
User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
চট্টগ্রামের পাহাড়ি ইতিহাস এবং জিয়া হত্যার ঘটনা জানতে পারবেন৷ কেন কুকিচিন তৈরি হলো?
Was this review helpful to you?
or
পার্বত্য চট্টগ্রাম: পাহাড়, মেঘ আর অমীমাংসিত গল্পের জনপদ পার্বত্য চট্টগ্রাম,নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে আসে প্রকৃতির এক অকৃত্রিম লীলাক্ষেত্র।যেখানে পাহাড় আর মেঘের সাথে প্রতিনিয়তই চলে সূয্যিমামার লুকোচরি খেলা। একই সাথে লুকোচরি চলে এই অঞ্চলের গহীনে বাস করা কিছু মানুষের জীবনসংগ্রামে। আপাতদৃষ্টিতে অতি শান্ত,স্নিগ্ধ এক মনোরম পরিবেশ মনে হলেও এর মধ্যে লুকিয়ে আছে সহস্র বিয়োগ বেদনার গল্প,মাতৃভূমি কিংবা মৃত্যু এই সংকল্প বুকে নিয়ে সহস্র তরুণের আত্মত্যাগের গল্প কিংবা চিম্বুক পাহাড়ের কোলে স্নেহলতা নামক কোনো কিশোরীর ব্যর্থ প্রেমের গল্প। এতসব গল্পের মাঝে আজও যে কারণে প্রতিনিয়ত পাহাড় অশান্ত হয়ে উঠে,কেন বাঙালি-পাহাড়ি একই দেশের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও পরষ্পরকে বিশ্বাস করে উঠতে পারে না, বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে তারই প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন লেখক এই বইয়ে। স্বাধীন বাংলাদেশে এই দ্বন্দের বীজ রোপিত মুজিবের বাঙালি জাতীয়তাবাদ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে।পাহাড়িরা যখন এই নিয়ে নিজেদের অস্বস্তি তুলে ধরে মুজিব তখন বলেছিলো,"তোরা বাঙালি হয়ে যা।আমরা তো একই দেশের মানুষ"। একই ভুল করেছিলেন জিন্নাহ সাহেব,"Urdu and only Urdu shall be the state langugae of Pakistan" ঘোষণার মধ্য দিয়ে,যা পরবর্তীতে জন্ম দিয়েছিলো এক স্বাধীন দেশের। যাইহোক, স্বভাবতই মুজিবের এই প্রস্তাব পাহাড়িরা মেনে নেই,মেনে নিতে পারে নি। সাঙ্গু নদীর জল এরপর আরো বহুদূর গড়ায়,আর ক্রমান্বয়ে পারষ্পরিক অবিশ্বাস, হিংসা পাহাড় ছেড়ে পৌছে যায় কেওক্রাডং এর চূড়া পর্যন্ত। জন্ম নেয় "শান্তিবাহিনী", শুরু হয় সশস্ত্র সংগ্রাম।পাহাড়ের মাঝেই তারা গড়ে উঠে এক আলাদা রাষ্ট্রব্যবস্থা,যেখানে গাছের প্রতিটি পাতার দোলনও তাদের হুকুমে হত। এযেন রাষ্ট্রের ভিতরেই এক আলাদা রাষ্ট্র,যে রাষ্ট্রে বাঙালিরা ছিলো সম্পুর্ণ অনাহূত। আর সেই অনাহূত অঞ্চলে প্রবেশের মাধ্যম হিসেবে বেছে নেওয়া হয় বন্দুকের নল।যে নল দিয়ে সাত কোটি বাঙালিকে পাকিস্তানিরা দমাতে পারে নি,সেই একই নল প্রবেশ করে পাহাড়ের কোলে,তৈরি করে নেয় এক স্থায়ী আসন। কিন্তু শীগ্রই শাসকগোষ্ঠী বুঝতে পারে,শুধু অস্ত্রের জোরে পাহাড়ে টিকে থাকা,আর উত্তাল সমুদ্র সাঁতরে পাড়ি দেওয়া একই বিষয়। শুরু হয় সম্পূর্ণ পার্বত্য চট্টগ্রামের পপুলেশন ডেমোগ্রাফি চেঞ্জ করে দেওয়ার এক অভিনব প্রক্রিয়া,--বাঙালি পুনর্বাসন। এ যেন জ্বলন্ত কয়লায় দমকা হাওয়া দেওয়া,যা অগ্নিশিখার মত ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত পাহাড়ে। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। যে সংঘর্ষের বলি হতে হয় অসংখ্য বাঙালি এবং পাহাড়ির,পরিশেষে বাংলাদেশির। অবশেষে সরকার বেছে নেয় সংলাপের পথ,যে পথের গন্তব্য কতদূর কেউই জানে না,কিন্ত এই পথ যে পরিস্থিতি বহুলাংশে শান্ত করেছে এই অশান্ত জনপদকে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।




