
User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
মার্কেটিং এর জন্য ভালো বই
Was this review helpful to you?
or
This book is not good at all.
Was this review helpful to you?
or
ভালো
Was this review helpful to you?
or
Find majority good review and buy it. But I am fully disappointed. Find hard to understand the story. majority of the story lack Coherence. How the story move forward one easily will get confused. though The company and the story chose was really high. If he could present the story with coherance may be iy would be one of the best book. Anyways I donot suggest this to read.
Was this review helpful to you?
or
বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ By- মুনির হাসান বইটি পড়লে আপনি PayPal, Whatsapp, Instagram, Facebook, Airbnb, Gramenphone, Netflix... এর স্টার্টআপ এর কাহিনী জানতে পারবেন।
Was this review helpful to you?
or
The book is not as expected. More technical plus intuitive aspects should be added. Plus, organising storylines could have been better.
Was this review helpful to you?
or
Very informative book. Interesting also.
Was this review helpful to you?
or
ভালো!🛸
Was this review helpful to you?
or
excellent no doubt.. waiting for your next book.
Was this review helpful to you?
or
বইটা শুধু বিভিন্ন কোম্পানির শুরু এবং গল্প বলা হয়েছে। বইটা থেকে আরও গভীর বিশ্লেষণ আশা করেছিলাম।
Was this review helpful to you?
or
বইটা পড়ার পর উপলব্ধি করার মতো অনেক কিছুই আছে। সুন্দর, সাবলীল ভাবে তুলে ধরা স্টার্টাপগুলোর শুরুর দিকের সংগ্রামের ঘটনাগুলো আপনাকে ভিন্ন ভাবে চিন্তা করতে ও লেগে থাকতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ! এই লেখকের কয়েকটি বই আমি পড়েছি। তাই কোন চিন্তা না করেই আমি এই বই কিনি। পড়ে এত মজা পেয়েছি যে কি বলব! যারা উদ্যোক্তা হতে চায় অথবা চায় না, সবার জন্যই এই বই। কিছু অসাধারণ মানুষের কাহিনী এই বইয়ে আমরা পাই যারা এই পৃথিবীর চেহারাই বদলে দিয়েছে। 5 star 😊
Was this review helpful to you?
or
fine
Was this review helpful to you?
or
খুবই অসাধারণ একটি বই,,স্টার্টআপ দের ইতি এবনহ রিভিউ
Was this review helpful to you?
or
This book inspired me a lot!
Was this review helpful to you?
or
Not satisfactory.
Was this review helpful to you?
or
Amazing book. Learned lot of things from here :)
Was this review helpful to you?
or
Excellent quality books
Was this review helpful to you?
or
valo boi
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
If you want to dream big but don't know how much you should go for then you should read this book.
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই পরেন
Was this review helpful to you?
or
Very Nice book!
Was this review helpful to you?
or
The stories were interesting. Although it felt the writer abruptly had put a full stop to some of the chapters at times. 📚 #billiobdollarstartup #munirhasan
Was this review helpful to you?
or
বাংলাতে এইরকম বই খুব একটা বেশি দেখা যায়না, সত্যি অনেক ভালো লিখেছে।
Was this review helpful to you?
or
good
Was this review helpful to you?
or
Easy book..
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো একটি বই। এই বইয়ে বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি কীভাবে শুরু হয়েছে তা খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
এতদিন Facebook, Instragram, Whatsapp শুধুমাত্র ব্যবহার করেছি, Paypal, Flipcart, Casper, ইত্যাদির শুধুমাত্র নাম শুনেছি। কিন্তু এসব কোম্পানি কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কোন ভাবনা প্রতিষ্ঠাতাদেরকে এসব বিলিয়ন ডলার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে উদ্বুদ্ধ করেছে তা জানা ছিল না। মুনির হাসান স্যারের এই বইয়ে দেওয়া হয়েছে কিভাবে কিছু কোম্পানি বিলিয়ন ডলার কোম্পানিতে পরিণতে হতে পেরেছে তার ছোট্ট বর্ণনা। তিনি এতে গল্পাকারে তুলে ধরেছেন কিভাবে ডিভিডি ভাড়া থেকে ২২০ বিলিয়ন ডলার ভ্যালুয়েশনের 𝐍𝐄𝐓𝐅𝐋𝐈𝐗 প্রতিষ্ঠিত হয়। কিভাবে টয়লেট ক্লিনিং থেকে বিলিয়নিয়ার হওয়া যায়। কিভাবে ঘরভাড়া দিতে না পারা দুই যুবক Airbnb এর মত কোম্পানি প্রতিষ্ঠার কথা মাথায় আনে। কিভাবে "Connectivity is Productivity" 'র মতো যুগান্তকারী বাক্যের উদ্ভাবক ইকবাল কাদির স্যার গ্রামীণফোন প্রতিষ্ঠা করেন তার ছোট্ট বর্ণনাও আছে এই পুস্তকে। মুনির স্যারের এই বইয়ে এমন অনেক নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হলাম যেগুলো আগে কখনো শুনিনি। সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য লেগেছে যে বিষয়টা তা হলো, "নেটফ্লিক্সের মতো অস্কারপ্রাপ্ত মুভি মেকিং কোম্পানির কর্মীরা যখন খুশি তখন ছুটি নিতে পারেন"। এক্ষেত্রে তাদের নীতিটা হলো "নো রুলস, রুলস"।
Was this review helpful to you?
or
Happy to read this book
Was this review helpful to you?
or
পড়তে ভালই লেগেছে, গল্পাকারে অনেক কিছুই শিখেছি।
Was this review helpful to you?
or
best book i recommend to buy it if you want to create next successful startup
Was this review helpful to you?
or
Excellent book. Munir Hasan is always one of my favourite
Was this review helpful to you?
or
No
Was this review helpful to you?
or
Alhamdulillah Valo Book
Was this review helpful to you?
or
Just Amazing. সাবলীল বাংলায় লেখা। তরুণ দের জন্য অবশ্য পাঠ্য মনে করি।
Was this review helpful to you?
or
Excellent
Was this review helpful to you?
or
আমাদের মাঝে তরুণ যারা আছে, স্টার্টআপ শুরু করতে চায়, তাদের বইটি একবার পরে দেখা উচিৎ, অনুপ্রেরণা যোগাবে বইটি। কারণ - ১. ইনফরমেটিভ বই ২. লেখক বইটি লিখার জন্যে প্রচুর ঘাটাঘাটি আর রিসার্চ করেছেন, যা পড়লেই বোঝা যায়।
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
Good
Was this review helpful to you?
or
বেশ কার্যকরী।
Was this review helpful to you?
or
"একটু পড়ে দেখু ন" এই পড়ে দেখুন থেকে আমি দুইটা বই সহ অনেক বই অর্ডার করি। রকমারিতে বই বিক্রির হার বেশি হওয়ার হয়তো এটাই বেশি কারন। পড়ে দেখে যদি আপনার নিজের কাছে ভালো লাগে তাহলে অর্ডার করতে পারেন। আবার অনেকের মতামত দেখেও বই কিনতে পারেন। বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ বইটা বিদেশী অনেক উদ্যোক্তা জীবনকাহিনী নিয়ে বানানো।সবচেয়ে মজা লেগেছে তেলাপোকা উদ্যোক্তাদের উথানের গল্প পড়ে 😆 😆 নিজেকে এখন তেলাপোকার উদ্যোক্তা মনে হয় কারন তাদের গল্পের সাথে আমার জীবনে গল্প মিলে গেছে। এই তো আর বাকিটা বইয়ের সারাংশ পড়লেই বিষয়টা পরিস্কার হয়ে যাবে।
Was this review helpful to you?
or
দেশ-বিদেশের স্টার্টআপগুলোর কাহিনী নিয়ে সাজানো হয়েছে বইটি। প্রতিটি স্টার্টআপই ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরির। আমাদের দেশের গ্রামীনফোনের ব্যাপারে লেখা হয়েছে। উদ্যোক্তা হতে যারা আগ্রহী তারা অনেক মজা পাবে বইটি পড়ে। বইয়ের শেষে স্টার্টআপ নিয়ে লেখা আরো কিছু বইয়ের রিকমেন্ডেশন পেয়ে গেলাম।
Was this review helpful to you?
or
বইটার পড়তে বেশ কষ্ট হয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে লেখক ভাল ভাবে বর্ণনা করতে পারে নাই। তবে কিছু কিছু অধ্যয় বর্ণনা ভাল হয়েছে। তবে বইটাতে শেখার অনেক কিছু আছে।
Was this review helpful to you?
or
বই : বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ লেখক : Munir Hasan নাম শুনেই বুঝতে পারছেন কি নিয়ে লিখা! বিলিয়ন টাকা হলেও হতো গুনতে পারতাম কিন্তু এগুলো তো বিলিয়ন ডলারের গল্প! মুনির স্যারের মত আমিও ডলার গুনতে শুরু করলাম। আগে বই অর্ডার দিয়ে তারপর ডলারের হিসাব করতে বসে পড়েছিলাম। যদিও পরবর্তীতে দেখলাম বইতে সহজ ভাষায় তা দেয়া আছে। কিছু কিছু বই আছে যেগুলো আপনাকে গল্প শোনাবেও সাথে বুঝতে, শিখতে ও চিন্তা করতেও সাহায্য করবে। আপনি যদি নিচক গল্প প্রেমিকও হোন তাহলে গল্প যেমন নিতে পারবেন সাথে ফ্রি নোটও পেয়ে যাবেন। যাইহোক, মূলত বইটিতে ১৩ টি ভিন্নধর্মী স্টার্টআপ সর্ম্পকে বলা হয়েছে। যাদের মার্কেট ভেল্যু বিলিয়ন ডলারেও উপরে! প্রত্যেক টি গল্পই আপনাকে নতুন নতুন কিছু বুঝতে , ভাবতে শিখাবে। প্রত্যেকটি গল্পেরই রয়েছে ভিন্নতা। আপনি যদি ভেবে থাকেন , বিলিওনিয়ার প্রতিষ্ঠান শুরু করতে অনেক অনেক অর্থের প্রয়োজন তাহলে বইটা পড়লে আপনার ভুলটা ভাঙ্গবে। অর্থের প্রয়োজন হবে সেটা ঠিক , তবে সবচেয়ে বড় হচ্ছে আত্নবিশ্বাস ,মনোবল, কাজ করার ইচ্ছা। শুধু পরিকল্পনাই করে গেলেন আর মাঠে নামলেন না, তাহলে ফলাফল শূণ্যই থাকবে। সমস্যা থেকেই প্রয়োজনীয়তার সৃষ্টি হবে। বইয়ের শেষাংশে "পাচঁ মাসেই কোটিপতি" গল্প থেকে বুঝতে পারবেন সমস্যা থেকে সমাধানের উপায় বের করার রহস্য। বইটিতে পেপাল , ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, গ্রামীণফোন, এয়ারবিএনবির সব আরো সাতটি স্টার্টআপ নিয়ে লিখা। পেপালে যারা কাজ করতো তাদেরকে কেন পেপাল মাফিয়া বলা হত । পেপাল মাফিয়ার গল্প আমি বইয়ের প্রথমেই পাবেন। প্রথম দিকের পেপালের ৫০ উদ্যোক্তাদের মধ্যে এখন প্রায় অনেকেই গড়ে তুলেছেন বিলিয়ম ডলারের প্রতিষ্ঠান। লিংকডইন, ইউটিউব, টেসলা, নিউরালিংক, ওপন এআই ইত্যাদি আরো বিলিওনিয়ার প্রতিষ্ঠান গুলো পেপাল মাফিয়াদেরই করা। কিন্তু এগুলো সব সাফল্যের কথা। সাফল্যের জন্য করতে হয়েছিলো তাদের কঠোর পরিশ্রম । সবগুলো গল্পই ভালো লেগেছে। তবে কিছু গল্প বেশি ভাবিয়ে তুলেছে। যেমন: এয়ারবিএনবির গল্প যাদের কে বলা হয়েছে তেলাপোকাঁ উদ্যোক্তা । শুনতে হাসসো কর হলেও পড়লেই বুঝতে পারবেন কেন বলা হয়েছি। তারা তাদের ফান্ড জোগার জন্য যখন ১৫ কাছে গেল তাদের মধ্যে থেকে ৮ জনই কোন পাত্তা দিলো না আর বাকি ৭ জন থেকেও কোন পজেটিভ কিছু পায় নি। তাও কি তারা বসে ছিলো? না , তবুও তারা তাদের কাজকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো। এয়ারবিএনবি থেকে যা শিক্ষা নিতে পারেন, তার মধ্যে প্রথম হলো প্রতিষ্ঠান এগিয়ে নিতে হলে আপনাকে হতে হবে ধৈয্যশীল হবে হবে, হাল ধরার মানসিকতা থাকলে হবে, গ্রহকের চাহিদা বুঝতে হবে , প্রচুর শেখার আগ্রহ থাকতে হবে, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থার মত মার্কেটিং প্ল্যান করতে হবে। প্রতিষ্ঠান যে পযার্য়েই থাকুন না কেন তাকে এগিয়ে নিতে A/B টেস্ট করতে হবে, কাস্টমার সার্ভিস এর মান উন্নত করতে হবে ও কোন কিছুকে লুকিয়ে না রেখে বরং তা নিজ অবস্থা থেকে বণর্ণা করতে হবে। যা এয়ারবিএনবিরা প্রতিনিয়তই করেছিলো। সমস্যা থেকেই সৃষ্টি হয় উদ্যোগের। তারই একটি বড় উদারহণ হচ্ছে গ্রামীণফোন। যা বর্তমান ভ্যলু প্রায় চার বিলিয়ন ডলার। জনাব ইকবাল কাদির এর হাত ধরেই এসেছে আজকেই গ্রামীণফোন । তবে তার জন্য তার যাত্রাটাও ওতোটা সুখোকর ছিল না। যে সময়ে মানুষের মৌলিক চাহিদা মিটানোই সম্ভব হয়নি ,সে সময় তিনি উদ্যোগ নেন সাশ্রয়ীভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে । এছাড়াও বইতে আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে ডিভিডি থেকে আজকের প্রায় ২২০ বিলিয়ন ডলারের নেটফিক্স , ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম , zoho মত আরো প্রতিষ্ঠানের গল্প । সেগুলো সম্পর্কে নাই বললাম, সেগুলো পড়লেই বুঝতে পারবেন। বইটি সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে প্রত্যেকটি গল্পের শেখে একটা শিখনফল দেয়া যা আপনাকে সহজে মনে রাখতে এবং নোটের মত কাজ করবে। আর বই ছিলো নিতান্তই সহজ ভাষায়। সর্বোপরি অসাধারণ একটি বই ,যদি বইটির সাধারণ পড়ার মত নয় , জানার মতো করেই পড়বেন। তাহলেই উপকৃত হবেন।
Was this review helpful to you?
or
...
Was this review helpful to you?
or
🔰বই প্রতিক্রিয়া(৬২তম) 📙বই:- বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ ✒️লেখক:- মুনির হাসান 💶জনরা:- উদ্যােক্তা 💷প্রকাশনা:- আদর্শ 💵ব্যক্তিগত রেটিং:-[৯/১০]😍 বিভিন্ন সেমিনার বা কর্মশালায় যখন স্পিকারের মুখে বিভিন্ন বিলিওনিয়ারের জীবনের গল্প শুনতাম,বেশ লাগতো।মনে হতো,একসাথে যদি অনেকজন বিলিওনিয়ারের জীবনের গল্প শুনা যেত! এই বইটি পড়ার পর সেটার আক্ষেপ কিছুটা যেন কমেছে! হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন,এই বইটিতে বেশ কয়েকজন বিলিওনিয়ারদের জীবন,তাদের কোম্পানির উত্থান-পতন, তাদের ভেঙে পড়া,আবার উঠে দাঁড়ানো,শেষ অবধি সফলদের তালিকায় নিজেদের নাম উঠানো— এ সবকিছু নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।চমৎকার সকল স্টার্টআপ সম্পর্কে আপনি অবগত হতে পারবেন এই বইটির বদৌলতে। “বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ” আপনাকে সাহসী হতে বাধ্য করবে,আপনার মাথায় আসা চমৎকার আইডিয়াটি নিয়ে কাজ করতে বাধ্য করবে,আপনার মধ্যে কনফিডেন্সের জন্ম দিবে— যদি ও কেবলযদি স্টার্টআপের দিকে আপনার বিশেষ খেয়াল থাকে! আপনি যদি একজন তরুণ হয়ে থাকেন এবং স্টার্টআপে আপনার বিশেষ আগ্রহ থাকে,তবে এই বইটি স্পেশালি আপনারই জন্য।এই বইটিতে যাদের স্টার্টআপের কথা উঠে এসেছে, সবাই কিন্তু তাদের তরুণ বয়সে নিজেরা স্টার্টআপ শুরু করেছেন।অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তারা সফল হয়েছেন,হয়েছেন একেকজন বিলিওনিয়ার। বইটির সবকটি গল্পেই তারুণ্যের জয়জয়কার, তাদের বিজয়ের কাহিনি। যা একজন তরুণকে অপেক্ষাকৃত বেশি আকৃষ্ট কিংবা উৎসাহিত করে তুলবে। একটা জিনিস স্পষ্টতই আমার মাথায় হিট করেছে— আপনি যেকোনো পণ্য(ছোট কিংবা বড়) নিয়ে ব্যবসা করে লাভের মুখ দেখতে পারেন।আপনি যদি আপনার প্রোডাক্টটি সম্পর্কে বেশি কনসার্ন হোন,তাহলে হউক আপনার প্রোডাক্টটি একদম সাদামাটা, তবুও আপনি লাভবান হবেন। লেখক ‘মুনির হাসান’ সেই রকম একটা গল্প তুলে ধরেছেন “বেচতে জানলে লুঙ্গি কি,বেডিং কি...” অধ্যায়ে। ‘সাফাত সাত্তার বাপ্পী’ সাহেবের গল্প ছিল এরকম— তিনি চেয়েছিলেন সেলাই করা লুঙ্গির ব্যবসা করে লাভের মুখ দেখবেন,চেয়েছিলেন টেলিভিশন বিজ্ঞাপন দিয়ে লুঙ্গির ব্যবসা করে দেখাবেন। সেটাই তিনি করে দেখিয়েছিলেন ১৯৯৪-৯৫ সালের দিকে।“প্রেস্টিজ লুঙ্গি” নামের একটি লুঙ্গির ব্রান্ড তিনি প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রথম দেড়-দুই বছরে এক কোটি টাকার লুঙ্গি বিক্রি করে তিনি রেকর্ড করেন।বিটিভিতে প্রেস্টিজ লুঙ্গির বিজ্ঞাপন সেসময় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। নিজের প্রোডাক্টটির ব্যাপারে নিজের কনফিডেন্স তাকে সফল করে তুলেছিল।সাফাত সাত্তার সাহেবের গল্প আমাদের এই শিক্ষাই দেয় মূলত— আপনার ব্যবসার পণ্যটি সাদামাটা হউক আর ব্যয়বহুল কোনো কিছু হউক,আপনি ‘বিক্রি করতে জানলে’,সফল আপনি হবেনই।পৌঁছে যাবেন একেবারে শীর্ষদেরও শীর্ষে! বইটিতে লেখকের উল্লেখিত গল্পগুলো থেকে যে দুটি জীবনের গল্প আমাকে বেশ ভাবিয়েছে:- 💴সম্পর্ক ঝালিয়ে বিলিওনিয়ার : এখানে মূলত মার্ক জাকারবার্গের ফেসবুক নিয়ে কথা বলা হয়েছে।কিভাবে ফেসবুক আত্মপ্রকাশ করলো?,কত টাকাতে ইয়াহুর কাছে বিক্রি হয়েছিল?,কিভাবে লাভের মুখ দেখে ফেসবুক?, সবচেয়ে বড় অনলাইন ফটো হোস্ট হয়ে ওঠার গল্প, ইত্যাদি বিষয় উঠে এসেছে। 💴টয়লেট ক্লিনিং থেকে বিলিওনিয়ার : এখানে দুই ভাইয়ের গল্প তুলে ধরা হয়েছে।তারা হলেন ইজি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোহসিন ঈসা ও যুবের ঈসা।এখানে দেখানো হয়েছে,ভার্সিটিতে না পড়া,প্রেট্রলস্টেশনের টয়লেট ক্লিন করার মতো কাজ অবলীলায় করে যাওয়া দুই ভাই কিভাবে শেষ অবধি বিলিওনিয়ার হতে পেরেছিলেন! তাছাড়া লেখক প্রত্যেক বিলিওনিয়ারের গল্পের শেষে তাদের জীবন থেকে আমরা কী কী শিখতে পারি,সেসব জিনিস ছোট আঙ্গিকে পাঠকের জন্য তুলে ধরেছেন।তাছাড়া প্রতিটি বিলিওনিয়ার কোম্পানির বার্ষিক গ্রোথ চিত্রের সাহায্যে লেখক দেখিয়েছেন।কোম্পানির উত্থান-পতনের রেখাচিত্র! রিভিউটি শেষ করছি বইয়ে উল্লেখিত গ্রামীণফোনের প্রতিষ্ঠাতা ‘ইকবাল কাদির’ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কথার মধ্য দিয়ে।তিনি বলেন— “যেখানে একজন সাধারণ পিয়ন তার মেয়ের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে পারেন,সেখানে কেন পেশাদার পরিকল্পনাকারীরা দেশ নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদের কোনো চিন্তা করছেন না? তবে কিসের পরিকল্পনা করছেন তারা?” পড়তে আপনাকে হবেই,হয় বই নয়তো পিছিয়ে! #happyreading ❣️
Was this review helpful to you?
or
গুড টু রিড.....
Was this review helpful to you?
or
Really High Quality Book to deliver informative as well informative resources to start personal branding and billion dollar start up entrepreneur project or business perfectly.
Was this review helpful to you?
or
এখনও পুরোটা পড়া হয়নি। শুধু প্রথম চ্যাপ্টার পড়েছি। মনেহয় দারুনই হবে।
Was this review helpful to you?
or
বিলিয়ন ডলার শুনলেই অন্যরকম একটা উত্তেজনা কাজ করে আর "বিলিয়ন ডলার স্টাটআপ" বইটি সেই উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেয়। একটা বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি তৈরির পিছনে কত ত্যাগ, ধৈর্য, সাহস, আত্নবিশ্বাস, লেগে থাকার মানসিকতা থাকে তা এই বইটি না পড়লে অজানাই থেকে যেত। বিলিয়ন ডলার কোম্পানিগুলোর সুবিধা আমরা ভোগ করছি কিন্তু কিভাবে এই কোম্পানিগুলো এত বড় হল তা এই বইটি না পড়লে জানতাম না। বইটি পড়ে নিজের স্বপ্ন গুলি বাস্তবে রুপ দিতে অনুপ্রানিত হইছি। ধন্যবাদ লেখককে এমন সুন্দর একটা বই উপহার দেয়ার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
very good book
Was this review helpful to you?
or
।
Was this review helpful to you?
or
লেখক চাইলে আরো সুন্দর ভাবে স্টোরি গুলো প্রেজেন্ট করতে পারতো । অনেক গুলো গল্প আতি কম কথায় কমপ্লিট করে ফেলেছে । অসম্পূর্ন মনে হয়েছে । Not Good , Not Bad !
Was this review helpful to you?
or
মুনির হাসান স্যারের "বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ" বইটি আমার পড়া স্টার্টআপ বিষয়ক সেরা বই।অসাধারণ ভাবে বইটিতে বিভিন্ন স্টার্টআপ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশী টাকায় কত তা আমাদের অনেকের কল্পনারও বাইরে।বাংলাদেশী টাক্য় ১ বিলিয়ন ডলার সমান ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং যেসব স্টার্টআপের ভ্যালুয়েশন ১ বিলিয়ন ডলার বা তার বেশি সেসব স্টার্টআপকে ইউনিকর্ণ বলে।ইউনিকর্ণ ঘোড়ার মত দেখতে একটি কাল্পনিক প্রাণী যার মাথায় একটি শিং আছে।বইয়ের প্রচ্ছদে ইউনিকর্ণ এর ছবি আছে এবং বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ বিষয়ক এসব তথ্য ভূমিকাতে উল্লেখিত আছে।বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ কী তা আমরা বুঝেছি এবার বইয়ের মূল আলোচনায় আসা যাক।বইটিতে ১৩ টি বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ বা ইউনিকর্ণ এর প্রতিষ্ঠা এবং উত্থান এর গল্প বর্ণিত হয়েছে।এর মধ্যে বহুল ভাবে পরিচিত স্টার্টআপ সহ এমন স্টার্টআপও স্হান পেয়েছে যার কথা হয়ত আমরা অনেকেই জানি না।এবং সবথেকে চমকপ্রদ বিষয় বাংলাদেশের একটি স্টার্টআপও বইটিতে স্হান পেয়েছে।এবার বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ বইয়ের স্টার্টআপ গুলোর সাথে সংক্ষিপ্ত ভাবে পরিচিত হওয়া যাক। পেপালঃ আমেরিকান পেমেন্ট কোম্পানি। সারা বিশ্বে পেপাল মাফিয়া নামে খ্যাত এর উদ্যোক্তার।এদের মধ্যে রয়েছেন পিটার থিয়েল(যাকে পেপাল মাফিয়া দের ডন বলাহয়), টেসলার সহ প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক,বাংলদেশি বংশোদ্ভূত ইউটিউবের সহ প্রতিষ্ঠাত জাওয়াদ করিম,লিংকডইন এর প্রতিষ্ঠাতা রেফিড হফম্যান সহ আরও অনেকে।২০০২ সালে ইবে ১.৫ বিলিয়ন ডলারে পেপালকে কিনে নেয়। ফেসবুকঃ ২০০৩ সালে মার্ক জাকারবার্গ এর প্রতিষ্ঠা করা ফেসবুক বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ফেসবুক এবং মার্ক জাকারবার্গ এর গল্প স্হান পেয়েছে বইটিতে। ইনস্টাগ্রামঃ মাইক ক্রেইগার এবং কেভিন সিস্ট্রমের প্রতিষ্ঠিত ইনস্টাগ্রাম আরেক জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ২০১২ সালে ফেসবুক ১ বিলিয়ন ডলারে ইনস্টাগ্রামকে কিনে নেয়।ইনস্টাগ্রামের গল্প স্হান পেয়েছে বইটিতে। স্ল্যাকঃ স্টুয়ার্ট বাটারফিল্ডের প্রতিষ্ঠিত স্ল্যাক একটি ব্যবসায়িক যোগাযোগের প্লার্টফর্ম।২০২০ সলে আমেরিকান সফটওয়্যার কোম্পানি ২৭.৭ বিলিয়ন ডলারে স্ল্যাককে কিনে নেয়। ক্যাসপারঃ ফিল করিম প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান বেডিং(ম্যাট্রেস) কোম্পানি ক্যাসপার ম্যাট্রেস বিক্রি করে ১.১ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়।২০২০ সালে গণপ্রস্তাব দিয়ে শেয়ার বাজারে প্রবেশ করে ক্যাসপার। ক্যাসপারে গল্প স্হান পেয়েছে বইটিতে।
Was this review helpful to you?
or
Not that good. Mostly translated from articles and blogs. Not recommended.
Was this review helpful to you?
or
ইউনিকর্ন হচ্ছে সেইসব কোম্পানি যাদের মার্কেট ভ্যালুয়েশন ১ বিলিয়ন ডলার। Aileen Lee ২০১৩ সালে যখন ইউনিকর্ন হিসেবে ১ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিগুলো মার্ক করেন তখন সারাবিশ্বে ৪০টির মতো ইউনিকর্ন ছিলো।১ বিলিয়ন ডলার বা ৮ হাজার ৫০০ কোটি কি পরিমাণ টাকা তা বুঝানোর জন্য লেখক পদ্মা সেতুর সাথে সেই টাকার তুলনা করছেন। পদ্মা সেতুতে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা বা ৪ বিলিয়ন ডলারের কিছু কম। কিন্তু এখনকার সময় ডেকাকর্ন কোম্পানি অর্থ্যাত যাদের ভ্যালুয়েশন ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি তারা ২-৪ টা পদ্মা সেতু পকেটে নিয়ে বসে আছে মনে হবে। কিন্তু এসব কি এতোই সোজা? আমার উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ আবার না। লুংগির সঠিক মার্কেটিং করে যদি ২-১ বছরে কোটি টাকার ব্যাবসা করা যায় তাহলে তো সোজা মনে হতেই পারে। পাঁচ মাসে মিলিওনারের গল্প কিন্তু আছে। আবার ২-১ বছরে বিলিয়ন ডলার ইউনিকর্ন বানিয়ে ফেলেছেন এমন উদাহরনও আছে। কিন্তু এদের ভিতরের গল্পটা কি আমরা জানি? এরা কি বসে বসেই বানিয়ে ফেলেছেন মনের মতো শিং ওয়ালা ইউনিকর্ন? না, কারন অনেকের রাতের ঘুম হারাম হয়েছে আইডিয়া এক্সিকিউশান করতে গিয়ে। কয়েকটা আইডিয়া হয়তো ফেইল করেছে, হয়তো অনেকগুলোর মধ্যে একটা কাজ করছে। ফান্ডিং জোগার করতে করতে জুতা ক্ষয় হয়েছে। মার্কেটিং স্ট্রাটেজি ঠিক রাখা, গ্রোথ সহ টিম মেম্বারদের ক্যাচাল, এইসব ইউনিকর্নদের উথান-পতনের ব্যাপারে আমরা কজন জানি? টেসলার তো মার্কেটিং টিমই নাই, তারা মার্কেটিং এ একপয়সাও খরচ করে না। তাহলে তাদের হিডেন টেকনিক কি? গার্লফ্রেন্ডের পরামর্শেই বা কিভাবে বয়ফ্রেন্ড ইউনিকর্ন দাড় করায়? যেসব স্টার্টআপগুলো ইউনিকর্নে পরিনত হয়েছে তাদের কেউ কেউ আইডিয়া নিয়ে বেশি সময় দিয়েছেন। কারন Idea May Worth Billions. আবার কেউ কেউ তার আশেপাশের প্রব্লেম সল্ভ করার জন্য প্রাথমিকভাবে কিছু শুরু করেছেন যা কিনা পরবর্তিতে ইউনিকর্নে পরিবর্তন হয়েছে। কেউ কেউ শিখে মাঠে নেমেছেন আবার অন্যরা করতে করতে শিখেছেন। কিন্তু সবাই শিখেছেন। হাল ছাড়তে ছাড়তে ধরে ফেলেছেন। সময়ে সঠিক ডিসিশন নিয়েছেন। টেসলা কিভাবে এলন কে ধনকুবের বানালো? পেপাল মাফিয়ারা কেন বিলিওয়নার? ডিভিডি ভাড়া দেয়া থেকে কিভাবে ২২০ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি কিভাবে হয় এবং যেটি কিনা বিশ্বের সেরা এন্টারটেইনমেন্ট প্ল্যাটফর্মগুলোর একটি? আমাদের ইকবাল কাদির স্যারের গল্পটা কজন জানেন? জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ বইটি। বইটি আমার ভালো লেগেছে। বইটি খুব সহজ ভাষায় লিখা যার কারনে যেকারো পড়তে অসুবিধা হওয়ার কথা না। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে ইউনিকর্নগুলোর গ্রোথ বুঝা যায় সহজেই। তাই এই বই পড়লে নতুন Entrepreneur রা অনেক টেকনিক সম্পর্কে জানতে পারবে এবং যারা ব্যাবসা করতে ইচ্ছুক না তাদের মনেও একটা বাসনা তৈরি হবে স্টার্টআপ তৈরির এটা আমার বিশ্বাস। আমাদের দেশে তৈরি হোক হেক্টাকর্ন ডলার স্টার্টআপ😍 হ্যাপি রিডিং।😃
Was this review helpful to you?
or
বুক রিভিউঃ বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ মুনির হাসান স্যার দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুক গ্রুপ ‘চাকরি খুজব না, চাকরি দেব’ সহ আরো অনেক কার্যক্রমের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরিতে অনুপ্রেরণা যুগিয়ে আসছেন। বেশ কয়েকটি বইও লিখেছেন ইমোশনাল মার্কেটিং, গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং, শরবতে বাজিমাত, পড়ো পড়ো পড়ো। তার ‘বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ’ বইটি নিঃসন্দেহে তার সেরা বইগুলোর কাতারে জায়গা করে নিবে। বইটি শুরু হয়েছে অনলাইন ব্যাংকিং কোম্পানি পেপালের সাবেক কর্মী ও উদ্যোক্তা যাদেরকে ‘পেপাল মাফিয়া’ বলা হয় তাদের গল্প দিয়ে। যারা পরবর্তীতে পেপাল ছেড়ে এসে আলাদাভাবে টেসলা, লিঙ্কডইন, স্পেসএক্স, স্লাইড, ইউটিউব এর মতো প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। যদিও ‘পেপাল মাফিয়া’ দের গল্প সংক্ষিপ্ত আকারে লিখেছেন। এছাড়াও ১২ টি বিলিয়ন ডলার কোম্পানির গল্প লিখেছেন।শূন্য থেকে শুরু করে বিলিয়ন ডলার কোম্পানিতে পরিণত হওয়ার গল্প। যদিও এ ধরনের একটি কোম্পানি নিয়ে আলাদা আলাদা বই লিখা সম্ভব । তবে লেখক তাদের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো সাবলীল ভাষায় বর্ননা দিয়েছেন। গ্রামীনফোন ও গণফোনের প্রতিষ্ঠাতা ইকবাল কাদিরের গল্পটা সম্ভবত এ দেশের অনেক মানুষের জানা নেই। গ্রামের মানুষদের কানেক্টিভিটির ভিতরে নিয়ে আসার জন্য তার গ্রামীণফোন প্রতিষ্ঠার গল্পটা নিজেদের গল্প বলে মনে হয়েছে। এই বইটিও লেখক ইকবাল কাদিরকে উৎসর্গ করেছেন যিনি বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির "লেগাটাম সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিয়ারশিপ"-এর প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন , কাজ করছেন তৃতীয় বিশ্বে এন্ট্রাপ্রেনিয়ার ডেভেলপমেন্ট নিয়ে । ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম বা হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা নেটফ্লিক্সের শুরুর গল্প, পিছনের গল্পগুলোর উপস্থাপনা ছিলো এক কথায় অসাধারণ। লেখক এয়ার বিএনবি’র গল্প বেশ ডিটেইলস লিখেছেন। গল্পগুলোতে উঠে এসেছে উদ্যোক্তাদের হার না মানা মানসিকতার গল্প, বিনিয়োগকারীদের দ্বারে দ্বারে ঘোরার গল্প এবং শেষ পর্যন্ত যা সফলতার গল্পে পরিণত হয়েছে। বইটির প্রচ্ছদ ও মার্কেটিং এ আছে নতুনত্ব। বইটির রিভিউ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে, যার অংশ হিসেবে এই রিভিউটি লিখা। দেশে এখন উদ্যোক্তাদের বিপ্লব চলছে। অনেক অনেক মানুষ উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। বইটি তাদের জন্য অনুপ্রেরণা যোগাবে। হয়তো সেই অনুপ্রেরণা থেকে এ দেশে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে একটি বা আরও অনেক বিলিয়ন ডলার কোম্পানি।
Was this review helpful to you?
or
wonderful
Was this review helpful to you?
or
খুব ভালো বই
Was this review helpful to you?
or
One of the best book on marketing so far
Was this review helpful to you?
or
মার্কেটিং শিখার জন্য খুব ভালো একটি বই
Was this review helpful to you?
or
মার্কেটিং স্ট্রাটার্জি নিয়ে বেশ ভালো একটি বই।
Was this review helpful to you?
or
বইটি হঠাৎ দেখলে বা সূচি তে চোখ গেলে প্রথমেই মনে হতে পারে নরমাল কোন মোটিভেশনাল বই বা জানা ঘটনা! ভুলটা ভাঙ্গবে কিছুটা পড়ার পরেই। হ্যা পড়ার সময় কিছু জানা ঘটনা পাবেন কিন্তু সব গুলো ঘটনার শেষে আমরা যে শিক্ষা এতদিন নিয়ে এসেছি "তারা পেরেছে তুমিও পারবে" এটা থেকে বের হয়ে সেখানে যেতে হলে নিজের কি শিখতে হবে কি করতে হবে সেটার উপর জোর দেয়া হয়েছে। আজকে আমাদের প্রিয় ইনস্টাগ্রাম, নেটফ্লিক্স বা পৃথিবীর ভ্রমণ পিপাসুদের স্বর্গ এয়ারবিএনবি কি এত সহজেই মোটিভেশনাল লেকচার শুনেই সফলতা আর জনপ্রিয়তার চূড়ায় পৌছেছে! নাকি বার বার ঝালিয়ে নিতে হয়েছে নিজেদের , হতে হয়েছে ব্যর্থ আর শিখতে হয়েছে সব সময়! বিলিয়নিয়ার বা সবচাইতে সম্পদশালী ব্যক্তি বা কোম্পানি বলতেই আমরা ভাবি বিভিন্ন আইটি কোম্পানী বা প্রোগ্রামারদের কথা। অবশ্যই আইটির বিশাল একটা অবদান আছে। এই ক্ষেত্র ছাড়াও যে সফল বা বিলিওনিয়ার হওয়া তা সুন্দর ভাবে বুঝাতে লেখন গতানুগতিক ফেসবুক আর আইটি সম্পর্কিত বিষয় ছাড়াও অন্য ল বিলিওনিয়ারদের গল্পও শুনিয়েছেন। সংক্ষেপে বললে বইটি সেলফ ডেভেলপমেন্ট বই হওয়ায় লেখা পড়ে মোটিভেট হয়ে বাসায় বসে না থেকে কাজে লেগে পরতে সবগুলো লিখায় তাদের সংগ্রাম আর কি কি শিক্ষা আর কি করতে হবে বলে দিয়েছেন। এবার লেখক মুনির হাসান স্যা রসম্বন্ধে একটু কিছু বলি। ভালো একটা সময় কিশোর আলোয় কাজ করা সহ বিভিন্ন ইভেন্টে যাওয়ার সুবাদে স্যার এর বেশ কয়েকবার কথা শুনেছি। স্যারের যে জিনিস টা ভালোলাগে তা হচ্ছে শুধু মোটিভেশনাল কথা না বলে সোজাসাপ্টা আমার কি করি আর কি করা দরকার সেটা বলা। খারাপ লাগা ১/পড়ার সময় কিছু যায়গায় মনে হয়েছে যেন লেখক একটু তাড়াহুড়োয় ছিল(আমার ব্যক্তিগত সবার ক্ষেত্রে হবে না হয়তো)। ২/ বেশ কিছু জায়গায় বানান ভুল, একই নাম দু যায়গায় দু রকম এবং দাঁড়ি, কমার কিছুটা সমস্যা চোখে পড়েছে। প্রুফরিডিং বা টাইপিং এর জন্য হয়তো। এখনো জানা অজানা বেশকিছু বিলিয়ন ডলার স্টার্টাপের পেছনের সংগ্রাম আর তা থেকে কি আছে শেখার জানতে পড়ে ফেলতে পারেন বইটি।
Was this review helpful to you?
or
মুনির হাসান স্যারের "বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ" বইটির নাম শুনে মনে হতে পারে কিভাবে একটি বিলিয়ন ডলার কোম্পানি গড়ে তুলতে হয় তারই দিকনির্দেশনা লেখা আছে বইতে। বইটি পড়ে দিকনির্দেশনা আপনি পাবেন ঠিকই। কিন্তু যেভাবে ভাবছেন ঠিক সেভাবে নয়। গল্পের ঢঙে। বইটিতে আপনি মূলত পড়বেন ফেসবুক, নেটফ্লিক্স, পেপাল ও এয়ারবিএনবির মতো বিলিয়ন ডলার ভ্যালুয়েশনের কোম্পানিগুলো গড়ে ওঠার গল্প। কিভাবে সিলিকন ভ্যালির উদ্যোক্তারা মিলে তৈরি করেছিলেন পেপাল, কিভাবে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন এয়ারবিএনবির তেলাপোকা উদ্যোক্তারা। এসবকিছুই অত্যন্ত গুছিয়ে উপস্থাপিত হয়েছে বইটিতে। একটা বিলিয়ন ডলার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে কি লাগে? শুধু কি ইউনিক আইডিয়াটাই যথেষ্ট? না! একটা ইউনিকর্নের জন্ম দিতে হলে আইডিয়াটাকে বাস্তবায়ন করতে পারতে হয়। সেই সাথে আইডিয়া থেকে বিকাশের পথটাতে প্রতিটা মুহূর্তে একজন প্রকৃত উদ্যোক্তার মতো চিন্তা করতে হয়। এই বৈশিষ্টগুলো পেপালের প্রথম ৫০ জন কর্মীদের ছিল বলেই তারা তাদের কোম্পনির প্রপার ভ্যালুয়েশন করতে পেরেছিলেন। আবার আপনার আইডিয়াটাকে ক্রমশ আধুনিকতার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। যার জলজ্যান্ত উদাহরণ হচ্ছে ফেসবুক। সময়ের সাথে সাথে মার্ক জাকারবার্গ নতুনত্বের ছোঁয়া দিয়ে গেছেন তার ১৯ বিলিয়ন ডলারের স্টার্টআপে। একটা নতুন উদ্যোগে সবসময় সবকিছু পরিকল্পনামাফিক নাও চলতে পারে। তাই বলে থেমে থাকলে কিংবা পরিকল্পনায় অনেক বেশি সময় নষ্ট করলে চলবে না। আইডিয়াটাকে আঁকড়ে ধরে এগিয়ে যেতে হবে। ঠিক ব্রায়ান চেসকি ও জো-এর মতো। এয়ারবিএনবির এই তেলাপোকা উদ্যোক্তাদের গল্প না হয় বইয়ের ৯৫ পৃষ্ঠায় নিজেই পরে দেখুন। তবে গল্প যাইহোক না কেন। এই বাঘা বাঘা উদ্যোক্তাদের সবার মধ্যে কিন্তু একটা বিষয় কমন। সেটা হচ্ছে তারা সকলেই তাদের কাস্টমার কিংবা ব্যবহারকারীদের অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন। বইটিতে এতো এতো উদ্যোক্তাদের নিজেদের ইউনিকর্নকে প্রতিষ্ঠিত করার গল্পের মাঝে আপনি তাদের মার্কেটিং স্ট্রাটেজিও বুঝে উঠতে পারবেন। কিছুটা গ্রোথ হ্যাকিং এর ধারণাও পাবেন। এছাড়াও বইতে রয়েছে সামান্য চেক-ইন অ্যাপ থেকে গার্লফ্রেন্ডের পরামর্শে ইনস্টাগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা কেভিনের বিলিওনিয়ার হয়ে ওঠার গল্প, জরিমানার জের থেকে কিভাবে নেটফ্লিক্স উঠে এলো তার গল্প। আচ্ছা তেল কিংবা বই বিক্রি করেও কি বিলিওনিয়ার হওয়া যায়? বেঁচতে জানলে তেল কি, বই কি, লুঙ্গি পর্যন্ত বিক্রি করে বিলিওনিয়ার হওয়া সম্ভব। তার গল্পও উঠে এসেছে "বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ" - এ। বইটিতে মুনির হাসান স্যার শুধুমাত্র দেশের বাইরের বিলিওনিয়ারদের কথাই তুলে ধরেন নি। উঠে এসেছে কানেকটিভিটি ইজ প্রোডাক্টিভিটি দর্শনের প্রবক্তা ড. ইকবাল কাদিরের গ্রামীনফোনকে নিয়ে স্বপ্নের কথা। ভারতের তামিলনাড়ুর ছোট্ট এক গ্রামের খালিপায়ের বিলিওনিয়ারও বাদ পড়েননি বইটি থেকে। কোনো কিছু শেখার সবচেয়ে সহজ কিংবা ইফেক্টিভ ওয়ে হচ্ছে অন্য আরেকজন কিভাবে কাজটি করেছেন তা লক্ষ্য করা। মুনির হাসান স্যার তার "বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ" বইয়ে বিশ্বের বড় বড় ইউনিকর্নগুলো কিভাবে গড়ে উঠেছে তা গল্পের আকারে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছেন এবং সফলও হয়েছেন। তবে শুধু গল্পই নয়। শেখার কোনোকিছু এসে পড়লে সেসময় বিষয়টাকে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। বইটি পড়ে আশা করি নতুন কেউ আরেকটি বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপের গল্পের সূচনা করবে।
Was this review helpful to you?
or
বইটি অর্ডার না করে পারলাম নাহ! 😋
Was this review helpful to you?
or
ইউনিকর্ন একটি কাল্পনিক এক শিংওয়ালা প্রাণী। বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ বইয়ের কভারে একটি ইউনিকর্নের ছবি দেওয়া আছে। উদ্যোগের ক্ষেত্রে উইনিকর্ন হল, যেসব উদ্যোগের ভ্যালুয়েশন অন্তত এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। পৃথিবীতে এমন শত শত ইউনিকর্ন উদ্যোগ আছে। সেসব থেকে বেছে ১৩ টি বিলিয়ন ডলার উদ্যোগের গল্প বলা হয়েছে “বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ” বইয়ে। যেসব উদ্যোগের ভ্যালুয়েশন এক বিলিয়ন ডলার, তাদের গল্প বলা হয়েছে। কেমন করে বিলিয়ন ডলারের উদ্যোগ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত গেল, তার বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই বইয়ে। তরুণ বয়সে কর্মজীবনে প্রবেশ করার সময় সবার মনে প্রশ্ন থাকে, চাকরি না ব্যবসা? কেউ চাকরির জন্য ছোটেন, কেউ ব্যবসায় থিতু হতে চান। কেউ কেউ বড় স্বপ্ন দেখেন, উদ্যোক্তা হবেন। অনেকের আইডিয়া থাকে, আইডিয়াকে মাঠে নামাতে পারেন না। যারা আইডিয়া যেমনই হোক, নিজের উদ্যোগ নিয়ে মাঠে কাজে লেগে থাকেন, সাধারণত তাদের উদ্যোগ সফল হয়। বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ আইডিয়াকে সফল করার জন্য মাঠে লেগে থাকার শ্রেষ্ঠ গল্প নিয়ে লেখা। যেসব উদ্যোগ একসময় বিলিয়ন ডলার কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে, তাদের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পথচলা কেমন ছিল? তারা কি ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন? কীভাবে টিকে গেলেন? কেমন করে তাদের ব্যবসা শূন্য থেকে বিলিয়ন ডলারের ভেঞ্চার হলো, এসব নিয়ে এই বই। যারা নিজের উদ্যোগে লেগে থাকেন, কঠিন সময়ে শক্তভাবে টিকে থাকেন, তাদেরকে কেউ কেউ বলেন তেলাপোকা উদ্যোক্তা। বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ বইয়ে এমন উদ্যোগের কথা আছে। কিছু উদ্যোগ অনেক সময় নিয়ে বিলিয়ন ডলারের উদ্যোগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দশ-বিশ বছর নিরবচ্ছিন্ন লেগে থাকার মাধ্যমে সাফল্য এসেছে। কেউ ছয় মাসে মিলিয়ন ডলারের মালিক হয়ে গেছেন। আইডিয়ার ক্ষেত্রে এই বইয়ে বলা প্রায় সব আইডিয়াই ইউনিক। সাধারণত আগে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আবার বাজারে একইরকম উদ্যোগ আছে, তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে, সিম্পলিসিটি প্রয়োগ করে আইডিয়াকে বাস্তবে অন্যদের থেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গল্প এই বইয়ে আছে। বইয়ের শুরুতে একটা ভূমিকা আছে। যেখানে লেখক মুনির হাসান কেন এই বই লিখলেন, বলা আছে। অনেকেই লেখককে চেনেন। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তরুণদের মধ্যে তিনি জনপ্রিয়। এছাড়া তাঁর বহুমাত্রার কার্যক্রম আছে। যেমন, তিনি একটি সংগঠন তৈরি করেছিলেন উদ্যোক্তাদের জন্য- "চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব"। এমন একটি প্লাটফর্ম তৈরি করেছেন যেখানে নবীন প্রবীণ উদ্যোক্তারা নিজেদের উদ্যোগকে সফল করতে কাজ করেন। এছাড়া দীর্ঘদিন উদ্যোগের খোঁজখবর আর লেখালেখি করে উদ্যোক্তাদের পথচলা সম্পর্কে মুনির হাসান একজন বিশেষজ্ঞ। দেশীয় উদ্যোগ নিয়ে প্রথম আলোতে নিয়মিত লিখেছেন। উদ্যোক্তাদের মার্কেটিং বিষয়ে বই " গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং" বেস্টসেলার হয়েছে। উদ্যোক্তারা প্রশংসা করেছেন। এরপর শরবতে বাজিমাত, ইমোশনাল মার্কেটিং একইভাবে পাঠকপ্রিয় হয়েছে। গত এক বছর ধরে মুনির হাসান উদ্যোক্তাদের জন্য গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং নামে একটি কোর্স করিয়েছেন। ব্যবসায় গ্রোথ বিষয়ে শেখানোর এক পর্যায়ে এসে লিখেছেন বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ। ১৩ টি বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপের ভেতরের গল্প নিয়ে এই বই। কেমন করে একটি আইডিয়া বাস্তবে মাঠে নামিয়ে গ্রোথ হ্যাক করে ইউনিকর্ন হয়ে ওঠে, তার বিস্তারিত বিবরণ আছে এখানে। এই বই কেন পড়া জরুরী? এর উত্তর হল উদ্যোগ শুরু করে কেমন করে লেগে থাকলে সাফল্য আসে, সেটা বলা আছে এখানে। বইটির সবচে ভালো বিষয়, প্রতিটি উদ্যোগের গল্প বলা শেষে লেখক উদ্যোগটি সফল হওয়ার কারণ পয়েন্ট আকারে পাঠকের জন্য তুলে ধরেছেন। একইভাবে আমরা কী শিখলাম সেটাও আছে। ফেসবুক, নেটফ্লিক্স, এয়ারবিএনবির মতো প্রতিষ্ঠান নিয়ে যেমন আলোচনা আছে, আমাদের দেশের বিলিয়ন ডলারের উদ্যোগ গ্রামীণফোন নিয়েও একটি অধ্যায় আছে। গ্রামীণফোনের উদ্যোক্তা ইকবাল কাদির থেকে লেখক অনুপ্রাণিত হয়েছেন। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে ইকবাল কাদিরকে। বইটি প্রকাশ করেছে আদর্শ। মূল্য: ৩০০ টাকা। বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীর স্টলে বইটি পাওয়া যাবে। বইমেলা স্টল নম্বর ৩৮-৪১।
Was this review helpful to you?
or
স্টার্টআপ মানে একটি নতুন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা। একটি নতুন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির ভ্যালু যখন ১ বিলিয়ন ডলার হয়ে যায় তখন সেটাকে বলে ইউনিকর্ন। এই বইয়ের প্রচ্ছদে তাই রয়েছে কাল্পনিক প্রাণী ইউনিকর্নের ছবি৷ কিন্তু এই এক বিলিয়ন ডলার মানে কত টাকা? প্রায় ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা! তাই বোঝাই যাচ্ছে একটি নতুন প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির পক্ষে হাজার কোটিতে পৌঁছানো কতটা জটিল ব্যাপার! লেখক মুনির হাসান এ বইতে ভিন্ন আঙ্গিকের ১৩টা স্টার্টআপ নিয়ে কথা বলেছেন। এখানে যেমন ফেসবুকের কথা রয়েছে, তেমনি রয়েছে বেডিং কোম্পানি ক্যাসপারের কথা। আবার, নেটফ্লিক্সের উত্থানের সাথে সাথে পেপালের কর্মীদের কেন মাফিয়া বলা হয় সে গল্পও বলেছেন। তিনি নতুন করে শুরু হওয়া একটি প্রতিষ্ঠান কিভাবে ইউনিকর্ন হয়ে উঠে তা শুরু থেকে বর্ণনা করেছেন। তাই পড়ার সময় মনে হচ্ছিল যেন সেইসব কোম্পানীর পেছনের লোকদের গল্প পড়ছি। তার নানান ব্যাখ্যা পড়ে বুঝতে পারছিলাম একটা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে নেয়ার জন্যে উদ্যোক্তাদের কত ধৈর্য ধরে একটা আইডিয়ার পেছনে কাজ করতে হয়। যেমন ধরুন ফ্লিপকার্টের কথা, ইন্ডিয়ার এ ই-কমার্স সাইটের নাম আমরা হয়ত সবাই শুনেছি। এই একটি সাইট দাঁড় করানোর জন্যে দুই বন্ধু ওয়েবসাইট বানানো থেকে অর্ডার ডেলিভারি সব নিজেরাই করেছেন৷ তবুও যখন তারা এ ওয়েবসাইট থেকে তেমন রেসপন্স পাচ্ছিলেন না তখন সবাই তাদের পরামর্শ দেয় এসব না করে চাকরি করার জন্যে। কিন্তু সেসময় তারা তাদের সিন্ধান্তে অটল ছিলেন। আর এখন ফ্লিপকার্টের বর্তমান অবস্থা তো আমরা জানিই! ঈসা ভাইদের গল্পটাও বেশ উৎসাহমূলক। দুই ভাই বাবার পেট্রল স্টেশনে কাজ শুরু করেছিলেন টয়লেট ক্লিনার হিসেবে। তারপর অভারটাইম কাজ করে টাকা জমিয়ে নিজেরাই কিনে ফেলেন একটা পেট্রল স্টেশন। আর তারপর তাদের উদ্ভাবনী চিন্তা, ধৈর্য আর সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়ে তারা যে সামাজ্য গড়ে তুলেছেন তা এই বইয়ের বর্ণনা থেকেই বোঝা যায়। আর প্রথম কাহিনী হিসেবে পেপালের কাহিনী তো পুরাই জোস। একটা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে এসেছে এতগুলো লোক যারা প্রত্যেকেই এক এক প্রতিষ্ঠান। এই মাফিয়াদের কথা আর না বলি৷ পরে স্পয়লার এলার্ট হয়ে যাবে। তবে সবচেয়ে বড় চমক আমার জন্যে অপেক্ষা করছিল সবার শেষে। যখন জানতে পারলাম আমাদের দেশেও রয়েছে এক বিলিয়ন ডলার কোম্পানি! বইতে বর্ণনা করা হয়েছে সেটাও। এতগুলা কাহিনী পড়ে আমার একটা ব্যাপারই মনে হয়েছে- একটি আইডিয়াকে ব্যবসায় রুপান্তর করা এক জিনিস, আর সেই আইডিয়ার প্রতি বিশ্বাস রেখে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাওয়া আরেক জিনিস। প্রথম ব্যাপারটা আমাদের দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে থাকলেও দ্বিতীয় ব্যাপারটার মধ্যে এখনো অনেক ঘাটতি রয়েছে। এই বইতে লেখক মুনির হাসান যেমন ১৩জন উদ্যোক্তার কঠিন সময়, উত্থান-পতনের নানান অভিজ্ঞতা বলে গেছেন, তেমনি ব্যাখ্যা করেছেন তাদের সিন্ধান্তের পেছনের কারনগুলো। তাই মনে হয়েছে, এ তথ্যবহুল লিখা তরুণ উদ্যোক্তাদের ভবিষ্যত পথ পাড়ি দিতে অনেক সাহায্য করবে।
Was this review helpful to you?
or
আমি ১টা startup এর Co-founder, এই বই পড়ে নিজের startup কে এগিয়ে নেওয়ার সাহস পেয়েছি৷ বিশেষ করে airbnb এর story টা, আমাদের সাথে মিলে যায়৷
Was this review helpful to you?
or
বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ! বুক রিভিউ বিলিয়ন ডলার মানে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা! পেপাল, ফেইসবুক, ইন্সটাগ্রাম, নেটফ্লিক্স, ক্যাসপার, স্লাক, ফ্লিপকার্ট , জোহো , হোয়াট’স অ্যাপ, এয়ার বি এন বি,গ্রামীণ-ফোন এই কোম্পানি গুলো নিয়ে পুরো বই! রিভিউ আমি তিন ভাগে মিশেল করে দিচ্ছি, কি কি ভালো আমার লেগেছে! আর কি কি এক্সপেকটেশন ছিল আর আমার নিজের কি কি মনে হয় ব্যাবসা গুলো নিয়ে। বই তো আমরা অনেক পড়ি, সারা রাত দিন বই পড়ে আমারা দুই তিন মাস পরে একদম ই ভুলে যাই কি পড়েছিলাম, এ থেকে বাচার জন্য আমরা নোট নেই, কিন্তু একটা বই থেকে কি কি শিখলাম এই ধরনের নোটস আমরা নেই না,লেখক মুনির হাসান এই যায়গায় আমি বলব খুবি উপকারি একটা কাজ করেছেন। প্রায় প্রত্যেকটা ব্যাবসার গল্প বলার পরে উনি এমন একটা নোটস জুড়ে দিয়েছেন, ইংলিশ এ এই টার্ম কে বলে, Take Away। আরো ভালো হত নিজের জন্য নোটস রাখার ছোট্ট একটা জায়গা দিলে, আরো ভাল হতো এই বই এর সব গুলো পাঠক এর নেয়া নোটস পড়ার উপায় থাকলে! ছোট্ট একটা ওয়েব ইন্টারফেস থাকা আর কি! আমার দেখা এরকম অনেক বই আছে যেগুলো পড়ে এক একটা আলাদা ব্রান্ড হয়ে গেছে! [https://www.the1thing.com/] আমার খুবই প্রিয় বই THE ONE THING কিছুটা এমন! ধন্যবাদ Take Away সেকশন টা রাখার জন্য। এই বইয়ে লেখা’র একটা প্যাটার্ন আছে! লেখক ইচ্ছা করেই বার বার অনেক যায়গায় আগের গল্প থেকে সেই প্যাটার্ন নিয়ে পরের কোম্পানির গল্পে কিছুটা মিল রেখেছেন! যেন পাঠকের মাথায় কি পয়েন্ট গুলো ঢুকে যায়। প্রায় সব কোম্পানির গল্পে নিচের পয়েণ্ট গুলোতে মিল ছিল, এই ব্যাপার গুলো সবার মধ্যে ঢুকে যাক আমার মাথায়ও ঢুকে যাক। ১। ৮ হাজার কোটি টাকার ধান্দা একলা করা মুস্কিল, দরকারে একজন, দুই জন বা আরো অনেক জন নেয়া যাইতে পারে! তবে সাবধান! কো-ফাউন্ডার নেয়া আর বিয়ে করার মধ্যে তফাৎ কম! ব্রেকআপ খচ্চা অনেক! পরের লাইনটা বইয়ে নাই, তবে আশা করছি লেখক এ নিয়ে আরেকটা বই এর মধ্যে লিখে ফেলবেন। ২। পেপাল, স্লাক এগুলোর প্রোডাক্ট জার্নি দেখুন! সব কোম্পানি নিজেদের টিকে থাকার জন্য দরকারে পুরো প্রোডাক্ট-ই পরিবর্তন করেছে! ইন্সটাগ্রাম এর ক্ষেত্রেও একই! মানে আপনার যদি একভাবে কাজ না হয় আরেক ভাবে ট্রাই করা, সেটা খুব দ্রুত বুঝতে পারতে হবে যে এই প্রোডাক্ট কাজে দিবে না, প্রোডাক্ট কাজে না দিলেও আমার বর্তমান টিম, ইনভেস্টমেণ্ট,কারেন্ট সেটআপ দিয়ে দ্রুত আরেকটা জিনিস বানিয়ে ফেলা যায়। স্লাক এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ৩। যারা একটা বানাইতে পারে তারা অনেক গুলোও বানাইতে পারে, ফেসবুক দেখেন নিজেরা শক্ত হবার পরে কত গুলা কোম্পানি নিজের করে নিয়েছে! নিজের টিকে থাকার জন্য হউক আর লাভ বাড়ানোর জন্যই হউক। একইভাবে পেপাল মাফিয়া দের কথাই ভাবুন, এক এক জন পেপাল থেকে বেড় হয়ে কি কি কোম্পানি বানাইছে! মানে যারা একবার পারে তারা আরও অনেক বার পাড়বে! একবার ব্যাপার টা বুঝে ফেলা খুব গুরুত্বপূর্ণ! ৪। আমেরিকার এক প্রফেসর আমার ভার্সিটিতে পড়াইতে আসেন একবার, উনার সাবজেক্ট ছিল, ডাটা মাইনিং, তো উনি একটা গল্প বললেন! গল্পটা এমনঃ আগারওআল নামে এক ভদ্রলোক চেইন সুপারশপ এর বেচা কেনার প্যাটার্ন দেখে বুঝলেন যে ‘ যে সব লোক চাকুরী করে, আর সন্ধ্যা বেলা বেবি ডায়পার কিনে, সে সব লোক আবার বিয়ারও কিনে! তো সেই সুপারশেপ বেবি ডায়পার আর বিয়ারের কেইস অনেক দূরে দূরে থাকত! নতুন ফাইন্ডিং এর পরে কিন্তু সেগুলো একসাতে রাখা হল, তাতে বিয়ারের সেলস বেড়ে গেল অনেক গুন! বড় হইতে চাইলে কিন্তু এই গুন থাকা লাগবে, ইজি কোম্পানি দেখেন, পেট্রোল পাম্প এর পাশেই বাজার বসায়া দিছে! তাতে সেলস বেড়ে গেল অনেক গুন, ফেইসবুক শুধু নতুন বন্ধু খোজা বা ভার্সিটিতে বসে থাকে নি, একের পরে এক সার্ভিস এড করেছে, আগের সার্ভিস নির্দ্বিধায় পরিবর্তন করেছে, গুগল আর শুধু সার্চ ইঞ্জিন থাকেনি, কিংবা জুহু শুধু একটা সার্ভিস নিয়ে বসে নেই। লেখক বার বার এগুলো লিখেছেন! উদ্ভাবন থেমে থাকা যাবে না অন্তত নেটফ্লিক্সের জার্নি তাই বলে! ভাড়া করা সি ডি’র ধান্দা আমার গ্রামেও ছিল! ছিল না শুধু উদ্ভাবন। বিলিয়ন ডলার ব্যাবসার মূল ব্যাপারটাই এখানে! ৫। সঞ্চয়! প্রায় সবার মধ্যেই কমন ব্যাপার হচ্ছে সবাই সঞ্চয় করেছে। যেটা দিয়ে তারা পরে নিজের বিলিয়ন ডলার জার্নি শুরু করেছে, প্রোডাক্ট আর মার্কেট রেডি হবার পরে বা স্কেল করার সময় তারা ইনভেস্টমেন্ট নিয়েছে! কমন , কমন , সঞ্চয় একবারেই কমন! পেপালের লাভ দিয়ে আরামসে ইলন মাস্ক বসে পার্টি করে জীবন পার করেনি বরং আগ্রেসিভলি ইনভেস্ট করে পরের বিলিয়ন ডলার জার্নি তে। কৌম! তার ক্ষেত্রেও ব্যাপার একি ! ৬। শুধু টেক ডোমেইন এ বিলিয়ন ডলার ব্যাবসা হয়, এই থিওরি ধরে থাকলে হবে না, ক্যাসপার কিংবা ইজি’র পেট্রল পাম্প এর ধান্দা কিন্তু সে কথাই বলে! আমার মনে হয় লেখক এই ধারনার খুবি শক্ত বিশ্বাসী! ৭। লেগে থাকার ক্ষমতা! তেলাপোকা হবার ক্ষমতা থাকা লাগবে, চার পাচ বছর ব্যাবসা করে টাকা পয়সা হয়ে গেলে ঘুমাবেন আর আরামসে খাবেন ব্যাপার টা মোটেও সেরকম নয়! লেগে থাকা লাগবে, airBnB কিভাবে ২০০৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই করোনার মহামারীতেও টিকে আছে? ইঞ্জিনিয়ার না হয়েও শুরু করা যায়, টাকা না থাকলেও শুরু করা যায়, airBnB’র সাথে অন্য সবার পার্থক্য হচ্ছে এদের সঞ্চয় একেবারেই ছিল না, সঞ্চয় না থাকলে হয়ত ২০০৭ থেকে ২০২১ ! এদের সময় আরো কম লাগতে পারত। প্রায় ১৪ পৃষ্ঠার এই গল্প আপনাকে বার বার পরা লাগবে, এখানে থেকে অনেক কিছু নেবার আছে! আমাদের দেশেও আবাসন সমস্যা প্রথম ৫/৬ টা সমস্যার মধ্যে একটা! গ্রাম থেকে ঢাকায় চাকুরি করা পর্যন্ত একটা মানুষের লাইফ সাইকেলে আবাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার, আমাদের বেতনের প্রায় ৩০ ভাগ বা ৪০ ভাগ চলে যাছে ভাড়া দিতেই! যে লোক ঢাকায় সরকারি কাজে আসে, পরীক্ষা দিতে আসে, মামলার কাজে আসে, চিকিৎসার কাজে আসে, কোচিং করতে আসে তাদের থাকা খাওয়া নিয়েও কিন্তু আমাদের অনেক কিছু করার আছে! লেখক হয়তো নিজের পছন্দ থেকে বা আমাদের প্রয়োজন মেটানোর জন্যই হউক এতো বড় চ্যাপ্টার দিয়েছেন, আমার জন্য অন্তত এই চ্যাপ্টার খুবই গুরুত্বপূর্ণ! থাকা খাওয়া নিয়ে আমার একটা ছোট্ট আর এন ডি চলছে! একথায় প্যাটার্ন আর ভিন্নতা সব কিছুই আছে এই বইয়ে,বই এর সব গুলো ব্যাবসার মোট টাকা হিসেব করলে আমার পুরো পেইজ লেগে যেতে পারে, তো এতো গুলো ব্যাবসার ডিটেইল এক বইয়ে কোন ভাবেই আনা সম্ভব নয়! কনডেন্সড যতটুকু ছিল, ততটুক পড়ে মনে হয়েছে বাহ! অনেক গুলো থিঙ্কিং নোড পাওয়া গেছে, যেমন ‘পি আর’ ব্যাপার টা আমি আগে জানতাম না, airBnB’র এতো লম্বা জার্নি জানতাম না, ফেইসবুকের ডোমেইন থেকে the , মানে মাত্র তিনটা লেটার রিমুভ করতে এতো টাকা লেগেছে জানতাম না! ১০০ খানেক আরো TAKE AWAY আছে! জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে।
Was this review helpful to you?
or
প্রকাশ হবার আগেই লেখকের নানা লেখালেখি থেকে এই বইয়ের কিছু গল্প আমার আগেই পড়া হয়েছিল। পড়া শেষে অপেক্ষা করতাম আরেকটি গল্প কখন লিখবেন! বইটি পেয়ে তাই একটানে সব পড়ে ফেললাম। লেখক খুব সাবলীলভাবে লেখেন, এই বইতেও লেখকের গল্প বলার সেই মুন্সিয়ানার ব্যাতিক্রম ঘটেনি। লেখক বইটি শুরু করেছেন, পেপাল মাফিয়াদের গল্প দিয়ে আর শেষ করেছেন 'মাত্র পাঁচ মাসেই কোটিপতি' হওয়া অ্যালেক্স টিউ এর গল্প দিয়ে, যিনি নিজের পড়ার খরচ জোগাড় করতে গিয়ে কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে শুধু একটি ওয়েবসাইটের ভার্চুয়াল জায়গা বিক্রি করে হয়েছেন কোটিপতি। এই ওয়েবসাইটটি করতে উদ্যোক্তা খরচ করেছেন মাত্র ৫০ ডলার। ইন্টারনেট ইতিহাসের এ এক অনন্য ঘটনা। পুরো গল্পটি জানতে আপনাকে বইটি পড়তে হবে। আমি যখন গ্রামীন সফটওয়্যার এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান গ্রামীন স্টার এডুকেশনে কাজ করি, তখনো জানতাম না - গ্রামীনফোনের ফাউন্ডার আসলে কে? শুধু এটুকু জানতাম, গ্রামীন টেলিকমের অংশ রয়েছে গ্রামীনফোনে। অনেক পরে মুনির ভাইয়ের এক লেখাতে প্রথম জানলাম, বাংলাদেশের এক স্বপ্নবাজ প্রফেসর গ্রামীনফোনের প্রতিষ্ঠাতা, যিনি আমেরিকার খুবই নামকরা এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতেন। এই গ্রামীনফোন বাংলাদেশের বিলিয়ন ডলার কোম্পানি! এটি জেনেছি, "বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ" বইটি পড়ে। উনিই বাংলাদেশে আধুনিক স্টার্টআপ ধারণার প্রবর্তক। এমন সব খুঁটিনাটি জেনেছি, মুনির হাসানের "বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ" বইটি পড়ে। 'Connectivity is productivity - সংযুক্তিই উৎপাদনশীলতা।' এই আপ্ত বাক্যটি আমারো খুবই প্রিয়। অসাধারণ এই বাক্যটি এই বাংলাদেশের বুকে বিলিয়ন ডলার একটি স্টার্টআপের জন্য দিয়েছে? তেলাপোকা উদ্যোক্তা Airbnb এর গল্পটি পড়ে আমি সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছি। ২৬ পৃষ্ঠা জুড়ে সবচাইতে বড় এই বিলিয়ন ডলার প্রতিষ্ঠান গড়ার গল্পটি লেখক আমার মনের মত করে লিখেছেন। সর্বহারা উদ্যোক্তাদের এই দলটি কেমন করে বছরের পর বছর লেগে ছিলেন নিজের এক আইডিয়ার পেছনে, তা অবাক হয়ে পড়েছি এই গল্পে। লেগে থাকলেও তারা কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে ভেঙ্গেচুরে খাঁটি হীরা হয়ে ওঠেছেন। টিকে থাকার জন্য এর উদ্যোক্তাগণ রাস্তায় সিরিয়াল বিক্রি করেছেন, নিজেদের ক্রেডিট কার্ডে দেনা করেছেন, ব্রেকফাস্ট করার অর্থ পর্যন্ত ফুরিয়ে গিয়েছিল। লেখক শুরু থেকে এই সেদিন পর্যন্ত অর্থাৎ, এই অতিমারিতেও কোম্পানিটি কি করে টিকে রয়েছে তার গল্প বলেছেন। জানেন বিশ্বের "সবচেয়ে বড় রিয়েল এস্টেট কোম্পানি Airbnb-এর নিজের কোনো রিয়েল এস্টেট নেই"। অসম্ভব ভালো লেগেছিল, Flipkart.com এর দুই বন্ধু শচিন আর বিনি কি করে হেসেখেলে ২৫ বিলিয়ন ডলার কোম্পানির মালিক হলেন? তাঁরা দুজন অনলাইনে কিছু বিক্রি করার চিন্তা করে ‘কি করে’ ফেইল করেছিল। তারপর সেই উপলদ্ধি থেকে আমাজন ডট কমের ভেতর থেকে দেখা এই দুই ইঞ্জিনিয়ার গ্যাপ গুলো খুঁজে বের করলেন এবং তার পেছনে ছুটলেন। কুড়িয়ে পাওয়া তাদের প্রথম কাস্টমারকে কি করে সার্ভ করেছেন, তা জেনে আপনিও আনন্দিত হবেন। বই বিক্রি দিয়ে শুরু হয়েছিল তাদের। 'দুজনই জুতা সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ, মানে ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার ডেলিভারি তারাই করেছেন। ২০০৭ সালে তারা মোট ২০টি অর্ডার পান। ধীরে ধীরে তারা একটু মোমেন্টাম পেতে শুরু করলেও কেউ কোনো দিন স্বপ্নেও ভাবেনি ফ্লিপকার্ট একদিন এত বড় হবে।' অথচ আমরা সমস্যা খুঁজে তার গভীরে প্রবেশ করিনা, বরং সমস্যা বোঝার আগেই সমাধান করে ফেলি। '২০০৯ সালে ফ্লিপকার্ট ৪ কোটি রুপির বই অনলাইনে বিক্রি করতে সক্ষম হয়।' কিভাবে? পড়ুন "বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ" বইটিতে। বারবার কয়েকটি প্রজেক্টে ফেইল করতে করতে উপায় না পেয়ে নিজেদের টিমের মধ্যে ইন্টারনালি যোগাযোগের একটা উপায়কে এর উদ্যোক্তারা মার্কেটে নিয়ে আসে। এটি slack এর গল্প। টিমের মধ্যে যোগাযোগের জন্য 'দেখা গেল এটি বেশ কাজের। কাজের বলেই প্রতিদিন ১ কোটি ২০ লাখ টিম এই সেবা ব্যবহার করে।' এই সেদিন, বাংলাদেশ সময় ১ ডিসেম্বর ২০২০ 'CRM Software এর পুরোধা সেলসফোর্স মাত্র ২৭.৭ বিলিয়ন ডলারে স্ল্যাককে কিনে নিয়েছে!!! তো, কেন স্ল্যাকের দাম উঠল ২৭.৭ বিলিয়ন ডলার? তারা কোম্পানিকে টিম না বলে কাদের কে টিম বলছে? তাদের এই কনসেপ্ট কতটা শক্তিশালী? জানুন, "বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ" বইটি পড়ে! পুরনো ব্যবসাকে নতুন মোড়কে সাজিয়ে ১০০ মিলিয়ন মানুষের ভালোবাসায় ভর করে ১৯৯৮ সালে স্থাপিত একটি কোম্পানি এখন প্রায় ১৯০ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই সাফল্যের চূড়ায় উঠতে তারা নিজেদের ঢেলে বারবার সাজিয়েছে। কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা 'রিড হ্যাসটিংস চিরাচরিত ব্যবস্থাপনার নীতি থেকে বেরিয়ে এসে কর্মীদের স্বাধীনতা ও তাদের দায়িত্ববোধের প্রতি বেশি জোর দেন', যা আসলে নো রুলস রুলস হয়ে ওঠে। তারা এখন ২২০ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি, ভাবা যায়? নেটফ্লিক্সের এই আকাসচুম্বী সাফল্যের আরো ভেতরের গল্প জানার আগ্রহ ছিল আমার। লেখক এখানে খুব কার্পন্য করেছেন লিখতে। এত ছোট করে লিখেছেন যে, আমি হতাশ না হয়ে পারিনি। তবে উনি বলেছেন, তাদের নিয়ে একটা ডিটেইল কেস স্টাডি লিখবেন। অপেক্ষায় রইলাম, বাকী 'আল্লাহ ভরসা'। 'বেচতে জানলে লুঙ্গি কি, বেডিং কি... শুধু আইটি কোম্পানিই বিলিয়ন ডলার হয়ে ওঠেনি। ক্যাসপার নামের আমেরিকার একটি স্টার্টআপ বেডিং (ম্যাট্রেস) বিক্রি করে ১.১ বিলিয়ন ডলারের (১১০ কোটি ডলার) কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে!!! প্রথমবার এই গল্পটি পড়ে আমি অবাক হয়েছি, 'ক্যাসপার কেন পারল'? কেমন করে পারল? গল্পটি খুব ছোট হলেও, দারুন লেগেছিল টয়লেট ক্লিনিং থেকে কি করে বিলিয়নিয়ার হয়েছিলেন মোহসিন ঈসা ও যুবের ঈসা নামের এই দুই ভাই? তারা মূল ব্যবসাটা বোঝার পর, আর কি করেছিল বাড়তি আয় করতে? ZOHO'র ব্যাপারে আমি জেনেছিলাম অনেক আগেই। কিন্তু এই বইটি থেকে জোহোর প্রতিষ্ঠাতা খালি পায়ের বিলিওনিয়ার এক শিক্ষকের গল্প পড়ে শ্রদ্ধায় ভরে গিয়েছিল মনটা। ১৩ মিলিয়নেরও বেশি ইউজার নিয়ে ZOHO এখন পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক ব্যবসা গুলোর একটি। ZOHO স্যুটে ৪৫টির বেশি App আছে, যা ছোট থেকে বড় যেকোন সাইজের ব্যবসা ব্যবস্থাপনায় কাজে লাগে। এর প্রতিষ্ঠাতা ভারতের শ্রীধর ভেম্বুর ইচ্ছা, 'ব্যবসায় পরিচালনার সব সফটওয়্যার জোহোতে থাকবে এবং কর্মীপ্রতি মাত্র ১ ডলারে তা সবাই ব্যবহার করতে পারবেন।' জোহো, গুগলের জি স্যুট, আর মাইক্রোসফট এর টিমস তো ব্যবহার করলাম। এই বইটি পড়ে সেদিন স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করল, ব্যবসার জন্য আমার দেশেরও এমন সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক একটি টুলস পৃথিবী বিখ্যাত হয়ে উঠবে। হতে পারে সেটি গার্মেন্টসের ERP!!! খুবতো WhatsApp ব্যবহার করেন! সহজ এই অ্যাপটি আসলেই আপনার আমার খুব প্রিয়, তাইনা? জানেন কেমন করে '৯ বছরের জেল!' থেকে বেরিয়ে এসে এর গ্রেট উদ্যোক্তাদ্বয় অসাধারণ এই অ্যাপটি বানিয়েছেন? ওদের কাছ থেকে আমি শেখার চেষ্টা করেছি, 'বন্ধুদের নয়, কাস্টমারদের কথা শুনতে হবে, নজর দিতে হবে কাস্টমার ফিডব্যাকের উপর'। এতসব গল্প পড়তে পড়তে একবারও আমার মনে হয়নি, এর তথ্যসূত্র কি? কারন হতে পারে, আমি মুনির হাসানের গল্পের জগতে ডুবে ছিলাম। বইয়ের শেষে 'তথ্যসূত্র' অধ্যায়টি পড়তে পড়তেও আমি ঠিক বুঝতে পারিনি এটি আসলে বইয়ে বর্ণিত ফ্যাক্টস কে জাস্টিফাই করা হচ্ছে। এমন নন-কনভেনশনাল তথ্যসূত্র আমি বোধকরি এর আগে অন্যকোন বইতে দেখিনি। বইটিতে প্রতিটি গল্পের শেষভাগের "বিশ্লেষন" আমার মতো গাধাকে স্টার্টআপ গুলোর সাফল্যের কারন বুঝতে খুবই সাহায্য করেছে। আপনি যদি উদ্যোক্তা (Entrepreneur) হোন বা হতে চান, তাহলে এই অংশটি আপনাকে আটকাবে! 'বর্তমানে ১৯০টি দেশে প্রায় ৩৬ কোটির বেশি ব্যবহারকারী পেপাল ব্যবহার করেন। পেপালের এখন বাজার তহবিল হলো ২৭৫ বিলিয়ন ডলার!' পেপালের সাফল্যের কারণগুলো খতিয়ে দেখেছেন লেখক এই অংশে। আরো জানবেন, ফেইসবুক থেকে 'শেখার আছে অনেক কিছু'। জানবেন, স্ল্যাকের ধারণা কতটা শক্তিশালী? ফ্লিপকার্টের এর বন্ধুদের কাছ থেকে কি শেখার আছে আপনার মত উদ্যোক্তাদের, বিশেষ করে ই-কমার্সের উদ্যোক্তাদের! তবুও প্রতিটা অধ্যায়ের পর এর শিক্ষনীয় কি ছিলো তা পয়েন্ট আকারে না লিখে নিজ ভাষায় লিখলে ভালো হতো। এটি পাঠক হিসেবে আমার মতামত! শুরুতেই ভুমিকা পড়ে আমি চমৎকৃত হয়েছি। কেন এই বইটি লেখা হয়েছে আর আমাকে কেন বইটি পড়তে হবে তা পানির মত পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। লেখক কেমন করে বইটি লিখেছেন? কেমন করে বইটি লেখার জন্য তথ্য সংগ্রহ করেছেন। কত কত পড়তে হয়েছিল, স্টাডি করতে হয়েছিল - এসব জেনে সত্যিই ভালো লেগেছে। তবে গল্পের পাশাপাশি কেস স্টাডি গুলো আরো বিস্তারিত হলে ভালো হত। কিছু গল্প সংক্ষেপে বলেছেন, তাতে আমার মন ভরে নাই। কিছু লেখা বেশি বড় হয়ে গিয়েছে, কিছু বেশি ছোট। ব্যালান্সড হলে ভালো হতো। আগেই বলেছিলাম, লেখকের ব্লগ থেকে আমি এই বইয়ের কিছু গল্প আগে পড়েছিলাম। কিন্তু পুরো বইতো আর সেখানে ছিলনা। তাছাড়া কাগজের বই, আহা কাগজে ছাপা নতুন বইয়ের ঘ্রাণ!!! আপনিও নিশ্চয়ই শুঁকে দেখেছেন কখনো? তাই লেখকের ফেবু পোস্টে দেখে প্রথমদিনই রকমারিতে প্রি-অর্ডার করে রেখেছিলাম। আর ছাপানোর ২/৩ দিনের মধ্যেই বইটি হাতে পেয়েছিলাম। পড়ার পর কেমন লেগেছিল লিখতে চেয়েছি! শুরুও করেছিলাম, গতকাল তা শেষ হল। তবে এতসবের পরেও আমার মন ভরেনি। একটি বাদে আর দেশি স্টার্টআপের গল্প নেই বইটিতে। আমি আরো বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপের গল্প পড়তে চেয়েছিলাম। এর মধ্যে আমার জানামতে, আমেরিকান উদ্যোক্তা Sara Blakely নিজের অন্তর্বাসের সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে কি করে তার বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ ব্র্যান্ড Spanx-এর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তা এখানে নেই। লেখক অবশ্য বইটি নিয়ে তার ফেইসবুক পেইজ "বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ"-এ পরে সেকথা বলেছেন। এই বইয়ে আইটি কোম্পানির কথাই বলা হয়েছে বেশি। আইটি বাদে অন্য বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ গুলোর কথাও আসতে পারত! বইটির প্রচ্ছদ ভালো, এটি কাল্পনিক ইউনিকর্নের রঙ না হলেও আমার ভালো লেগেছে। বইয়ের ছাপা চমৎকার। কাগজ, বাঁধাই ভালো হয়েছে। বইতে বানান ভুল তেমন একটা নেই। বাক্যগঠন আর শব্দ চয়ন লেখকের নিজস্ব ঢঙ্গেই হয়েছে, আমি যার ফ্যান ! পড়তে পড়তে আপনিও টের পাবেন লেখকের এই মুন্সিয়ানা। বইটি নিয়ে আরো কাজ হবে, লেখালেখি কথা বলা হবে। আমারাও সেপথে হাঁটার চেষ্টা করব। এই প্রত্যাশায় - হ্যাপি রিডিং!!!
Was this review helpful to you?
or
মুনির হাসান স্যার এর লিখা মার্কেটিং বিষয়ক বই ইমোশনাল মার্কেটিং আর গ্রোথ হ্যাকিং মার্কেটিং বইটা আমি পড়েছি । তারপর ভাগ্যক্রমে বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ বইটি এর আর্লি রিডার হওয়ার সুযোগ পাই । বাহ! বেশ সুন্দর এক অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। আমাকে যদি কেউ বলতো প্রথমে বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ বইটির মূলভাব এক লাইনে প্রকাশ কর । যদিও এক লাইনে বলা সম্ভব নয় তবে আমি বলতাম তরুণদের ব্যাবসার সাথে লেগে থেকে স্বপ্ন জয় করার গল্প। বইয়ের নাম শুনলেই যেন মনে হয় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার কোম্পানিগুলোর গল্প ।একদম ঠিক! তবে এই কোম্পানিগুলো প্রথম বারেই কি এই মঞ্চে প্রবেশ করেছে ? একদম ই না , এইসব কোম্পানি শূন্য থেকেই শুরু করেছিলো । বই জুড়ে মোট ১২টি কোম্পানির চড়াই উৎরাই পার করে বিলিয়ন ডলারের মালিক হওয়ার গল্পই লেখক তুলে ধরেছেন। বই পড়ার সময় আমাকে যেই ব্যপারটি একটানা পড়ে যেতে বাধ্য করেছে তা হলো প্রত্যেক গল্পের বিচিত্রতা । প্রত্যেকটি গল্পের যেন আলদা আলাদা অভিজ্ঞতা , অন্যরকম রোমাঞ্চকতা , আর লেখকের সাবলীল উপস্থাপনা করেছে আরও দৃঢ় । ১২টি গল্পের মাঝে কোন গল্পটি আমার প্রিয় সেটা বলা হয়তো বেশ কঠিন হবে তবে আমার কাছে সবথেকে চমকপ্রদ গল্প হলো ক্যাসপারের গল্প । জাজিম বেচেই বিলিয়নার ক্যাসপার । কি আমার মতো অবাক হয়েছেন ? ক্যাসপারের এ সাফল্যের পিছনে কাজ করেছে সাইন্সকে কাজে লাগিয়ে তাদের করা দীর্ঘ আট মাসের মেট্রেস টেস্টিং । মজার ব্যপার তাদের থেকে বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো ঠিকি তবে তারা হার না মেনে সাফল্য ও পেয়েছি ঠিকই। বাঁকি টুকু আর বলছি না নয়তো গল্প পড়ার আসল মজা নষ্ট হবে । বইয়ের সব গল্গগুলোর মাঝে হার না মেনে লেগে থাকার এক মস্ত উদাহরণ হলো এয়ারবিএনবি । তারা বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে চেষ্টা করেছে , সফল হয়নি তখন আবার অন্য আইডিয়া নিয়ে চেষ্টা করেছে , প্রথমে এক বিনিয়োগকারী মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে আবার আবার অন্য বিনিয়োগকারীর কাছে গিয়েছেন । তাদেরকে এজন্য একজন বিনিয়োগকারী নাম দেয় তেলাপোকা উদ্যোক্তা। তবু তারা হেরে না যেয়ে লেগে থেকে শেষ পর্যন্ত তারা আজ সফলতার শীর্ষে । লেখক সবথেকে বইয়ে সব থেকে বেশি পেজ খরচ করেছেন এই গল্পেই। অন্যদিকে নেটফ্লিক্সের আবার নীতি হলো “ নো রুলস নো রুলস” অর্থাৎ যখন যে কেউ ছুটি নিতে পারবে। পড়তে পড়তে স্বপ্ন দেখছিলাম নেটফ্লিক্সে যদি কাজ করতে পারতাম … তবে নেটফ্লিক্সের শুরুর পথচলাও সহজ ছিলোনা। বইয়ের সবথেকে রসের গল্প হলো ইন্সটাগ্রামের সিইওর গার্লফ্রেন্ডের ছোট্ট পরামর্শে বিলিওনার হওয়ার গল্প । এভাবে লেখক ফেসবুক থেকে হুয়াটসঅ্যাপ , যোহো থেকে স্ল্যাক সবার উথানের গল্প তুলে এনেছেন এই বইয়ে । এতো টেক কোম্পানির ভিড়েও লেখক তুলে নিয়ে এসেছেন ঈসা ভাইদের বিলিয়ন হওয়ার গল্প। আর সবথেকে অনুপ্রেরণামুলক দিকটি যেই গল্পে ফুটে উঠেছে তা হলো আমাদের দেশীয় বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ গ্রামীণফোনের চড়াই উৎরাইয়ের গল্পে। এখন আসি এই বইটির আমার ভালোলাগার আরও কিছু কারণ এবং চিরাচরিত নিয়মের বাইরে ব্যতিক্রম কিছু দিক নিয়ে । বইটিতে লেখক সাবলীল ভাষায় গল্পগুলো তার মতো করে বলছেন এবং তার সাথে তাদের গ্রোথের গ্রাফ সংযুক্ত করেছেন তা যেন আমাকে কোম্পানির বেড়ে উঠা পুরা চোখের সামনে ভাসাচ্ছিলো । প্রত্যেক গল্প থেকে কি কি শেখার আছে আমাদের তা লেখক তাও উল্লেখ করেছেন। কারণ ভুমিকাতে লেখক লিখেছেন তার আসল চাওয়া বাংলাদেশে এমন বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ গড়ে উঠুক । তবে আমি পাঠক হিসেবে এই বই পড়ার পর মনে হয়েছে যদি কারো মোটিভেশন শেষ হয়ে আসে তবে এই বইটি তাকে পূর্ণ উদ্যমে ফিরিয়ে আনতেও হবে বেশ কার্যকরী হবে । বইটি প্রকাশিত হয়েছে আদর্শ প্রকাশনী হতে। তাই বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনী এর স্টলে পাবেন ।




