User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Shahriar Hasan এর দ্বিতীয় বই হারানো শহর আটলান্টিস পড়লাম আজ। এই অল্প বয়সে শাহরিয়ার যেমন কঠিনভাবে লিখতে পারে, এটা আসলে অনেক বড় ব্যাপার। অল্প বয়সে এই দক্ষতাটা ও অর্জন করেছে। তার জন্য ওকে সাধুবাদ জানাই। ওর প্রথম বইটা আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। দুটো স্তরে সাজালে “শিল্পী আমি আঁকে সে” অবশ্যই প্রথমে থাকবে। আটলান্টিসের কথা যদি আলাদা করে বলি‚ তাহলে প্রথমে বলবো উপন্যাসটার ট্যাগলাইন বদলাতে। বইটা পড়ে যেটা বুঝলাম‚ এটা ঠিক এডভেঞ্চার জনরার গল্প নয়। বিশেষায়িত করলে এটা অন্তর্ভুক্ত হবে “হিস্টোরিক্যাল ফ্যান্টাসি” জনরায়। এই জনরা দিয়ে ট্যাগলাইনটা বানালেই আমার মনে হয় পাঠক বেশি রিলেট করতে পারতো। কারণ তথাকথিত এডভেঞ্চার বলতে আমরা যা বুঝি‚ আটলান্টিসের গল্প ঠিক সেরকম নয়। শাহরিয়ারের লেখা অবশ্যই শক্ত‚ তবে জনরার গোলমালের কারণে পাঠকের বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাছাড়া বাদ বাকি সব ঠিক ছিল। গল্পের বুনট থেকে শুরু করে চরিত্রায়ন সবকিছুই বেশ সুন্দর এবং সাবলীল। বর্ণনার দিকেও শাহরিয়ার অনেক ভালো কাজ করেছে। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ্য ছিল পুরো ব্যাপারটা। 📌আমার ব্যক্তিগত কিছু পর্যবেক্ষণ: শাহরিয়ার ভালো লেখে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে আমি বলবো‚ ওর লেখাতে একটু বাঙালিয়ানা নিয়ে আসার চেষ্টা করতে। ওর লেখায় প্রচন্ড ওয়েস্টার্ন লেখকদের ছাপ দেখা যায়, যার কারণে পড়তে গিয়ে অনেক সময় ভ্রম হয় কোনো ইংরেজি সাহিত্যের অনুবাদ পড়ছি কিনা? এটাকে দূর করা গেলে বোধ হয় ওর জন্যই ভালো হবে। তখন লেখার মধ্যে নিজের আমিত্ব ফুটিয়ে তুলতে পারবে। শাহরিয়ার হয়তো বলবে‚ বিদেশি পটভূমিতে গল্প গড়ে উঠেছে বলে আমার ওরকম লেগেছে। তবে ব্যাপারটা আসলে ওরকম নয়। কয়েকদিন আগে আমি অয়ন ইসলাম ভাইয়ার করা অনুবাদ হাউন্ডেড পড়ছিলাম‚ ওনার লেখনীতে অনুবাদের মধ্যেও প্রচুর বাঙালিয়ানা খুঁজে পেয়েছি। শাহরিয়ারকে বলবো লেখায় বাঙালিয়ানা ফোটানোর চেষ্টা করলে ভালো হবে।
Was this review helpful to you?
or
সমুদ্র! নীল জলরাশির মোহময় দৃশ্যে কার না দৃষ্টি আঁটকায়! অবসর পেলেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে ছুটা হয় সমুদ্র অভিমুখে। কিন্তু কখনো যদি সমুদ্রের অভিশাপে সর্বদা তটস্থ থাকতে হয়? অভিশাপ থেকে রক্ষা পেতে যদি চুকাতে হয় মূল্য? যার রেশ ধরে খুন করতে হয় প্রিয় কোন মানুষকে? ক্যাপ্টেন রজার ডেকার আর তার ছেলে উইলিয়ামের বসবাস হাউসটনের ছোট একটি কাঠের বাড়িতে। রজারের বাস খুব একটা না থাকলেও বাড়িটা সর্বদা অস্বাভাবিক হয়ে থাকে। সময় অসময় টেবিলের ড্রয়ার থেকে ক্ষীণ শব্দ শুনতে পায় উইলিয়াম। তবে কিসের শব্দ জানা নেই তার। ছোট থেকেই অজানা তার মায়ের কথা। সেই টেবিলের ড্রয়ার থেকে আসা শব্দের সাথে তার মায়ের কোন যোগসূত্র আছে? ক্যাপ্টেন রজার সমুদ্র ভালোবাসে। সমুদ্রের দাস হিসেবে নিজেকে সপে দিয়েছে। মাথার উপর সেই আদিম এক অভিশাপ! কি সেই ভয়ানক, হৃদয়স্পর্শী অভিশাপ? যার জন্য চুকাতে হয় চরম মূল্য? কেন তা চলে আসছে বংশপরম্পরায়? অত্যন্ত আধুনিক শহর আটলান্টিস। অর্ধদেবতাদের বসবাস বা ষড়যন্ত্রের ঘাঁটি। কি এমন ঘটেছিলো যার জন্য শহরটি ধ্বংস করতে বাধ্য হয় দার্শনিক প্লেটো? দেবতারাই বা কেন ধ্বংস চায় আটলান্টিস নগরীর? কোণ ষড়যন্ত্রের রহস্য জানতে পেরেছিলো প্লেটো? লেখকের শিল্পী আমি আঁকি সে বইয়ের সাথে প্রথম পরিচয়। এরপর পরজীবি। দুটো বইই চমৎকার, আগ্রহোদ্দীপক ছিল। তৃতীয় বই ' হারানো শহর আটলান্টিস ' নিয়েও তেমনি আশা ছিল বইটি হতাশ করবে না। সত্যি বলতে যতটা আশা ছিলো তার থেকে বেশি দিয়েছে এই বইটি। সবচেয়ে চমৎকার বিষয় হচ্ছে বইয়ের পাতায় উঠে এসেছে গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস ও প্লেটোর কথা। ফ্যান্টাসির মধ্যে ইতিহাসের এক সুন্দর মেলবন্ধন লক্ষ করা যায়। ফ্যান্টাসি ঘরানার বই হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ইতিহাস হুবহু এক থাকবে না। সেই সাথে যুক্ত হয়েছে মিথলজি। সবগুলো চরিত্রই চমৎকার ছিলো। বিশেষ করে ছোট্ট প্রাণী সদৃশ অথোসিসকে বেশ ভালো লেগেছে। যদিও তার উপস্থিতি কম ছিলো। তবে ক্যাপ্টেন রজার ডেকারের চরিত্রটি আরো শক্তিশালী হওয়ার দাবি রাখে। লেখকের লেখনশৈলী চমৎকার। চমৎকার কাহিনী প্রবাহ। সেই তুলনায় শেষটা আরো ভালো হতে পারতো। শুরুতে বা মাঝে যেই টান টান উত্তেজনা শেষটা খুব একটা যায় না সেই তুলনায়। যদিও তৃপ্তিদায়ক! সম্পাদনার অনেক ঘাটতি লক্ষ করা যায়। বানান ভুল, টাইপিং মিস্টেক তো আছেই। সেই সাথে আছে এক প্যারার সাথে আরেক প্যারার মিলে যাওয়া। শুরুতে এই সমস্যাটা বেশি লক্ষনীয়, এক কাহিনী থেকে আরেক কাহিনীতে চলে যাচ্ছে অথচ সেখানে কোন চিহ্ন নেই বুঝার সুবিধার জন্য। এক্ষেত্রে একটু হোঁচট খেতে হচ্ছিল। বইয়ের ফ্ল্যাপ খুবই সাধারণ লেগেছে। একটা বই সম্পর্কে মানুষ ধারণা পাবে ফ্ল্যাপ পড়ে। তাই একটা আকর্ষণীয় ফ্ল্যাপের কোন বিকল্প নেই। অথচ চমৎকার এই বইটির ফ্ল্যাপ খুবই সামান্য লেগেছে। বইয়ের দশ ভাগের এক ভাগও ফ্ল্যাপে তুলা হয়েছে কিনা সেটা ভাবার বিষয়। সেই সাথে যুক্ত করা যায় প্রচ্ছদের কথা। প্রচ্ছদও সামান্য লেগেছে। প্রচ্ছদে বইয়ের কাহিনীর খুব একটা ফুটে উঠেনি। প্রচ্ছদ আরো বৈচিত্র্যময় হতে পারতো। আরেকটু রহস্যময়, ভয়ঙ্কর হতে পারতো। প্রিমিয়াম পাবলিকেশন্সের প্রডাকশন কোয়ালিটি ভালো৷ বাইন্ডিং ঠিকঠাক। তবে যেটা সমস্যা সেটা হচ্ছে সম্পাদনা। সম্পাদনায় আপনাদের আরো জোর দেয়া উচিত। চমৎকার শহর আটলান্টিসের কথা জানতে, সেই ভয়ঙ্কর অভিশাপের কথা জানতে, কালখোসরুর সাথে মরণপণ যুদ্ধ করতে হাতে তুলে নিন হারানো শহর আটলান্টিস, প্লেটোর যাত্রা। প্লেটোর দুর্ধর্ষ যাত্রার সঙ্গী হোন আপনিও!
Was this review helpful to you?
or
কিছু কিছু বই থাকে যেগুলো পড়ার পর অনুভূতি ব্যক্ত করতেও কুণ্ঠা বোধ হয়। মনে হয় ভুল কিছু প্রকাশ করে ফেললাম বুঝি। "হারানো শহর আটলান্টিস" বইটা পড়ার সময় বারবার দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ছিলাম এটা ভেবে যে আদৌও এটা কোনো মৌলিক বই তো! মনে হচ্ছিল যেন কোনো বিদেশি বইয়ের অনুবাদ পড়ছি। বইটিতে ভরপুর টুইস্ট নেই কিন্তু পরবর্তী কাহিনী জানার যে আগ্রহটা পাঠকের জন্মাবে তা দিয়ে পুরো বইটা ক্লান্তিহীন ভাবে শেষ করা সম্ভব। প্রাচীন ইতিহাস এনং বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর মিশ্রণে লেখা বইটির কাহিনী লেখক মনোরম ভাবে উপস্থাপন করেছেন। বইয়ে কয়েকটা বানান ভুল পেয়েছি, এছাড়া বাইন্ডিং বেশ ভালো। মূল্যও হাতের নাগালে রয়েছে। ক্যাপ্টেন রজার ডেকারের চরিত্রটা আরেকটু জোড়ালো হওয়া প্রয়োজন ছিল বলে আমার মনে হয়। এই বইয়ে কেন যেন অথোসিসকে আমার সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে, যদিও চরিত্রটির উপস্থিতি খুবই কম ছিল। বাদবাকি চরিত্র কাহিনীর স্বার্থে আমার ঠিকই লেগেছে। শত শত বছর ধরে বয়ে আসা ডেকার বংশের প্রাচীন অভিশাপ থেকে কি শেষ পর্যন্ত বংশের উত্তরসূরীরা মুক্তি পাবে নাকি পৃথিবীর অন্তিম দিন পর্যন্ত এ অভিশাপ বয়ে যাবে ডেকার বংশের উপর? জানতে আগ্রহী হলে বইটি আপনার পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
গল্পের শুরু হাউসটোনের এক কাঠের বাড়ি থেকে। বাড়িটায় থাকেন ক্যাপ্টেন রজার ডেকার, যার ধ্যান ঘ্যান জুড়ে শুধু সমুদ্র। আর তার ছেলে উইলিয়াম। উইলিয়ামের যেনো বাবা থেকেও নেই আর মা তো সেই কবেই মৃত। উইলিয়ামের কাছে তার বাবা রজার ডেকার একজন ঘৃণিত ব্যক্তি। বাবার মতো সে মোটেও সমুদ্রপ্রেমী না। তবে উইলিয়ামের এই একাকী জীবনে আছে তার প্রেমিকা ম্যারি। ক্যাপ্টেন রজারের বাড়িটা আপাত দৃষ্টিতে স্বাভাবিক লাগলেও কেমন যেন একটা ভৌতিক আবেশে ছেয়ে থাকে। মাঝে মাঝেই রজারের টেবিলের ড্রয়ার নড়ে ওঠে। ভেসে আসে অদ্ভুত শব্দ। এই ড্রয়ারের রহস্য বরাবরই লুকিয়ে রাখেন ক্যাপ্টেন রজার। এই বিষয়ে কিছুই জানেনা তার ছেলে উইলিয়াম। কী আছে সেই ড্রয়ারে? ক্যাপ্টেন রজার সমুদ্র ভালোবাসেন। তবে এবার সমুদ্রে গেলে তিনি ফিরবেন কিনা জানেন না। সমুদ্র তাকে খুব ডাকছে। সমুদ্রের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যাবার পরপরই তার টেবিলের ড্রয়ারটা আবারো দুলে উঠে। ভেতর থেকে ভেসে আসে বিচিত্র এক হাসি। আর খাটের নিচ থেকে নড়ে উঠে একটা ছায়া মূর্তি। ছায়া মূর্তিটা ড্রয়ারের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলে নিজে নিজেই। এই ছায়ামূর্তিটাই বা কে? সকল রহস্য সমাধান করতে যেয়েই উইলিয়াম জানতে পারে তার বংশ এক অভিশাপ বয়ে বেড়াচ্ছে। নিজের বাড়িতে খুঁজে পায় হলদে মলাটে মোড়ানো একটা পুরনো ডায়েরি। সেই ডায়েরির লেখক গ্রিক দার্শনিক প্লেটো। এই ডায়েরি থেকেই হয়তো সেই অভিশাপের রহস্য খুঁজে পাবে উইলিয়াম। কী লেখা আছে ডায়েরিতে এবং কীভাবে মুক্তি পাবে সেই অভিশাপ থেকে? এভাবেই উপন্যাসটি সামনের দিকে এগিয়ে চলে। গল্পের শুরুটা একজন দার্শনিকের হাত ধরে। সেই দার্শনিকের নাম প্লেটো। অতীতের প্লেটোর কিছু কর্মকাণ্ডের জন্য তার বংশধররা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে এক অভিশাপ। এই অভিশাপের কাহিনীর সূত্রপাত একটি হারানো শহরে, যার নাম আটলান্টিস। অর্ধ দেবতাদের বসবাসের শহর এই আটলান্টিস। বর্তমানে এই শহরের কোনো অস্তিত্ব নেই। কীভাবে ধ্বংস হলো এই শহরের? বইটি পড়লেই সব জানতে পারবেন। সাসপেন্সটুকু নাহয় বাকি থাকুক। হারানো শহর আটলান্টিস: প্লেটোর যাত্রা উপন্যাসটি লেখক গ্রীক মিথলজি সাহায্য নিয়ে সাজিয়েছেন। উপন্যাসটিতে আমরা পাবো অতীত গ্রীকের প্লেটোকে, অর্ধ দেবতা এটলাসকে, আরো কিছু দেবতাকে এবং আটলান্টিস শহরকে। আরো পাবো গ্রীক দানব ক্র্যাকেনকে। আর এই অতীতের সাথে যোগসূত্রে বাঁধা বর্তমান চরিত্রদের। আটলান্টিস শহরকে ঘিরে অনেক মিথলজি ছড়িয়ে আছে। এর কথা প্রথম এসেছিল প্লেটোর লেখায়। তিনি ইউটোপিয়ার (সর্বসুখের শহর) সাথে তুলনা করতে আটলান্টিসের কথা বলেছিলেন। আপনারা আগ্রহী হলে আটলান্টিস শহর সম্পর্কে সার্চ দিলেই অনেক তথ্য জানতে পারবেন। সেই শহরকে নিয়ে যেসব মিথ রয়েছে সেসবের অবলম্বনেই লেখক নিজের কল্পজগত সাজিয়ে উপন্যাসটি লিখেছেন। আমি উপন্যাসটিতে প্লেটোর গল্পটা আলাদাভাবে বেশ উপভোগ করেছি। এমনিতেও গ্রীক মিথলজির প্রতি আমার আকর্ষণ আছে। লেখক গ্রীক মিথলজির সাথে মিলিয়ে বেশ ভালোভাবেই শেষ করতে পেরেছেন বইটা। তবে কিছু চরিত্রের উপর আর একটু জোর দেয়া উচিত ছিল বলে আমার মনে হয়। যেমন সেই প্রথম দিকে ছায়া মূর্তির চরিত্রটি আমার বেশ ভালো লেগেছিল কিন্তু গল্পে এই চরিত্রের আবির্ভাব খুবই কম এবং রহস্যময়। গল্পের সমাপ্তি আমার কাছে মোটামুটি লেগেছে। তবে এই সমাপ্তির মাধ্যমে কাহিনীটা সম্পূর্ণভাবে শেষ করে দিয়েছেন তাই খুব বেশি খারাপও লাগেনি। এছাড়াও বানান ও সম্পাদনার ক্ষেত্রে কিছু ভুল ত্রুটি চোখে পড়েছে। তবে আমি পরামর্শ দিবো বইটি পড়ার জন্য। প্রথমে আমি বইটি কিনতে দ্বিধাবোধ করেছিলাম। কারণ খুব বেশি একটা রিভিউ আমার চোখে পড়েনি। অপরদিকে মৌলিক বই। বইয়ের ফ্ল্যাপ পড়ে খুব একটা ধারণা পাইনি। সত্যি বলতে গল্পের আকর্ষণীয় দিকগুলোর কোনোটিই ফ্ল্যাপে ফুটে উঠেনি। বইটি পড়ার পর স্বস্তি পেয়েছি একটু। গ্রিক মিথলজির অবলম্বনে দেশীয় লেখকের মৌলিক বই সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।