
User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
ভিষণ ভিষণ সুন্দর একটা উপন্যাস। মন ছুয়ে যাওয়া এক গল্প ❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
ভালো একটা বই
Was this review helpful to you?
or
মোটামুটি!নীপার অন্যান্য বইয়ের তুলনায় খুব একটা ভালো না।তবে সমাজে সৌনক এর মতন এমন মানুষ সত্যিই আছে! যারা আমাদের গল্পের নায়ক নামের খলনায়ক!
Was this review helpful to you?
or
অত্যন্ত চমৎকার একটা বই, কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজের জীবনের কথা মনে পড়ে গেলো।
Was this review helpful to you?
or
অনবদ্য লেখনী। চমৎকার উপস্থাপনা। লেখিকার গল্প সবসময় ভালো লাগার কারণ হচ্ছে তার সামাজিক মূলক গল্প লেখার ধরন। তার লেখায় ফুটে ওঠে জীবনের গল্প। ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল হাজার।
Was this review helpful to you?
or
অনেকদিন পর অসুস্থতার মাঝে গল্প পড়ে মনে শান্তি পেলাম।গল্পটা কখনো মনে রাগ উঠিয়েছে,কখনো দুঃখ দিয়েছে, কখনো ফিলিংসটাকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিয়ে গেছে এবং শেষমেষ সেটিসফেকশনটা দিয়ে গেলো।উপন্যাসটা অনেক ভালো ছিলো।
Was this review helpful to you?
or
jossss💓💓💓
Was this review helpful to you?
or
কাছে কিংবা দূরে দিয়ে শুরু। একে একে সবগুলো পড়েছি। বইও কিনেছি কয়েকটা। মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়ি! কাল শ্রাবণের মেঘ বৃষ্টি প্রায় এক বসায় শেষ করেছি! কি যে চমৎকার একটা উপন্যাস! বেশ কটি গল্পের মধ্যে একটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়, মিল ঘুরে দাঁড়ানোর, জীবনকে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়ার। শক্তিশালী মা/খালা/বোন চরিত্রের উপস্হিতি সবসময়ই আলাদা মাত্রা যোগ করে। কখনো পড়তে পড়তে হেসে গড়িয়ে পড়ি, তো কখনো চোখ ভিজে উঠে। নিপার গল্পগুলো প্রেমের হলেও গতানুগতিক গল্প নয়, কোথাও না কোথাও তা জীবনকে ছুঁয়ে যায়।
Was this review helpful to you?
or
#পাঠপ্রতিক্রিয়া #বই- শ্রাবনের মেঘ বৃষ্টি। ব্যস্ততার কারণে চেয়েছিলাম না এখনই পাঠপ্রতিক্রিয়া দিতে। তবে বইটা পড়া শেষে মনেহলো এখন এই মুহূর্তে আমার যে অনুভূতি হচ্ছে সেটা এখনোই লেখা উচিত। কে যানে এরপরে আর এই অনুভূতি টুকু থাকবে কিনা? এক বসাতে শেষ করে ফেলার মতন একটা বই শ্রাবনের মেঘ বৃষ্টি। যে বইয়ের নামটাই এতো স্নিগ্ধ এতো সুন্দর সে বইটা কিরে খারাপ হবে? বইটা পড়তে পড়তে মেঘলাকে মনে হয়েছে খুবই আপন কেউ একদম কাছে প্রিয় একটা মানুষ। যার কষ্টে কাদছি যার খুশিতে হাসছি। যার জীবনের আমূল পরিবর্তন দেখে অবাক হয়েছি অভিভূত হয়েছি। মেঘলারা যে বড্ডো অসহায় হয়। ঘুরে দাড়ানোর মত মেঘলা যে এই সমাজে খুবই নগন্য। কারণ বইয়ের মেঘলার জন্য বটবৃক্ষের মতন বিহান ছিলো।মা না থেকেও মায়ের মতন রোকসনা ছিলো। ছোট হলেও ছায়ার মতো দুটো ভাইবোন ছিলো। সবচেয়ে বড় সম্পদ যার মুখ দেখে হাজার জনম কাটিয়ে দেওয়া যায় এমন একটা অদুরে সন্তান ছিলো। বাস্তব জীবনে কয়টা মেঘলার এমন থাকে? তবে এই মেঘলা সবার জন্য একটা অনুপ্ররেণা হতে পারে। বিপদে কিংবা দুঃখের সময় ভেঙ্গে গুড়িয়ে না গিয়ে নিজেকে শক্ত রাখার অনুপ্ররেণা। শাহনাজ যেটা করেছেন ভুল করেছেন। বাবা মায়েদের একটা সাধারন ভুল ধারনা হচ্ছে বিয়ে দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে অথবা একটা বাচ্চা হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু আদতে কিছুই ঠিক হয় না। তবে বাবা মায়েরাই বোধহয় এই ভুলটা করেন নিজেদের জন্য না সন্তানের জন্য। সন্তানের সুখের জন্য তাদের হাসিমাখা মুখের জন্য। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হয় তার উল্টোটা। যেমনটা মেঘলার সাথে হয়েছে। গল্পের মোর্শেদেরা বাস্তবে অহরহ। এরা কখনো পাল্টায় না। এইসব লোভী মানুষের কাছে টাকাই সর্বোশ। এদের না আছে আত্মসম্মানবোধ আর না আছে মনষত্ববোধ। সাবরিনা কে নিয়ে আমি শুধু একটা বাক্যই বলবো প্রচণ্ড আত্মমর্যাদাসম্পূর্ন একজন মানুষ এই মহিলা। আচ্ছা সৌণকে কোন ধরনের মানুষের পর্যায়ে ফেলা যায়? আত্মমর্যাদাহীন, স্বার্থপর, বিবেকহীন আর কি? এরা নিজেদের ভালোটা ছাড়া কখনোই কি অন্য কিছু দেখেছে? দৃষ্টিকে নিয়ে কিছু বলবো না। তবে দৃষ্টিকে দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা উচিত দৃষ্টির মতন মেয়েদের। হৃদ্য মিষ্টি বাচ্চাটা। এই বাচ্চাটাকে গল্প পড়তে পড়তে মনে হয়েছে একটু আদর করে দিতে পারতাম যদি। যদিও সে বড় হয়ে গেছে এবং আদর একদম পছন্দ করে না। বিহাণ কে নিয়ে কি বলবো। এই নামটা নিলে হাজার হাজার কথা মনের মধ্যে উপচে পরে অথচ লিখার বেলায় কিচ্ছু আসছে না। শুধু এইটুকু বলবো প্রতিটা মেঘলার জীবনে একটা করে বিহান আসুক। যাতে করে মেঘলারা ভেঙ্গে ঘুরিয়ে না যায়। একটা বটবৃক্ষ বা ভরসার হাত নামক বিহান যেন সবার পাশে থাকে। গল্পটা আসলে প্রকৃতি তার ন্যায় বিচার কিভাবে ফিরিয়ে দেয় তারই উৎকৃষ্ট প্রমাণ। বইয়ের কাহিনীতে কোন ফাক-ফোকর নেই তবে প্রচুর পরি মানে টাইপিং মিষ্টেক রয়েছে। শেষের দিকে বোধহয় একটা আধটা লাইনও আসেনি। এই বিষয়গুলো একটু খুব সামান্য ডিস্টার্ভ করেছে। ওভারঅল সুপাঠ্য একটা বই। সবাই পড়তে পারেন। লেখকে বলতে চাই লিখে যান আপনিই আপনার সীমানা তৌরি করবেন এবং আপনি সেটা ভাঙ্গবেন। শুভকামনা আগামী দিনের জন্য।
Was this review helpful to you?
or
বইঃ শ্রাবণের মেঘ বৃষ্টি লেখকঃ সাবিকুন নাহার নিপা প্রচ্ছদঃ লুৎফি রুনা প্রকাশনীঃ উপকথা প্রকাশন মুদ্রিত মূল্যঃ ৩০০ টাকা পৃষ্ঠাঃ ১৭৬ 🌸 সূচনাঃ আষাঢ়ের কান্নায় প্রকৃতি যখন নিস্তব্ধতায় ডুবে গেছে তখন এই বইটি হাতে আমি বসেছিলাম জানালার ধারে। অদ্ভুত ভাবে মেঘ বৃষ্টির এমন একটি দিনে এই বইটি আমার পড়া হয়ে গেলো। কাজের চাপে অর্ধেক পড়েই বই বন্ধ হলো, ক্লান্ত শরীরে রুমে ফিরেও অনেক কাজ আমার দিকে চেয়ে। মাঝপথে ফেলে রাখা ওয়েব সিরিজ, ঝুড়িভর্তি লোভনীয় আম ক্ষুধার্ত আমাকে ডাকছে। এক পা এগিয়ে গিয়েও বিছানায় রাখা বইটির দিকে নজর পরতেই গল্পের বাকিটুকু জানার আগ্রহে আমি সব ছেড়ে বই নিয়ে আবার বসে পড়লাম। 🌸 নামকরণঃ বই যখন পড়ছিলাম তখন নাম নিয়ে ভাবার সময় পাইনি। গল্পের মধ্যে আগ্রহ ছিলো অনেক। কিন্তু শেষ অধ্যায়ে যখন নামটি বিশ্লেষন করা হলো, তখন আমি নামটি নিয়েই কয়েক সেকেন্ড ভেবেছি। এর থেকে অর্থপূর্ণ নাম মনে হয় আর হয় না। 🌸 প্রচ্ছদঃ বৃষ্টির দিনে এমন প্রচ্ছদ দেখে রুমের মধেই বৃষ্টি উদযাপন করা যায়। কিন্তু প্রচ্ছদে অবয় দুটি কার? এ নিয়ে দ্বিধায় আছি। 🌸 লেখকঃ এটি লেখকের দ্বিতীয় উপন্যাস। মেঘের অনেক রং লেখকের প্রথম উপন্যাস হলেও, আমার পঠিত এটিই প্রথম। 🌸 কাহিনী সংক্ষেপঃ অতীত বর্তমান মিলিয়ে লেখা হয়েছে উপন্যাসটি। মেঘলা, বৃষ্টি, সৌণক, বিহান উপন্যাসের মূল চরিত্র। কোনো এক শ্রাবণের ঘন বরষায় সৌণক-দৃষ্টি দম্পতি বিদেশ হতে দেশে ফিরে আসে। উদ্দ্যশ্যে নিজেদের অতীত খুঁজে বের করা। অতীতের কর্মকান্ডের ফল ভোগ করতে, নিজেদের করা ভুলগুলো দেখিয়ে দিতে ভাগ্যই তাদের টেনে এনে দাঁড় করিয়ে দেয় অতীতের মানুষগুলোর সামনে। কোনটা ভালোবাসা আর কোনটা ভালোলাগা এই বিষয়টি যখন কেউ নিজেই বুঝতে পারে না তখন তার সুখের ধ্বংস নিশ্চিত। সব কিছুর উপরে নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখা মানুষগুলো এক সময় সব কিছু পেয়ে যায়। তখন ভাবে তারা পরিপূর্ণ, কিন্তু সময় চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, সে কতো কিছু হারিয়েছে? 🌸 বই বিশ্লেষণঃ আমি যখন বইটা অর্ধেক পড়েছি, তখন ভেবেছিলাম এই বইয়ের রিভিউ লিখতে পারবো না। কারন আমি গতানুগতিক রিভিউ লিখি না। বই পড়ার পর অনুভূতিটুকু সাজিয়ে লিখি। কিন্তু তখন আমার সব অনুভূতি ঘৃণায় বিষিয়ে গেছে। এতোটা অন্ধকার একটা পরিবেশে চলে গিয়েছিলাম, যেখানে স্বার্থপরতার, কুটিলতার জয় জয়কার। এমন হয়েছে আর সহ্য করতে না পেরে আমি বই বন্ধ করে কিছুক্ষণ বসেও ছিলাম। কিন্তু যখন বই শেষ হলো তখন মনে হলো আমার অনেক কথা বলার আছে। বইয়ের শুরুটা বেশ ইউনিক। মানে আমি অনেকদিন ধরে এমন বই পড়িনি আরকি। শুরুর কয়েকটা অধ্যায় শুধু গোলক ধাঁধার মতো সব গুলিয়ে যাচ্ছিলো। অতীতের বর্ণনার খুব প্রয়োজন অনুভব করছিলাম। প্রতিটি পাতার সমাপ্তি বেশ আগ্রহের জন্ম দিচ্ছিলো। অতীত বর্তমানের খামখেয়ালীপনা পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে প্রবলভাবে। বইয়ে সমাজের কিছু ব্যাধির কথা একত্র করে সাজিয়ে লেখা হয়েছে। আমাদের সামান্য কিছু ভুল জন্ম দিতে পারে ভয়ংকর পরিণতি। সহজে বন্ধুবেশে আমাদের উদারতার সুযোগ নিতে পারে অনেকে। আবার বন্ধুবেশে অনেকে ভালোবাসা লুকিয়ে বটবৃক্ষের ছায়াও হয়ে উঠে। নারী যেমন সমাজের দায়বদ্ধতার কারনে মেরুদন্ডহীন পুরুষটিকে ছেড়ে আসতে পারে না, তেমনি সমাজের সামনে মাথা উঁচু করে বাঁচে অনেক সাহসী মেয়ে, সাহসী মা। বইয়ের কিছু অংশে রাগে আমার মাথা ভনভন করছিলো। আবার কিছু অংশ অনেক আবেগ প্রবণ। মেঘলার মায়ের মৃত্যুর বর্ণনায় চোখে জল চলে এসেছিলো। এছাড়া বিহান-হৃদ্য এদের দুজনের সম্পর্কটা খুবই পছন্দের। 🌸 চরিত্র কথনঃ গুরুত্বপূর্ণ না হলেও বইয়ে স্থান পাওয়া প্রতিটি চরিত্রই মনে দাগ কেটে গেছে। √ মেঘলাঃ প্রতিটি মেয়ের জন্য একটি আদর্শ চরিত্র। লোকের কথা, সমাজের কথা পরোয়া না করে যে সব বাঁধা পেরিয়ে এগিয়ে যায়। নিজের উদারতার জন্য ঠকে গিয়ে নিজেকে বদলায়নি, শুধু সচেতন হয়েছে। √ বৃষ্টিঃ বড়লোক বাবার আদুরে মেয়ে। সব পেয়ে বিগড়ে যায়। হয়তো ভালো পরিবেশ এবং গাইড লাইন পেলে সেও খুব ভালো একজন মানুষ হতে পারতো। তবুও নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে, এই অনেক। √ সৌণকঃ মানুষের প্রতি বিশ্বাস উঠে যাওয়ার জন্য এই একটি চরিত্রই যথেষ্ট। শেষে এসে তাও নির্লজ্জের মতো বলছে, তাতে আমার কোনো অপরাধবোধ হয় না। √ বিহানঃ প্রত্যেক মানুষ হয়তো এমন একজন মানুষের সানিধ্য কামনা করে। ভালোবাসা নিজের মধ্যে যত্নে আগলে রেখে হাসি মুখে ঘুরে বেড়ানো, আকাঙ্ক্ষাবিহীন পরিশুদ্ধ ভালোবেসে যাওয়া এই মানুষটির জন্যই বইটি এতো সুন্দর। √ সাবরিনাঃ দায়িত্ব কাঁধে দাঁড়িয়ে দু হাতে বিলিয়ে দেওয়া অন্নপূর্ণা যেনো। এই মহিলাটি আমার অত্যন্ত ভালোলাগার। আদরে-শাষণে খুব আপন একজন মানুষ। যিনি রক্তের সম্পর্কের বাইরেও ভালোবাসতে জানে। 🌸 প্রিয় চরিত্রঃ সকল চরিত্র ছাপিয়ে আমার প্রিয় চরিত্র বিহান। আর ভীষণ আদুরে চরিত্র হৃদ্য। 🌸 প্রোডাকশনঃ উপকথার বই এর আগে একটি পড়েছি। তাদের বাইন্ডিং বরাবরই চমৎকার। বই হাতে পড়ার সময় বেশ আরাম করে পড়া যায়। এই বইয়ের ক্ষেত্রে একটি বিষয় নজরে আটকে গেছে, সেটি হলো- অধ্যায়ের শুরুতে বেশ খানিকটা জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছে। এমনটা না করলে কয়েকটা পাতা কম আসতো। কয়েক জায়গায় প্রিন্টিং মিস্টেক আছে। যদিও পড়তে সমস্যা হচ্ছিলো না। বুঝে নেওয়া গেছে। 🌸 প্রিয় উক্তিঃ ~ মা তোমার গায়ের এই মা মা গন্ধটা আমার ভীষণ ভালো লাগে! সবসময় এই গন্ধটা তোমার গায়ে থাকবে তো? এটা যে আমার ভীষণ দরকার! ~ ভরা বর্ষায় এক গুচ্ছ কদমফুল দিয়ে ওকে বল যে তোর জগত মেঘলাবিহীন শূন্য ~ হৃদ্য তুই যখন বড় হয়ে জানতে পারবি তোর মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভালো মানুষদের একজন তখন তোর অনুভূতিটা কিরকম হবে! ~ ”জীবনে নিজের থেকে বেশি কাউকে ভালবাসবি না আর। নিজেকে বদলে ফেলবি না কারোর জন্য। একটা কথা মনে রাখবি যে তোর দোষ গুণ দেখে ভালবাসবে তাকেই কেবল ভালোবাসবি। আর... এতো ভালো হবার দরকার নেই।” ~ এত মায়া নিয়ে না জন্মে যদি একটু রূপ নিয়ে জন্মাতি তাহলে এতো কষ্ট হতো না। ~ প্লিজ মা তুমি একটু আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরো। আমার বুকের মধ্যে খুব কষ্ট হচ্ছে। ~ “আচ্ছা মা আমার চেহারা তো আমি বানাইনি তাহলে সুন্দর নই বলে সে দোষ আমার কেন? শারীরিক সৌন্দর্য কি সবকিছু? মনের সৌন্দর্য বলে কি সত্যিই কিছু নেই?" 🌸 আলোচনাঃ অনেকদিন পরে কোনো একটি বইয়ে আলোচনা করার মতো কিছু পাচ্ছি না। তবে যারা শব্দের মাঝে গম্ভীরতা খুঁজে বেড়ান, ভারী শব্দ পছন্দ করেন তাদের কাছে শব্দচয়ন হয়তো একটু দূর্বল মনে হতে পারে। আমার আবার ভারী শব্দ বুঝতে কষ্ট হয়। সহজ-সাবলীল ভাষায় বর্ণনা আমার পছন্দ। যেমন ধরুন, মুখ ভার করে আছে কথাটি অনেকের কাছে মুখমন্ডলে আষাঢ়ের মেঘ জমেছে হিসেবেই বেশি ভালো লাগে। 🌸 রেটিংঃ দু হাত ভরে রেটিং দিতে মন চাচ্ছে। তবে ৪.৮ দেই। 🌸 উপসংহারঃ ভালো মন্দ মিলিয়ে জীবন। মন্দ লোকেরা একটা সময় খুব সুখী হয়। তখন আমি আম্মুকে প্রশ্ন করি, “আম্মু ওই লোকটা এতো পাপ করেও দেখো কতো সুখে আছে! অথচ আমাদের দেখো! আম্মু বলে, দুনিয়ার ধার আল্লাহ দুনিয়াতে শোধ করবে। আজ না হয় কাল। কিন্তু ফল পাবেই।” বইটি পড়ে আমি আবার সেই একই প্রশ্নে ডুবে গেছি। কিন্তু দিনশেষে ভালো মানুষেরাই জয়ী হয়। হয়তো কিছু হারিয়ে ফেলে, তবে জিতে নেয় অনেকখানি। অপেক্ষা শুধু সময়ের।
Was this review helpful to you?
or
রিভিউ শ্রাবণের মেঘ বৃষ্টি লেখিকা :সাবিকুন নাহার নিপা বইটি হাতে এসেছে বেশ কিছুদিন আগে।ব্যাস্ততার কারণে পড়তে পারছিলাম না।আমি আবার এক বসায় গল্প পড়ে শেষ করি।মনটা পড়ে ছিলো বইয়ের মঝেই।আজ অবশেষে সেই সুযোগ টা পেলাম।এক নিঃশ্বাস এ পড়ে ফেললাম শ্রাবণের মেঘ বৃষ্টি ।এক মিশ্র অনুভূতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি পুরো টা সময়।কখোনো কখোনো মনে হচ্ছিলো একদম জীবনের গা ঘেঁষে যাওয়া যাওয়া কিছু বাস্তব সত্যের মুখোমুখি হচ্ছি।স্বার্থপরতার চরম সীমা অতিক্রম করে মানুষ আবার নিজেকে সঠিক প্রমাণ করার নির্লজ্জ চেষ্টা করে যাচ্ছে।উপন্যাসটিতে অনেকেই নিজের জীবনের ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার সাথে মিলাতে পারবেন বলে মনে হয়।গল্পটা খুব সুন্দর।গল্পের সমাপ্তি টা আরও অনেক বেশি সুন্দর।ইচ্ছে করে নিজেদের জীবনের সমাপ্তি গুলো ও যদি এতটা সুন্দর হতো! পাঠকের মনের খুব গভীরে যেয়ে ছুঁতে পারার স্বার্থকতা তুমি আবার অর্জন করতে সক্ষম হয়েছো নিপা আপু।
Was this review helpful to you?
or
যারা বই লিখে তাদেরকে আমার ভীষণ ভালো লাগে, আপনার বইটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ুক, বইটি পাঠকপ্রিয় হোক এটি ই আমার চাওয়া। এ পৃথিবী বইয়ের হোক,বইয়ের ভাষায় প্রকাশিত হোক সুখ এবং শোক!❤️
Was this review helpful to you?
or
❤️❤️
Was this review helpful to you?
or
জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়া একটি মেয়ের চমৎকার একটি গল্প। 💕
Was this review helpful to you?
or
রিভিউঃ বইঃশ্রাবণের মেঘ বৃষ্টি লেখিকাঃসাবিকুন নাহার নিপা Betrayal was what I felt, my heart broken not just by a guy I was in love with, but also by, as I once believed, a true friend. — Danka V. শ্রাবণের মেঘ বৃষ্টি বইটি রোমান্টিক জনরার একটি সামাজিক সমকালীন উপন্যাস। সৌণক, মেঘলা,দৃষ্টি,বিহান এই চারজনের জীবন যেন এক মোড়ে এসে আটকে গিয়েছে। সেই মোড় থেকে নানা ঘটনার সূত্রপাত, সেই সূত্রপাতই এই গল্পের মূল প্রতিপাদ্য। এই বইটি পড়তে গিয়ে আমার গ্রিক মিথোলজির মেডুসার কথা মনে পড়ে গিয়েছে।অত্যন্ত সুন্দরী মেডুসা ছিলো এথেনার মন্দিরের পূজারী। তার সৌন্দর্যে অভিভূত হয়ে কামান্ধ পসাইডন তাকে মন্দিরের মধ্যে ধর্ষণ করে।মন্দিরে সঙ্গম নিষিদ্ধ তাই এথেনা মেডুসাকে অভিশাপ দেয় যার ফলে সে কুদর্শী সর্পমস্তকরূপী নারীতে পরিণত হয়। আমাদের দেশে অধিকাংশ নারীর জীবনে দুঃখ অন্য একটি নারী বয়ে আনে।পুরুষের লাম্পট্য,দ্বিধা,দোদুল্যমান মনস্থিতির কারণে একই সাথে দুই নারীর সাহচর্য কামনা করে।তাই তো যুগের পর যুগ এই পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা হয় তাদের হাতের ক্রীড়নক। বইটির কোন অংশ ভালো লেগেছেঃ ১/গল্পের শুরুটা বর্তমান সময়ে হলেও গল্পের চরিত্রগুলো আপনাকে অতীত আর বর্তমানের মধ্যে একটি Time travel করাচ্ছে।এই যে চরিত্রগুলার সাথে আপনি বারংবার স্মৃতির অতলে হারিয়ে যাবেন, পুনরায় আবার বর্তমানে ভেসে উঠবেন আপনি কিন্তু suffocate feel করবেন না।বরং অতীত আর বর্তমানের rendition বেশ ভালো লাগবে। ২/বইটিতে লেখক কিছু কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে দারুণ কিছু সামাজিক মেসেজ দিয়েছেন।যা একজন দায়িত্বশীল নাগরিক রূপে তার পরিচয় বহন করছে। ৩/মানব জীবনের যে রিপু আছে, সেই ষড়রিপুর চমৎকার প্রয়োগ দেখিয়েছেন। পাশাপাশি সেই রিপুর ফলাফলটাও দেখিয়েছেন।লেখার এই স্টাইলটা সাহিত্যে poetic Justice নামে পরিচিত।গল্পের ভালো চরিত্র তার কর্ম অনুযায়ী reward পাবে আর villain চরিত্র তাদের কর্ম অনুযায়ী punishment পাবে।এই poetic Justice, Shakespeare ও তার বেশ কিছু লেখা যেমন othello,taming of the shrew,merchant of venice এ ব্যবহার করেছেন।তবে একজন নব্য লেখিকা হিসেবে খুব চমৎকারভাবে শুধু ব্যবহারই করেননি তার নিজের উৎকৃষ্ট সাহিত্য রচনার পরিচয় দিয়েছেন। ৪/মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনী খুব অল্প কথায় একজন জাদুকর হুমায়ুন আহমেদই লেখে গিয়েছেন।কিন্তু হুমায়ুন সাহিত্যের ডালপালা ছেড়ে নিজস্ব মেধা,স্টাইল আর শব্দ চয়নে নিজের স্বতন্ত্র একটি স্বাক্ষর বহন করেছেন। ৫/খুব সহজবোধ্যভাবে গল্প বলে যাওয়া এবং একই সাথে মননে মস্তিষ্কে আঘাত করার মতো দক্ষতা সবার থাকে না।সেই দক্ষতায় লেখক পারদর্শীকতার পরিচয় দিয়েছে। ৫/অনলাইনে যেহেতু পূর্বে বেশ বড় অংশ শেয়ার করা হয়েছে তাই লেখক চমৎকার কিছু twist and turns এর মধ্যে দিয়ে নতুন flavour এনেছেন। ৬/সৌনক,মোর্শেদের স্বার্থপরতা দেখে যখন ক্ষোভে ফেটে পড়ছি তখন ভূমি,নাফিস,অনামিকার মা এদের সবার মানবিক আচরণ দেখে আপ্লুত হয়েছি।একজন পাঠকের মনের সব emotion নিয়ে সাহিত্য রচনা বেশ কঠিন। কেন পড়বেন বইটিঃ ১/যদি আর কারে ভালোবাসো,যদি আর ফিরে নাহি আসো,তবে তুমি যাহা চাও তাই যেন পাও, আমি যত দুঃখ পাই গো! এটা একবিংশ শতাব্দী,আজকের নারী আঘাত পেয়ে ঘরের কোনে মুখ লুকিয়ে থাকার নয়।বরং নিজের পূর্ণ সত্ত্বায় বিকশিত হয়ে, আঘাতকারীর চেয়েও নিজেকে উচ্চ মর্যাদায় আসীন করতে সক্ষম। ২/যারা ভাবেন ভালোবাসা একবারই হয় তারা বইটি পড়ে বুঝতে পারবেন,সঠিক ভালোবাসা সঠিক সময়ে আসবেই। ৩/হটকারী সিদ্ধান্তকারীরা শাহনাজের ডিসিশন দেখে বুঝবে এর পরিণতি কতোটা ভয়াবহ। ৪/যারা রোমান্টিক জনরা পছন্দ করেন তারা বেশ ভালো একটা রোমান্টিক গল্প পাবেন। ৫/যারা সমকালীন,অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের জয়,নারী মুক্তি,নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করেন তারাও বেশ আনন্দ পাবেন। ৬/যারা আমার মতো poetic Justice এ বিশ্বাস করেন,তারা বেশ আনন্দ পাবেন।শেষ অংশে যে একটা পৈশাচিক তৃপ্তি পাবেন মেঘলার decision এ তা আর বলার মতো না। বেশ কিছুদিন আগে প্যাগান ধর্ম নিয়ে পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল।প্যাগানদের কাছে নারীরা ছিলো পবিত্র,পূজ্য। কিন্তু সেই পবিত্র নারী কালক্রমে হয়েছে শয়তানের দোসর।তবে নারীরা পুনরায় আপন মহিমায় অধিষ্ঠিত হচ্ছে।আলোয় বিকশিত করছে চারপাশ, মুক্তি দিচ্ছে ধরনীকে। একই সাথে দুই নারীকে ভালোবাসার যে concept তা প্রথমে দেখি স্টেফনি মেয়ারের Twilight saga এর eclipse পড়তে গিয়ে,কিন্তু এই উপন্যাসে যে এর চমৎকার পরিণতির সাথে লেখক সৌনকের মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা দেখিয়েছেন তা কাবিলে তারিফ। গল্পের পরিণতি আমায় পুনরায় ভাবতে বাধ্য করেছে সত্যিকার ভালোবাসা শৃঙখল নয় বরং মুক্তি।তাই তো বলতে চাই, ভালোবাসা মানে একসাথে থাকা নয় বরং ভালোবাসার মানুষটাকে ভালো রাখা। (বি.দ্রঃআমার ইংরেজি মাধ্যমে পড়া ভাই যে কখনো বই পড়ে না সে বইটি পড়ে বলেছে প্লট সেটিং দারুণ হয়েছে)
Was this review helpful to you?
or
ভালোবাসা, আবেগ, পাওয়া, না পাওয়া, হারানো, ঘুরে দাঁড়ানো, বিশ্বাস-অবিশ্বাস সবকিছুর এক অবিচ্ছেদ্য মেল বন্ধন এই উপন্যাস। খুব সাবলীল ভাষায় লেখা এবং সুখপাঠ্য উপন্যাস। যারা সামাজিক+ মিষ্টি ভালোবাসার গল্প পছন্দ করেন সে সকল পাঠক অবশ্যই পড়তে পারেন এই সুন্দর উপন্যাসটি। হাজারবার ভালোবাসি না বলেও ভালোবাসা যায়, কিছু না পাওয়ার আশা থেকেও ভালোবাসা যায়, ভালোবাসার মানুষের ভালো থাকার জন্যেও নীরবে ভালোবাসা যায়। মানুষের জীবনে অনেক সময়ই সঠিক মানুষটার সন্ধান পেতে দেরী হয়ে যায়। নিজেরা ভাল থাকার জন্য হাজার স্বপ্ন দেখানো একজন মেয়ের সব স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়ে, এক অসহায় মায়ের সকল অবদানকে বৃথা করে দিয়ে যারা সুখের সন্ধানে দেশ ত্যাগ করেছিল সকল সম্পর্ক বিসর্জন দিয়ে তারা কি আসলেই ভালো থাকতে পেরেছিল!! নাকি দিন শেষে তাদের প্রাপ্তির খাতা শূন্যই ছিল? গল্পটা ভীষণ মিষ্টি মেঘলা নামের একটা মেয়ের, গল্পটা চুপিচুপি ভালোবেসে যাওয়া বিহানের, গল্পটা ভীষণ অসময়ে চলে আসা দৃষ্টির, গল্পটা জীবনের সাথে জড়িত কাউকেই সঠিক মূল্যায়ন দিতে না পারা সৌণকের, গল্পটা মমতাময়ী কিন্তু হেরে যাওয়া একজন মায়ের, গল্পটা কিছু ভীষণ ভালো মানুষ সাবরিনা, রোকসানার, লক্ষীমন্ত ভাই-বোন ভূমি আর নাফিজের, স্বার্থপর মোর্শেদের আর গল্পের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হচ্ছে ভীষণ আদুরে, বুঝদার আর লক্ষী বাচ্চা হৃদ্যের❤️। "মেঘলা" যে ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে হাজার হাজার স্বপ্নবুননের পরে পেয়েছিল আপন মনে করা মানুষদের থেকে অপমান, অবহেলা, প্রত্যাখ্যান, মায়ের মৃত্যু আর মৃত্যুসম জীবন। কিন্তু জীবনে বিদ্যমান পরশ পাথরদের কল্যাণে আবারও শূন্য থেকে শুরু করে জীবন গড়েছে। কারা ছিল তার পরশ পাথর! আর কারা বা ছিল তার স্বপ্ন ভঙ্গের কারণ। আমরা কমবেশী সকলেই স্বার্থপর। নিজের স্বার্থের জন্য, নিজের ভালো থাকার জন্য অন্যের সাথে অন্যায় করি কিন্তু আমরা ভুলে যায় হয়তো এতে করে সাময়িক ভালো থাকা যায় কিন্তু চিরস্থায়ী ভাবে না। মানুষের রুহের হায় বলে একটা জিনিস আছে। প্রকৃতির প্রতিশোধও আছে। কিছু অন্যায়ের বিচার দুনিয়াতেই হয়ে যায়। মাঝে মাঝে বাবা-মাও সন্তানের জন্য ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে তার পরিনতি কতোটা ভয়াবহ হতে পারে তাও আছে এই উপন্যাসে। অসংগতিঃ কিছু অসম্পূর্ণ বাক্য আছে। বেশ কিছু বানান ভুল চোখে পড়েছে। এছাড়া দু এক জায়গায় নামের বিভ্রান্তি ছিল যেমন- ১৫২ নং পৃষ্ঠায় "সৌণক এর জায়গায় শ্রাবণ হয়েছে", ১৭২ পৃষ্ঠায় হয়েছে হৃদ্য থেকে সুপ্ত। পরবর্তী মুদ্রণে আশাকরি ভুলগুলো ঠিক করা হবে। প্রিয় অংশঃ অনেকগুলো প্রিয় অংশ আছে। তার মধ্যে কয়েকটা- ১। "এই টুকু জড়িয়ে ধরার জন্যে যদি পাপ হয়, তবে হোক একটুখানি পাপ।" ২। "কেনো যে মেয়েদের সস্তা ভাবো! একটা কথা মনে রেখো, যে চোখে পানি আসে, সেই চোখে চাইলে আগুন জ্বালাতে পারে। চোখের জলকে এতো সস্তা ভেবো না।" ৩। "আর বন্ধু বুঝি হতে পারেনা জীবনসঙ্গী?" ৪। "ভালবাসি বলেই যে ভালবাসার মানুষকে সারাজীবন পেতে হবে এমনটা নয়। দূরে থেকেও তো ভালবাসা যায়।" ৫। "সেদিন আমার মাথার চুল একটাও কালো থাকবে না, আমাকে দেখে হয়তো তুমি অপ্রস্তুত হয়ে যাবে, কিন্তু আমি সেদিন তোমাকে জোর গলায় বলতে পারব, আমি ভালবাসা বুঝি দৃষ্টি! " শুভকামনা লেখিকার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
গল্পটি সৌণক আর দৃষ্টির। যারা আত্মসম্মান, সম্পর্ক বিসর্জন দিয়েছিল ভালো থাকবে বলে। কিন্তু হিসেবের খাতায় শূন্যতা ছাড়া আর কিছুই মিলে নি। গল্পটি আরও একটি মেয়ের। যে জীবনে সবকিছু পেয়েও হারিয়ে ফেলে আবার শূন্য থেকে শুরু করে। গল্পটি ভীষণ চুপচাপ, অন্তঃর্মুখী এক ছেলেরও। যার কাছে ভালোবাসা মানে ভালোবাসার মানুষকে না পেয়েও সারাজীবন তাকে ভালো থাকতে দেখা। গল্পটি এক অসুখী দম্পতিরও। প্রবল ঝড়ে একে অন্যের পাশে থাকলেও আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে সঙ্গীকে ছেড়ে একা এক মেয়ের গল্পও। গল্পটি জীবন, মানুষ, ভালোবাসা, আর পাওয়া না পাওয়ার। গল্পটি শ্রাবণের মেঘ বৃষ্টির
Was this review helpful to you?
or
#শ্রাবণের_মেঘ_বৃষ্টি #পাঠ_অনূভূতি ♦এক নজরেঃ •উপন্যাসের নামঃ শ্রাবণের মেঘ বৃষ্টি •লেখকঃ সাবিকুন নাহার নিপা •ধরনঃ সামাজিক রোমান্টিক •প্রকাশনীঃ উপকথা প্রকাশন •প্রচ্ছদঃ লুৎফি রুনা •মুদ্রিত মূল্যঃ ৩০০ •পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৭৬ •প্রকাশকালঃ অক্টোবর ২০২১ লেখনীতেঃ রিফায়াত হাসান সাকিব ♦ভূমিকাঃ এমন এক সময়ে আমি বইটি হাতে নিয়েছি যখন আকাশ থেকে শ্রাবণের জলধারা পৃথিবীতে এসে পড়ছে । আমার পুরো চারপাশে বৃষ্টির শব্দে আবেগতাড়িত হয়ে পড়ছে । ঠিক সেই সময়ে আমি বইটি হাতে নিয়ে পড়তে চেয়েছি । মনে হয়েছে একটি বই পড়ে ফেলা যাক । সহসা দিনের বেলা কোনো বই হাতে না নিয়ে দেখা আমি হঠাৎ যেনো বৃষ্টিতে মনের মাঝে থেকে ভেসে গেলাম । সেই ভেসে যাওয়ার মুহূর্তে হঠাৎ মনে হলো এই বইটিই পড়ি । ♦পারিপার্শ্বিক দিকঃ এই বইটি নেয়ার আগে আমি এই বইটি নিয়ে আমি অনেকগুলো মুহূর্ত ভেবেছি । অনেকদিন বইটি নিতে চেয়েছি । কিন্তু নেয়া হয়নি । অনেকগুলো রিভিউ পড়ে পড়ে মনের মাঝে আশা জমিয়েছি । বইটি নেয়ার পরে, হাতে পেয়েও অদ্ভুত অদ্ভুত কাণ্ড করেছি । আবারও রিভিউ পড়েছি, বেশ কয়েকদিন বইটার একটু একটু করে অংশ পড়ে চুপচাপ বসে থেকেছি । আজকে পুরোপুরি উপন্যাস শুরু করতে চাওয়া আমি উপন্যাসটি শুরু করেছিলাম ঠিক দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে । যখন শেষ হয়ে গিয়েছে পড়া, তখন সময়টা বিকেল ৪টা ১০ মিনিট । ♦নামকরণঃ পৃথিবীতে শ্রাবণের মেঘ কিংবা বৃষ্টি আবহ নিয়ে আসে । এই আবহতে ভালোবাসা মিশে থাকে, কখনোবা বিষণ্ণতা এসে মুষড়ে পড়ে । কিছু আবেগ, পাওয়া, না পাওয়া, ক্লান্তি, অভিমান, ভালোবাসা, ঘৃণা সব যেন এক নিমিষেই এসে পড়ে চোখের মণিতে । শ্রাবণের মেঘ কিংবা বৃষ্টি দুইটিই ক্ষণিকের । অতিথি হয়ে আসে, কিন্তু সারাজীবন মুহূর্ত দিয়ে যায় । সেই মুহূর্তের সাক্ষী হওয়া ভালোবাসায় আক্ষেপই বাড়ে । উপন্যাসের নামকরণ যথার্থ হয়েছে । ♦প্রচ্ছদঃ শ্রাবণের মেঘ কিংবা বৃষ্টি এই দুইটি বিষয়ে কল্পনা করতে আসলেই কেনো জানি না আমার সবুজের আবহ মনে পড়ে । মনে হতে থাকে সবুজই যেন শ্রাবণকে ভালোবাসায় আঁকড়ে নিয়ে বসে থাকে । প্রচ্ছদশিল্পী মনের কোণে আটকে রাখার মতো করে একটি প্রচ্ছদ তুলে ধরেছেন । বৃষ্টি, ছাতা, দুইটি অবয়ব প্রচ্ছদকে পূর্ণ করেছে । ♦চরিত্র বিশ্লেষণঃ এই উপন্যাসের বেশকিছু চরিত্র আছে । যদিও উপন্যাসটি আমার পূর্ণাঙ্গরূপে আজকেই প্রথম পড়া । কিন্তু এতদিনে আরো কয়েকবার একটু একটু পড়ায়, তাদের সম্পর্কে পরিচয় আগেই হয়ে গিয়েছে আমার । •সৌণকঃ সৌণক ভাবনা চিন্তা না করে কাজ করে ফেলা একজন মানুষ । তার মাঝে আত্মসম্মানবোধ কিংবা মানসিকতার কোনো ছিটেফোঁটাও পাইনি আমি । পৃথিবীতে প্রতিটি কাজের প্রতিক্রিয়া-পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে । তার কাজের দুইটি রূপই সে জীবনে পেয়েছে । •দৃষ্টিঃ দৃষ্টির চরিত্রে দুই ধরনের ধাপ আছে । কখনও তাকে মনে হয়েছে আত্মম্ভরিতায় ভেসে যাওয়া একজন নারী । যার মাঝে পরিস্থিতি হিসেব না করেই জীবনে চলার এক তাড়াহুড়ো লক্ষ্য করা গিয়েছে । তার জীবনের অন্য ধাপে তাকে বেশ ভঙ্গুর, অপরাধবোধে জর্জরিত একজন নারী মনে হয়েছে । •মেঘলাঃ মেঘলা এর জীবনেও বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এসেছে । আত্মসম্মান যার ধীরে ধীরে বেড়েছে । যার মাঝে কোনো এক পরিস্থিতিতে পড়ার পরে অদ্ভুত এক স্পৃহা এসেছে । ভালোবাসায় আটকে না থেকে পরিস্থিতি হিসেব করে ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা আছে তার । •বিহানঃ অদ্ভুত নীরব, শান্ত, স্পষ্টবাদী বিহান নিজের অনুভূতি নিজের মাঝেই রেখে দিতে জানে । ভালোবাসার মানুষটিকে সুখী দেখতে চাওয়ার মতো অসাধারণ মানসিকতা আর হয় না, যা তার মাঝে পরিলক্ষিত হয়েছে । •মোর্শেদঃ ভীষণ অন্যমনস্ক স্বভাবের একজন মানুষ । যার নিজের স্বার্থ এর জন্য চিন্তা ভাবনা করা ছাড়া আর কিছু করার নেই । •সাবরিনাঃ সাবরিনা যেমন জ্বলজ্বলে স্বভাবের তেমনই কষ্টে কেঁদে দেয়া একজন নারী যেন । যে সহসা ভেঙ্গে পড়ে না । আবার পরিস্থিতিতে পড়লে রেগে কথা বলতে পিছপা হয় না । •হৃদ্যঃ বয়সের অপেক্ষা খুবই প্রাপ্তবয়স্ক স্বভাবের একটি বাচ্চা ও । যার ভালোমন্দ, বিচার বিবেচনা বোধ নিজেই বুঝতে পারে । ♦টুকিটাকিঃ পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের জীবনকে যদি উপন্যাস ধরা যায়, তাহলে তাকে ঘিরে থাকা প্রতিটি মানুষই একটা একটা করে চরিত্র হয়ে তার জীবনে প্রভাব ফেলে । এখানেও তার ব্যতিক্রম নয় । এই উপন্যাসে আরো কিছু চরিত্র বেশ প্রভাব ফেলে দেয়ার মতো । শাহনাজ অসাধারণ মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে চলার মতো একটি চরিত্র । রোকসানা বিপদে আপদে সাহায্য করার মতো মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসে । তাছাড়া হৃদ্য এর কিছু কথোপকথন বেশ ভালোলাগার মতো লেগেছে আমার কাছে । ♦প্রিয় চরিত্রঃ পৃথিবীতে সবাই প্রিয় হয় না । প্রিয় হতে গেলে কখনও কষ্ট, কখনও আত্মসংযম, কখনও অভিমান, কখনও একটা দুষ্টু মিষ্টি চাহনি দিয়েই ওই একটা দৃশ্যে যে চোখে আটকে গেল । সেই থেকেই সবসময়ের মতো প্রিয় চরিত্র হয়ে যাওয়া যায় । কিন্তু জীবনের মায়া লাগানো সব কিছু জীবনের ছায়ায় আটকে থাকে না । এই যাত্রায় মেঘলা আমার প্রিয়, বিহান ও কাছের । মেঘলা এবং বিহান দুজনের মাঝের যে মুহূর্তগুলো আছে, সেই মুহূর্তগুলোকে অদৃশ্যভাবে চরিত্র মনে করে তারা আমার এই উপন্যাসের প্রিয় চরিত্র হয়ে থাক না হয় । ♦পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ √উপন্যাসটির পটভূমির সাথে আবহ বেশ অন্যরকম ভাবে সাজানো হয়েছে । তবে বেশ অনেক স্থানে অতীত-বর্তমান এই দুইটি স্থানেরই পটভূমি চলে এসেছে হুট করে কোনো ফাঁকা জায়গা কিংবা জলছাপ না দিয়েই । যা হঠাৎ করে আবহতে একটু হলেও ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে । তাছাড়া উপন্যাসের পটভূমি এবং সে অনুযায়ী জীবনধারা সাজানো লেখক সুন্দর ভাবেই করেছেন । √উপন্যাসের চরিত্র গঠন কিংবা তাদের উপস্থিতি একটি উপন্যাসকে ভারসাম্য দেয় । যার মাধ্যমে একটা অদৃশ্য অবয়ব কল্পনা করতে সুযোগ পেয়ে যাওয়া যায় । এখানেও লেখক প্রতিটি চরিত্র এবং তাদের উপস্থিতি সঠিক ভাবে করেছেন । যেহেতু সামাজিক প্রেক্ষাপটে সাথে রোমান্টিক আবহের উপন্যাস তাই সেই অনুযায়ী উপন্যাসে বেশ চরিত্র নিয়ে খেলা করা, এবং তার গঠন সুন্দর করে সাজানোর বিষয়টা বেশ দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । ♦প্রিয় অংশঃ এই উপন্যাসের বেশ অনেকগুলো প্রিয় অংশ আছে আমার কাছে । সেগুলো কিছুটা কষ্টের, কয়েকটা আত্মতৃপ্তির, কয়েকটা ভালো লাগার । কয়েকটা অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে থাকার জন্য । ৯০-৯২ এই তিনটা পৃষ্ঠার শেষটা কিংবা অংশটা পরিস্থিতির জন্য এক অন্যরকম মোড় ছিল । যা উপন্যাসকে নতুন ভাবে তৈরি করেছে । তা ছাড়া ১৪৩-১৪৮ এই কয়েকটি পৃষ্ঠা সময়, ভালোবাসা, আক্ষেপ, অনুভূতি সব যেন একই সূত্রে গাঁথা তা ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করেছে । এই উপন্যাসে বেশ কিছু বৃষ্টি, বেশ কিছু মোড় নিয়ে এসেছে উপন্যাসে । ♦অন্যান্য বিষয়ঃ এবার উপন্যাসের অন্যান্য বিষয় নিয়ে কিছু লিখে ফেলা যাক– √প্রকাশনীঃ প্রকাশনী হিসেবে উপকথা প্রকাশন এর বই আমার আগেও পড়া হয়েছে । বইটির প্রচ্ছদ এবং বাইন্ডিং তারা যথাযথ ভাবে করেছেন, যে কারণে বইটি হাতে নিয়ে বেশ মজা আছে । কিন্তু বেশ অনেকগুলো টাইপিং মিস্টেক আছে । চরিত্রের নাম নিয়েও ৩/৪ জায়গায় ভুল হয়েছে, তাছাড়া বেশ অনেকগুলো জায়গায় দুই বা তার অধিক শব্দ কোনো ফাঁকা ছাড়াই একসাথে মিলে গিয়েছিল । যদিও পড়তে সমস্যা হয়নি । তবুও আশা করি পরবর্তীতে এগুলো ঠিক হয়ে যাবে । ♦লেখক প্রসঙ্গেঃ ‘শ্রাবণের মেঘ বৃষ্টি’ লেখক সাবিকুন নাহার নিপা এর দ্বিতীয় উপন্যাস । আমার তার প্রথম উপন্যাসটিও পড়া হয়েছে । এবং সেটাও বেশ ভালো লেগেছিল । এটার পটভূমি সাজানো, বর্ণনামূলক ভাবভঙ্গি, সহজ সংলাপ ধারণ সবকিছুও ভালো লেগেছে আমার । তার উপন্যাসে বর্ণনামূলক সংলাপ এবং দৃষ্টিভঙ্গিই বেশ পছন্দ করার মতো । তার ফেসবুক এর কয়েকটি গল্পও আমার পড়া হয়েছে । তার ভবিষ্যত বইগুলোর জন্য শুভকামনা রইলো । ♦রেটিংঃ ৪.২/৫ ♦উপসংহারঃ পৃথিবীতে শারীরিক সৌন্দর্য্য মনের মধ্যে কেমন করে আকর্ষণ করে তা জানা নেই । কিন্তু যার মনের সৌন্দর্য্য বেশি, তা যখন চোখের সামনে অদৃশ্য থেকেও আবহ দিয়েও ফুটিয়ে তোলা যাবে তা যেন পৃথিবী জুড়ে একটা হাঁসফাঁস অবস্থা সৃষ্টি করে দিবে । প্রতিটি দিনের শেষে রাতটি যেন ওই দিনের উপসংহার হিসেবে কিছু ইতি নিয়ে আসে, কিছু আত্ম-উপলব্ধি নিয়ে আসে । উপন্যাসের উপসংহারেও তাই দিনের শেষে রাতের ওই অন্ধকারেও মায়া জড়িয়ে থাকে । দিনশেষে মনের সৌন্দর্য্যই জয়ী হয়ে ফুটে উঠে জ্বলজ্বল করে । হয়তো তা দেখা যায়, কিংবা হয়তো দেখা যায় না!
Was this review helpful to you?
or
এই গল্পে মেঘলা এমন একটা নাম যে নামের সাথে মিশে আছে সরলতা বিশ্বাস আর ভালবাসা। কিশোরী বয়সের ভালবাসা শ্রাবনের অবহেলা আর বোনের মত বান্ধবীর লোভের শিকার হয় মেঘলা, তবুও জীবন থেমে থাকে না, মেঘলাও তেমনি ছুটে চলছে জীবনের নিয়মে, তাই এই গল্পের শেষ টুকুও অসাধারণ, কারন শ্রাবন তো জানতে পেরেছে ছোট এক বাচ্চা ছেলের কথা, যে কিনা মেঘলার ছেলে। অসাধারন ভালবাসা ময় জীবন যুদ্ধের গল্প শ্রাবনের মেঘ বৃষ্টি 💙




