
User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
মুহাম্মাদে আরাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনির মতো তার নামটিই আমাদের জন্য পবিত্র ও বরকতের। ঐ মুহাম্মাদ যাকে নির্বংশ বলা লোকদেরই আজ বংশধর খুঁজে পাওয়া যায় না অথচ ঐ মুহাম্মাদের বংশধরদের সাথে সাথে মুহাম্মাদ নামে বরকত নেওয়া লোকদেরও অভাব নেই। মুহাম্মাদ নামে শত মনীষী বইটি পড়লে আপনি মুহাম্মাদ নামের মুহাব্বত অনুভব করতে পারবেন। আপনার মনে হবে, এই বরকত নিজের সাথেও জুড়ে নেওয়া দরকার। নিজের নাম মুহাম্মাদ না হলেও মুহাম্মাদের বাবা-মা হওয়ার ইচ্ছেকে আপনি ছেড়ে যেতে পারবেন না। বইয়ের প্রথম অংশে নাম ও মুহাম্মাদ নামের ফজিলত বিষয়ক আলোচনা এবং দ্বিতীয় অংশে মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনি অংশ এসেছে। প্রথম অংশে ইসলামে নাম রাখার গুরুত্ব ও মুহাম্মাদ নামের বরকত ও ফজিলত বিষয়ক আলোচনা এসেছে। মীজানুল ই'তিদাল গ্রন্থে ইমাম জাহাবীর উল্লেখ অনুযায়ী "মুহাম্মাদ " নামে বর্ণনাকারী সাহাবী,তাবেয়ী,তাবে' তাবেয়ী এর সংখ্যা প্রায় ১২৬৬ জন। আল্লাহ তায়ালার কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম হচ্ছে আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান। অথচ উম্মাহ সবচেয়ে বেশি রাখছে "মুহাম্মাদ " নাম।এর মানে এটা না যে উম্মাহ আল্লাহর পছন্দের বিরোধিতা করছে।বরং রেওয়ায়াতে আল্লাহর পছন্দ দ্বারা এটা উদ্দেশ্য নয় যে সব নামের মধ্যে আল্লাহর কাছে পছন্দের নাম আবদুল্লাহ ও আব্দুর রহমান। বরং শুরুতে "আবদ" যুক্ত নামের মধ্যে আবদুল্লাহ ও আব্দুর রহমান নাম দু'টো আল্লাহর পছন্দ। নয়তো সকল নামের মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দের নাম "মুহাম্মাদ "। এজন্যই আল্লাহ তায়া’লা তার হাবীবের জন্যও " মুহাম্মাদ " নামটিই পছন্দ করেছেন। সমরকন্দে একটি গোরস্থান রয়েছে যাকে তুরবাতুল মুহাম্মাদীন বলা হয়। সেখানে প্রায় ৪০০ জন মুহাদ্দিসের ক'ব'র রয়েছে যাদের সকলের নামই ছিলো "মুহাম্মাদ "। সেখানে দাফনের জন্য জায়গা পেতে শর্ত হচ্ছে দু'টি, ১/ মুহাদ্দিস হতে হবে ২/নাম " মুহাম্মাদ" হতে হবে। হেদায়ার মুসান্নিফকে সেখানে দাফনের জন্য জায়গা দেওয়া হয় নি এর কারণ ছিলো তার নাম "মুহাম্মাদ " ছিলো না। বইয়ের দ্বিতীয় অংশ রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সীরাত বিষয়ক। এই বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। একজন মুসলিম অবশ্যই সীরাত সম্পর্কে ধারণা রাখবে। শুধু এতটুকু বলি, প্রায় সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া ﷺ এর ৮০% এখানে চলে এসেছে। তারতীব ও শব্দে ভিন্নতা এসেছে। তবে মুখস্থ করার জন্য যথেষ্ট। সীরাত অংশে তারতীব ও শিরোনাম খুবই উপকারী। বইয়ের শেষ অংশে মুহাম্মাদ নামে শত মনীষীর আলোচনা এসেছে। মুহাম্মাদ ﷺ সহ শত জন নাকি মুহাম্মাদ ﷺ ছাড়া শতজন তা গুনে দেখার সুযোগ হয় নি। এখানে মুহাম্মাদ নামের ৭ জন সাহাবীর পরিচিতি এসেছে। মুহাম্মাদ নামের ৯ জন তাবেয়ীর আলোচনা এসেছে। মুহাম্মাদ নামের ৭ জন ইমামের পরিচিতি এসেছে। জুহরী থেকে গাজালি পর্যন্ত। এভাবে বিভিন্ন শিরোনামে মুফাসসির,মুহাদ্দিস,ফকীহ,ইতিহাসবিদ, দার্শনিক সহ অনেক শিরোনামে পুরো ৯৯-১০০ জনের আলোচনা এসেছে। উসমানী সুলতান মুহাম্মাদ নামে দুই জনের আলোচনাও এসেছে। দুইজন ইবনে আরাবীর আলোচনা আলাদা শিরোনামের অধীনে এসেছে। মুফাসসিরদের তালিকায় প্রথম দুইজনের পুরো অংশ পড়ে মনে হলো দু'জন একই।ইমাম রাজি।তবে এখানে আলাদা আসাটা ভুল বা মিস্টেকই মনে হচ্ছে। আবুল মানসুর মুহাম্মাদ মাতুরিদীর আলোচনা এসেছে অনেক পড়ে। এই নামটা মুফাসসিরদের তালিকায় প্রথমে আসা দরকার ছিলো। তিনিই তাফসীর বিদ দিরায়ার প্রথম সংকলক এবং তাফসীর বিদ দিরায়ার উৎস। তাছাড়া ফিকহে হানাফির উসুলের সবচেয়ে প্রাচীন উৎস তার কিতাব।পরবর্তী যারা হানাফি উসুলে ফিকহ সংকলন করেছেন তারা তার কিতাব থেকে খুঁজে খুঁজে বের করেছেন। আরেকটি আফসোস থেকে যাবে। (লেখককে বলাই নিরাপদ।) যাইহোক, কিছু সম্পাদনাগত দূর্বলতা বাদ দিলে চমৎকার একটি বই।শুধু পড়ার জন্য না।সংগ্রহে রাখার মতো বই। মীজানুল ই'তিদাল সংগ্রহ করে ১২৬৬ জন মুহাম্মাদকে হয়তো সবাই পড়ে চিনতে পারবে না।তবে নামে মুহাম্মাদ সংগ্রহ করে মুহাম্মাদ নামে শত মনীষীকে চেনা যাবে। সবচেয়ে বড় বিষয়,মুহাম্মাদ নামের গুরুত্ব ও ভালোবাসা অনুভব হবে। তবে মনে রাখতে হবে, শুধু মুহাম্মাদ নাম রেখেই বাচ্চাকে বেপরোয়া ছেড়ে দিলে বাচ্চা আবার মুহাম্মাদ বিন সালমান হয়ে যেতে পারে। মুহাম্মাদ নামের শিশুর তরবিয়ত হতে হবে মুহাম্মাদ ﷺ এর আদর্শের আলোকে। আমি লেখকের কাছে আবেদন করতে পারি, "শিশুর মুহাম্মাদী তরবিয়ত " বা এমন কোনও শিরোনামে প্যারেন্টিং বিষয়ক একটি বই সংকলন করতে পারেন (অবশ্যই আমার বিয়ে ও সন্তান হওয়ার আগে) যেখানে সম্পূর্ণ তরবিয়ত আসবে নবীজীবন থেকে। একটা ছোট্ট মুহাম্মাদকে যেন জন্ম থেকেই মুহাম্মাদ ﷺ এর আদর্শে লালন-পালন করার পদ্ধতি শেখা যায়। বইটি পরবর্তী সংস্করণের জন্য একটু নজরে সানীর মতো করে পড়লাম। পড়লাম না। অনুভব করলাম।এটি অনুভব করার বই। 🖋️আবু মুহাম্মাদ জহির বিন আইয়ুব ১৬/১২/২০২৫ মঙ্গলবার
Was this review helpful to you?
or
নামে মুহাম্মাদ (মুহাম্মাদ নামের শত মনীষী) সংকলন: আবু মুহাম্মাদীন সাঈদ আহমাদ সম্পাদক: মুফতী মিযানুর রহমান কাসেমী (দা.বা.) প্রকাশনা: মাকতাবাতুল খিদমাহ (Maktabatul Khedmah) পৃষ্ঠা: ৩০৪ | মূল্য: ৬০০৳ | বাঁধাই: হার্ড কাভার নবীজীর (সা.) পবিত্র নাম “মুহাম্মাদ” রাখার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে এবং ইতিহাসে বিখ্যাত শতাধিক “মুহাম্মাদ” নামধারী মনীষীর জীবনী জানাতে এটি একটি অসাধারণ ও হৃদয়স্পর্শী সংকলন। বইটির মূল বিষয়বস্তু: বইটিতে রয়েছে দুটি অধ্যায়: প্রথম অধ্যায়: মুহাম্মাদ নাম রাখার উপকারিতা ও ফযিলত মুহাম্মাদ নামের গুরুত্ব, বরকত ও তা রাখার ফযিলত সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। পাশাপাশি, মুহাম্মাদ নামকে ঘিরে প্রচলিত মাওযু হাদীস (জাল বর্ণনা) থেকে সতর্ক করা হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায়: মুহাম্মাদ নামের শত মনীষীর জীবনী জীবনী অধ্যায়ের শুরুতে স্থান পেয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পূর্ণ সীরাত। সীরাতকে বিভক্ত করা হয়েছে ১০টি পর্বে: ১. ইরহাসাত – নবীজির আগমনের পূর্বাভাসমূলক ঘটনাবলি ২. জন্ম, নামকরণ ও বংশ-পরিচয় ৩. শৈশব ও নবুওয়াতের পূর্ব জীবন ৪. নবুওয়াত ও রিসালাত প্রাপ্তি এবং হিজরতের পূর্বকাল ৫. হিজরত ও তার পরবর্তী জীবন ৬. মাগাযী (জিহাদ ও যুদ্ধজীবন) ৭. দাম্পত্য ও পারিবারিক জীবন ৮. শামায়েল (চরিত্র ও অবয়ব) ৯. মু'জিযা ১০. ওছিয়ত এরপর পর্যায়ক্রমে যেসব মনীষীর নাম মুহাম্মাদ ছিলো, তাদের জীবনী তুলে ধরা হয়েছে নিচের ক্রমানুসারে: সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) তাবেঈন ইমামগণ মুফাসসিরগণ মুহাদ্দিসগণ ফকীহগণ উলামায়ে উযযাব (যারা ইলমের ব্যস্ততায় বিবাহ করেননি) খলিফা, কাজী ও বাদশাহগণ রিজাল ও কালামবিদগণ সুফিগণ দার্শনিকগণ ভারতবর্ষের ইসলামী ইতিহাসে অবদান রাখা মুহাম্মাদ নামধারীরা বাংলাদেশের খ্যাতিমান মুহাম্মাদ নামধারী আলেমগণ মোট ১০০ জন মনীষীর জীবনী স্থান পেয়েছে এই বইয়ে। এই বইটি আপনাকে তৃপ্ত করবে, ইনশাআল্লাহ। নবীজীর নাম রাখার প্রতি ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণায় এটি হতে পারে আপনার সংগ্রহে থাকা একটি মূল্যবান সংযোজন।




