
User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
উসমানী সালতানাতের পতনের যুগে সুলতান আব্দুল হামীদ খান সানী রহঃ এর কাছে ইহুদিদের এক প্রতিনিধি দল এসে বিভিন্ন রকমের উপহার উপঢৌকন ও ট্যাক্স প্রস্তাবনা উপস্থাপন করে বলেছিলো,তাদেরকে যেন যেনো ফিলিস্তিনে, সালাহউদ্দীনের কুদসে ভাড়ায় থাকতে দেওয়া হয়। সুলতান আব্দুল হামীদ খান সানী রহঃ তাদেরকে একটু ধুলোও ছুঁয়ে দেখতে দেন নি। সেই প্রতিনিধি তখন বিভিন্ন রকমের হুম'কি ধম'কি দিতে শুরু করলে সুলতান বলেন,যদি তুমি আমার উপর পাহাড় ছুঁড়ে ম!রো,আমি পাহাড়ের নিচে খুশিমনে পিষ্ট হবো,তবুও তোমাদেরকে কুদসের একটু মাটিও দেবো না। এভাবে এই ঘটনাটি কোথায় পড়েছিলাম মনে নেই। তবে এই বইতে এমন মর্মস্পর্শী ভাবে উল্লেখ নেই। এখানে লেখা হয়েছে, যতদিন উসমানী সালতানাত থাকবে ততদিন ইহুদিরা ফিলিস্তিনে থাকতে পারবে না। এটি গল্পের বই নয়।এখানে ইতিহাস লেখা হয়েছে। প্রতিটি যুগে প্রতিটি শাসনব্যবস্থায় ফিলিস্তিনের অবস্থা কি ছিলো তা নিয়ে লেখা হয়েছে এই বইটি। সুন্দর। 🖋️ জহির বিন আইয়ুব ০৬/১২/২০২৫ শনিবার
Was this review helpful to you?
or
বইটি মাত্র ৩৬৬ পৃষ্ঠার কিন্তু পড়ে মনে হল যেনো কয়েক হাজার পৃষ্ঠার। লেখক ইতিহাস তুলে ধরেছেন একেবারে খৃষ্টীয় সাল শুরু হওয়া ৩২০০ বছর পূর্ব থেকে নিয়ে সবিশেষ সকল খেলাফতের ইতিহাস সহ ইহুদিদের চক্রান্তে পড়ে পতন হওয়া উসমানী খেলাফত পর্যন্ত। ইহুদিরা কেন ফিলিস্তিন দখলে নিতে চায়, কি কারণে, এবং ইসরায়েল কিভাবে একটা রাষ্ট্রে পরিণত হলো সেটা সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। উসমানী খেলাফত চলাকালীন কোন কোন মুসলিম নেতা বেঈমানী করেছে, কেন করেছে, এবং বর্তমান বিশ্বের মুসলিম জাতিদের ফিলিস্তিন নিয়ে কি ধরনের অবস্থান বইটি পড়লে সুস্পষ্ট হয়ে যাবে। বি.দ্র. ফিলিস্তিনের ইতিহাস জানা বিশ্বের প্রতিটা মুসলিমের জন্য আবশ্যক।
Was this review helpful to you?
or
নির্দিষ্ট সময়ের আগে ডেলিভারি পেয়েছি
Was this review helpful to you?
or
ইসরায়েলের বর্তমান আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে বইটি পড়া। কেনো ইহুদিরা এতো দেশ থাকতে এই ফিলিস্তিনেই তাদের বসতি স্থাপন করলো, কেনো মুসলিম, খ্রিস্টান, ইহুদি সবারই এই একটা জায়গার প্রতি এতো আগ্রহ এসব প্রশ্নের উত্তর এই বইটিতে উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া কয়েক হাজার বছরে আরব ভুমিতে মুসলিম ইতিহাস এবং ফিলিস্তিনে মুসলিম শাসন সম্পর্কে তথ্য বইটিতে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাই ফিলিস্তিন তথা মুসলিম ইতিহাস সম্পর্কে জানার জন্য বইটি খুবই সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি, ধন্যবাদ অনুবাদ সাহেবকে মুসলিম ইতিহাস সম্পর্কিত বইটি উপস্থাপনের জন্য।
Was this review helpful to you?
or
সেরা বই সেরা লেখকের। অস্বাধারন ইতিহাস বিশ্লেষক
Was this review helpful to you?
or
◾প্রারম্ভিক কথন- ---------------------------------------- যে জাতি তার নিজের অতীত ইতিহাস সম্বন্ধে কোনো ধারণা রাখে না বা তা থেকে কোনো জ্ঞান আহরণ করে না, সে জাতি কখনোই চূড়ান্ত শীর্ষে পৌছাতে পারে না। অথচ মুসলমানদের সুদীর্ঘ বীরত্বগাথা সোনালী ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও আজ তারা ইতিহাস বিমুখী। ফলাফলস্বরূপ - একের পর এক ভূখণ্ড হাতছাড়া হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডটি আমাদের হৃদয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও আমরা কেবল ইহুদী মদদপুষ্ট পশ্চিমা মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত সংবাদ এবং ফিলিস্তিন নামের সঙ্গে পরিচিতির মাধ্যমেই নিজেদেরকে সীমাবদ্ধ করে রেখেছি। এ থেকেই বোঝা যায়, মুসলমান জাতি এখনো ঘুমিয়ে আছে। আর সেই সমস্ত ঘুমন্ত মুসলমানদেরকে টেনে তোলার জন্য এবং ফিলিস্তিনকে বিজিত করার লক্ষ্যে ড. রাগিব সারজানীর এক অনবদ্য গ্রন্থ 'কালের বিবর্তনে ফিলিস্তিনের ইতিহাস' বাংলা ভাষায় হুদহুদ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। ◾বই কথন- ----------------------------- বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটিকে ৩৯টি শিরোনামের মাধ্যমে সুসজ্জিত করা হয়েছে। যার শুরুর দিকে প্রাচীন ও মধ্য ব্রোঞ্জ যুগে ফিলিস্তিনের ইতিহাস আলোকপাত করা হয়েছে। অতঃপর হযরত উমর রা. এর খিলাফতকালে ফিলিস্তিন বিজয়, ক্রুসেডারদের হাত থেকে সুলতান সালাহুদ্দিনের পুনরায় ফিলিস্তিন বিজিত হওয়ার ইতিহাস এবং নববী যুগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাম্রাজ্যের অর্থাৎ ফাতেমি, সালজুক, মামলুক, উসমানী ও এর পরবর্তী যুগে ফিলিস্তিনের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সবশেষে, লেখক আলোচনা করেছেন ফিলিস্তিনের ইহুদিকরণ অর্থাৎ ইহুদী দখলদারিত্ব, ফিলিস্তিনের সংগ্রাম, ফিলিস্তিনের ইতিহাস বিষয়ক পর্যালোচনা ইত্যাদি। ◾পর্যালোচনা- ------------------------------------------ ▪️বর্তমান সময়ে ফিলিস্তিন সংকট চরম থেকে চরমতম আকার ধারণ করেছে। ফিলিস্তিন ভূখণ্ড মুসলমানদের হওয়া সত্ত্বেও ইহুদীরা তাদের বিকৃত ধর্মিও গ্রন্থ তৌরাতের ভিত্তিতে দাবী করছে এটি তাদের ভূমি। আবার খ্রিষ্টান সম্প্রদায় তাদের বিকৃত বাইবেলের ওপর ভিত্তি করে দাবি করছে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড তাদের। এমনকি ইহুদী-খ্রিষ্টান সম্প্রদায় ইতিহাস পর্যন্ত বিকৃত করে দাবি করছে এই ভূমি তাদের। লেখক তাদের ভিত্তিহীন দাবি, মিথ্যাচার ও বিকৃত ইতিহাসের স্বরূপ উন্মোচন করেছেন এবং তুলে ধরেছেন প্রকৃত ইতিহাস। ▪️ফিলিস্তিন ছাড়া মুসলমান অস্তিত্বহীন। কেননা মসজিদে আল-আকসা, মহানবীর মেরাজ যাত্রা ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কোরআন এবং হাদীসে স্পষ্টকরে উল্লেখ করা আছে এই ভূখণ্ড কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আর তা কোনোভাবে হাতছাড়া হয়ে গেলেও পুনরুদ্ধার করা সকল মুসলমানের দায়িত্ব। লেখক বিষয়গুলো সামনে রেখেই ধারাবাহিকভাবে ইতিহাস তুলে ধরেছেন। ▪️️ফিলিস্তিন সমস্যাকে আঞ্চলিক সমস্যা বলে জিইয়ে রেখে গোপনে একটু একটু করে জায়নবাদীরা এবং নব্য ক্রুসেডাররা যে নীলনকশা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে, লেখক তা চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন এবং এ পর্যায়ে মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। যা সূচিপত্র দেখলেই অনুমাণ করা যায়। ▪️ফিলিস্তিনের ইতিহাস অধ্যয়ন মানে শুধু ইতিহাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা নয় বরং ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়া, ভ্রাতৃত্ত্ববন্ধনে আবদ্ধ হওয়া, লড়াই করা, নিজ ভূমি শত্রুমুক্ত করার পথ খুঁজে বের করা। অর্থাৎ লেখক বারংবার এটা বোঝাতে চেয়েছেন যে, আমাদের ভূমি আমাদেরকেই শত্রুমুক্ত করতে হবে। ▪️গ্রন্থটির উপস্থাপনা, রচনাশৈলী, শব্দচয়ন খুবই চমৎকার ছিল। এছাড়াও সাবলীল আর প্রাণবন্ত অনুবাদ পাঠককে দারুণভাবে মুগ্ধ করবে। ️এছাড়াও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পাদটীকা সংযোজন করা হয়েছে। যার ফলে পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আরো বাড়বে। পরিশেষে, ফিলিস্তিন তখনই মুসলমানদের হবে, যখন এই ভূমিকে ফিলিস্তিনি ভূমি না ভেবে নিজেদের ভূমি ভাবা হবে। ◾মতামত- ------------------------------------ সূচিপত্র পড়ার সময় দুজন মুসলিম বীরের নাম চোখে পড়ার মতো ছিল। সে দুজন হচ্ছে - ইমাদুদ্দীন জঙ্গী রহ. ও নুরুদ্দীন জঙ্গীর নাম। উভয়ের নামের শেষ অংশ যৎকিঞ্চিৎ পরিবর্তন করে জিনকি করলে অধিকতর শ্রুতিমধুর হবে।
Was this review helpful to you?
or
#ফিলিস্তিনের_ইতিহাস_প্রিভিউ_প্রতিযোগিতা পশ্চিমাদের তথ্যগত ছলচাতুরি ও ইতিহাসের বিচ্যুতি মুসলিম উম্মাহকে তার সোনালি অতীত থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যাচ্ছে অন্ধকার তথা গোমরাহের দিকে। যে ইতিহাস জানার পরে মজবুত ঈমানী শক্তি নতুন করে দানা বাঁধার কথা ছিল প্রতিটি হৃদয়াঙ্গনে, আজ মুসলিম বিশ্বকে সাম্রাজ্যবাদী কব্জা করে নেওয়ায় সেই ইতিহাস জেনে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। এমন কঠিন সময়ে বলতে গেলে অনেকটা ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়েই―ফিলিস্তিনিদের সত্য ও সুন্দর অতীতের ইতিহাস ও বর্তমান ইতিহাসের সাথে মানুষের সুনিবিড় সম্পর্ক তৈরি করতে খ্যাতনামা দ্বীনি শাইখ, লেখক ও গবেষক ড. রাগীব সারজানি রচনা করেন এক দেদীপ্যমান আলোকবর্তিকা 'কিস্সাতু ফিলিস্তিন'। যে গ্রন্থটি 'হুদহুদ প্রকাশন' থেকে প্রকাশিত হচ্ছে 'কালের বিবর্তনে ফিলিস্তিনের ইতিহাস' এই শিরোনামে। যার সরল অনুবাদক লেখক আব্দুর রহমান আযহারী হাফিজাহুল্লাহ। মুসলিমদের কাছে ফিলিস্তিন নামেমাত্র কোনো শব্দ কিংবা রাষ্ট্র না। এর কারণ বাইতুল মাকদিস আমাদের প্রথম কিবলা,তৃতীয় হারাম। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কুরআনুল কারিমে একাধিকবার ফিলিস্তিনের চারপাশের ভূমিকে বরকতময় ও একে পূর্ণময় ভূখণ্ড বলে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহর অনুগ্রহে নবি করীম ﷺ মক্কা থেকে যেখানে ভ্রমণ করেন। আর এখানেই খুঁজে পায় পূর্বসূরীদের পদছোয়া। তাঁদের দেখে চক্ষুশীতল করে দুই রাকাআত সালাত আদায় করে প্রশান্তির সাথে। এই মসজিদুল আকসা থেকেই অতঃপর ঊর্ধ্বাকাশে গমন করেন রাসূলুল্লাহ ﷺ। সোনালি অতীতের সেই পদচিহ্ন মুছে যাচ্ছে আজ রক্তশ্রোতে কিংবা ইতিহাস বিকৃতির সাথে। ফিলিস্তিনের সদ্য ফোটা ফুলগুলোও ঝরে পড়ছে আজ বুলেটের আঘাতে আঘাতে। আজকের এই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়া ফিলিস্তিনের সেই সোনালি অতীতকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আঞ্জাম নিয়েছেন ড. রাগিব সারজানি। আলোচনার শুরুতেই উঠে এসেছে ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে কেন অধ্যায়ন করা প্রয়োজন সেই বিষয়টি। যাদের মনাকাশে দ্বিধা কিংবা সংশয়ের কালো ছায়া ছিল বইটির মাঝে বুঁদ হওয়া নিয়ে, এইটুকু পড়ে তাদের আকাশটা সাদার শুভ্রতা কিংবা স্বচ্ছ নীল রঙে ছেয়ে যাবে। সূচিপত্রে চোখ বুলাতেই চোখে পড়ে, প্রাচীন ব্রোঞ্জ যুগ থেকে ইহুদি সম্প্রদায়ের ফিলিস্তিনের ভূমিতে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে ছড়িয়ে পড়ার ইতিবৃত্ত। ধাপে ধাপে নববী যুগ, খুলাফায়ে রাশিদিনের উজ্জল সময়কে ছুঁয়ে দিয়ে পৌঁছে গেছে সেলজুক, মামলুক, উসমানী খিলাফতের সময়ে ফিলিস্তিনের ইতিহাস পর্যন্ত। এরপর ক্রুসেডার বাহিনী ও বাইতুল মুকাদ্দাসকে ঘিরে এই বাহিনীর পদক্ষেপগুলো, ইহুদি-মুসলিম সংঘর্ষ, ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগ্রামের সূচনা থেকে বর্তমান পর্যন্ত সুসজ্জিত করা হয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে, ফিলিস্তিনের ওল্ড ওয়ার্ল্ড অর্ডার থেকে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার পর্যন্ত আলোচ্য বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে। শর্ট পিডিএফ পড়ে অনুমেয়, সহজ,সরল সাবলীল ভাষার বুননে লেখক সুনিপুণ হাতে তথ্যবহুল আলোচ্য এই গ্রন্থটি গড়েছেন। বিকৃত ইতিহাসের বেড়াজাল থেকে মুসলিম উম্মাহকে বের করে সঠিক ইতিহাসের আয়নায় দেখিয়েছেন ফিলিস্তিনের সোনালি অতীতসহ বর্তমানকে যা ―বইটির গ্রহণযোগ্যতা ও বিশেষত্ত্বকে বাড়িয়ে দিয়ে পাঠকমহলে করেছে আরো সুখপাঠ্য ও গুঞ্জনের সৃষ্টি। বইটি ইতিহাসপ্রেমী ও ফিলিস্তিন বিষয়ে সঠিক ইলম অর্জনে আগ্রহীদের সামনে এমন এক নতুন দ্বারের উন্মোচন করবে। যেই দ্বার খুলে দিলে আলো এসে সব অন্ধকার, গোমরাহীকে নিশ্চিহ্ন করে আলোর পথ দেখাবে। সর্বোপরি, ফিলিস্তিন ইস্যু যে মুসলিমদের আকিদাগত ইস্যু তা উপলব্ধি করতে এবং মুসলিমদের একজোট হয়ে ইহুদিদের হাত থেকে ফিলিস্তিন জয় করার কথাও ভাবিয়ে তুলবে। বইয়ে ব্যবহৃত কুরআন ও হাদিসের আয়াতগুলো একটু ধূসর রঙে লিখলে ভালো হতো। সম্পূণ আয়াত ও হাদিস ধূসর রঙে না লিখে শুধুমাত্র রেফারেন্সগুলো ধূসর রঙে করা হয়েছে। যেটা আমার কাছে ভালো লাগেনি। এই কাজে যুক্ত যারা এই দিকটা একটু ভেবে দেখতে পারেন। এমন একটি বই যাদের অক্লান্ত শ্রমের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি তাদের প্রতি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে— দুআ ও ভালোবাসা। বইটির অনান্য তথ্য: বই: কালের বিবর্তনে ফিলিস্তিনের ইতিহাস লেখক: ড. রাগিব সারজানী অনুবাদ: আব্দুর রহমান আযহারী সম্পাদক : মাওলানা আবদুল আলীম প্রকাশনায়: হুদহুদ প্রকাশন কভার: হার্ডকভার পৃষ্ঠা: ৩৬৮ মুদ্রিত মূল্য: ৬০০ টাকা। .
Was this review helpful to you?
or
- পৃথিবীর অন্যতম বরকতময় ও স্মৃতিবিজড়িত এক ঐতিহাসিক ভুখন্ডের নাম হচ্ছে ফিলিস্তিন। এই ভুখন্ডের সাথে জড়িয়ে আছে পৃথিবীর সকল মুসলিমের অস্তিত্বের পরিচয়। মানব-ইতিহাসের অসংখ্য নবী-রাসূলগনের (আলাইহিমুস সালাম) পদচারণায় ধন্যতা ও বরকতময় লাভ করেছে এই ভূমি। বলা যায়– পৃথিবীর তিনটি ধর্মের মানুষের কাছে এই ভূমি পবিত্রতার প্রতীক। ইয়াহুদী, খ্রিষ্টান ও ইসলাম। ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানরা পবিত্রতার সাথে এই ভূমিকে স্বরণ করলেও, নিজেদের বলে দাবি করলেও, ইতিহাস বলে এই ফিলিস্তিন ভূমির একমাত্র হকদার ও একচ্ছত্র অধিকারী হলো মুসলিম উম্মাহ। কারণ, ফিলিস্তিনে স্থাপিত আছে মানব ইতিহাসের দ্বিতীয় মাসজিদ ‘আল-আকসা’। এখান থেকেই আমাদের নবী 'মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর মিরাজের যাত্রা শুরু হয়। এটিই ছিলো আমাদের প্রথম কিবলা। এই ভূমিতেই অনুষ্ঠিত হবে পুনরুজ্জীবনের হাশরের ময়দান। তাছাড়া আল্লাহর রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অন্যতম স্বপ্ন ছিলো নিজের নেতিত্বে ‘মাসজিদুল আকসা’ জয় করা। তাই, পৃথিবীর প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ওয়াজিব এই ভূমির পবিত্রতা রক্ষা করা, এই ভূমিকে আমাদের শত্রু-শুকুনদের হাত থেকে সংরক্ষণ করা। - কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে মাসজিদুল আকসা ও ফিলিস্তিন নিয়ে আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা এতটাই যে, আমরা মনে করি ফিলিস্তিন ইস্যু কেবল ফিলিস্তিনে বসবাসকারী ব্যক্তিবর্গের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাইতো ফিলিস্তিনে বসবাসকারী আমাদের ভাই-বোনদের উপর ইয়াহুদী জায়োনিষ্টদের চালানো নির্যাতন-নিপীড়ন, অন্যায়-অবিচার, দখলদারিতা ও সন্ত্রাসী হামলা, লুটপাট ও বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠন দেখেও আমাদের অন্তরাত্মা কেঁপে উঠে না। কোন মুসলিম শাসক এই অবৈধ অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় না, প্রতিবাদ করে না। বের হয়ে আসে না সালাহউদ্দিন আইয়ুবির মতো মহাবীর। - ইতিহাস একটি জাতির দর্পণ স্বরুপ। ইতিহাসের আয়না দিয়ে অতীতের গৌরব উজ্জ্বল বীরত্ব থেকে আমরা অনুসন্ধান করতে পারি অদূর ভবিষ্যতের বিজয়ের নিশানা। তাই মানব ইতিহাসের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত ফিলিস্তিনের গুরুত্বপূর্ণ কাহিনীর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিয়ে মলাটবদ্ব হতে যাচ্ছে ‘হুদহুদ প্রকাশনের’ নতুন বই “কালের বিবর্তনে ফিলিস্তিনের ইতিহাস”। বইটির মূল লেখক বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ড. রাগিব সারজানী। সহজ সরল ও প্রাঞ্জল মাতৃভাষায় অনুবাদ করে দিয়েছেন মাওলানা আবদুর রহমান আযহারী। - বইটির শুরুতেই ভূমিকার পর ‘ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে অধ্যায়ন কেন?’ নামক একটি দীর্ঘ আলোচনা করেছেন লেখক। দেখিয়েছেন ফিলিস্তিনের ইতিহাস জানা আমাদের জন্য কতোটা জরুরি, যেই ইতিহাস মিশে আছে আমাদের অস্তিত্বের সাথে, আকিদার সাথে। তারপর– ব্রোঞ্জ যুগ, মধ্য যুগ, বনি ইসরাইল, নবীজির সাথে ফিলিস্তিনের সম্পর্ক, নববী যুগে ফিলিস্তিন, সাহাবীদের যুগে ফিলিস্তিন, ইসলামী বিভিন্ন শাসনামলে ফিলিস্তিন, ফিলিস্তিন ভূমিকে ইয়াহুদীকরণে মৌলিক পাঁচ পদক্ষেপ, বর্তমানে ফিলিস্তিন রক্ষায় সশস্ত্র সংগ্রাম, ফিলিস্তিনের ইতিহাস ঘিরে কিছু পর্যালোচনা ও শিক্ষা ও প্রিয় ভ্রাতৃসমাজ নামক একটি প্রবন্ধে মুসলিম কিছু উপদেশ ও দিকনির্দেশনার মাধ্যমে বইটির ইতি টানা হয়েছে। - শর্ট পিডিএফ পড়ে যথেষ্ট ভালো লেগেছে। বিখ্যাত লেখক, সরল অনুবাদ ও পবিত্র ভূমির ইতিহাসের বর্ণণা বইটিকে অনন্য করে তুলেছে। তবে প্রচ্ছদ কভারে কিছুটা পরিবর্তন আনা যেত। এমন কালারফুল প্রচ্ছদ না দিয়ে, প্রাচীন প্রাচীন ভাব ফুটে ওঠার মতো ইউনিক প্রচ্ছদে বইটি সুসজ্জিত করা যেত। - ফিলিস্তিনের ইতিহাস জানা আমাদের সকলের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কালের বিবর্তনে অতীত থেকে বর্তমান ফিলিস্তিনের ইতিহাস জানার আগ্রহী, নবীন-প্রবীন সকলের তথ্য সমৃদ্বে ভরপুর এই বইটি সুখপাঠ্য হবে বলে আশা করছি। নির্দিধায় সংগ্রহ করতে পারেন। 'ইন শা আল্লাহ, আপনার সময় এবং অর্থ নিরর্থক যাবে না।
Was this review helpful to you?
or
কোনো জাতি বা দেশের উত্থান-পতনের গল্পটা ইতিহাস থেকেই জানা যায়। যেহেতু বিজয়ীরাই ইতিহাস লিখে থাকেন, তাই হতে পারে গল্পের সিংহভাগই তাদের অনুকূলে সাজানো। কিন্তু এ ইতিহাস রদবদলের নয়, দালিলিক জীবনালেখ্য৷ ড. রাগিব সারজানির 'কিসসাতু ফিলি'স্তিন' একটি জাদরেল রচনা। তারই বাংলা অনুবাদগ্রন্থ আজকের আলোচ্য বিষয়। মুসলিম হিসেবে নিজেদের আত্মপরিচয় সম্পর্কে জানি না আমরা কিছুই। তাই আত্মমর্যাদা ও হারানো গৌরব সম্পর্কে মানসিক দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব আমাদের পিছু ছাড়ে না। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি মূলত উপন্যাসের আঙ্গিকে পুরো দুনিয়ার ইতিহাস। কিন্তু প্রধান গল্পভাষ্য ফিলি'স্তিনকে কেন্দ্র করে। ইতিহাস ঘিরে কিছু পর্যালোচনা, ভ্রান্তমতের অপনোদনে ভ্রাতৃসমাজের প্রতি এ গ্রন্থ এক খোলা চিঠি। মুসলমানদের হৃদয়ে ফিলি'স্তিন যেন সোনার কালিতে লিখে রাখা এক নাম। নবি-রাসূলগণের পদচারণায় ভাস্বর ও আল্লাহর মনোনিত ভূখন্ড হিসেবে বরাবরই এই রাষ্ট্র বিশ্বের সকল প্রান্তের মুসলমানের প্রাণের শহর। এ শহরের বুকে একটু আচড় লাগলেও যেন বুকে র'ক্তক্ষর'ণ হয়। তাই অধুনা এই প্রজন্মকে জানাতে হবে ফিলি-স্তিন ইস্যু নিয়ে অধ্যয়ন কেন করতে হবে। জানতে ও জানাতে হবে এই ভূখন্ডের গুরুত্ব ও মর্যাদা। তাই সময়রেখার উপর অবস্থিত এই জাতি ও রাষ্ট্রের অবদান ও ইতিহাসের পাঠের কোনো বিকল্প নেই। দাওয়াহ ও চেতনার তাগিদে মুসলমানদের হৃদয়ে ফিলি'স্তিন ঘিরে আবেদন সৃষ্টি করাই এর মূল লক্ষ্য। ভালোবাসা ও আবেগবিহীন চেতনার ফলাফল আবেদন ও অনুভূতিশুন্য। আদতে কালের বিবর্তনে ইসলামি রাষ্ট্রের এই চরম সঙ্ক'টাপন্ন অবস্থার উন্নতি অসম্ভব। এই গ্রন্থে উঠে আসা সংগ্রাম, বীরত্ব, ঈমানী বিজয়, পরাজয়, দখলদারিত্ব তথা ধর্মীয় অবস্থান সবটাই শুধু একজন পাঠকের মানসপটে নাড়া দেয় না। একজন মুসলিমের অন্তরকে সিক্ত করে, রাঙায়, আবেগে ভাসায়, উদ্দীপ্ত করে ঈমানের চূড়ান্ত শাখায়। প্রকাশিতব্য গ্রন্থ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। কারণ, এই ইতিহাসের খন্ডচিত্রের সাথে আমরা পরিচিত। কিন্তু ধারাবাহিক মানচিত্রের বড্ড প্রয়োজন ছিল। আশা করি অনুবাদের মান নিয়ে কোনো আক্ষেপ থাকবে না। গ্রন্থের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের পরিশ্রম সার্থক হোক।
Was this review helpful to you?
or
প্রাককথন : ছোট্ট একটি ভূখণ্ড, আয়তন মাত্র মাত্র ২৬ হাজার বর্গকিলোমিটার (১০,৪২৯ বর্গমাইল)। কিন্তু ছোট্ট এই ভূখণ্ডটিই পৃথিবীর অন্যতম প্রভাবশালী তিনটি ধর্ম–ইসলাম, ইহুদি ও খ্রিষ্টধর্মে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এরা প্রত্যেকেই এই ভূখণ্ডকে, স্পষ্ট করে বললে এর মধ্যকার বায়তুল মুকাদ্দাসকে নিজেদের দাবি করে থাকে। কিন্তু দাবি করলেই তো আর হবে না! ইতিহাস বলে বায়তুল মুকাদ্দাসের সবচেয়ে বেশি হকদার, অধিকারী হলেন মুসলিমরা। তাই সময় এসেছে মুসলিমদের অস্তিত্ব জানান দিতে নিজেদের সোনালী ইতিহাসকে আরও একবার ঝালিয়ে নেওয়ার... সময়ের পরিক্রমায় এসে বিংশ শতাব্দীর তরুণ-যুব প্রজন্ম কতটুকু জানে নিজেদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস? ফিলিস্তিন, বায়তুল আকসার ইতিহাস? তাদের জানার চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা পূরণে এগিয়ে এসেছেন সময়ের আলোচিত ও প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, গবেষক ড. রাগিব সারজানি। আর বাঙালি পাঠকের চিন্তার খোরাক জোগাতে রাগিব সারজানির লিখিত বইটিই অনূদিত হয়ে আসছে হুদহুদ প্রকাশন থেকে, আলহামদুলিল্লাহ... বই পরিচিতি : বায়তুল মুকাদ্দাসের সঠিক ইতিহাস, ইহুদিদের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা, মুসলিমদের জন্য বায়তুল আকসার প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সমৃদ্ধ বইটি প্রকাশিত হচ্ছে 'কালের বিবর্তনে ফিলিস্তিনের ইতিহাস' নামে। রাগিব সারজানি তার অন্যান্য গ্রন্থের মতো এ বইটিতেও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা বজায় রেখেছেন। অনুবাদ করেছেন আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুর রহমান আযহারী। পিডিএফ পর্যালোচনা : প্রকাশনী প্রদত্ত শর্ট পিডিএফ এর আলোকে বলা যায় বইটি বর্তমান সমাজ ও সময়ের জন্য বেশ উপকারী হবে ইনশাআল্লাহ। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের বড় একটা অংশ যারা নিজেদের শিকড় ও শিখর সম্পর্কে একেবারেই বেখবর–তাদের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে শর্ট পিডিএফ এর বেশ কিছু জায়গায় বানান ও বাক্য বিভ্রাট চোখে পড়েছে। আশা করি, প্রকাশনী কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা : বইয়ের শুরুতে লেখক ফিলিস্তিন ইস্যু অধ্যয়নের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে একটি নাতিদীর্ঘ আলোচনা পেশ করেছেন। তাছাড়া নিজেদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, ঐতিহাসিক সত্যতা ও ইহুদিদের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা থেকে সতর্ক থাকতেও বইটি পাঠ করা একান্ত অপরিহার্য। পরিশেষে বইটির সার্বিক প্রচার প্রসার কামনা করছি। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেককে উত্তম প্রতিদান দিন।
Was this review helpful to you?
or
১৯৭৯ সাল থেকে “আল–আকসা” মসজিদ মুক্তির লক্ষ্যে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ প্রতিবছর রমজান মাসের শেষ শুক্রবার 'আল–কুদস' দিবস পালন করে। তখন থেকে সারা বিশ্বে দিনটি ফিলিস্তিন মুক্তির ও বিশ্ব মুসলিম ঐক্যের প্রতীকরূপে পালিত হয়। এ দিনকে ফিলিস্তিনের মুক্তির আন্দোলনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। জানার আগ্রহ থেকেই বাংলাদেশে পরিচালিত কুদস দিবসের গ্রুপে ভলান্টিয়ার নির্বাচিত হই। সেখান থেকেই আগ্রহী হয়ে ফিলিস্তিন নিয়ে নেটে, তাফসিরে ঘাটাঘাটি করি বেশ কয়েকদিন। কিন্তু একসময় অবাক হলাম যে, আমি ফিলিস্তিনের ইতিহাস নিয়ে কোনো কূল কিনারা পাচ্ছিলাম না৷ প্রায় এক সপ্তাহের মতো কখনো তাফসির, কখনো উইকিপিডিয়া থেকে ঘটনা বর্ণনা মিলাতে চেয়েও পারিনি। পরে হাল ছেড়ে দিয়েছি। যেহেতু আমি জেনারেল পড়ুয়া, ইসলামের সকল বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই। তাই ভুল করে ফেলার ভয় থেকেই আর আগাই নি। তবে বুঝতে পারছিলাম, ফিলিস্তিন সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। পূর্ববর্তী প্রায় প্রত্যেক নবীকে ঘিরেই ফিলিস্তিনের ইতিহাস রয়েছে। নবী মুহাম্মদ ﷺ এর যুগ, এর পরবর্তী যুগ এবং আজ অবধি ফিলিস্তিনকে ঘিরে নানা ঘটনা তৈরি হয়েছে, যা আমাদের অজানা। মিডিয়ায় যেগুলো আসে না, আসলে আমাদের সামনে আনা হয় না। . ফিলিস্তিন মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক স্থান। কেননা, বায়তুল মাকদিস আমাদের প্রথম কিবলা, তৃতীয় হারাম। এবং মেরাজের ঘটনায় এই স্থান বিশেষভাবে জড়িত। হুদহুদ থেকে প্রকাশিতব্য বইটির রচয়িতা ড. রাগিব সারজানী। মূল বই, কিসতাতু ফিলিস্তিন। বাংলানুবাদ করা হয়েছে, কালের বিবর্তনে ফিলিস্তিনের ইতিহাস শিরোনামে। বইটি যেনো আমার মতো পাঠকদের জন্যই রচিত। আমি যেগুলো খুঁজে মিল করতে না পেরে ইস্তফা দিয়েছিলাম ঠিক সেগুলোই বইটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বইয়ের সূচিপত্র দেখে সন্তুষ্ট হয়ে গেলাম। কারণ, প্রাচীন ব্রোঞ্জ যুগ থেকে শুরু করে আজ অবধি ফিলিস্তিনের সকল ইতিহাস বইটিতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। . প্রথমেই পাঠকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, ফিলিস্তিন নিয়ে পড়াশোনার কী দরকার? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য বইয়ের শুরুতে ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব বুঝানো হয়েছে, এরপর ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে অধ্যয়নের প্রয়োজনীয়তা আলোকপাত করা হয়েছে। সূচিতে খেয়াল করলাম বইটিতে কাহিনী পরম্পরা বজায় রাখা হয়েছে। বিশেষ করে- উমাইয়া, আব্বাসী, আইয়ুবী, সালজুক, মামলুক, উসমানী সাম্রাজ্যের অধীনস্তরা ফিলিস্তিনকে নিয়ে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছিলেন সেগুলোও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রায় ৩৫ টি শিরোনামে বইটি সজ্জিত। বইটি পাঠের মাধ্যমে পাঠক ফিলিস্তিন সম্পর্কিত খুঁটিনাটি সকল বিষয়ে অবগত হবে, পাশাপাশি মুসলিমদের জন্য ফিলিস্তিন নিয়ে ভাবা, ফিলিস্তিন শত্রুমুক্ত করা কতটা জরুরি তাও উপলব্ধি করতে পারবে। ইন শা আল্লাহ! . বইটির বিশেষত্ব- প্রথমেই বলবো ধারাবাহিক ঘটনা বর্ণনের মাধ্যমে এক বইয়ে অতীতের কাহিনী, বর্তমান পরিস্থিতি, ভবিষ্যতে নেওয়া পদক্ষেপের প্রতিও ইঙ্গিত করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের ইতিহাস নিয়ে কিছু পর্যালোচনা রয়েছে। যদিও বইয়ের অনুবাদ করেছেন নবীন অনুবাদক, কিন্তু শর্ট পিডিএফ পড়ে অনুবাদ সহজবোধ্য মনে হয়েছে। বইয়ে উল্লিখিত কুরআন হাদীদের রেফারেন্স যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু মুসলিম বলে থাকেন, ফিলিস্তানীরা তাদের ভূখণ্ড ইহুদিদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। এই তথ্য আদৌ সঠিক নাকি ভুল তাও বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে। তাছাড়া সর্বপ্রকার তথ্যশক্তির মালিক ইহুদীরা। এই বিষয়টিও বইটিতে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। . শর্ট পিডিএফে ৪০ পৃষ্ঠার মতো উন্মুক্ত করা হয়েছে। যতটুকু পড়েছি বানান বিভ্রাট চোখে পড়েনি। ফন্টও ভালো হয়েছে। প্রচ্ছদের নিচে নীলরঙ কেনো ব্যবহার করা হয়েছে বুঝিনি। তবে প্রচ্ছদে ফিলিস্তিনের একটুখানি চিত্রটা খুব সুন্দর। বিশেষ করে ইংরেজিতে লেখা History of Palestine লেখাটা ভালো লেগেছে। বাকি তো বই পেলে বলতে পারবো। বইটি ফিলিস্তিনের ইতিহাস সম্বলিত একটি পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস গ্রন্থ বলা যায়। ইতিহাস প্রেমী পাঠকদের জন্য বিশেষ করে যারা ফিলিস্তিন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তাদের জন্য বইটি সুখপাঠ্য হবে। বই সংশ্লিষ্ট সকলকে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিক। আমিন!
Was this review helpful to you?
or
প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য যদি কোন জাতি বা গোষ্ঠীকে নোবেল পুরষ্কার দেয়ার ঘোষণা আসে তবে এই পুরষ্কার সবার আগে ইহুদিদের ভাগেই পড়বে।ফিলিস্তিনে জোরপূর্বক দখল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তারা যত মিথ্যা,ইতিহাস বিকৃতি ও প্রোপাগান্ডার আশ্রয় নিয়েছে তা পৃথিবীর অন্য কোন গোষ্ঠী অন্য কোন ইস্যুতে নিয়েছে বলে আমার জানা নেই।তাদের প্রোপাগান্ডা এতই ভয়াবহ যে,একে প্রমাণ করতে তারা খোদ নিজেদের পবিত্র ধর্মগ্রন্হ পর্যন্ত বিকৃত করে ছেড়েছে; যার অনন্য নজির ইতিহাসে খুঁজে মেলা ভার! ফিলিস্তিনে অবস্থিত ইসলামের অন্যতম শিয়ার বা নিদর্শন আল আকসা মসজিদ; যার সাথে জড়িয়ে আছে পুর্বযুগের অসংখ্য পূতপবিত্র নবী-রাসুল আলাইহিমুস সালামগণের স্মৃতি।এটি একাধারে ইসলামের প্রথম কিবলা,প্রাচীন ঐতিহাসিক মসজিদ এবং যে তিন মসজিদে সফরের নিয়তে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি মসজিদ।ফিলিস্তিনের ভূমিও অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সবদিক বিবেচনায় তাৎপর্যপূর্ণ।শেষ যমানায় ইমাম মাহদী,দাজ্জাল ও ঈসা ইবনু মরিয়ম আলাইহিস সালামের আগমনকে কেন্দ্র করে অনেক ঘটনার সাক্ষী হবে এই পবিত্র ভূমি। এজন্যই ইহুদিরা একে জোরপূর্বক দখল করার লক্ষ্যে,দাজ্জালের আগমণকে তরান্বিত করার জন্য সকল অপচেষ্টা, অপকৌশল ও মিথ্যা প্রচারনার আশ্রয় নিয়েছে।আর এসব প্রোপাগাণ্ডার দেয়াল ভাঙতে হলে,শক্তপোক্ত জবাব দিতে হলে সবার আগে ফিলিস্তিনের ইতিহাস সম্পর্কে সচ্ছ ধারণা থাকা উচিত।কেননা ফিলিস্তিনের এই ইস্যু ফিলিস্তিনের একার ইস্যু নয় বরং এটা ইসলামের আন্তর্জাতিক ইস্যু,প্রতিটা মুসলিমের ঈমান ও আকিদার ইস্যু।ফিলিস্তিনের সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের ঈমান ও আকিদার এক অভেদ্য মেলবন্ধন।আর বাংলাভাষায় এই বিষয়ে কোন গবেষকের লেখা তাত্ত্বিক বই সম্ভবত এটাই প্রথম।বইটি যেকারোই অসংখ্য চিন্তার জট খুলে দিবে,সঠিক ও সত্য ইতিহাসের পরিচয় উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, সর্বোপরি আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা,চিন্তার সংশোধন ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে তা বলাই বাহুল্য।
Was this review helpful to you?
or
ফিলিস্তিন। নাম টা শুনলেই আবেগতড়িত হয়ে কান্না চলে আসে। আসবেই না কেন? এই ফিলিস্তিন বর্তমানে অত্যাচারে একাকার হয়ে রয়েছে। আর যা দেখে যেকোনো মুসলিমের টনক নড়া উচিত। কিন্তু আমাদের কাছে ফিলিস্তিনের ইতিহাস সম্পর্কে যেনো কেউ কিছু তুলেই ধরে না। এই ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা ছিল আমাদের প্রথম কেবলা ও তৃতীয় হারাম। বই বের করা হয় কিন্তু বই তো সবাই পড়ে না। আমাদের কাছে সরাসরি ফিলিস্তিনের গুরুত্ব তুলে ধরা উচিত। যা জানলে সবার মাঝে আবেগভূত না হয়ে বাস্তবে ফিলিস্তিনের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা গড়ে উঠবে। 'কালের বিবর্তনে ফিলিস্তিনের ইতিহাস' বইটি আমাদের জন্য হয়ে উঠতে পারে মানুষের মাঝে ফিলিস্তিনের ইতিহাস সম্পর্কে ছড়িয়ের দেয়ার চাবিকাঠি। এই বইটি তে লেখক আদি থেকে বর্তমানের ইতিহাস তুলে ধরেছেন বিশেষ করে ফিলিস্তিন-সংশ্লিষ্ট ইতিহাস তুলে ধরতে লেখক ভুল করেননি। মুসলমানদের হৃদয় ফিলিস্তিনি ঘিরে এক বিশেষ আবেদন সৃষ্টির লেখক এই গ্রন্থটি লিখেছেন। ফিলিস্তিন ইস্যু হল আকিদাগত বিষয়। আকিদাগত বিষয় ছাড়া কোন মুসলমান বেঁচে থাকতে পারেনা। আমাদের মুসলিম এক ভাইয়ের উপর কোনো কাফের আঘাত করলে, সেই কাফেরদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো প্রতিটি মুসলমানদের দায়িত্ব। ২০০০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মাত্র আট বছরে ৫৫০০ জনেরও অধিক শহীদের লাশ ফিলিস্তিনের লাশ মাটিতে পড়েছে। অথচ রসূল (সঃ) একজন মুসলিমের প্রাণহানি জন্য ব্যকুল হয়ে ওঠতেন। শামের মাটিতে যখন একজন মুসলিম নিহত হয় তখন রসূল (সঃ) পূর্ণ একটি বাহিনী পাঠিয়ে দিলেন। এটাই হলো মুসলিম দের শক্তি। কিন্তু আমরা এর থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছি। তাই আমাদের জন্য এই বইটি হয়ে উঠতে পারে জাগরণের। এভাবেই মুসলিমদের বিভিন্ন অত্যাচারে অন্য মুসলিমরা চুপ করে থাকে। ভালোবাসার প্রকাশ মনের ভিতর আসেনা। ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, উইগুরের মুসলমানদের অত্যাচারে আমাদের কোনো পদক্ষেপ নেই। ইতিহাস জানলে আমাদের প্রতিরোধ করার ইচ্ছা প্রকাশ পাবে। তাই এই বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আর ফিলিস্তিনের সাথে আমাদের নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শিকাড়ের সম্পর্ক রয়েছে। ফিলিস্তিন অঞ্চলটি পৃথিবীর প্রাচীন অঞ্চলগুলোর একটি যেখানে মানুষের বসবাস, কৃষিনির্ভর জনসমষ্টি এবং সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। ব্রোঞ্জ যুগের প্রথম ও মধ্যভাগে স্বাধীন কেনানীয় নগর-রাষ্ট্রগুলো গড়ে উঠেছিল এবং প্রাচীন মিশর, মেসোপটেমিয়া, ফোয়েনেশিয়া, মাইনোয়ান ক্রিট, এবং সিরিয়ায় গড়ে ওঠা সভ্যতা দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়েছিল। এই বইয়ের মাধ্যমে প্রাচীন ব্রোঞ্জ যুগ থেকে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের প্রতি মুসলমানদের শাসন এরপর ইহুদিদের কারণে ছিন্নভিন্ন হইয়ে যাওয়ার ইতিহাস, সব শাসন আমলে ( সেলজুক, মামলুক, উসমানী,সুলতান, ক্রসেডর) ফিলিস্তিনের অবস্থা সব কিছু এই বইয়ের মাঝে সুন্দর করে তুলে ধরেছে। এখন বইটি বের হলে পুরোপুরি বুঝা যাবে তারপরেও শর্ট পিডিএফ পড়ে বইটি পড়ার ধীর ইচ্ছা জেগে উঠেছে। বইটির মাধ্যমে ইহুদির চক্রান্ত ভুল ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবো। যা আমাদের মাঝে ইহুদিরা ছড়িয়ে দিয়েছে। ইহুদিরা আমাদের কাছ থেকে এই ফিলিস্তিনকে কেড়ে নিয়ে গিয়েছে। এই ফিলিস্তিন ছাড়া মুসলমান রা কল্পনা করতে পারে না। পরিশেষে বলা যায়, এই বইটি পড়ে ফিলিস্তিনের সম্পর্কে ধারণা হবে এবং তাদের অত্যাচার ও নিপীড়িত অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য মুসলিমরা জেগে উঠবে ইং শা আল্লাহ। 'কালের বিবর্তনে ফিলিস্তিনের ইতিহাস' বইটি রাগিব সারজানীর লেখা "কিসসাতু ফিলিস্তিন" বইয়ের অনুবাদ। অনুবাদ করেছে আব্দুর রহমান আযহারী। বইয়ের প্রচ্ছদ টা অনেক সুন্দর। কালো আর নীলের মাঝে ফিলিস্তিনের বাইতুল আকসাকে তুলে ধরেছে। আকর্ষণীয় এই প্রচ্ছদ টা দেখলে এই বইটিকে যে কারোই ধরতে ইচ্ছে করবে।
Was this review helpful to you?
or
প্রাককথন পবিত্র সেই সত্তা, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতারাতি মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসায় নিয়ে যান, যার চারপাশকে আমি বরকতময় করেছি, তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখানোর জন্য। [সুরা বনি ইসরাইল : ১] ফিলিস্তিন। কুরআন ও হাদিসের আলোকে বরকতময় স্থান। মাত্র ২৬ হাজার বর্গকিলোমিটার জুড়ে অবস্থিত এই ভূখণ্ড। উমার ইবনুল খাত্তাব (রা.) এর খিলাফতকালে বিজিত হয় এই পূণ্যভূমি। ৪৯২ হিজরীতে ক্রুসেডাররা ফিলিস্তিনের উপর আধিপত্য বিস্তার করলেও ৫৮৩ হিজরীতে সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবী (রহ.) এ ভূমি পুনরুদ্ধার করেন ও তাওহীদের পতাকা উড্ডীন করেন। কিন্তু উম্মার দুর্ভাগ্য যে আজ ফিলিস্তিন অভিশপ্ত ইহুদীদের দখলে। ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে এ অঞ্চলে উপনিবেশবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতায় ইসরাইল নামক এক অবৈধ রাষ্ট্র গঠন করে। এই ইহুদীরা শুধু ফিলিস্তিন ভূখণ্ড অধিকার করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং নিজেদেরকে বৈধ প্রমাণের জন্য ইতিহাস বিকৃতির আশ্রয় নিচ্ছে।নিরীহ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের উপর নির্মম অত্যাচার চালাচ্ছে। তারা বিশ্বের কাছে প্রমাণ করতে চাচ্ছে যে, তারাই ফিলিস্তিনের আদি বাসিন্দা। তাই ফিলিস্তিনের প্রকৃত ইতিহাস আমাদের সকলের জানা উতিত। অভিশপ্ত ইহুদীদের প্রোপাগান্ডা ও বিকৃতির স্বরূপ উম্মোচণের জন্য ড. রাগিব সারজানী হাফিজাহুল্লাহ ফিলিস্তিনের প্রকৃত ইতিহাস আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। তিনি রচনা করেছেন কিসসাতু ফিলিস্তিন বইটি। বইটি অনুবাদ করেছেন আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাওলানা আবদুর রহমান আযহারী হাফিজাহুল্লাহ। বইটি অনুবাদের পর বাংলায় নাম দেওয়া হয়েছে কালের বিবর্তনে ফিলিস্তিনের ইতিহাস। বইটি প্রকাশ করছে হুদহুদ প্রকাশন। বইটি সম্পাদনা করেছেন মুহাম্মদ আবদুল আলীম হাফিজাহুল্লাহ। শর্ট পিডিএফ পাঠ অনূভুতি শুরুতেই সূচিপত্রে চোখ বুলানো যাক।সূচিপত্র খেয়াল করলেই আপনি দেখতে পাবেন বইটিতে মানব ইতিহাসের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত ফিলিস্তিনের ইতিহাস বর্ণিত হয়েছে। প্রাচীন ব্রোঞ্জ যুগ থেকে শুরু করে নববী যুগে, খুলাফায়ে রাশেদা যুগে, উমাইয়া সাম্রাজ্যে, আব্বাসী সাম্রাজ্যে, জংগী ও আইয়ুবী সাম্রাজ্যের বিশেষ ও স্বতন্ত্র ইতিহাস রয়েছে এই ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে। এছাড়াও সালজুক, মামলুক ও উসমানী সাম্রাজ্যের বিশেষ ইতিহাস রয়েছে এই ভূখণ্ডে। বর্ণিত আছে এই অভিশপ্ত ইহুদীরা কীভাবে চক্রান্ত করে এই পবিত্র ভূখণ্ড দখল করেছে এবং এখনো যে আমার ফিলিস্তিনি ভাইয়েরা কীভাবে আমৃত্যু লড়াই করছে। আকীদা ছাড়া যেমন মুসলমান বাচতে পারে না, তেমনি ফিলিস্তিন ছাড়াও মুসলমান বাচতে পারে না। ফিলিস্তিন পবিত্র ভূখণ্ড। আমাদের প্রথম কেবলা।মক্কা-মদিনার পর তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। এখানেই রয়েছে মসজিদে আকসা।তাই ফিলিস্তিন ইস্যু একটি সর্বব্যাপি ইসলামী ইস্যু। এই ভূখন্ডের সাথে মুসলিমদের হৃদয়ের সম্পর্ক জড়িয়ে আছে। বইটির প্রয়োজনীয়তা •ইহুদীদের প্রচার মাধ্যম ফিলিস্তিনের যে বিকৃত ইতিহাস উপস্থাপন করে, এই বইয়ের মাধ্যমে আমরা ফিলিস্তিনের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবো ইং শা আল্লাহ। •এই বই পাঠের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের প্রতি ভালোবাসা জন্মাবে, অন্তর বিগলিত হবে ও প্রশস্ত হবে ইং শা আল্লাহ। •এই বই পাঠের মাধ্যমে নিপীড়িত ফিলিস্তিনি ভাইদের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ জাগ্রত হবে এবং মুসলিম-ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি হবে ইং শা আল্লাহ। পরিশেষে কালের বিবর্তনে ফিলিস্তিনের ইতিহাস বইটি হুদহুদ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হচ্ছে। তাদের জন্য দোয়া ও শুভকামনা। বইটির প্রচ্ছদ নজরকাড়া এবং প্রথম দেখাতে যে কারোরই ভালো লাগবে।মাওলানা আবদুর রহমান আযহারী হাফিজাহুল্লাহ বইটি সরল ও সাবলীল ভাষায় অনুবাদ করেছেন।সময়ের প্রয়োজনে মূল্যবান এই বইটি পাঠকের হাতে পৌছে দেবার মহান উদ্যোগের জন্য হুদহুদ প্রকাশনকে ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
অতীত ফিরে আসে বার বার সময়ের দর্পনে সাদাকালো ইতিহাস হয়ে। সত্য-মিথ্যার দ্বন্দ্ব, বিকৃতির শিকল ছাড়িয়ে হয়ে উঠে কালের সাক্ষী। বোবা ভাষায় জানিয়ে দেয়―ঘটনার অন্তরালের নিগূঢ় সত্য। . এমনই এক বস্তুনিষ্ট সত্য―নির্মোহ দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরেছেন বিশিষ্ট দায়ী, লেখক ও গবেষক ডক্টর রাগিব সারজানী তাঁর 'কিস্সাতু ফিলিস্তিন' গ্রন্থে।―যেটি আব্দুর রহমান আযহারী হাফিজাহুল্লাহ কর্তৃক অনূদিত হয়ে 'হুদহুদ প্রকাশন' থেকে প্রকাশিত হচ্ছে 'কালের বিবর্তনে ফিলিস্তিনের ইতিহাস' শিরোনামে। . ইতিহাসের ধূসরখাতায় জ্বলজ্বল করে ভেসে উঠে অসংখ্য নবী-রাসূলগণের পদছোঁয়ায় ধন্য―স্মৃতিবিজড়িত বরকতময় পুণ্যভূমি ফিলিস্তিন। বর্তমানে নানামুখী আগ্রাসনের যাঁতাকলে নুইয়ে পড়েছে সুশোভিত শান্তির নগরী জেরুজালেম। ধূলিমলিন আকসায় আজ রক্তের মাঝে ফুটে প্রভাতের ফুল। শান্তির পায়রা যেনো শিকলে বাঁধা ধ্বংসস্তুপের ভেতর। এই ফিলিস্তিনের ঘটনাবহুল ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে আমাদের আলোচ্য গ্রন্থটিতে। . শুরুতেই সম্পাদকের কথার পাশাপাশি লেখক ও অনুবাদক দ্বয়ের বাণীতে ফুটে উঠেছে পুরো বইটির একটি পূর্ণাঙ্গ স্কেচ। আলোচনা প্রথমেই আমাদের নিয়ে যাবে ইতিহাসের পথ ধরে সেই প্রাচীন ব্রোঞ্জ যুগ থেকে ইহুদি-খৃষ্টানদের আদি সময়ে। তারপর ধাপে ধাপে নববী যুগ, খুলাফায়ে রাশিদার বর্ণিল সময় পেরিয়ে সেলজুক, মামলুক, উসমানী খিলাফতের সময়ে ফিলিস্তিনের উপখ্যান। অতঃপর ইহুদি-মুসলিম সংঘর্ষ, ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্ত। রক্তক্ষয়ী আন্দোলন-সংগ্রাম, অগণন ত্যাগ-তিতীক্ষার গল্প শেষে আলোচনার ইতি ঘটে আজকের সময়ে এসে। . চমৎকার ভাষাশৈলী, সারল্য অনুবাদ ও আকর্ষণীয় শব্দ বিন্যাস বইটিকে করে তুলেছে সুখপাঠ্য। সংক্ষিপ্ত পিডিএফ পড়ে আমার কাছে বর্ণনা যথেষ্ট প্রাঞ্জল ও গতিশীল লেগেছে। কুরআনের আয়াত ও হাদিসের নাম্বারগুলো নিদৃষ্ট লাইনের শেষাংশে উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিষয়টি অত্যন্ত যুৎসই হয়েছে। সুতরাং চোখ বুঁজে বইটি সংগ্রহ করা যেতে পারে। . ফিলিস্তিনের ইতিহাস একটি দীর্ঘ পরিক্রমা। পুরোপুরি জানতে হলে প্রয়োজন ধৈর্য ও সময় নিয়ে বিস্তারিত পঠন, পাঠন ও অনুশীলন। আশা পোষণ করছি, ফিলিস্তিনের বিভিন্ন ঘটনার সুতীক্ষ্ণ আঁচড়ের দাগ পাঠকমনকে গভীরভাবে নাড়া দিয়ে ইতিহাস চর্চায় আরও আগ্রহী করে তুলবে। আর সেই যাত্রায় এই বইটি হোক প্রারম্ভিকা...
Was this review helpful to you?
or
ফিলিস্তিন আমাদের তৃতীয় মাতৃভূমি! হ্যা, এটা আমাদের মাতৃভূমি। যে ভূমি অর্জন করতে গিয়ে আমাদের শহিদদের রক্ত ঝরেছে, যে ভূমিতে আমাদের প্রথম কিবলা অবস্থিত, যে ভূমির মালিকানা আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন, সেটাতো আমাদের মাতৃভূমিই! যুগ যুগ ধরে ফিলিস্তিন ছিলো মুসলমানদের ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু, মুসলমানদের ঐক্যের সর্বোত্তম মাধ্যম এবং মুসলমানদের গর্ব ও গৌরবের ভূমি। যুগের আবর্তে, মুসলমানদের অধঃপতনের সুযোগে ইয়াহুদিরা দখল করে নিয়েছে আমাদের ভালোবাসার ভূমি টুকুকে। শুধু তাই নয়, মুসলমানদের ভূমিতে থেকে মুসলমানদের উপর চালিয়ে যাচ্ছে নির্যাতনের সর্বোচ্চটুকু! ইয়াহুদিরা দাবি করছে এটা তাদের ভূমি, ক্ষনে ক্ষনে খ্রিস্টানরাও একে নিজেদের ভূমি দাবি করে বসে! কিন্তু ফিলিস্তিনতো শুধু মুসলমানদের। ফিলিস্তিন মুসলমানদের ছিলো এবং ভবিষ্যতেও মুসলমানদের হবে, যদিও বর্তমানে আগ্রাসী শক্তি এর খানিকটা দখল করে রেখেছে। ফিলিস্তিন যে মুসলমানদের ভূমি তার সাক্ষ্য দেয় ইতিহাস। হ্যাঁ, ইতিহাসই সাক্ষ্য দেয় এ ভূমি শুধুই মুসলমানদের, অন্য কারো নয়। ইতিহাসের গভীর সে আলোচনাগুলোই তুলে ধরেছেন মিশরের বিখ্যাত ঐতিহাসিক ডা. রাগিব সারজানী। ইতিহাসের অলিগলি ঘেঁটে, ছেঁকে ছেঁকে তুলে এনেছেন মহাসত্যের দলিলগুলোকে। তারই আবদ্ধ পাঠ "কালের বিবর্তনে ফিলিস্তিনের ইতিহাস" বইটি। বইটিতে লেখক ব্রোঞ্জ যুগ থেকে ইয়াহুদিদের দখলকাল পর্যন্ত আলোচনা করেছেন ফিলিস্তিনের ইতিহাস। ব্রোঞ্জ যুগ থেকে শুরু করে খ্রিস্টান-ইহুদীদের সময়, খুলাফায়ে রাশেদার সময়কাল, উমাইয়া খিলাফত, আব্বাসি খিলাফত, সেলজুক সালতানাত, মামলুক সালতানাত, উসমানি খিলাফাত এবং শিয়া উবায়দিদের সময়কাল গুলোতে ফিলিস্তিনের পটভূমি, পরিস্থিতি, পরিবর্তন উঠে এসেছে বইটির আলোচনার মধ্যে। বইটি আমাদেরকে দিবে ফিলিস্তিন সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারনা, ফিলিস্তিন যে আমাদের ভূমি প্রমাণ করে দিবে ইতিহাসের দলিলপত্রের আলোকে। বর্তমান সময়ে বইটি পাঠের প্রয়োজনীয়তা বোঝা যায় বইটির আলোচ্য বিষয় দেখেই। আশা করি বইটি ফিলিস্তিন সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে বৃদ্ধি করবে এবং আমাদের ভূমি ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের উম্মাহকে শক্তি ও সাহস যোগাবে ইনশাআল্লাহ।
Was this review helpful to you?
or
প্রিভিউ : কালের বিবর্তনে ফিলিস্তিনের ইতিহাস বর্তমান ইন্টারনেট যুগে আমরা কমবেশি সব খবরই জানি। যার মধ্যে অন্যতম ফিলিস্তিন ইস্যু। যেখানে আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাই ইহুদিদের হাতে মুসলিমদের মার খাওয়ার দৃশ্য। এসব খবর শুনে আমরা কষ্ট পাই। কিন্তু একটা বিষয় কি আমরা খেয়াল করেছি, আমরা কতজন ফিলিস্তিন সম্পর্কে জানি। বাস্তবতা বলে ইস্যু শেষ হতে দেরি হয়, কিন্তু আমাদের ফিলিস্তিন সম্পর্কে আলোচনা শেষ হতে দেরি হয় না। এর কারণ কি হতে পারে? একটু ভাবলেই আমরা বুঝতে পারব যে এর অন্যতম কারণ আমাদের ফিলিস্তিন, এর ইতিহাস, মুসলিমদের কাছে ফিলিস্তিনের গুরুত্ব সম্পর্কে অজ্ঞতা। কারণ কোন বিষয় সম্পর্কে যদি আমরা নাই জানি, তবে সে বিষয় সম্পর্কে আমাদের অনুভূতি আসবে কোথা থেকে। এজন্যই ইহুদিরা তাদের ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞ এবং ইজরাইলকে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব সম্পর্ক সচেতন। আর আমরা আছি ইন্টারনেটের অযথা আনন্দে মত্ত। আর ফিলিস্তিনের ইতিহাস সম্পর্কে আমরা বেশিরভাগ মানুষ শুধু জানি - ফিলিস্তিন মুসলিমদের তৃতীয় পুণ্যভূমি আর নবিজি মেরাজের রাতে মসজিদে আকসায় এসেছিলেন আর মক্কার আগে মুসলিমদের কিবলা ছিল ফিলিস্তিন। এরবেশি জানে এমন মানুষ হাতেগোনা। তাহলে বুঝুন আমাদের মনে কীভাবে ফিলিস্তিনের জন্য ভালোবাসা, ত্যাগ করার মানসিকতা জন্ম নেবে। একই কারণে আমরা ফিলিস্তিনকে পশ্চিমাদের মতো করে বলি পেলেস্টাইন। হায় রে হতভাগা জাতি! ✔️প্রিভিউর জন্য ভূমিকাটা বড় হয়ে গেলো, তবুও কথাগুলো বলা দরকার ছিল - আমাদের বর্তমান অবস্থা আর বইটির গুরুত্ব সম্পর্ক অবহিত হতে। কালের বিবর্তনে ফিলিস্তিনের ইতিহাস বইটি আমাদের এ শূন্যতাকে দূর করতে চমৎকার একটি প্রকাশনা। যাতে আমরা ফিলিস্তিনের আদি থেকে বর্তমান ইতিহাস সম্পর্কে জানব। আর বইটির লেখক যেহেতু রাগিব সারজানি সেহেতু বইটি একটু বিশেষ বটেই। বইটির গুরুত্ব আলোচনার পর আরো একটি কারণে বইটি বিশেষ গুরুত্ব পাওয়ার দাবিদার। তা হলো বইটির বিন্যাস আর তথ্যবহুল আলোচনা। বইটি এমন চমৎকার করে সাজানো যে বলে প্রকাশ করার মতো না। সাথে যুক্ত হয়েছে তথ্যবহুল নানা আলোচনা যা জানলে চমৎকৃত,হতবাক হতে হয়। একটা ঝলক যদি দেখাই, "বলুনতো রয়টার্স, দ্য টাইমস, নিউজউইক, ওয়াশিংটন পোস্ট, স্টার ম্যাগাজিন, সিএনএন, এবিসি,ফিল্ম প্রতিষ্ঠান ফক্স,ওয়ার্নার ব্রোজ, ডিজনি......... এগুলো কাদের? জি হ্যা, এগুলো সবই ইহুদিদের।" এমন অনেক বিষয় রয়েছে বইটিতে। বইটি কীভাবে সাজানো এর ধারণা যদি দেই - প্রথমেই কেন আমরা ফিলিস্তিনের ইতিহাস পড়ব এ বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। প্রাচীন ব্রোঞ্জ যুগ, মধ্য ব্রোঞ্জ যুগ, ফারাওদের যুগ, নবিজির যুগ, সাহাবাদের যুগ, ক্রুসেডের যুগ এবং সবশেষে গত শতকের ফিলিস্তিনের ইতিহাস নিয়ে অসাধারণ আলোচনা স্থান পেয়েছে যা শর্ট পিডিএফ পড়েই আন্দাজ করা যায়। ✔️বিশেষ বৈশিষ্ট্যসমূহ:- - বইটির ভাষা খুবই সহজ এবং সাবলীল। ফলে খুব সহজে বইটির বিষয়গুলো বোঝা যাবে। - বইটির বিষয়গুলো ভালোমতো ও সহজে বোঝার জন্য টিকা ও রেফারেন্স যুক্ত করা হয়েছে। - ইতিহাসের বই হলও ঘটনাগুলো ইতিহাসের মতো কাটখোট্টা আকারে না এনে গল্পের মতো করে সাজানো। ফলে পড়তে একঘেয়েমি আসবে না। - ফিলিস্তিনের ইতিহাসের নির্দিষ্ট কোন সময়ের ইতিহাস না বইটি। বইটিতে এক মলাটে শুরু থেকে বর্তমান অব্দি ইতিহাস লিপিবদ্ধ, এমন বই খু্ব কমই পাওয়া যায়। - আমরা সাধারণত যেসব ইতিহাস পড়ি তাতে ইসলামের কোন ছিটেফোঁটা থাকে না। এ বইতে ইতিহাসের পাশাপাশি ইসলামের আলোকে ও কুরআন-হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে সাজানো। - খুব কম বইই থাকে যেগুলোর শর্ট পিডিএফ পড়ে উৎকৃষ্টতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়, এ বইটি তার মধ্যে একটি। ✔️একনজরে বইটির প্রিভিউ:- বইটিতে কি আছেঃ বইটি মানবজাতির শুরু থেকে বর্তমান সময়ের ফিলিস্তিনের ইতিহাস দিয়ে সাজানো হয়েছে। বইটি কেন প্রয়োজনঃ ফিলিস্তিনের সামগ্রিক ইতিহাস জেনে এর প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও মর্যাদাবোধ তৈরি ও মুসলিমদের জন্য এর গুরুত্ব অনুধাবন। বইটি কাদের জন্যঃ সকল মুসলিমদের জন্য ও ন্যায় ও শান্তিকামী মানুষদের জন্য। শর্ট পিডিএফ পড়ে বইটির ভূয়সী প্রশংসা বাড়তি মনে হতে পারে, তবে আমি বলতে পারি বইটি এর থেকেও বেশি প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। আমাদের সকলের উচিত চমৎকার এ বইটি পড়া।




