
User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বর্ণনা ও উপমার সৌন্দর্যে পাঠক মুগ্ধ হবে। ভালো লাগার মতো ছোটগল্পের বই।
Was this review helpful to you?
or
অবশ্য পাঠ্য
Was this review helpful to you?
or
বই পর্যালোচনা বইঃ জিবরাইলের ডানা লেখকঃ শাহেদ আলী আপাদমস্তক একজন বাঙালী মানুষ, মনন ও কথাশিল্পী । বাংলা সাহিত্যে তার পদচারনা অল্প হলেও স্মরনীয়। ৫০ এর দশকে তার সাড়া জাগানো গল্প এটি। সেই সময়ে সবার পাঠ্য ছিল গল্পটি । একজন নবী ও তার মায়ের গল্প । তারা গরীব তাদের দিন আনা দিন খাওয়ার সংসার ।তার মা চায় সে কাজ করা শিখুক, কেন না তার বাবা নেই মা ও যদি না থাকে সে কিভাবে বাঁচবে। এ চিন্তায় তার মা তাকে কাজ করতে পাঠায় বিড়ির দোকানে । কিন্তু শিশু মন সব সময় থাকে উদাসীন । সে কাজ ফাঁকি দিয়ে ঘুড়িতে মত্ত থাকে সারা বেলা। একদিন তার মা জানলে তাকে মারে কিন্তু সে ঘুড়ির কথা বলে না , এক শবে বরাতে সে স্বপ্নে আল্খাল্লা পরা এক মানুষ দেখে ছোট মনে তার মা কে অনেক প্রশ্ন করে , কিন্তু তার মা কোন উত্তর দিতে পারে না , সে মনে করে ওটাই জিব্রাইল ফেরেশতা। গল্পের মুল কাহিনী এখান থেকে শুরু হয় , তারা দরিদ্র , তাদের এ অভাব আল্লাহ তো ইচ্ছা করলে সমাধান করতে পারে! তার এ প্রশ্ন মাকে করলে সে বলে আল্লাহ আমাদের কথা শুনবেন না।তিনি কাথা মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে আছেন ! তখন থেকে নবী পণ করে যে করে হক তাদের এ দৈন্য দশা আল্লাহ র কাছে পৌঁছাতেই হবে । হয়তো তার কাছে আমাদের এ অভাবের কথা ফেরেস্তা রা বলেন নি। আল্লাহ র কাছে খবর পাঠানোর জন্য সে মনে করে ঘুড়ির মাধ্যম দিয়ে হবে। সে কষ্ট করে কুলি মুখের কাজ করে টাকা জোগাড় করে সুতো কিনে ঘুড়ি উড়ায়। তার বিশ্বাস এ ঘুড়ির সুতা সাত আসমানে গিয়ে আল্লাহর খাটের পায়ায় বিধলে তার ঘুম ভাংবে , তখন তাদের দুঃখ ঘুচবে । আবার পরক্ষনেই চিন্তা করে ফেরেস্তা রা তো ইচ্ছা করলেই সব তাকে জানাতে পারে । তাদের তো একাজের জন্য আল্লাহ তৈরী করেছেন। একদিন তার ঘুড়ির অনেক সুতো মেঘ ফুঁড়ে যেতে থাকে আর নবীর মনে আশার সন্চার হতে থাকে এবার আমার ঘুড়ি ঠিকই ই আমার আর্জি নিয়ে আল্লাহর দরবারে যাবে , কিন্ত তার পর ! তারপর কি হয় তা আপনারই পড়ে নিবেন । গল্পটা ঐ সময়ে রাজনৈতিক ধর্মীয় সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিচার করা যেত অনায়াশে। বা লেখক হয়তো রুপক ভাবে সেটা তুলে ধরেছেন । নবী ও তার মা সাধারন মানব জীবনের প্রতিচ্ছবি আর আল্লাহ ও ফেরেসতারা নেতা বা মালিক পক্ষ। যাদের ক্ষুদ্র সত্তার প্রতি ভ্রুক্ষেপ নেই । সেই সময় (৫০ দশক)গল্পটি ধর্মীয় আঘাত মতবাদে নিষিদ্ধকরণ দাবি ওঠে। গল্পটি নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মান হতে চেয়েছিল ,সত্যজিৎ রায় , ঋত্বিক ঘটক সব বাঘা বাঘা পরিচালক ছিল সে কাতারে কিন্তু কোন এক অজানা কারনে তা আর হয়ে ওঠে নি। বঙ্গবন্ধু তার অসমাপ্ত আত্মজীবনী তে লিখেছেন যে বাঙলি হলো দু ধরনের- বাঙালী ও মুসলমান। পরশ্রীকাতরা ও বিশ্বাঘাতকতা আমাদের রক্তে আছে। আমরা অন্যর ভাল সহ্য করতে পারি না।তাকেটেনে নিচে নামানো তে আমরা পৈচাশিক আনন্দ পাই। ক্ষণজন্মা শাহেদ আলী হয় তো জিব্রাইলের ডানায় ভর করে যেতে পারতেন অনন্ত লোকে। হতে পারতেন আমাদের সাহিত্যর দিকপাল । আফসোস এ জন্য যে তিনি কলম ধরেছিলেন বাংলার জন্য বাঙালীর জন্য , বাংলার মুসলমানের জন্য আর তারা তাকে ঠিক ক মুল্যয়ন টা করতে পারেনি । গল্পটি রাশিয়ান , আরবি, হিন্দী, উর্দু ও ইংরেজী ভাষায় অনুদিত হয়েছে । আমাদের সবার চাওয়া এটাই হোক সব নবীদের ( গল্পের শিশু চরিত্র) ঘরে সুখের ফেরেশতা আসুক , তাদের অভাব চাওয়া গুলো লিখে। নিয়ে মহান মালিকের কাছে পেশ করুক। নবী যেনসেই রেলস্টেশনের ভদ্র মানব সমাজকে তার বাসায় এনে দেখাতে পারে এখন তার সব আছে। Nazmus Sadat Sabuj
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম : জিব্রাইলের ডানা লেখকের নাম : শাহেদ অালী প্রচ্ছদ : সিকদার অাবুল বাশার ঘরনা : গল্প সংকলন প্রকাশনী : গতিধারা প্রকাশ কাল : সেপ্টেম্বর ২০১২ মুদ্রিত মূল্য:১০০ টাকা পৃষ্ঠা সংখ্যা :৯৬ কাহিনী অালোচনা: গ্রামীন জীবনের এক বাস্তব চিত্র লেখক তার গল্পে তুলে ধরেছেন। গ্রাম্য রাজনীতি জীবন ব্যবস্থা সব কিছুই উঠে এসেছে তার গল্পে। যে গল্পের নামে বইয়ের নামকরন জিব্রাইলের ডানা গল্পটা এক ছোট্ট বাচ্চা নবী অার তার মা হালিমার গল্প। নবীর বিশ্বাস জ্রিবাইলের ডানায় যদি তার ঘুড়ির সুতা অাটকাতে পারে তবে সে তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা অাল্লাহর দরবারে পাঠাতে পারবে। হয়তো তখনই অাল্লাহ তাদের কথা শুনতে পাবে। তখন অার তাদের কোন কষ্ট থাকবে না, তাদের অার না খেয়ে দিন কাটাতে হবে না। মূলত উত্তর অঞ্চলের মানুষদের জীবনের গল্পই তার লেখায় বেশি ফুটে উঠেছে। ঐ যে নীল অাকাশ নামক গল্পে সিদু নামক এক ছোট ছেলের ভাবীর সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠার গল্প দিয়ে শুরু। ভাবীও সিধুকে অনেক পছন্দ করত। সিধুর ভবিষ্যৎ নিয়ে করত। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সিধু অাস্তে অাস্তে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তবু ভাবীর জন্য তার অালাদা টান থাকে। সময় পেলেই তাই ভাবীর স্নেহ লাখে ছুটে যায়। এদিকে ভাবী কিছুটা সৌন্দর্য প্রিয় মানুষ ছিল নীল রঙের প্রতি যার প্রবল অাকর্ষণ ছিল। নিজের সন্তানের গায়ের রঙ কিছুটা ময়লা গোছের হওয়াতে তাদের প্রতি যত্নও তেমনও নেয় না। নিজের মনে একা একা থাকতে থাকতে একদিন অাত্মহত্যা করে নীলেই মিশে যায় ভাবী। ফসল তোলার কাহিনী গল্পে লেখক বর্ননা করছেন উত্তর বঙ্গের কৃষকদের ফসল তোলার কাহিনী। পাহাড় বেয়ে যে ঝর্নার পানি অাসে তা অনেকের কাছে সৌন্দর্যের বস্তু হলেও অনেকের কাছে কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। উত্তর বঙ্গ বলতে গেলে এক ফসলের দেশ কেননা বাঁধ ভেঙে বন্যার পানি চলে অাসলে সেখানে অার ফসল ফলানোর উপায় থাকে না। তাই সারাবছরের অন্নের যোগান দিতে ফসল তোলার দিনে কৃষকদের থাকে অন্য রকম ব্যস্ততা যেস বন্যার অাগেই ফসল তুলতে পারে নয়তো না খেয়েই কিংবা অাধপেটা খেয়ে দিন কাটতে হবে তাদের। পাঠ প্রতিক্রিয়া : শাহেদ অালী লেখা এই প্রথম পড়লাম। ক্লাসিকাল সব গল্প বেশ হৃদয় ছোঁয়া যা পাঠককে ভাবায় কাঁদায়।
Was this review helpful to you?
or
জিবরাইলের ডানা শাহেদ আলীর অনেক আলোচিত সমালোচিত এবং বিখ্যাত একটি গল্প। গল্পটি যখন প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল, তখন পুরো পাকিস্তান জুরে তার ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছিল। গল্পটি আজ পড়লাম। গল্পটা অনেকটা দার্শনিক। পুরো গল্পে তিনি তুলে ধরেছেন কিশোর নবিকে, নবির মনের কথাগুলো আল্লাহ্র কাছে পৌঁছে দেওয়ার যেই প্রচেষ্টা ।সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য পাওয়ার যেই প্রচেষ্টা। যদিও এই প্রচেষ্টা গুলো শাহেদ আলি একটু ভিন্ন ভাবে তুলে ধরেছেন। যাই হোক বইয়ের সব কয়টি গল্পই আমার কাছে ভালো লেগেছে। আপনারাও বইটি সংগ্রহ করে পড়তে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
অধ্যাপক শাহেদ আলীর বিখ্যাত গল্প "জিবরাঈলের ডানা" পড়লাম।গল্প-উপন্যাস পড়তে তেমন মনটানে না।তবে এই গল্পটার প্রতি আগ্রহ জন্মেছে মূলত আরেকটি বই থেকে।অসাধারণ অনূদিত বই "মক্কার পথ" পড়ার পর।বইটি মুহাম্মদ আসাদের বিখ্যাত বই "The Road To Macca" এর বাংলা সংস্করণ,যা শাহেদ আলী অনুবাদ করেছেন।মুহাম্মদ আসাদও সাহিত্যিক আর শাহেদ আলীও সাহিত্যেক।এক সাহিত্যেক যখন আরেক বিখ্যাত সাহিত্য কর্ম অনুবাদ করে, তখন বলার অপেক্ষা রাখে না- অনূদিত বইটি কত অসাধারণ হতে পারে।'মক্কার পথ' বইটি দুইবার পড়েছি।প্রথমবার খুঁড়িয়ে কিন্তু দ্বিতীয়বার উর্ধ্বশ্বাসে।বইটি পড়ার পর শাহেদ আলীর কিছু রচনা পড়তে ইচ্ছা জাগল।নেটে ঘেটে উনার বিখ্যাত গল্প 'জিবরাঈলের ড়ানা'র খোঁজ পেলাম। গল্পটি মূলত একটি শিশু আল্লাহ'কে পাওয়ার নেশাকে তুলে ধরা হয়েছে।তার ভাবনা আল্লাহ তাদের দুঃখ-কষ্ট ঘুচিয়ে দিবেন।গল্পে মুলচরিত্র হালিমা আর নবী।সম্পর্কে তারা মা-ছেলে।খুব কষ্টে দিন কাটে তাদের।হালিমা বিড়ি কারখানায় কাজ করে।ছেলেকে নবীকেও সে সম্পৃক্ত করে দেয়।খুব কম টাকায় তারা কাজে খাটে।নবীর কাজের প্রতি মন নেই।ঘুড়ি উড়িয়ে সে কাজে ফাঁকি দেয়।আকাশে ঘুড়ি উড়িয়ে আল্লাহ'কে সে পৃথিবীতে টেনে আনবে।কষ্টের কথা তাকে শুনাবে।তিনি তাদের কষ্ট দূর করে দিবেন। ঘুড়ির জন্য সুতা প্রয়োজন।সুতার টাকা জোগাড় করার জন্য সে নতুন কাজের সন্ধান পায়।স্টেশনে কুলি খেটে অনেক টাকা পায়।জমানো টাকায় ঘুড়ির সুতা কিনে।আকাশে উড়িয়ে সে মনেকরে, আল্লাহ'র তার কথা শুনেছেন। লেখক গল্পটিতে একটি সুক্ষ ঈঙ্গিত দিয়েছেন।আল্লাহ'কে সত্যিকার ড়াকলে, তিনি তাদের ড়াকে সাড়া দেন।ছেলেটি যখন আল্লাহ'কে খুঁজতে বের হল, তখনই তিনি নতুন কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।হয়ত ছেলেটি একসময় বুঝবে যে,এই কাজটিই তাদের দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তির উপায়। গল্পটি পড়তে পড়তে আমার চোখের পাতা যেন ভারী হয়ে যাচ্ছিল।গল্পটি সত্যিই অসাধারণ।সবাইকে টানবে আশা করি।




