Our User Product Reviews

অসাধারণ একটি কিশোর উপন্যাস।

দারুণ মজার বই। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়দের খুবই ভালো লাগবে।

সুন্দর বই

Good

এই বইটি ছিল আমার জীবনের পড়া প্রথম বাংলা উপন্যাস। আমি এই বইটি পড়ে এত বেশি মজা পেয়েছিলাম যে তা আমি কখনো শব্দে বুঝাতে পারবো। আমার প্রিয় উপন্যাস গুলোর মধ্যে একটি❤️❤️❤️❤️। I miss my childhood

দারুন একটা বই ছোট বেলা কত হাজারবার পড়েছি !!!! ছাতিম গাছ, নেলী খালা , আবু …. ধানশিড়ি নামের একটা ম্যাগাজিনে গল্পটা প্রথম পড়েছিলাম ১৯৭৬-১৯৭৮ এরকম একটা সময়। সালটা ঠিক মনে পড়ছে না। বাচ্চাদেরও কিনে দিয়েছি ওরা যখন ক্লাস ৬/৭ এ উঠেছে। আজ ২০২২ সাল মনে হচ্ছে এখনও পড়লে সেই ছোট বেলায় ফিরে যাওয়া যাবে । ধন্যবাদ লেখককে চমৎকার বই টির জন্য।

১৯৯৫ সালে প্রথম পড়েছিলাম অসাধারণ একটা বই। সেভেন এইটের বাচ্চাদের অবশ্যই পড়া উচিৎ।

এতো চমৎকার উপন্যাস। টাকার দিক বিবেচনাতেও শ্রেষ্ঠ। কাহিনীটা সুন্দর। একটু একটু রোমান্টিকতার ছোয়ার মধ্যে গোয়েন্দা কাহিনী । অপূর্ব! আমি হলফ করে বলতে পারি,বইটি একবার পড়লে যে কেউ ফ্যান হয়ে যাবেন

sera voi..♥️♥️♥️♥️

shurur dik ta ar cover dekhe mone hocchilo, jata ar faltur sreshto shimana ei boi. Ar er bhitorer Bangla prochondo kothin. Dekhei bujha jabe 1 sec e Je eta Indian. Kintu... Jokhon ami eita whole pore shesh korlam... I JUST WANNA SAY:- "this is the best story I've ever read. this is sooooo underrated book man"!!!!!!!!!!!! ❤💕💞💓💗💖💝❣️❤

ভালো

#সপ্তর্ষি_রকমারি_বুক_রিভিউ_প্রতিযোগ ইমেইলঃ [email protected] শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানঃ মাইজদী বালিকা বিদ্যানিকেতন জেলাঃ নোয়াখালী নামঃ সুমাইয়া আক্তার বইয়ের নামঃ নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়। লেখকঃ শাহরিয়ার কবির প্রকাশনীঃ প্রতীক পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৮০টি প্রচ্ছদ ও অলংকারঃ হাশেম খান ধরনঃ কিশোর অ্যাডভেঞ্চার লেখক পরিচিতিঃ শাহরিয়ার কবির বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা লেখক,সাংবাদিক, প্রামাণ্য চিত্র নির্মাতা। ১৯৫০ সালের ২০ নভেম্বর তিনি ফেনীতে জন্মগ্রহণ করেন। লেখক হিসেবে তার প্রধান পরিচয় তিনি একজন শিশুসাহিত্যিক। শুরুর দিকের কথাঃ সূর্যটা এখন ঠিক মাথার ওপরে। আমাদের রুপলাল লেনের পুরোনো বাড়িটার বিশাল ছাদের কোথায় একরত্তি ছায়াও নেই। গোটা ছাদ জুড়ে ঝাঝা রোদ। পাশের বাড়ির চৌধুরীদের কামরাঙা গাছের ডালে কয়েকটি পতিকাক মাঝে মাঝে অলস গলায় ডাকছে। খুব একটা বাতাস ও নেই। গোটা আকাশ টা জুন মাসের গনগন রোদে ঝলসে যাচ্ছে। বাবু আর আমি চিলেকোঠায় বসে ছিলাম। আট দিন আগে বাবু আমেরিকা থেকে এসেছে। ওখানে মিসৌরীর এক স্কুলে পড়ে। ওর বাবা অর্থাৎ আমার মেজকাকা ওয়াশিংটনে আমাদের এ্যাম্বাসিতে কাজ করেন। বলতে গেলে আমি এক রকম জোর করে বাবাকে দিয়ে মেজোকাকা কে চিঠি পাঠিয়ে বাবু কে এনেছি।নইলে গরমের লম্বা ছুটি টা একা আমার কি করে কাটতো ভেবে পাই না.......... কাহিনি সংক্ষেপেঃ রুপলাল লেনের পুরোনো বাড়িটার বিশাল ছাদের কোথায় ও একরত্তি ছায়াও নেই। গোটা ছাদ জুড়ে ঝাঝা রোদ। বাড়ির চিলেকোঠায় বসে আছে দুই কিশোর।তেমন কোনো বন্ধু নেই ওদের।নিঃসঙ্গ এই দুই কিশোরের অবসর যাপনের একমাএ সঙ্গী হলো বই।জীবনযাপনে আবির ও বাবু যেন অভিন্ন। আবির স্কুলের সেরা ছাত্র। সত্যি বলতে ওর সত্যিকারের বন্ধু কেউ নেই। আবিরের মনে আরো একটি দুঃখ লুকিয়ে আছে। ওর ভাই অপু তিন বছর ধরে নিরুদ্দেশ। ওর নাম কেউ ভুলে মুখে আনে না।সবাই বলে অপু বিপ্লবী দলে যোগ দিয়েছে।আবির ও বড় হয়ে বিপ্লবে অংশগ্রহণ করতে চায়।প্রবাসী কাকার ছেলে বাবুর ও কোনো বন্ধু নেই। তাই এক মাএ বন্ধু আবিরের সাথে ছুটি কাটাতে আসে বাংলাদেশে।আবিরের একঘেয়েমি জীবনে আনন্দ নিয়ে আসে জলপাই রং এর চিঠির প্রেরক নেলী খালা। জীবন কে উপভোগ করতে শেখায় নেলী খালা।নেলী খালার পুরো জীবন কেটেছে বিদেশে।ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নেলী খালার জীবন কে আবিরের খুব রোমাঞ্চকর মনে হয়।অথচ আবিরের মা নেলী খালার কাজ কে উদ্ভুতটি কান্ড মনে করেন। একদিন হঠাৎ নেলী খালার চিঠি পাঠান।কক্সবাজারের বাড়িটা বিক্রি করে কোথায় যেন নুলিয়াছড়িতে একটা পুরনো জমিদার বাড়ি কিনেছেন। বাড়ি বলিহারি।বাড়ি টার আশে পাশে আধ মাইলের ভিতরে কোনো জন মানব নেই। অনেকে বলে এটা নাকি অভিশপ্ত বাড়ি। ওটা এক কালে হার্মাদ জলদস্যুর ডেরা ছিল। আবির আর বাবু দের জন্য নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন নেলী খালা।নুলিয়াছড়ির সেই অদ্ভুত সুন্দর রহস্যময় পরিবেশে কুয়াশা ঢাকা অভিশপ্ত বাড়িটায় পৌঁছে রহস্যের জট খুলতে ঝাপিয়ে পড়ে আবির ও বাবু। ওদের সঙ্গী হয় ললি ও টুনি। সোনার খনি আর অতৃপ্ত আত্মার খোঁজে কয়েকজন কিশোর কিশোরী তাদের কুকুর স্ক্যাটরার সেই অভিযানের কাহিনী সর্ম্পকে জানতে হলে বইটা পড়ে দেখেন। আশা করি ভালো লাগবে প্রতিক্রিয়াঃ আমি জীবনে অনেক অ্যাডভেঞ্চারের বই পড়েছি। কিন্তু এই বইটা তাদের মধ্যে সেরা। এটা এক কথায় অসাধারণ একটা বই। পাতায় পাতায় পাঠদের জন্য চমক। রহস্যের উদঘাটন করতে গিয়ে পড়েছে তারা অনেক বিপদে।প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের বর্ণনার প্রেমে পড়ে যাবে যে কেউ ই।পড়তে পড়তে নিজের অজান্তেই লোম খাড়া হয়ে যায়। আবির,বাবুদের সাথে বেরিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে অ্যাডভেঞ্চারে। এক বসায় শেষ করে ফেলার মতো একটি বই।শিশু কিশোরদের পাশাপাশি বড়দের ও ভালো লাগার মতো বই।বইটি পড়ে যে কেউ ই হারিয়ে যাবে কল্পনার রাজ্যে। স্কুলের ছুটি, নতুন বন্ধু, রহস্যে ঘেরা বাড়ি, হাসির খোরাক, গুপ্তধন,দেশের জন্য ভালোবাসা সবই আছে এক বইয়ে। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ১০/১০ ©Fatema Begum

suppppperrr

এটা শুধু একটা বই না, আমার ছোট বেলার একটা সোনালী স্মৃতি, এটা দিয়েই আমার বই পড়ার নেশা শুরু ❤️❤️

খুবই মজার বই।

কক্সবাজার থেকে প্রায় মাইল তিরিশেক দূরে দক্ষিণ সমুদ্রের তীরে পাহাড়ঘেরা নুলিয়াছড়ি। আবিরের মতে, ভূমধ্যসাগরের এক জলপাই দ্বীপ। এখানে বেড়াতে এসেই এক নতুন রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলো আবির, বাবু, ললি ও টুনি। কারা এরা? খুলেই বলা যাক। আবির রূপলাল সেন লেনে নিজেদের দোতলা বাড়িতে মা-বাবার সঙ্গে থাকা এক নিঃসঙ্গ কিশোর। বড় ভাই অপু বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে আবির একেবারে একা হয়ে পড়েছে। আর বাবু আবিরের মেজ কাকার ছেলে, আবিরের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। বাবু দুমাসের জন্য বিদেশ থেকে আবিরের কাছে বেড়াতে এসেছে। কদিন ঘরে বসে থাকতে থাকতে যখন ওরা হাঁপিয়ে উঠেছে, তখনই নেলী খালার চিঠি চমক হয়ে হাজির। নেলী খালা কক্সবাজার থেকে বেশ দূরে নুলিয়াছড়ি নামে এক পাহাড়ঘেরা জনমানবহীন জায়গায় বিরাট একটি বাড়ি কিনেছেন। সেখানে তিনি বাইরে থেকে আসা ট্যুরিস্টদের হোটেল করবেন। নেলী খালা আবিরদের সেখানে কয়েক দিনের জন্য ঘুরে যেতে বলেন। নতুন কোনো অভিজ্ঞতার আশায় আবির-বাবু চলে আসে কক্সবাজার। বিজ্ঞাপন এখানেই ওদের পরিচয় হয় ললি ও টুনির সঙ্গে। ওরা জানতে পারে এই জায়গায় নাকি হার্মাদদের প্রেতাত্মার আনাগোনা! আবার এখানে আছে সোনার খনি পাওয়ার সম্ভাবনাও। এমন সময় সন্দেহজনক দুই অতিথি আসে বাড়িতে। কী উদ্দেশ্য তাদের? আবিরদের অনুসন্ধান চলতে থাকে। নেলী খালার বন্ধু আর্মি অফিসার জাহেদের কাছ থেকে তারা এ অঞ্চলে স্মাগলিংয়ের কথাও জানতে পারে। এর মধ্যে একদিন আবিরের দেখা হয়ে যায় অপুর সঙ্গে। কী করছে অপু? আবিররা কি পেরেছিল নুলিয়াছড়িতে ঘটে যাওয়া ভুতুড়ে ঘটনা ও ডাকাতদের রহস্য বের করতে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে শাহরিয়ার কবিরের সেরা কিশোর উপন্যাস নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড় বইটি।

ভালো বই তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে খাপছাড়া লাগছে।আরও ভালো করা যেত। কিশোরদের জন্য দারুণ বই।

অসাধারণ এক কিশোর উপন্যাস

A classic!Must read book for kid

অসাধারণ একটা বই। বিশ্বের সেরা অ্যাডভেঞ্চারের মধ্যে অন্যতম।বইটি কিনে আশা করি কেউ ঠকবেন না।

যদি জলপাই দ্বীপে সুরে আসতে ঠাই কক্সবাজার থেকে প্রায় মাইল তিরিশেক দূরে দক্ষিণ সমুদ্রের তীরে পাহাড়ঘেরা নুলিয়াছড়ি। আবিরের মতে, ভূমধ্যসাগরের এক জলপাই দ্বীপ। এখানে বেড়াতে এসেই এক নতুন রােমহর্ষক অভিজ্ঞতার মুখােমুখি হলাে আবি, বাবু, ললি ও টুনি। কারা এরা? খুলেই বলা যাক। আবির রূপলাল সেন লেনে নিজেদের দোতলা বাড়িতে মা-বাবার সঙ্গে থাকা এক নিঃসঙ্গ। কিশাের। বড় ভাই অপু বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে আবির একেবারে একা হয়ে। পড়েছে। আর বাবু আবিরের মেজ কাকার ছেলে, আবিরের সবচেয়ে ভালাে বন্ধু। বাবু দুমাসের জন্য বিদেশ থেকে আবিরের কাছে বেড়াতে এসেছে। কদিন ঘরে বসে। থাকতে থাকতে যখন ওরা হাঁপিয়ে উঠেছে, তখনই নেলী খালার চিঠি চমক হয়ে হাজির। নেলী খালা কক্সবাজার থেকে বেশ দূরে নুলিয়াছড়ি নামে এক পাহাড়ঘেরা । জনমানবহীন জায়গায় বিরাট একটি বাড়ি কিনেছেন। সেখানে তিনি বাইরে থেকে আসা ট্যুরিস্টদের হােটেল করবেন। নেলী খালা আবিরদের সেখানে কয়েক দিনের জন্য ঘুরে যেতে বলেন। নতুন কোনাে অভিজ্ঞতার আশায় আবির-বাবু চলে আসে। কক্সবাজার। | এখানেই ওদের পরিচয় হয় ললি ও টুনির সঙ্গে। ওরা জানতে পারে এই জায়গায় নাকি হার্মাদদের প্রেতাত্মার আনাগােনা! আবার এখানে আছে সােনার খনি পাওয়ার সম্ভাবনাও। এমন সময় সন্দেহজনক দুই অতিথি আসে বাড়িতে। কী উদ্দেশ্য তাদের? আবিরদের অনুসন্ধান চলতে থাকে। নেলী খালার বন্ধু আর্মি অফিসার জাহেদের কাছ থেকে তারা এ অঞ্চলে স্মাগলিংয়ের কথাও জানতে পারে। এর মধ্যে একদিন। আবিরের দেখা হয়ে যায় অপুর সঙ্গে। কী করছে অপু? আবিররা কি পেরেছিল নুলিয়াছড়িতে ঘটে যাওয়া ভুতুড়ে ঘটনা ও ডাকাতদের রহস্য বের করতে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে শাহরিয়ার কবিরের সেরা কিশাের উপন্যাস নুলিয়াছড়ির সােনার পাহাড় বইটি।

বইটি আমার কাছে এখনও পুরোনো হয়নি, যতবারই পড়িনা কেনো কখনোই পুরোনো হবেনা। টান টান উত্তেজনা ও অ্যাডভেঞ্চারে ভরা বইটি আমায় সোনালী শৈশবে ফিরিয়ে নেয়। মার্ক টোয়েনের "দ্যা অ্যাডভেঞ্চার্স অব হাকলবেরি ফিন" বইটির শাহরিয়ার কবির স্যারের "নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়" আমার প্রিয় কিশোর উপন্যাস। আমার মতে এটি বাংলা সাহিত্যের সেরা একটি কিশোর উপন্যাস।

গল্পের মূল চরিত্র আবির,বাবু, ললি এবং টুনি। হাফ-ইয়ারলী পরিক্ষার পরে আবির এবং বাবু যখন নেলী খালার কাছে নুলিয়াছড়ি বেড়াতে যায় তখন পরিচয় হয় ললি এবং টুনির সাথে। নেলী খালার গেস্ট হাউসে আসে দু’জন সন্দেহ জনক গেস্ট। আবির,বাবু, ললী এবং টুনি তাদের সন্দেহজনক আচরণের কারণে তাদের পিছু নিয়ে জানতে পারে তারা সোনা চোরা-চালানকারী। তাদের পিছু নিতে গিয়েই ধরা পরে যায় আবির এবং বাবু। তারপর কি হলো জানতে পরে ফেলূন শাহরিয়ার কবিরের ‘নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়’।

আমার জীবনের পড়া শ্রেষ্ঠ বইগুলোর একটি নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়।সপ্তম শ্রেণিতে থাকাবস্থায় প্রথম পড়ি,এরপর যে কতবার পড়েছি তার ইয়ত্তা নেই।এই বইটি পড়তে গিয়েই হাকলবেরি ফিন,টম সয়্যার,হার্মাদ দের কথা জানা।আবীর, বাবু,ললি,টুনি,নেলী খালা,পাকরাশী চরিত্র গুলো কল্পনার রাজ্যে নিয়ে যাবে।অনেক সুন্দর কাহিনীর বর্ণনা,বইটি পড়ে নুলিয়া ছড়ির মতো জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছে তৈরী হবে সত্যিই এবং হারিয়ে যেতে ইচ্ছা করবে অ্যাডভেঞ্চারের দুনিয়ায়।এর পার্ট ২ ও আছে,"পাথারিয়ার খনি রহস্য" নামে,এই অংশটুকুও দারুন।সবার ভাল লাগবে আশা করি।

অসাধারণ একটা বই।হারিয়ে যাবে কল্পনার রাজ্যে।

এই ব‌‌ইটিকে বলা যায় শাহরিয়ার কবিরের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। অসাধারণ কাহিনী। শ্বাসরুদ্ধকর রোমাঞ্চ ও‌ পাশাপাশি প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের বর্ণনা। পড়তে পড়তে অজান্তেই লোম খাড়া হয়ে যায়। আবির, বাবুদের সাথে বেড়িয়ে পড়তে ইচ্ছে করে অ্যাডভেঞ্চারে। পাতায় পাতায় শিহরণ। এক বসায় পড়ে শেষ করে ফেলার মত একটি ব‌ই। শিশু কিশোরদের পাশাপাশি বড়দের জন্য ও অবশ্য পাঠ্য বই এটি।

ভালো নয় বইটা।

বাংলায় লেখা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কিশোর উপন্যাসগুলোর একটি। সেই ক্লাস ফোর-ফাইভে থাকতে প্রথমবার পড়া, এরপর যে কতো অসংখ্যবার পড়া হয়েছে কিন্তু এখনো একটুও পুরানো হয়নি, কখনো হবেও না। গল্পের মূল চরিত্র আবীর আর বাবুর জাহাজের কেবিনের মত চিলেকোঠায় বসে সারাদিন বইয়ের পাতায় আর কল্পনায় পৃথিবীময় অ্যাডভেঞ্চার করা, কোন এক অভিযানে বেরিয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখা, ছটফট করা... শেষে একদিন তাদের মনের ইচ্ছা পূরণ করতেই যেন সুদূর পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে এলো নেলী খালার চিঠি, বয়ে আনলো নুলিয়াছড়ির দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় বেড়াতে যাবার ডাক। সেখানে তারা পেল পাহাড়ের গায়ে পুরানো রহস্যময় এক ভুতূড়ে জমিদার বাড়ি, হার্মাদ জলদস্যুর গুপ্তধন আর পাহাড়ের কোলে হারিয়ে যাওয়া সোনার খনির গুজব; আরো যুক্ত হল জলদস্যুর ভূত, আন্নাকালী পাহাড়ের চূড়ায় গা ছমছমে পোড়ো মন্দির, সন্ধ্যার আলোছায়ায় গাছের গায়ে মড়ার খুলির চিহ্ন আর আধুনিক সোনা চোরাচালানকারীদের আনাগোণা। আবীর-বাবুর একদম স্বপ্নের রঙ্গে রাঙ্গানো অ্যাডভেঞ্চারের জন্য আর কি লাগে? ও হ্যা, বন্ধুত্ব হল ঠিক তাদের বয়সীই দুই প্রাণবন্ত রোমাঞ্চপ্রিয় কিশোরী ললি-টুনির সাথে! সবমিলিয়ে দেশী পটভূমিতে সম্পূর্ণ দেশী কাহিনীর একটি নিখুঁত অনিন্দ্যসুন্দর কিশোর রহস্য-অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাসের সমস্ত উপাদানই উপস্থিত, সেই সাথে শাহরিয়ার কবিরের শ্রেষ্ঠ লেখনির নিদর্শন আর আবীর-বাবু-ললি-টুনির মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যের অবিষ্মরনীয় কিছু কেন্দ্রীয় কিশোরবয়সী চরিত্রের সৃষ্টি। ছোটবেলায় যখন পড়েছিলাম তখন থেকে শুরু করে এখনো বইটা পড়লে বা পড়ার স্মৃতি মনে এলে উদাস হয়ে যাই, চারপাশের এই ইট-পাথরের বিবর্ণ শহরটাকে ছেড়ে আবীর-বাবুদের মত ছুটে যেতে ইচ্ছা করে নির্জন কোন পাহাড়ি এলাকায়, শিহরিত হতে ইচ্ছা করে আধিভৌতিক পরিবেশে পাহাড়ি পথে হার্মাদ গুপ্তধন বা সোনার খনির সন্ধানে আর রহস্যময় স্মাগলারদের সাথে টক্করে। যেকোন বাংলাভাষী পাঠকের জীবনে অন্তত একবার এমন মনোমুগ্ধকর একটি বাংলাদেশি কিশোরোপন্যাস উপভোগ করা উচিত, শৈশব-কৈশোর পেরিয়ে আমার মত তিরিশোর্ধ হয়ে মনের গহীনে হারিয়ে যাওয়া সেই দুরন্ত রহস্য-রোমাঞ্চপ্রিয় বালকটিকে নতুন করে খুঁজে পাবার জন্যে হলেও।

বইয়ের নাম:নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়। লেখক:শাহরিয়ার কবির। ধরণ:কিশোর এডভেঞ্চার। প্রথম প্রকাশ :১৯৭৬। পৃষ্ঠা সংখ্যা :৮০। প্রচ্ছদ ও অলংকরণ :হাশেম খান। প্রকাশনী :প্রতীক। মূল্য:৭৫ টাকা। কাহিনী সংক্ষেপ :রুপলাল লেনের পুরোনো বাড়িটার বিশাল বড় ছাদটায় কোথাও একরত্তি ছায়া নেই। গোটা অাকাশটা জুন মাসের গনগনে রোদে ঝলসে যাচ্ছে যেন। বাড়িটার চিলেকোঠায় বসে অাছে দুই কিশোর। বন্ধু বান্ধব ওদের তেমন নেই বললেই চলে। বড় বেশি নিঃসঙ্গ এই দুই কিশোরের অবসর যাপনের একমাত্র সঙ্গী হল বই। গরমের অলস দুপুরে এরা চিলেকোঠায় বসে বই পড়ে জীবনের নিঃসঙ্গতাকে ভুলতে চেষ্টা করে। জীবন যাপন অার জীবনযাত্রায় অাবীর ও বাবু যেন অভিন্ন। অাবীর শহরের নামজাদা স্কুলের সেরা ছাত্র । মেধাবী বলেই স্কুলে ও সবার হিংসার পাত্র । তাই সত্যিকারের বন্ধু বলতে অাবীরের সেই সত্যিকারের বন্ধু জোটে নি। অাবীরের মনে অারো একটা দুঃখ লুকিয়ে অাছে। অাবীরের বড় ভাই অপু প্রায় তিন বছর হলো নিরুদ্দেশ। সংসারে ভুলে তার নাম কেউ মুখে অানেনা। গরমের দুপুরে অনাকাঙ্ক্ষিত এক পশলা বৃষ্টির মত তার লেখা চিঠি মাঝেমাঝে এসে উপস্থিত হয় ওদের পুরোনো বাড়িটার দোরগোড়ায়। সবাই বলে ওর ভাই নাকি বিপ্লবী দলে যোগ দিয়েছে। অপুর ইচ্ছে ভাইয়ের মত সেও একদিন বিপ্লবে অংশগ্রহণ করবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বে। বাবু অপুর মেজকাকার ছেলে। প্রবাসী বাবার স্বপ্নালু চোখের ছেলে বাবু ও নিজের প্রবাস জীবনে বড় একাকী । তাই বাংলাদেশে অাসে তার একমাত্র বন্ধু অাবীরের সাথে ছুটি কাটাতে ।অাবীরের একঘেয়েমি জীবনে মাঝেমাঝে অনাবিল অানন্দের প্রজাপতি ডানা মেলে উড়ে অাসে শুভ বার্তা নিয়ে। জলপাই রংয়ের সেই সবুজ চিঠির প্রেরক নেলী খালা। জীবনকে কিভাবে উপভোগ করতে হয় তার শিক্ষা পেয়েছে অাবীর নেলী খালার কাছে থেকে। নেলী খালার পুরো জীবনটাই কেটেছে বিদেশে। ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এই নেলী খালার জীবন দারুন রোমাঞ্চকর মনে হয় অাবীরের কাছে। অথচ অাবীরের মা নেলী খালার সমস্ত কাজকে ঊদভুট্টি কান্ড বলে মনে করেন। একদিন হঠাৎ নেলী খালার চিঠি অাসে। কক্সবাজারের বাড়িটা বিক্রি করে দিয়ে কোথায় না যেন নুলিয়াছড়িতে নেলী খালা একটা পুরনো জমিদার বাড়ি কিনেছেন। বাড়িরও বলিহারি । বাড়িটার অাশে পাশে অাধ মাইলের ভেতর কোন জন মানব নাই। অনেকে বলে ওটা নাকি একটা অভিশপ্ত বাড়ি।এক কালে হার্মাদ জলদুস্য দের নাকি ওটা একটা ডেরা ছিল। অাবীর অার বাবুর জন্য নিমন্ত্রণ বার্তাও পাঠিয়েছেন নেলী খালা। নুলিয়াছড়ির সেই অদ্ভুত সুন্দর রহস্যঘন পরিবেশে কুয়াসায় ঢাকা অভিশপ্ত সেই বাড়িটায় পৌঁছে রহস্যের জট খুলতে ঝাঁপিয়ে পড়ে অাবীর ও বাবু। ওদের সঙ্গী হয় সহোদরা দুই বোন ললি অার টুনি। সোনার খনি অার অতৃপ্ত অাত্নার খোঁজে কয়েকজন কিশোর কিশোরী অার তাদের কুকুর স্ক্যাটরার সেই অভিযানের কাহিনী বড় রোমাঞ্চকর শুনবেন অাপনি?? প্রতিক্রিয়া :শাহরিয়ার কবিরের কিশোর উপন্যাসগুলোর মধ্যে নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড় জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এই উপন্যাসের কাহিনী গ্রন্থন এত মনোমুগ্ধকর অার চরিত্রগুলো এতটাই জীবন্ত যে পাঠক তার সাথে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে পড়ে। কিশোর উপযোগী উপন্যাসগুলোর কাহিনী যতটা সম্ভব জটিলতা মুক্ত হওয়া উচিৎ । নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়ের কাহিনী নিতান্ত সাদামাটা কিন্তু এই বই শিল্প সফলতা অর্জন করেছে লেখকের বর্ননা গুনে। অপূর্ব ভাষা শৈলী দিয়ে এই উপন্যাসের কাহিনীর সোনালি জমিন নির্মিত । ৭৬পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশের ভেতরকার কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীদের অসৎ কর্মের একটা প্রতীকী রুপ দিয়েছেন পাকড়াশি চরিত্রে। অপরদিকে অপু অাবীর বাবু ললি টুনিরা নতুন সচেতন প্রজন্মের প্রতি নিধিত্ব করেছে। বাংলা সাহিত্যে শিশুকিশোরদের জন্য রচিত ব্যতিক্রমী ও স্বতন্ত্র ধারার এডভেঞ্চার উপন্যাস গু লোর মধ্যে তাই নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড় শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার

valona

ছোটবেলায় পড়া সবচেয়ে প্রিয় বইয়ের একটা ছিল এটা

নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড় কিশোর পাঠকদের জন্যে অসাধারন একটি বই। আমি শাহরিয়ার কবির স্যার এর একজন ভক্ত এবং উনার লেখা প্রায় সব বই ( রাজনৈতিক গুলো বাদে) আমার পড়া এবং সংগ্রহে আছে। উনার লেখা অন্যতম একটি বই এই নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়। এই বই এর দ্বিতীয় পর্ব " পাথারিয়ার খনি রহস্য" ও প্রথমটির মতই অসাধারণ। স্কুলের ছুটি, নতুন বন্ধু, রহস্য ঘেরা বাড়ি, গুপধন, হাসির খোরাক, দেশের জন্যে ভালবাসা সবই এক বইতে আনা হয়েছে। যদিও জানি সম্ভব না তবু আশায় থাকব নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড় এর তৃতীয় পর্বের জন্যে।

নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড় বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে পাঠকনন্দিত কিশোর উপন্যাসগুলোর একটি। শিশু-কিশোরদের উপযোগী মৌলিক বই বাংলাদেশে কমই লেখা হয়েছে। এ বইটি নিঃসন্দেহে যেকোনো শিশু-কিশোর, এমনকি বড়দেরও ভালো লাগবে।