়ারম্যান চুন্নু মিয়ার ভাগ্নে লিখনের, যে কিনা নিঁখোজ ছিল ক'দিন যাবৎ। কোনো ধরণের বাছ বিচার ছাড়াই চুন্নু মিয়া সন্দেহের প্রবল তীর ছুড়লেন তারই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নব্য ধনাঢ্য ব্যক্তি গোলাম মাওলার দিকে। গোলাম মাওলারও পাল্টা অভিযোগ, তাকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার জন্যই আপন ভাগ্নেকে খুন করেছেন চুন্নু মিয়া। শুরু হলো ব্যাপক কাঁদা ছুড়াছুড়ি। পলাশবাড়ি থানায় নব্য যোগদান করেছেন এস আই রেজাউল হক। লিখন মার্ডারের রহস্য উদঘাটনের সমস্ত দায় দায়িত্ব অর্পিত হলো তার উপর। সাব ইন্সপেক্টর রেজাউল হক লিখন মার্ডারের গন্ডিটাকে রাজনৈতিক ছকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে একটু অন্যরকম ভাবে দেখার চেষ্টা করছেন। তার দৃষ্টিটা মনের অজান্তেই বার বার লতিফুর রহমানের বাড়ির দিকে নিক্ষেপিত হচ্ছে। তার মনে বাববার কেন জানি উঁকি দিচ্ছে লিখনের মার্ডারের সাথে 'অপেক্ষা' নামক বাড়িটির কোনো একটা যোগসূত্র রয়েছে। রহস্যের জটলা ক্রমেই পাকাপোক্ত হচ্ছে। উত্তপ্ত পলাশবাড়িতে আবারো অশান্তির বিস্ফোরণ। লিখন মার্ডারের রহস্য উদঘাটনের সীমারেখা অতিক্রম করার পূর্বেই আবারো খুন। এবার খুন হলো লতিফুর রহমানের বাড়ির কেয়ারটেকার এনায়েত। ইন্সপেক্টর রেজাউল শংকিত উদ্বিগ্ন। লিখন হত্যার সাথে কি এনায়েত হত্যার কোনো যোগসূত্র রয়েছে? লতিফুর রহমানের বাড়ির সাথে পর পর ঘটে যাওয়া দুটি হত্যাকান্ডের কি কোনো সম্পর্ক রয়েছে? রেজা কি পারবে দক্ষ হাতে দুটি খুনের রহস্য উদঘাটন করতে? পর্যালোচনার শুরুতে ব্যক্ত করা 'ছদ্মবেশ'কে কেন্দ্র করে আমার সমস্ত হতাশা ভালোলাগার ঝলকানিতে হঠাৎ রূপ নিলো এক অন্যরকম অনুভূতিতে। যে অনুভূতি ভাষায় রুপান্তর করার কোন বর্ণমালা নেই আমার ডিকশনারিতে। একটা রিভিউ পড়ে যতটুকু হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে চরম অবহেলায় যে বইটিকে ফেলে রেখেছিলাম বুকসেলফের এক কোণায়, বইটি পড়ার পর ঠিক তারচেয়েও অধিক ভালোলাগা আর ভালোবাসা তৈরি হয়েছে বইটির জন্য। মৌলিক সব আধুনিক থৃলারগুলোর রহস্য উন্মোচনে হোমিসাইডের ক্রাইম সিন ডিপার্টমেন্টের অ্যানালাইসিস রিপোর্টের উপর নির্ভর করা হলেও সাদাত হোসাইনের ছদ্মবেশ বইটিতে মৃতের বডির ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ময়নাতদন্তের উপর জোর না দিয়ে যদিও জোর দেওয়া হয়েছে বাস্তবতার আলোকে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ যুক্তিকে, তারপরেও কোনো ধরণের আকর্ষণের কমতি ছিল না বইটিতে। মানুষের রহস্যময়তাকে কেন্দ্র করে লেখক সাদাত হোসাইনের এই নিরলস চেষ্টা বাস্তবিক অর্থে অনেকটাই সফল হয়েছে বলে আমি মনে করি। শিল্প-সাহিত্যের এই বৈচিত্র্যময় শাখাটিকে লেখক গাণিতিক বা ক্যালকুলেটিভ দৃষ্টিতে নিয়ে যতটুকু সংক্ষিপ্ত রহস্যময়তা সৃষ্টি করতে পেরেছেন একজন সংবেদনাশীল বইপোকা হিসেবে আমি ছদ্মবেশ উপন্যাসটিকে একটি সার্থক রহস্যোপন্যাস বলে আখ্যায়িত করতে চাই। এই রহস্যোপন্যাসের অনেকগুলো চরিত্রের মধ্যে আমার ভালো লেগেছে ইন্সপেক্টর রেজাইল হকের চরিত্রটি। চায়ের দোকানি মোবেশ্বর আর মুচি হারাধানের চরিত্রটিও ছিল তুমুল রহস্যাবৃত। লেখকের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ইন্সপেক্টর রেজাউল হকের চরিত্রটিকে তিনি একটি সিরিজে নিয়ে আসবেন এবং এক্ষেত্রে খুনের রহস্য উন্মোচনে ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের উপর অধিকতর মনোনিবেশ করবেন। তবেই পুরোপুরি সার্থক হবে থৃলারের রূপরেখা। আরেকটা বিষয়ে একটু বলতে চাই, বইটিতে লেখক ব্যাংক ডাকাতির উদাহরণ দিতে গিয়ে রাজশাহীতে সুরঙ্গ খুঁড়ে ষোলো কোটি টাকা ডাকাতির কথা উল্লেখ করেছেন, যেটা মূলত ঘটেছিল কিশোরগঞ্জে। লেখক রূপক অর্থে ঘটনাটি ব্যবহার করেছেন কিনা বিষয়টি আমার অজানাই রয়ে গেলো। আর হ্যাঁ, বাঁধাই আর প্রিন্টিং ছিল অসাধারণ। সবশেষে নিরন্তর শুভ কামনা জনপ্রিয় এই তরুণ লেখক সাদাত হোসাইনের জন্য। আপনার সৃষ্ট সব মৌলিক কর্মের মধ্য দিয়ে আপনি বেঁচে থাকুন হাজার বছর।

      By Md. Ariful Islam

      30 Jul 2019 10:45 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      গল্পটা কেমন জানি খাপ ছাড়া লাগছে। প্রথম দিকে শুধু শুধু কথা বাড়ানো ছিলো। শেষ দিকে হুট করে সমাধান! আরো ভালোর জন্য অপেক্ষা রইলাম! 😊

      By Rihan Hossain

      14 Nov 2020 12:22 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      সাদাত হোসেনের এই বইটির আইডিয়া এবং প্লট স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের শার্লক হোমস সিরিজের "রেড হেডেড লিগ" গল্পটি থেকে মেরে দিয়েছেন। সাদাত হোসেন এমন একজন লেখক, যিনি কিনা কপি করা, প্লট-আইডিয়া চুরি করা ছাড়া কিছুই করতে পারেন না। যাদের এখনো এই বিষয়ে সংশয় আছে তারা শার্লকের "রেড হেডেড লিগ" এবং ছদ্মবেশ পড়ে দেখতে পারেন। সো ডিজএপয়েন্টেড।

      By A MAHMUD

      14 Oct 2019 06:53 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      লেখকের প্রথম উপন্যাস নিয়ে বলতে গেলে,বইয়ের কিছুটা শেয়ার করি...লতিফুর রহমান বাথরুমের দরজাটা খুললেন, তারপর চিৎকার করতে গিয়েও আচমকা থমকে দাঁড়ালেন, তাঁর হাত-পা কাঁপছে, তিনি টলছেন, মনে হচ্ছে তার চারপাশের জগৎটা চরকির মতো পাক খেয়ে ঘুরছে, পেটের ভেতর গুলিয়ে বমি হয়ে উঠে আসছে নাড়ি-ভূঁড়ি, তিনি তীব্র আত্ঙ্ক নিয়ে আরো একবার চোখ মেলে তাকালেন। বাথরুমের মেঝেতে কাত হয়ে পড়ে আছে একটা লাশ, লাশটার গলা থেকে মাথাটা প্রায় ছুটে এসে বিভৎসভাবে ঝুলে আছে বুকের ওপর, পচে যাওয়া লাশটার শরীর বেয়ে ভনভন করে উড়ছে মাছি... এই খুনের উদ্দেশ্য কী বা অপরাধী কে ? একটি খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিস্তৃত হয়েছে উপন্যাসের কাহিনী। একটি নিখুঁত রহস্য গল্পের মতই বইয়ের শেষ অংশ পর্যন্ত না পড়ে পাঠক রহস্য উদঘাটন করতে পারবেন না।আশা করি ভালো লাগবে সবার।

      By Shayla Jesmin

      19 Jul 2019 12:54 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      অনেক অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ছদ্মবেশী হাতে চলেই এলো। শুরুটা খুব সাধারণ ছিলো। কিন্তু ধীরে ধীরে যতই ভিতরে যাচ্ছিলাম ততই সাসপেন্স বাড়ছিলো। শেষে যেতে যেতে আসলেই আন্দাজ করা কঠিন ছিলো যে আসলে ঘটনা কি। কোনো সূত্র রেখে লেখা হয়নি গল্পটা তাই একটা চমৎকার রহস্যপন্যাস হয়েছে। মাঝে যদিও ঘটনা প্রবাহ একটু ধীরে হয়েছে কিন্তু সেটা শেষের দিকে পুষিয়ে গেছে। রেজা চরিত্রটা খুব পছন্দ হয়েছে। কারণ খুব বাড়িয়ে ছাড়িয়ে নায়ক বানানো হয়নি। লেখক এই চরিত্র দিয়ে অনায়াসে সিরিজ বানাতে পারবেন। তবে ঘটনা প্রবাহে আরেকটু মসলা হলে একটু জমজমাট হোত। যেমন গোলাম আর চুন্নু এর একটু গর্মাগর্মি হলে ভালো হতো। এখানে সব কথা একদম শেষে ফেলুদা স্টাইলে বলা হয়েছে কিন্তু কিছু কিছু ঘটনা আগেই বলা যেত শুধু ফ্যাক্ট না বলে। লতিফুর রহমান সাহেবের স্ত্রী আর ছেলের বিষয়ে কোনো কথাই আগে বলা হয়নি কিন্তু শেষে অনেক বেশি ইনফরমেশন দেওয়া হয়েছে। এটা স্টেপ বাই স্টেপ দিলে আরো ভালো লাগতো। যেমন সৈকতের চিঠি নিয়ে অনেক আগেই সন্দেহ হওয়া উচিৎ ছিলো কিন্তু এখানে পুরা বিষয়টা ব্ল্যাঙ্ক ছিলো। এগুলি আমার ব্যক্তিগত মতামত। লেখক অবশ্যই নিজের ইচ্ছা মত লিখবেন। রেজা চরিত্রটি অনেক সম্ভাবনাময়। যেকোনো পুলিশ চরিত্র সব সময়ই ভালো মন্দ গল্পে ভর্তি থাকে। আমার খুব পছন্দের একটা চরিত্র দারোগা প্রিয়নাথ। নিঃসন্দেহে রেজা সাহেবও আমার আরেকটি প্রিয় চরিত্র হতে যাচ্ছে। আশা করি ভবিষ্যতে আরো রহস্য উপন্যাস পাবো।

      By K.M. Ettahad

      06 Aug 2019 12:05 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      #বই_রিভিউ_২৪ #ছদ্মবেশ  #লেখক: সাদাত হোসাইন #বইয়ের_ধরণ: রহস্য উপন্যাস #প্রকাশনী: অন্যধারা #পৃষ্ঠা: ১৪৪ #মুদ্রিত_মূল্য: ২৫৫ টাকা #ব্যক্তিগত_রেটিং: ৭.৫/১০ . . কাহিনীর শুরু হয় কলেজের অবসরপ্রাপ্ত বাংলা বিভাগের শিক্ষক লতিফুর রহমানের সাদামাটা জীবনযাপন ও তার নব্য নির্মিত একটি বাড়ি নিয়ে। যে বাড়ির স্বপ্ন তিনি আজীবন দেখতেন। সে বাড়িতে থাকত লতিফুর রহমান, তার স্ত্রী এবং একটি কাজের মেয়ে। তাদের ছেলে সৈকত পরিবারসহ থাকে আমেরিকাতে। বাবা মায়ের সাথে প্রায় যোগাযোগছিন্ন সৈকত তার মায়ের কাছে হঠাত করেই চিঠি পাঠায়, যে সে দেশে আসবে। এজন্যই লতিফুর রহমানের স্ত্রী ব্যস্ত হয়ে ওঠেন গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ছেলে যা যা পছন্দ করে সেসব খাবার দাবার একেবারে তাজা অবস্থায় জোগাড় করবেন। . . প্রায় এক সপ্তাহ পর গ্রাম থেকে বাড়ি ফিরে লতিফুর রহমান এক ভাড়াটিয়াকে রুম দেখাতে নিয়ে গেলে সেই রুমের ওয়াশরুমে দেখতে পান একটি বিভৎস লাশ! তৎক্ষনাত তিনি কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না যে কি করবেন। এদিক এলাকার চুন্নু চেয়ারম্যানের ভাগনে লিখন অনেকদিন থেকেই নিখোঁজ। তাহলে লাশটা কি তার ই? সব ঘরের চাবি লতিফুর রহমান ছাড়া আর কারো কাছেই থাকেনা তাহলে খুনটা কে করল, কেন করল আর করলোই বা কিভাবে!  . . ওদিকে সামনে উপজেলা নির্বাচন কে কেন্দ্র করে আরেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গোলাম মাওলা কে লিখন হত্যার অভিযোগে দায়ী করেন চুন্নু চেয়ারম্যান। গোলাম মাওলাও আবার উলটো দায়ী করেন স্বয়ং চুন্নু সাহেবকেই! নতুন শহর পলাশপুরে জমে ওঠা এই হত্যা কাহিনী ইনভেস্টিগেশন এর দায়িত্ব পায় এস আই রেজাউল হক এবং তার সাথে সার্বক্ষনিক থাকে হাবিলদার শরিফুল। তারা কি শেষমেশ পারবে এই হত্যা রহস্য উদঘাটন করতে? . . সাদাত হোসাইনের পড়া এটিই আমার প্রথম কোনো বই। হয়তো রহস্য উপন্যাস বলেই কিনেছিলাম বইটি। যে কারনে বইটি ভালো লেগেছে এর কারন হলো যে কজনকে সাসপেক্ট করেছিলাম খুনের জন্য, তাদের কারো সাথেই আমার সাসপেক্ট মিলেনি। এমনকি আসল খুনীর কথা একবার মাথাতেও আসেনি।  . . সাদাত ভাই বলেছেন তিনি এই একই কেন্দ্রীয় চরিত্রে আরো রহস্য উপন্যাস লিখবেন। অর্থাৎ একটি সিরিজ লিখবেন। হ্যা, অপেক্ষায় আছি তার। তবে মাঝে মাঝে চরিত্রের সম্বোধন গুলোতে কিছু সমস্যা ছিল বলে মনে হয়েছে। প্রচ্ছদ টা আমার খুব ই ভালো লেগেছে। পেজ কোয়ালিটি অত্যাধিক ভালো। তবে বাইন্ডিং এবং প্রিন্ট আরেকটু ভালো করা যেতো। সব শেষে লেখকের উদ্যশ্যে একটি প্রশ্ন। আপনার সব বইতে এত দাম কেন? ১৪৪ পেজের একটি বইয়ের গায়ের মূল্য কেন ২৫৫ টাকা হবে? জনপ্রিয় বা পাঠকপ্রিয় হলেই বেশি দাম দিয়ে যে সে বই বাজারে ছাড়তে হবে এমন তো কোনো কথা নেই! . . #হ্যাপী_রিডিং

      By Masrufa Tasnim

      15 Jul 2019 08:40 PM

      Was this review helpful to you?

      or

      ইদানীং কালে এদেশী ভালো থৃলার/গোয়েন্দা গল্প/রহস্য গল্প লেখক সংখ্যায় কম ই আছেন। লেখার চেষ্টা করেন এমন লেখক যদিও কম নয়, তবে বেশিরভাগ গল্পই হয় অতিকল্পিত, গল্পের প্রধান চরিত্র আলৌকিক উপায়ে রহস্য সমাধান করেন এবং কোন যুক্তিতে কী মেলানো হল তাও থাকে অস্পষ্ট। নতুন লেখকের রহস্যোপন্যাস পড়ার আগে তাই ভাবতে হয় দশবার। সাদাত হোসাইন সুপরিচিত একজন লেখক হলেও "ছদ্মবেশ" তার প্রথম রহস্যোপন্যাস। একটি খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিস্তৃত হয়েছে উপন্যাসের কাহিনী। খুন করবার উদ্দেশ্য কী বা অপরাধী কে- বইয়ের শুরুতে সেটাকে বেশ obvious মনেও হতে পারে, কিন্তু একটি নিখুঁত রহস্য গল্পের মতই বইয়ের শেষ অংশ পর্যন্ত না পড়ে পাঠক রহস্য উদঘাটন করতে পারবেন না। যদিও, একটা অংশে গিয়ে কিছুক্ষণের জন্য মনে হয়েছিল, প্রধান চরিত্র একদম হুট করে অদ্ভুত উপায়ে সব সমাধান করে ফেললেন, কোন সূত্র ধরে কী খুঁজে পেলেন তা বোঝার উপায় নেই। কিন্তু কিছু পরেই আবার সেটার সন্তোষজনক ব্যাখ্যাও পাওয়া গেল। সব মিলে বইটিকে দশ এ সাড়ে আট দেওয়া যেতে পারে। লেখক যদি রহস্য গল্প লেখা চালিয়ে যান আর সাব-ইন্সপেক্টর রেজা "ছদ্মবেশ" এর কেন্দ্রীয় চরিত্র থেকে যদি একটি রহস্য সিরিজের কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে ওঠেন, মন্দ হয়না।

    •  

    Recently Viewed


    Great offers, Direct to your inbox and stay one step ahead.
    • You can pay using


    JOIN US

    icon Download App

    Rokomari.com is now one of the leading e-commerce organizations in Bangladesh. It is indeed the biggest online bookshop or bookstore in Bangladesh that helps you save time and money. You can buy books online with a few clicks or a convenient phone call. With breathtaking discounts and offers you can buy anything from Bangla Upannash or English story books to academic, research or competitive exam books. Superfast cash on delivery service brings the products at your doorstep. Our customer support, return and replacement policies will surely add extra confidence in your online shopping experience. Happy Shopping with Rokomari.com!