User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
#রিভিউ #তুই_আর_একটু_আনমনে_থাক #সুস্মিতা_জাফর রিভিউদাতাঃ ফারহানা তাবাসসুম ★পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ গল্প টা তিনটি চরিত্রের জীবনে স্ট্রাগল করার গল্প । শ্রেয়াস, পিয়েতা আর লাবণীর। গল্প টা শ্রেয়াসের অভিনেতা হওয়ার পেছনের গল্প, পিয়েতার ডাক্তারি আর পারিবারিক জটিলতার, লাবণীর ভালোবাসার মানুষের থেকে প্রতারিত হওয়ার আর ডাক্তার হওয়ার গল্প। শ্রেয়াস একজন অভিনেতা। ছোট বেলায় মা কে হারিয়েছে। ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল নায়ক হবে। কৈশোরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মঞ্চে নাটক করত। কিন্তু বাবা আর পরিবারে অন্যরা তার এই স্বপ্ন পূরণ হতে রাজি নয়। তবুও সে তার জিদে অটল। নায়ক সে হবেই। একজন সফল অভিনেতা হয়ে দেখাবে। একদিন নায়ক হবার স্বপ্ন পূরণ হওয়ার জন্য সে বাড়ি ছাড়ে। সেখানে গিয়ে পড়ে আরেক বিপদে। তারপর একদিন সাফল্য তার হাতে ধরা দেয়। কেউ আর আটকাতে পারে না তাকে। সকলের প্রিয় অভিনেতা হয়ে উঠে শ্রেয়াস সালমান। সবার প্রিয় শ্রেয়াস সালমান পিয়েতা নামের এক ডক্টরের প্রেমে পড়ে। পিয়েতা গল্পের প্রধান চরিত্রে রয়েছে। পেশায় একজন ডক্টর। একদিন পিয়েতার পেশেন্ট হিসেবে ভর্তি হয় শ্রেয়াস। প্রথম দেখাতেই পিয়েতার প্রতি মুগ্ধ হয়। আস্তে আস্তে ভালোবাসায় পরিণত হয় সেটা। যেভাবেই হোক পিয়েতাকে তার চাই৷ কিন্তু পিয়েতা তার জীবনে কাউকে জড়াতে চাই না। সে ভয় পাই তার অতীত কে। মানসিক অশান্তিতে ভোগে অতীত ভেবে। কি সেই অতীত? শ্রেয়াস কি পারবে পিয়েতাকে তার নিজের মনের রানী করে রাখতে নাকি পিয়েতা তার থেকে দূরে সরে যাবে? পিয়েতা কি শ্রেয়াসকে ভালোবাসতে পারবে তার অতীত কে ভুলে? লাবনী গল্পের আরেকটি চরিত্র। স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার। মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় আবির নামের এক যুবকের সাথে প্রণয়ে জড়ায়। অতঃপর বিবাহ নামক বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর মুখোমুখি হয় এক অজানা সত্যির। যেটা জানার পর মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে মেয়েটা। হঠাৎ একদিন জানতে পারে সে মা হতে চলেছে। মেয়ে হওয়ার কিছুদিন পর সেই সত্যিটার পেছনের আরেক সত্য জানতে পারে। আবির তার ভালোবাসার মানুষ তাকে ঠকাচ্ছে। প্রতারণা করেছে তার সাথে। সত্য টা জানার পর মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় আরেক জীবন সংগ্রাম। মেডিকেল লাইফ শেষ করে ডাক্তার হয়ে উঠে। আচ্ছা আবির কি এমন প্রতারণা করলো লাবনীর সাথে যার কারণে লাবনী দূরে সরে এলো। সত্যি টা কি অনেক ভয়ংকর যা মেনে না নেওয়ার মতোন! লাবনী আর পিয়েতার মাঝে এক অদ্ভুত যোগসূত্র রয়েছে। কি এমন সম্পর্ক রয়েছে তাদের মাঝে! গল্পের শেষের দিকে এসে একটা টুইস্ট। আমি তো চমকে গিয়েছিলাম। শেষের দিকে হালকা তথ্য জানার পর একটু অবাক হয়েছিলাম। কিন্তু শেষে এসে এভাবে লেখিকা চমকে দেবে ভাবতে পারিনি। চমকটা কি জানতে চান? সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়ুন ❝তুই আর একটু আনমনে থাক❞ বইটি। ~ ★চরিত্রঃ ★শ্রেয়াসঃ গল্পের প্রধান চরিত্র। পুরো গল্পে এই চরিত্র টাকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে। জীবনে অনেক বাধা বিপত্তির পর সে তার স্বপ্ন পূরণে সাফল্য হয়েছে। শ্রেয়াস অনেক শক্ত প্রকৃতির ছেলে। শত বাধাও তাকে টলিয়ে রাখতে পারেনি। ★পিয়েতাঃ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। বাবা স্ট্রোক করার পর নিজের ডাক্তারি জীবনের অল্প আয় দিয়ে পুরো সংসার টাকে সামলানোর চেষ্টা করে। ★লাবনীঃ এই চরিত্র টাও ভালো লেগেছে। ভালোবাসার মানুষের থেকে প্রতারিত হওয়ার পরও নিজেকে ভেঙে গুড়িয়ে দিতে দেয়নি। খুব সুন্দর ভাবে নিজেকে সামলিয়ে নিজের সাফল্যে পৌঁছায়। এছাড়াও গল্পে ফারহানা আহমেদ, শাহেদ আহমেদ, শফিক সাহেব, আয়েশা আক্তার, (জেরিন, সিনথিয়া, মিতু - লাবনীর বান্ধবী ওরফে রুমমেট) আরও অন্যান্য চরিত্র রয়েছে। প্রতিটি চরিত্রকে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ~ ★মতামতঃ বইটি যত পড়েছি যত পৃষ্ঠা উল্টেছি তত বইটির গভীরে চলে গিয়েছি। খুবই চমৎকার লেগেছে বইটা। লেখিকার লেখনী খুবই সাবলীল ভাবে লেখা। তবে বইটা আরও একটু বড় হলে আরও তৃপ্তি পেতাম পড়ে।
Was this review helpful to you?
or
বই:তুই আরেকটু আনমনে থাক লেখিকা:সুষ্মিতা জাফর দারুণ মাথাব্যাথার মধ্যে মন ভালো করার জন্য বই পড়তে শুরু করলাম।বই পড়তে পড়তে গল্পের চরিত্রগুলোর মাঝে এতটাই বুধ হয়েছিলাম যে মাথা ব্যাথা কখন পালিয়ে গিয়েছে নিজেই জানতে পারি নি। গল্পের শুরুতে দেখা যায় দেশের একজন হার্ট থ্রুব নায়ক তার প্রেমিকার সাথে কিছুটা সময় কাটাতে মরিয়া যেন।প্রেমিকা একজন ডাক্তার যার পেশা হচ্ছে প্রচন্ড ব্যস্ততার। গল্পের আরেক অংশে দেখা যায় সদ্য দাক্তারিতে ভর্তি হওয়া একটি মেয়ে লাবণী।প্রতিদিনের আইটেম আর হোস্টেলের নানা কর্মচাঞ্চল্যের মাঝে একটু মুক্তির নি:শ্বাস প্রেমিক আবির।হোস্টেলের প্রেম থেকে চটজলদি বিয়ে আর বিয়ে পরবর্তী জটিলতায় ঘিরে থাকা তার জীবন।গল্পের দুই চরিত্রের মাঝে দারুণ এক মিল হলো দুজনকেই জীবনে নানা ঘাত প্রতিঘাত,কষ্ট,বঞ্চনা,প্রতারণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে,কিন্তু দুজনই ফিনিক্স পাখির মতো উঠে দাঁড়িয়েছে। নিজের মেধা দিয়ে সব বিপদকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে আপন পথে।দুই মেরুর দুটি মানুষকে প্রকৃতি এক সুঁতোয় কি বাধঁতে পারবে? গল্পটাতে একটা মারাত্মক বিষয় লেখিকা আলোচনা করেছেন তা হলো পর্ণোগ্রাফির প্রতি আসক্তি ও তার কুপ্রভাব।পর্ণগ্রাফিতে যা দেখায় তার অনেকটাই ক্যামেরার কারসাজি।কিন্তু তা দেখে অনেকেই নানা রকম ফ্যান্টাসিতে ভোগে আর তার দরুণ পা বাড়ায় পাপের পথে।কিন্তু ইসলামিক দৃষ্টিকোণে যা হারাম ও আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।এই বিকৃত রুচির নেশা মানুষকে নিজের বিবেক বুদ্ধি থেকে দূরে ঠেলে দেয়।যার পরিণতি অনেক ক্ষেত্রেই বাবুনীর মতো সন্তানদের বয়ে বেড়াতে হয়। গল্পটি পড়তে গিয়ে একজন ডাক্তারের নিজের পেশার যে নেতিবাচক দিক আছে তাও দেখতে পাই।জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে যে ডাক্তার হয় ভগবানতুল্য সে ডাক্তারকেই কসাই, চামার বলতে আমাদের মুখে আটকায় না।ডাক্তারি পেশা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক উচ্চমানের হলেও আর্থিক ও সামাজিক যে টানাপোড়েন তাদের দেখতে হয় তা সমাজের আর দশটা পেশার মানুষকে দেখতে হয় না।মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা মায়ের সন্তানদের ডাক্তার বানানোর যে স্বপ্ন তা যে কতোটা কন্টকময় তা কি কেউ বুঝে? গল্পের প্রতিটা চরিত্র নিজের মধ্যে থাকা বিবেককেই যেন নাড়া দিয়ে যায়।