
User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
আমাদের মা আমাদেরকে ছোট্টবেলায় গোশত ক!মড় দিয়ে ছিঁড়ে অনেক সময় চিবিয়ে তারপর আমাদের মুখে দেয়। এর পেছনে একটা মারাত্মক দরদ কাজ করে। এটাই যদি আমরা বড় হওয়ার পর ভাবি, আমরা কি অন্যের মুখের খাবার নিজের মুখে নিতে পারবো? শুরুতেই হয়তো বলবো ওয়াক থু। বড়রা আমাদের জন্য শফকতের মাধ্যমে অনেক কিছু করে গিয়েছেন। আমরা যদি তাদের বিষয়গুলো শ্রদ্ধার সাথে বোঝার চেষ্টা করি তাহলে আমাদের শ্রদ্ধা বাড়তেই থাকবে। আর যদি নিজেকেই সব মনে করে বড়দের কাজগুলো দেখি, শ্রদ্ধা তো বাড়বেই না উল্টো নিন্দা করেই আমলের পাল্লা খালি করে ফেলবো। মাআল আইম্মাহ বইটি চার ইমামের শানে চমৎকার এক সংকলন। শুরুতেই একটি ভূমিকায় তৎকালীন পরিবেশ ও পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই অংশে দু'টো শিরোমামেরশিরোনামের আলোচনা মনে ধরেছে। ১/ হক কি চার মাজহাবের মধ্যে সীমাবদ্ধ? ২/ইমামদের ইলম ও চারিত্রিক অবস্থান এই অংশে একটি চমৎকার কথা শেয়ার করি।লেখক লিখেছেন, "বর্তমান যুগে একজন প্রভাবশালী আলেম ও গ্রহণযোগ্য ফকিহর একটা ব্যক্তিগত অফিস থাকা অতীব জরুরী। যেখান থেকে তাঁর ইলমী খেদমতগুলো পরিচালিত হবে। তাঁর বই, প্রবন্ধ নিবন্ধ, গবেষণাকর্ম, কনফারেন্স, সেমিনার, কাজ ও সময় সবকিছু ম্যানেজ করা হবে। এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।একদিন সেখান থেকে তৈরি হবে একদল বিদগ্ধ ফকীহ ও প্রাজ্ঞ আলিম। পরবর্তী সময়ে তারাই সেই আলেম বা ফকীহর যোগ্য উত্তরসূরী হবে। " আবু হানীফার যেমনটা ছিলো। এরপর ওয়াফাত সাল এর ধারাবাহিকতায় চার ইমামের আলোচনা এসেছে। প্রথম এসেছে ইমামে আযম আবু হানীফা নোমান ইবনে সাবেত রহঃ এর আলোচনা। এই অংশের সবচেয়ে চমৎকার আলোচনা মনে হয়েছে, আবু হানীফা কিভাবে তার উস্তাদের মসনদে বসেছিলেন। যুগ তাকে ফকিহ বানিয়েছে। তিনি ছিলেন মাদরাসাতুর রায়-র প্রতিষ্ঠাতা। এই অংশে আরেকটি আলোচনা সুন্দর ছিলো। "ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহঃ বলেন,আমরা ইতোপূর্বে আহলুর রায়কে অভিশাপ দিতাম।তারাও আমাদেরকে অভিশাপ দিতো।অবশেষে ইমাম শাফেয়ী রহঃ এসে আমাদের মাঝে সমন্বয় সাধন করলেন।আমাদের মাঝে বিদ্যমান ভুল বুঝাবুঝির নিরসন করলেন।" এই ঘটনার অধীনে দীর্ঘ আলোচনা এসেছে খুব সুন্দর করে। দ্বিতীয় নম্বরে এসেছে ইমামু দারিল হিজরহ মালেক ইবনে আনাস রঃ এর আলোচনা। আমরা জানি,অনেকগুলো প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন "আমি জানি না।" আমরা কি জানি," তিনি ততক্ষণ ফতোয়া দেন নি যতক্ষন ৭০ জন আলিম তাকে ফতোয়া প্রদানের যোগ্য বলে সাক্ষ্য দেন নি"! এই অংশের সবচেয়ে চমৎকার আলোচনা এসেছে "নেতৃত্ব দেওয়ার আগে যোগ্যতা অর্জন করুন" শিরোনামের অধীনে। তৃতীয় নম্বরে এসেছে ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইদরীস শাফেয়ী রহঃ এর আলোচনা। ইমাম শাফেয়ী আর ইমাম আবু ইউসুফ দু'জনেরই পুরো জীবনই আমার জন্য আদর্শ। আমার তালীমী মুরব্বি মুফতি হাবীবুর রহমান ইসলামবাগী সাহেব আমাকে প্রায়ই তাদের অসহায়ত্ব ও গরিবানা জিন্দেগীর গল্প শুনিয়ে সাহস জোগাতেন। এই অংশে অনেকগুলো বিষয়ই চমৎকার। ইলমের প্রতি তীব্র আগ্রহ, বিতর্কের শিষ্টাচার : তর্কের সৌন্দর্য। আর রিসালাহ গ্রন্থ। আর রিসালা আমি অনেক আগেই পড়েছিলাম। কিন্তু বোঝার যোগ্যতা আমার তখন ছিলো না। আশ্চর্য, ইমাম শাফেয়ীর ব্যাপারে "শীয়া ও মু'তাজিলা " হওয়ার অভিযোগ ছিলো! এত বছরেও একটা বারের জন্যও আমার কানেও পড়ে নি,চোখেও বাড়ি খায় নি। চতুর্থ নম্বরে এসেছে ইমামু আহলিস সুন্নাহ আহমাদ ইবনু হাম্বল রহঃ এর আলোচনা। এই অংশে "তাফসীর ও হাদীসের প্রতি আগ্রহ" শিরোনামে জানলাম,তাফসীরে কাবীর নামে তার একটি তাফসীর গ্রন্থ সংকলিত হয়েছিলো। সেটির সন্ধান কেউ দিতে পারলে কৃতজ্ঞ থাকবো। খলকে কুরআনের মাসআলায় ইমাম আহমাদের অবিচলতা থেকে কি আমরা কিছু শিখবো না! ইমাম আহমাদ রহঃ তার জীবনযাপনে গুরবত ও ফকীরীকেই বেছে নিয়েছিলেন। হিম্মত পেলাম নিজের জন্যও। এই অংশের চমৎকার আলোচনার শিরোনাম হচ্ছে, "দুনিয়ার সাথে আমার কী সম্পর্ক! " তার জানাযায় অংশগ্রহণ করেছিলো..............…............................ أولائك آبائي فجئني بمثلهم নিজেকে গড়তে হবে বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে। আদর্শের বারোটা বাজিয়ে কেউ হকের মানদণ্ডে টিকতে পারে না। মাআল আইম্মাহ। 🖋️ জহির বিন আইয়ুব ০৮/১২/২০২৫ সোমবার
Was this review helpful to you?
or
মাশা আল্লাহ উস্তাদে মোহতারাম সাইফুল ইসলাম তাওহীদ হাফিযাহুল্লাহ অসাধারণ খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন উম্মাহর জন্য।
Was this review helpful to you?
or
এই গ্রন্থে চার ইমামের জীবনের বিভিন্ন বিষয় অত্যন্ত চমৎকারভাবে তুলে ধরার জন্য প্রখ্যাত স্কলার ড. সালমান আল আওদাহকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ তায়ালা যেন তার এই পরিশ্রমের বিনিময়ে উত্তম জাজা দান করেন।
Was this review helpful to you?
or
ইসলাম বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন কুসংস্কারে আক্রান্ত হয়েছে। আর তা ছেঁকে ছেঁকে বিশুদ্ধ করেছে আমাদের মুজাদ্দিদ ও ইমামগণ। তন্মধ্যে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে জ্বলছে আমাদের চার ইমাম।
Was this review helpful to you?
or
Alhamdulillah is a wonderful book.
Was this review helpful to you?
or
💛💛💛💛
Was this review helpful to you?
or
আলহামদুলিল্লাহ
Was this review helpful to you?
or
A wonderful book
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন একটা বই
Was this review helpful to you?
or
আরেকদল আছে, যারা আককিদাগত বিষয় নিয়ে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। সাহাবি, তাবেয়ি ও ইমামদের ইলম মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসা, ভয় ও আশা সঞ্চার করতো; কিন্তু বর্তমান যুগে সেই ইলম ঠুনকো ও আসারে পরিণত হয়েছে, যা মানুষের হৃদয়কে আরও বিভ্রান্ত ও দ্বিধাগ্রস্ত করে তোলে। যখনই কোনো ব্যক্তি নামাজ ও ইবাদতের প্রতি অগ্রসর হয়, তখনই তার সামনে এসে হাজির হয় নানরকম ঝগড়া-বিবাদ এবং প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কুচিন্তা। এই দলটির চরিত্র কিছুটা ভিন্ন। এই দলের অনুসারীরা কুরআন তেলাওয়াত করে, কিš‘ তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে না। এই তেলাওয়াত তাদের হৃদয়কে নাড়া দেয় না। তারা কুরআন থেকে কোনো সমস্যার সমাধানের পথও বের করে না। তারা যখন কুরআনের এইটি আয়াতটি পড়ে ‘বরং তার (আল্লাহর) দুই হাত প্রসারিত’ তখন কোন দল কী মত দিয়েছে, কার জবাব কী ইত্যাদি বিষয় নিয়ে চিন্তায় বিভোর থাকে। বিভিন্ন দলের মতামত শোনার পর তাদের দীলে রকমারি সন্দেহের দানা বাধে। সে আয়াতের পরের অংশে রয়েছে, ‘তিনি যেভাবে ইচ্ছা ব্যয় করেন’ এই অংশটুকু পূর্ণ না করে তারা বিভিন্ন মতের পিছু পড়ে যায়। তারা কুরআন তেলায়াত করে; কিন্ত আল্লাহর দয়া-অনুগ্রহ, রহমত ও বদান্যতার কথা চিন্তা করে না। তারা আল্লাহর কাছে চাইতে পারে না । আল্লাহর কাছে বিনয়ের সাথে নিজের প্রয়োজনের কথা খুলে বলতে পারে না। হয়তো তার কুরআন তেলাওয়াত শেষ হয়ে যায়, নামাজ পড়া শেষ হয়ে যায়; কিন্তু তার মনস্পটে রয়ে যায় সেই বিতর্কের স্মৃতিগুলো।
Was this review helpful to you?
or
ইতিহাসের পাতায় স্বর্নাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে অনেক ফকিহ, আলিম, মুহাদ্দিস, মুফাসসির, আবেদ ও হাদীস বর্ণনাকারীর নাম। আপন কীর্তি তাদের মহান করে রেখেছে।
Was this review helpful to you?
or
ড.সালমান আল আওদাহ, মজলুম আলিম যিনি সত্য ন্যায় হক কথা বলার কারনে সৌদি কারাগারে বছরের পর বছর বন্দীত্ব জীবন অতীবাহীত করছেন, লেখকের জনপ্রিয় গ্রন্থ মাল মুস্তফা বিখ্যাত সীরাহ গ্রন্থ যা গার্ডিয়ান বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন, লাখ লাখ কপি সেল করেছেন, লেখকের মাআল আইম্মাহ মা-আল্লাহ সমানভাবে প্রসিদ্ধ
Was this review helpful to you?
or
দ্বীনকে সহজতর উপায়ে মানুষের নিকট তুলে ধরতে ইলমুল ফিকহে যে চারজন ইমামের অবদান সর্বাধিক, তাঁরা হলেন—ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেয়ি ও ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে হাম্বল (রহ.)। এ চার ইমামের জীবন ও কর্মই সংক্ষিপ্তরূপে বর্ণিত হয়েছে মাআল আইম্মাহ-এর প্রতিটি পৃষ্ঠায়। এই গ্রন্থ পাঠককে নিয়ে যাবে বহুকাল আগের সেই সোনালি যুগে, যেখানে তাঁরা বেড়ে উঠেছেন, ইলম অন্বেষণ করেছেন এবং কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে নিজেকে গড়েছেন জগৎখ্যাত ফকিহ হিসেবে। চার বিখ্যাত ইমাম সম্পর্কে জানতে গ্রন্থটি নিশ্চয় আপনাকে সহযোগিতা করবে ইনশাআল্লাহ।
Was this review helpful to you?
or
ইমাম শাফেয়ি (রহ.) বলতেন — ‘আনন্দ-বিনোদনের সময় ব্যক্তিত্ব ও গাম্ভীর্য ধরে রাখা একপ্রকার নির্বুদ্ধিতা।’ [১] আপনি যখন সপরিবারে কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সাথে কোথাও ঘুরতে বের হবেন, কোথাও অবকাশ যাপন করবেন, তখন তাদের সাথে হৃদয় খুলে কথা বলুন। গম্ভীর হয়ে কথা বলবেন না, কর্কশ ও কটু ভাষায় কথা বলবেন না। ইমাম শাফেয়ি (রহ.) মাঝে মাঝে তাঁর ছাত্রদের সাথে রসিকতা করতেন। রস মিশিয়ে কথা বলতেন। একবার তিনি তাঁর ছাত্রদের বলেনÑ‘আমি মদিনায় চারটি বিস্ময়কর জিনিস দেখেছি। এ রকম বিস্ময়কর জিনিস আর কখনো আমি দেখিনি। সে চারটি জিনিস হলো —এক. আমি ২১ বছর বয়সি এক দাদিকে দেখেছি। দুই. এক লোককে দেখেছি ফলের এক “মুদ্দ” বিচির জন্য বিচারক তাকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। তিন. এমন এক বৃদ্ধকে দেখেছি, যিনি সারাদিন হেঁটে গায়িকাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরত আর নামাজের সময় হলে বসে নামাজ পড়ত। চার. এক বাঁ-হাতি লেখককে দেখেছি, যার লেখার গতি ডান-হাতিদের চেয়েও দ্রুত।’[২] ইমাম শাফেয়ি (রহ.) অন্য এক মজলিশে বলেন—‘মদিনার জনৈক ব্যক্তির একটি হাবাগোবা গোলাম ছিল। সে তাকে বাজারে পাঠানোর সময় বলল—“বাজার থেকে আমার জন্য ৩০ হাত লম্বা একটা দড়ি কিনবে।” গোলামটি বলল — “দড়ি ৩০ হাত লম্বা হলে তার প্রস্থ কতটুকু হবে?” লোকটি বলল — “তোমাকে নিয়ে আমি যে পরিমাণ বিপদে পড়েছি, সে পরিমাণ প্রস্থ হবে।”’ [৩] মাআল আইম্মাহ বই থেকে... —————— রেফারেন্স : [১] ইমাম বায়হাকি, মানাকিবুশ-শাফেয়ি : খণ্ড-২, পৃ.-২১২ [২] হিলয়াতুল আউলিয়া : খণ্ড-৯, পৃ.-১৪২; ইমাম বায়হাকি, মানাকিবুশ-শাফেয়ি : খণ্ড-২, পৃ.-২১৮; তারিখে দামেশক : খণ্ড-৫, পৃ.-১৭২; জামাখশরি, রবিউল আবরার : খণ্ড-৩, পৃ.-৪২৬ [৩] ইমাম বায়হাকি, মানাকিবুশ-শাফেয়ি : খণ্ড-২, পৃ.-২১৪; ফখরুর রাজি, মানাকিবুল ইমামিশ শাফেয়ি, পৃ.-৩৪০-৩৪১
Was this review helpful to you?
or
ইতিহাসের পাতায় স্বর্নাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে অনেক ফকিহ, আলিম, মুহাদ্দিস, মুফাসসির, আবেদ ও হাদীস বর্ণনাকারীর নাম। আপন কীর্তি তাদের মহান করে রেখেছে। . এতসব মহান ব্যক্তিত্বের মধ্য থেকে এই চার ইমাম অনন্য মর্যাদার অধিকারী। ইতিহাসের আকাশে এই চার নক্ষত্র সমুজ্জ্বল হয়ে আছে যুগ যুগ ধরে। . তারা কখনও পার্থিব সম্মান, মর্যাদা ও গ্রহনযোগ্যতার পেছনে ছোটেননি। যশ-খ্যাতির লোভে ইলমের প্রসার ঘটান নি। তবুও তারা খ্যাতিমান, তারা জগদ্বিখ্যাত। কিন্তু কেন? কোন গুনে তারা এতো সমাদৃত? 'মাআল আইম্মাহ' বই থেকে চয়িতাংশ!




