User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Recommended
Was this review helpful to you?
or
বই এর কোয়ালিটি আরো ভালো হতে পারত।কিন্তু গল্পটা অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
Awesome book
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা উপন্যাস
Was this review helpful to you?
or
ভালো বই। ভীষণ পছন্দের হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি না পড়লে হয়তো বুঝতে পারতাম না যে একটা উপন্যাস দিয়েও মানুষকে এতটা অনুপ্রানিত করে তোলা যায়৷ হাজারি ঠাকুকের চরিত্র, তার স্বপ্ন জয়ের যাত্রা সত্যি এক কথায় অসাধারণ।
Was this review helpful to you?
or
বইটা অসাধারণ!! পড়লে অনেক কিছু শিখতে পারবেন আর ইংরেজ আমলের কলকাতার বাহিরের মানুষ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
Was this review helpful to you?
or
এক নিমেষেই শেষ করার মতন একটা বই। অসাধারন।
Was this review helpful to you?
or
আমার পড়া বিভূতিভূষণ এর প্রথম উপন্যাস। যতটা না মুগ্ধ হয়েছি গল্প পড়ে তার চাইতে ও অবাক হয়েছি স্টোরি টেলিং দেখে। অসাধারণ । গল্পটি বারবার একটি দিকে নির্দেশ দিয়েছেন যে বিনয় কখনো দুর্বলতা নয় বরং সততা এবং বিনয় সাফল্য সর্বোত্তম পন্থা।
Was this review helpful to you?
or
একজন মানুষের স্বপ্ন সে এমন একটা হোটেল দিবে যেখানে খরিদ্দারাও ঠকবেন না আবার ব্যাবসাও চলবে অনেক ভালো! কিন্তু সে গরিব এবং মুর্খ মানুষ, তবে মানুষ হিসেবে খুবই সহজ-সরল। আর তার সব থেকে ভালো গুন হচ্ছে সে অনেক ভাল রাধুনি! তার স্বপ্ন পূরনের জন্যে অনেকদিন তাকে অন্যের হোটেলে কাজ করতে হয়েছে, অন্যের বাড়িতেও রাধুনির কাজ করতে হয়েছে। অনেক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে এবং মুখ বুঝে অনেক কষ্ট-অপমান সহ্য করতে হয়েছে! চোরের মিথ্যা অপবাদ সইতে হয়েছে! আরো কতকি!! লেখক এই বইটায় একজন গ্রামের সাধারণ মানুষের শুন্য থেকে কয়েকটা বড়ো হোটেলের মালিক হওয়া পর্যন্ত যে অসামান্য অধ্যাবসায় এবং কিছু মানুষের বাধা, কিছু মানুষের নিঃস্বার্থ সাহায্য, গ্রামের কিছু মানুষের সরলতা এতো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যা আপনি না পড়লে বুঝতে পারবেন না!!
Was this review helpful to you?
or
দারুণ একটি উপন্যাস। ভালো লাগা ও মনে গেথে রাখার মতো একটি সাহিত্যকর্ম এটি।
Was this review helpful to you?
or
মাস্ট রিড। আমার প্রিয় উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম
Was this review helpful to you?
or
এক নিমিষে শেষ করার মত একটা বই। পড়ে অনেক ভাল লাগছে ।
Was this review helpful to you?
or
আদর্শ হিন্দু হোটেল is a Bengali classic that every Bengali should read at least once in their lifetime. In this day of corruption and complicated relationships, the plot and characters of আদর্শ হিন্দু হোটেল were a breath of fresh air and was a very satisfying read. This is a story of Hajari Thakur, who is a very humble and timid person nature, and is a chef working in a restaurant (the novel addresses them as "hotel", as in Bengali, restaurants are mostly called hotel by locals) beside a railway station. Customers flock the restaurant as the delicacies cooked by Hajari are unparalled in taste. However, he works at a very low wage, with constant bickering and humiliation by the restaurant’s owner Bechu Chokkoti and his second in command, Poddo. Bechu and Poddo share a close bond, as Bechu owns the restaurant, which Poddo takes care of the menu, a role she very cunningly fulfills by serving stale food and cutting down costs by providing low quality food, which Hajari as a chef detests. His only consolation is his short walks to the river shore and a widowed family friend he considers his daughter, as his own family lives in another village. He daydreams about starting his own restaurant while slaving away at his workplace. However, he is accused of stealing kitchen utensils by the restaurant owner and is humiliated and fired from his work. He sets out, sharing his dream of having his own restaurant, and many women he knows, offer their help in the form of capital. One of them is Atoshi, a friend of his daughter’s, the local zamindar’s daughter. We have to remember that this was set in the early 1900s, when the residents of a village/town were very close and amicable and kind towards each other, almost treating each other like family. Hajari eventually starts his own restaurant and gains immense popularity through his service and food, while the other restaurants dwindle due to poor service and mediocre food. In a bizzare twist of fate, his former restaurant is closed down when they fail to pay rent and make their ends meet. Hajari being the helpful person, hires his previous employer while expanding his business. The story ends with Hajari leaving for Bombay, to start a career as a consulting chef, while his family stays behind to run his restaurants. I feel like this story’s main theme is perseverance – how an honest and hardworking person will always be compensated and rewarded by the universe. It deals with despair, the loss of loved ones (Atoshi’s becomes a widow within 3yrs of her marriage, reminding us the death of a loved one will always stay with us), charity and the strength of having a dream and materializing it. This Bengali classic is a gem. While reading this, I was constantly on the edge and a bit irritated because Hajari's simplicity and his trust in people (which was returned to him) was constant, as he was cordial and respectful and even helpful towards the people who were wrong to him in the past. He is a man who did not hold grudges and only chose to appreciate his life and be grateful for it.
Was this review helpful to you?
or
ভাল লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে বইটি ই পড়ি,তাতেই অভিভূত হয়ে যাই। "আদর্শ হিন্দু হোটেল" তেমনি একটি বই। উপন্যাসটির মূল চরিত্র হলেন হাজারি ঠাকুর,যিনি একজন রাঁধুনি বামুন। কাহিনীর শুরুতে তাকে দেখা যায় যে,রানা ঘাটে রেল স্টেশনের নিকটে বেচু চক্কোত্তির হোটেলে মাসিক সাত টাকা বেতনে রাঁধুনির চাকরি করতে।তার রান্নার গুণে হোটেল চলে, অথচ হোটেলের মালিক বেচু চক্কোত্তি আর ঝি পদ্ম সারাক্ষন তার সাথে দুর্ব্যবহার করে। সে স্বপ্ন দেখে একটু ভাল জীবনের, যাতে তার অভুক্ত পরিবার খেতে পায়, যাতে নিজের রান্না আর সততার গুণে নিজেই একটা হোটেল দিতে পারে এবং সেটি হবে একটি আদর্শ হোটেল। এভাবে,তার জীবন কথা নিয়েই এগিয়ে চলে কাহিনী। সততাকে পুঁজি করে শূন্য থেকে শিখরে পৌঁছানোর অসাধারণ একটি কাহিনী এই"আদর্শ হিন্দু হোটেল"
Was this review helpful to you?
or
বই: আদর্শ হিন্দু হোটেল লেখক: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় জনরা: চিরায়ত উপন্যাস প্রায়ই একটা কথা আমরা শুনে থাকি, "পেট শান্ত তো মনও শান্ত"। অথবা এমনও বলতে পারি যে, পেটে ক্ষুধা থাকলে কোনো কাজে মন বসে না। শৈশবে পাঠ্যবইয়ে একটা প্রশ্ন ছিল, "আমরা খাবার কেন খাই?" প্রশ্নের সহজ জবাব, "বেঁচে থাকার জন্য"। কিন্তু সময়ের সাথে এই জবাব আরও পূর্ণতা পেয়েছে। মাছে ভাতে বাঙ্গালি। যতোই মুখরোচক খাবার বাঙালি খাক না কেন একসময় ঠিকই মাছ, সবজি, ভাত, ডাল, ভর্তার জন্য মন কেঁদে ওঠে। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর কি না খেয়ে থাকতে পারবেন? ধোঁয়া ওঠা ভাত, গরম ডাল-সবজি ও মাছের ঝোল কি সহজে ভোলা যায়? এমনি তো বলে না বাঙালিরা ভোজনরসিক! রাণাঘাটে রেল-বাজারে বেচু চক্কত্তির হোটেলের বেশ নামডাক। আর দশটা হিন্দু হোটেলের মতো পাওয়া যায় বাঙালির অতিপরিচিত খাবার। কিন্তু... একবার যে এখানে এসেছে, ভুলতে পারে না চক্কত্তি মশাইয়ের হোটেল! কেন? নামমাত্র পারিশ্রমিকের বিনিময়ে বেশ কয়েকবছর ধরেই অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে রসুয়ে-বামুন, হাজারি ঠাকুর। হাজারি ঠাকুরের কারিশমায় অতিসাধারণ খাবারও অসাধারণে পরিণত হয় যেন "অমৃত"! তবে মনে সুপ্ত একটা ইচ্ছে আছে রসুয়ে-বামুনের, একটি হোটেল দিবে; "আদর্শ হিন্দু হোটেল"। যেখানে কোনো খদ্দেরকে ঠকানো হবে না। সতেজ-সুস্বাদু-পুষ্টিকর খাবারই হবে যে হোটেলের মূলমন্ত্র। কিন্তু চূর্ণী নদীর ধারে বসে প্রতিদিন দেখা দিবাস্বপ্ন কি কোনোদিন পূরণ হবে? পরিবার ছেড়ে এতো দূরে রাণাঘাটে বাবুর্চির জীবন সহজ নয় হাজারি ঠাকুরের। প্রতিদিন পদ্মঝির অযৌক্তিক তিরস্কার, বেচু চক্কত্তির অবহেলা নিরবে সহ্য করে চলেছে। মনে ক্ষীণ আশা একদিন তার কদর তারা বুঝবে। কিন্তু কবে? হাজারি ঠাকুরের রান্নার জয়জয়কার পদ্মঝির সহ্য হয় না। মিথ্যে মামলা দিয়ে তুলে দেয় দারোগার হাতে। তাতেও সাধ মেটে না! কুৎসা রটানো শুরু করে। পদ্মঝির প্ররোচনায় বেচু চক্কত্তি কাজ থেকে ছাটায় করে দেয়! ভগ্নহৃদয়ে অকূল পাথারে পড়ে হাজারি ঠাকুর। কিন্তু স্বপ্ন যার হৃদয়ে তাকে কি দমিয়ে রাখা যায়? প্রায় দেড় বছর আগে পড়া বিভূতিভূষণের "আদর্শ হিন্দু হোটেল"। মনে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে এতো সময় পরে রিভিউ লিখছি তাহলে বইয়ের বিষয়বস্তু আদোও ঠিকঠাক মনে আছে কিনা। জবাব হলো, "এতো অসাধারণ একটা বইকে ভোলা সম্ভব না"। আমি যদি আরও কয়েকবছর পরও লিখতাম তারপরও বইয়ের অধিকাংশই আমার মনে থাকতো। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখার সাথে পরিচয় "চাঁদের পাহাড়" দিয়ে। সুন্দর-সাবলীল লেখনশৈলী। আদর্শ হিন্দু হোটেল পড়ার সময় যেন কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে গেছিলাম। রাণাঘাটের সেদিনগুলো, হাজারি ঠাকুরের সংগ্রাম, পদ্মঝির অত্যাচার, স্বপ্নের দিনগুলো যেন চোখের সামনে দেখতে পারছি! খাবারগুলো বর্ণনা, মনে লোভ জাগিয়ে তুলছিল। বইটা শেষ করার পরও রেশ রয়ে গেছিলো। দুটো বিষয়ের জন্য বইটা মনে থাকবে সারাজীবন- ◑ হাজারি ঠাকুরের অসম্ভব ধৈর্য্য ও ইচ্ছেশক্তি। ◑ টক্সিক চরিত্র পদ্মঝি। "প্রত্যেক সফল ব্যক্তির সাফল্যের পিছনে একজন নারীর হাত (ভূমিকা) থাকে" প্রায়ই শোনা একটা কথা। কিন্তু হাজারি ঠাকুরের পিছনে আছে পাঁচজন নারীর অগাধ আস্হা ও অনুপ্রেরণা। শেষ অংশে অতসীর জন্য কষ্ট লাগে। স্টেশনে অতসীকে দেখে হাজারি যখন কেঁদে দেয়... এই অংশ কোনোদিন ভোলা সম্ভব না আমার জন্য। এমন একটা বই যেটা পড়ার সময় খুশি, আশা, কষ্ট, স্বপ্ন, রাগ, বিরক্ত বিভিন্ন অনুভূতি হয়েছে। শত-শত বই পড়েছি কিন্তু পদ্মঝির মতো এতো টক্সিক চরিত্র কমই দেখেছি। পড়ার সময় বারবার মনে হচ্ছিল একটা শিক্ষা হওয়া উচিত। কিন্তু এতো কূটনামির পরও যখন হাজারি মাফ করে দেয় রাগ-বিরক্ত হয়েছিলাম। তবে এইভাবেও ভাবা যায় যে ক্ষমা করে আসলে সবচেয়ে বড় প্রতিশোধই নেওয়া হয়েছে। পদ্মঝি ভুলতে পারবে না অতীতকে! আমার প্রিয় বইগুলোর মধ্যে সবসময়ই থাকবে "আদর্শ হিন্দু হোটেল"। বারবার পড়ার মতো একটা বই। শুধু একটা কথা বলবো, স্বপ্ন পূরণের কোনো বয়স নেই।
Was this review helpful to you?
or
বিনয় কখনোই আমার দূর্বলতা নয়, এই কথাটি বইটি পড়ার প্রতিটা মূহুর্তে আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি 🙂
Was this review helpful to you?
or
একটা কথা আছে বাংলায়,"মানুষ তার স্বপ্নের সমেত বড়"।আমরা সবাই স্বপ্ন দেখি।স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি।স্বপ্ন নিয়েই বাঁচি।স্বপ্নকে পূর্ণ করার চেষ্টা করি।কিন্তু সেই স্বপ্ন ক'জনই বা স্বার্থক করতে পারি? হ্যা সেরকম একজন স্বপ্নবিলাসী মানুষ "হাজারী চক্রবর্তী", যাকে এক নামে সবাই হাজারী ঠাকুর বলেই চেনে।পয়তাল্লিশোর্ধ পৌর হাজারী ঠাকুর তার ওই বয়সে শূন্য থেকে পূর্ণ হওয়ার যে স্বপ্ন দেখে তা কি চাট্টিখানি কথা??? ওই বয়সে অনেকেই জীবন থেকে,কর্ম থেকে অবসর নেয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকে।কিন্তু হাজারী ঠাকুর স্বপ্ন দেখে।স্বপ্ন দেখে তার "একটি আদর্শ হিন্দু হোটেল"হবে।যেখানে কম দামে সস্তায় আরাম করে লোকে ভালো খাবার খেতে পারবে।চারদিকে তার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পরবে।কিন্তু সেই উপায় কোথায়?দু'পয়সা রোজগার করে সংসার চালাতেই সে হিমশিম খেয়ে যায়। শুধু রান্না করে খাইয়েই যে মানুষের মন খুশি করানো যায় সেটা হাজারী ঠাকুরকে জানলে বোঝা যাবে।হাজারী ঠাকুর রাণাঘাটে রান্নার কাজ করে বেচু চক্কোত্তির হোটেলে।সে চমৎকার রান্না করতে পারে।কি নিরামিষ কি আমিষ?সব রান্নাই যেন অমৃত হয় কিন্তু তার মালিকের কাছে তার সেই কাজের কোন মূল্য নেই।সেই হোটেলের সহকর্মী পদ্দ ঝি,তাকে দুচোক্ষে দেখতে পারেনা।উঠতে বসতে কথা শোনায়,নানারকম উৎপাত সৃষ্টি করে।বেচু চক্কোত্তি হোটেলের মালিক হয়েও পদ্দ ঝিয়ের কানকথা ধরে।তার কথাতেই উঠ বোস করে।লোকে তাদের দুজনকে নিয়ে নানারকম কানাঘুষোও করে।পদ্দ ঝি হোটেলে এমনভাবে আদি বিস্তার করে থাকে যেন সেও হোটেলের মালিক।হাজারী ঠাকুর সহজ-সরল নিরীহ মানুষ।পদ্দ ঝি তাকে নানাভাবে হেনস্তা করে,আর সেও সেটা মুখ বুঝে সহ্য করে।এতকিছুর মধ্যেও সে স্বপ্ন দেখতে ভুলেনা।একটা সুখি সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখে। হাজারী ঠাকুর নেহাতই একজন সহজ-সরল, ভালো মানুষ।কখনও কাউকে ঠকানোর চিন্তা মাথাতেও নেয়না।আর যারা ভালো মানুষ তাদের সাথে সৃষ্টিকর্তা সবসময় থাকেন।হাজারী ঠাকুরের বেলায়ও তাই হয়েছে।কিছু অনাত্মীয়া মেয়ের বয়সী নারী তাকে খুব শ্রদ্ধা আর ভক্তি করে।তাদের সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেয় হাজারী ঠাকুরের দিকে।তারা প্রত্যেকে তাকে বাবার মত ভালবাসে।সেও তাদেরকে মেয়ের মতই স্নেহ করে।সেই অনাত্মীয়া মেয়ের বয়সী মেয়েদের সহায়তায়_আর তার একনিষ্ঠ পরিশ্রম, সততা এবং জাদুকরী রান্নার গুণেই একদিন সে তার স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যায় সফলতার পূর্ণ চূড়ায়। কিছু কথা: যারা স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়,মাঝ বয়সে এসে থেমে যায়,ভেতরে ভেতরে দুমড়ে-মুচড়ে যায়,যারা মনে করে কিছুই করতে পারবেনা,সময় শেষ হয়ে গেছে তাদের জন্য এই হাজারী ঠাকুর একটা অনুপ্রেরণা।এবং রক্তের সম্পর্ক না হয়েও যে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসা যায় তার এক বিরল দৃষ্টান্ত এই কুসুম, অতসীর মত কন্যাসম মেয়েগুলো। অর্থাৎ যারা সৎ ভালো মানুষ, তাদের সাথে কখনও খারাপ কিছু হয়না। প্রিয় উক্তি: "উদ্যমই জীবনের সবটুকু, যার জীবনে আশা নেই, যা কিছু করার ছিল সব হয়ে গেছে_ তার জীবন বড় কষ্টকর"। পাঠ প্রতিক্রিয়া :কালজয়ী ঔপন্যাসিক বিভূতিভূষণ এর অন্যান্য বইয়ের তুলনায় এই বইটা কম আলোচিত হলেও আমি বলবো এটাও একটা মাস্টারপিস।এসব কালজয়ী বই নিয়ে আমার আলাদা করে কিছু বলার নাই।এসব বই অবশ্যপাঠ্য বই। বইটা আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়ে গেছি।বইয়ের প্রত্যেকটা পরতে পরতে মিশে ছিলো একরাশ মুগ্ধতা আর ভালোলাগা।আমার মত মুগ্ধতায় ডুবে যেতে চাইলে আপনারাও(যারা পড়েননি)পড়ে ফেলুন বইটা। #বইকে ভালোবাসুন,বইয়ের সাথে থাকুন। হ্যাপি রিডিং। ধন্যবাদ।
Was this review helpful to you?
or
আদর্শ হিন্দু হোটেল বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় এর একটি অনন্য উপন্যাস।
Was this review helpful to you?
or
by Bibhutibhushan Bandyopadhyay Read My rating: 1 of 5 stars2 of 5 stars3 of 5 stars[ 4 of 5 stars ]5 of 5 stars "আদর্শ হিন্দু হোটেল" পড়তে গিয়ে Paulo Coelho এর The Alchemist উপন্যাসের একটা লাইন বারবার মনে পড়ে যায়। “And, when you want something, all the universe conspires in helping you achieve it.” মাসে সাত টাকা মাইনেতে রাণাঘাট রেল বাজারের বেচু চক্কত্তির হোটেলে রাঁধুনির কাজ করে হাজারি ঠাকুর। এই অল্প মাইনেতে তার পরিবার চালাতেই হিমশিম খেতে হয়। কিন্তু হাজারির স্বপ্ন অনেক বড়। এই রাণাঘাট রেল বাজারেই সে নিজের একটা হোটেল দিবে। হাজারির রান্নার হাত খুব ভাল, অনেক দূরদূরান্ত থেকে মানুষ বেচু চক্কত্তির হোটেলে আসে শুধু হাজারির রান্না করা খাবার খাবে বলে। বলতে গেলে বেচু চক্কত্তির হোটেলটা টিকে আছে হাজারির রান্নার গুণে। সকলেই খাওয়ার পরে হাজারির রান্নার বিশেষ তারিফ করে, এমনকি পাশের হোটেলের মালিক রাত্রিবেলা গোপনে এসে তাদের হোটেলে কাজ করলে দশ টাকা করে মাইনে দেওয়ার লোভ দেখায়। এসব হাজারির আত্মবিশ্বাস অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তবুও সে বেচু চক্কত্তির হোটেল ছেড়ে যায় না, কারণ সে এখানে থেকে ভালভাবে কাজ শিখে নিজেকে প্রস্তুত করতে চায়। কিন্তু বেচু চক্কত্তির হোটেলে হাজারির জীবনটা অত মসৃণ নয়। প্রায়সময় বিভিন্ন বানোয়াট অভিযোগে হোটেলের ম্যানেজার পদ্ম ঝির লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয়। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন অভিযোগে তাকে জরিমানা করে বেতনের টাকাও কেটে রাখা হয়। এমনকি একবার হোটেল থেকে বাসনপত্র চুরির মিথ্যে অভিযোগে এক সপ্তাহ হাজতে কাটাতে হয়। এত কিছুর পরও হাজারি মনিবের প্রতি তার অসীম শ্রদ্ধা এবং নিজের একটি হোটেল দেয়ার স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে বেচু চক্কত্তির হোটেলে কাজ করে যায়। তার এই স্বপ্নের সারথি হয় তার কণ্যাসম কয়েকটি মেয়ে। বিধবা কুসুম, জমিদার কণ্যা অতসী এবং ভিনগাঁয়ের এক বধূ। তারা প্রত্যেকেই তাদের সারাজীবনের সঞ্চয় দিয়ে হাজারিকে তার নিজের হোটেল চালু করতে সাহায্য করতে চায়। হাজারি কি কুসুম-অতসীদের সাথে নিয়ে তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে? নাকি মানুষের জীবনের অন্য অনেক স্বপ্নের মত "আদর্শ হিন্দু হোটেল" একটি স্বপ্নই থেকে যাবে?
Was this review helpful to you?
or
একটা উপন্যাসও যে মানুষকে গল্প বলতে বলতে সহজে ইনস্পায়ার করতে পারে, তার একটি উদাহরণ হচ্ছে এ বই ৷ সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা, এ কথাটাই পুরো উপন্যাসের পরতে পরতে বলা হয়েছে
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামটা দেখে আমি একটু বিপাকে পড়েছি। কী আছে এই বইয়ে? কেন এধরণের নাম? এটাতে কি আমি প্রবেশ করতে পারব? এইসব সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে বইটা কিনেই ফেললাম। এরপর একদিন সময় করে প্রবেশ করলাম আদর্শ হিন্দু হোটেলে। আদর্শ হিন্দু হোটেল আমার কাছে একটা অন্যমাত্রার মোটিভেশনাল বই মনে হয়েছে। তবে পার্থক্য হচ্ছে বর্তকমানে মোটিভেশনাল বই হচ্ছে উপদেশমূলক আর এই বইটি হচ্ছে উপলব্ধিমূলক। আপনাকে বইটি পড়ে সেখানের মেসেজগুলো বুঝে নিতে হবে এরপর নিজের জীবনে সেগুলোর প্রতিফলন ঘটাতে হবে। বইটি পড়ে আমি যে পয়েন্টগুলো নোট করেছিলাম সেগুলো হচ্ছে সবসময় সৎ থাকতে হবে, নিজের কাজকে ভালোবাসতে হবে, সবাইকে শ্রদ্ধা করতে হবে, নিজের লক্ষ্য স্থির করে সেটার দিকে এগোতে হবে, মানুষকে ভালোবাসতে হবে এবং বিশ্বাস করতে হবে। এই জিনিসগুলো আমাদের মধ্যে থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আমার পছন্দের একটা হাদিস যেটা বুখারী শরীফে আছে সেখানে বলা হয়েছে, "ইন্নামা আ'মাল বিন নিয়্যাত" যার অর্থ হচ্ছে, "প্রকৃতপক্ষে সকল কাজের ফলাফল নিয়্যাতের উপর নির্ভরশীল"। এই হাদিসের সাথে এই বইয়ের মূল চরিত্রের সম্পূর্ণ মিল আছে। তার একটা স্বপ্ন ছিল হোটেল করার এবং সে সেটা ধীরে ধীরে পূরণ করার জন্য এগিয়ে গিয়েছে। তার পথটা মোটেও সুগম ছিলো না। অনেক চড়াই-উতরাই পার করে সে তার লক্ষ্যে পৌঁছেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সবাইকে বলি এবং বুঝাতে চেষ্টা করি নিজের লক্ষ্যটাকে বড় কর। তবে সেটাকে পূরণ করো ছোট ছোট গোল সেট করে বা ছোট ছোট লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে। কখনো হাল ছেড়ো না। স্বপ্ন দেখ আর সেটা বাস্তবায়নে নেমে পড়। তোমরা যারা বইটা এখন পর্যন্ত পড় নি তারা বইটা সংগ্রহ করে পড়ে নাও আর যারা পড়েছ তোমাদের কেমন লেগেছে এবং তোমরা কী শিখলে সেটা জানাতে পারো। আমি এখানে আমার ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করেছি। যদি কারো কাছে কোনো কিছু ভুল মনে হয় তাহলে অনুগ্রহ করে জানালে আমি আমার ভুল শুধরে নিব।
Was this review helpful to you?
or
" আদর্শ হিন্দু হোটেল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় " সাহিত্যকে ধ্বংস করে আজকাল বাজারে দেখা যায় নানা ধরনের মোটিভেশন বই। হতাশার যুগে বাস করা যুব সমাজকে নাকি এরা আশার আলো দেখিয়ে টিকিয়ে রেখেছে। আর নিজেদের নামের পাশে লাগিয়েছে লেখক তকমা। আমি বলি কি ওগো বলিহারি তোমরা কি আদর্শ হিন্দু হোটেল পড়োনি? সাহিত্যের চরম শেখরে অবগাহন করা সেরা মোটিভেশনাল বই, যার প্রতি পরতে পরতে আছে এক হার না মানা জীবনের গল্প। এই উপন্যাস মানুষকে অনুপ্রেরণা দেবে, শেখাবে হাল না ছাড়ার মানসিকতা। প্রতিভা থাকলে তা প্রকাশিত হবেই। সামান্য পরিচর্চা পেলে যে কেও সফলতার সর্বোচ্চ ধাপে যেতে পারে, ঘুরে দাঁড়াতে পারে কোণঠাসা অবস্থা থেকে। এসবের জ্বলন্ত উদাহরণ “আদর্শ হিন্দু হোটেল”। শুধু বিষয়গত দিক থেকে নয় ভাষাগত, গঠনগত এমনকি বৈচিত্রের দিক থেকেও স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের একটি উপন্যাস। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের "আদর্শ হিন্দু হোটেল"। যার প্রতি পরতে পরতে আছে হাসি, কান্না, হতাশা, দুঃখ, ভয়, রোমাঞ্চ, ক্ষোভ, ক্রোধ আর এক হার না মানা সাহসী মানুষের জীবনের যুদ্ধ। এ এক সফল মানুষের গল্প মশায়েরা। এ হাজরা ঠাকুরের শূন্য থেকে শেখরে উঠার গল্প। গল্পটি বই আকারে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৪০ সালে। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হাজারি দেবশর্মা, তার উত্থান পতনের সুচারু বর্ণনাই লেখক দক্ষ হাতে বইয়ের পাতায় তুলে ধরেছেন। কে এই হাজারি ঠাকুর? মামুলি একজন হোটেলের রাঁধুনী বামুন। তার হাতের রান্নায় প্রচুর স্বাদ। তবু যেন নীরবে-নিভৃতেই তার যাপন। প্রাপ্য প্রশংসার আশায় চাতকের মত চেয়ে থাকে, কেউ ফিরেও চায় না। তাই দিনশেষে একটু দয়া পেয়েই নিজেকে ধন্য মনে করতে হয় তাকে। হাজারির কাছে তার পেশা অনেকটা নেশার মতোই। রান্না তার কাছে তেমনই, যেমন একজন শিল্পীর শিল্প। বয়সের রেখা তাকে ক্রমশ গ্রাস করছিলো, সাথে অস্বীকৃতির দায়। তার গুণেই যে হোটেলের খদ্দের বারবার ফিরে আসে, সে কথা কেউ মানেনি। না মানার দলে সর্বাগ্রে থাকে পদ্মঝি। হোটেলের মালিকের সাথে যার বড় ভাব, আর তাই অন্যদের উপর ছড়ি ঘোরাতে সে সিদ্ধহস্ত। সাত টাকা মাইনের চাকরি থেকে নিজের হোটেল, স্বপ্নটা একজন রাঁধুনী বামুনের জন্য অনেক বেশিই। সততার পথ থেকে একটুও না সরে, তিল তিল করে টাকা জমিয়ে এবং কিছু অনাত্মীয় আপনজনদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সে তার হোটেলের স্বপ্নের পথে একটু একটু করে পা বাড়ায়। কথায় আছে অর্থ অনার্থের মূল। কিন্তু জীবন ধারনের জন্য অর্থ যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বিভূতি তার কলমের যাদুতে তুলে এনেছেন। অনাত্মীয় মানুষও যে সম্পর্কে কতটা প্রিয় হয়ে উঠে তার বর্ণনা যে এত মাধুর্যপূর্ণ হয় তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই উপন্যাস। পরোপকার কিংবা মানব মনের বিভিন্ন অধ্যায় খুব চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে বইয়ে। মনস্তত্ত্বের ভিন্ন ভিন্ন মাত্রার ব্যাখ্যাও পাওয়া যায় এই উপন্যাসে। বিভূতিভূষণের বৈচিত্র্যময় বর্ণনা, ভাষার কারুকাজ, আর বর্ণনার নৈপুণ্যে গড়া উপন্যাস “আদর্শ হিন্দু হোটেল”। বিভূতির প্রায় প্রতিটি লেখাতে তিনি মানব জীবনের সাথে প্রকৃতির একটা অদ্ভুত মেলবন্ধন ঘটিয়ে থাকেন। কোথায় যেন অদৃশ্য হয়ে যায় মানুষ আর প্রকৃতির মধ্যবর্তী সূক্ষ্ম প্রাচীরখানি। মানব মনের সাথে প্রকৃতির সেতুবন্ধন বা সংযোগের বিষয়টা লেখকের এ বইয়ে স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত।
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নামঃআদর্শ হিন্দু হোটেল লেখকঃবিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশনীঃমিত্র ও ঘোষ পাবলিকেশন্স মূল্যঃ২৭০টাকা "আদর্শ হিন্দু হোটেল" উপন্যাসটিতে লেখক অতি সুনিপুণভাবে হাজারী নামক একজন ব্রাক্ষণের জীবন কাহিনী তুলে ধরেছেন।উপনয়াসটি পড়ার পর অনুভব করতে পেরেছি যে বিভূতিভূষণ বাংলার অতি দরিদ্রদের জীবনকে তার লেখার বিশেষত্ব দিয়ে ফুটিয়ে তুলতে পারতেন। তুলনামূলকভাবে ধনী যারা দরিদ্রদের সাথে সহাবস্থান করেন তিনি সাধারণত তাঁর গল্পের মূল চরিত্রটিকে নায়ক হিসাবে সহায়ককে গুরুত্বপূর্ণ না করে সেই দারিদ্রকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে এনেছেন। মজার বিষয় হচ্ছে, "আদর্শ মানুষ হোটেল" (এরপরে আদর্শ) -তে, হাজারি নামের ব্রাহ্মণ রান্না নায়ক, দু'জন দরিদ্র এবং একজন উদ্যোক্তা, যিনি অন্যের পক্ষে কাজ করতে চান, যেমন একটি হোটেলে রান্না করা হিসাবে, এবং নিজের ভোজন খুলতে চান । তিনি কঠোর পরিশ্রম করে, সতর্কতার সাথে রজনী অভিমানের সাথে, চিরকাল নির্দয় নিষ্ঠুরতার সাথে চিকিত্সা করা এবং চিরকালের জন্য নিজের রান্নাঘরের স্বপ্ন দেখে। হ্যাঁ, তিনি একদিন নিজের হোটেল খুলবেন, যেখানে লোকেরা খুব যুক্তিসঙ্গত দামের জন্য দুর্দান্তভাবে প্রস্তুত খাবার খাবে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে বেঁচে থাকার জন্য তার যথেষ্ট লাভ হবে।তবে এত নিষ্ঠুর ভাগ্য,তার সে উপায় নেই। হেটেল তৈরির জন্য যথেষ্ট অর্থ তার কাছে নেই।একসময় তার ধর্ম মেয়ে তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে।বিভূতিভূষণের লেখায় ধারণাটি এতটাই আধুনিক যে আমি যতবার পড়ি ততবারই অনুপ্রেরণা পাই। এই বইটি পুরোপুরি নায়ক এবং তার অর্জনের পিছনে সংগ্রামের উদ্যোক্তা চেতনার সারাংশকে ধারণ করে এক অসাধারণ উপন্যাসের সৃষ্টি হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
ভাল বই
Was this review helpful to you?
or
অসাধারন একটি উপন্যাস
Was this review helpful to you?
or
বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের লেখা পড়ব পড়ব করে আর পড়া হয় না। ছুটির দিনে শুরু করলাম তার অনবদ্য সৃষ্টি 'আদর্শ হিন্দু হোটেল।' এঁড়োশোলা গ্রামের একজন সাধারণ হিন্দু ব্রাহ্মণ হাজারী দেবশর্মা চক্রবর্তী নামক একজন রাধুঁনীর জীবনে একটা হোটেল প্রতিষ্ঠার শখ, স্বপ্ন এবং তার বাস্তবায়নই এই উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু। মাসিক সাত টাকা মাইনে ও খাওয়ার চুক্তিতে রাণাঘাট রেলবাজারে হাজারী চক্রবর্তী মনিব বেচু চক্কত্তির হোটেলে রাঁধুনীর কাজ করত। গ্রামে তাঁর পরিবারের তিন বেলা খাবারও জুটত না সবসময়। মনিবের হোটেলের রাঁধুনীর চাকরির সময় সকল অনিয়ম, অসততা এবং খদ্দেরদের সাথে প্রতারণা তাকে খুব পীড়া দিত। রাঁধুনীর কাজ করলেও শয়নে, স্বপনে সবসময় ভাবত নিজেই একদিন একটা হোটেল চালাবে, যে হোটেলে কোনো বাসি-পচা খাবার চলবে না, কোনো অনিয়ম চলবে না, গরীবদের বিনামূল্যে খাওয়াবে, খদ্দেরদের সাথে ভাল ব্যবহার করবে, নিজে মালিক হলেও মন-প্রাণ দিয়ে রান্না, বাজার-সদাইকরবে। হাজারীর হোটেল ব্যবসার যখন সুসময় চলমান অনেক সুযোগ আসে তার বিগত জীবনের সকল অপমানের, লজ্জার শোধ নেওয়ার কিন্ত হাজারী তাদের শুধু সবাইকে ক্ষমা করেই দেয়নি, যারা একদিন তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছিল, মিথ্যা চোরের অপবাদ দিয়ে চাকরীচ্যুত করেছিল, এমনকি তাকে একজন মানুষ হিসেবেও গণ্য করেনি, তাদের বিপদ ও দুর্দিনে তাঁরই হোটেলে তাদের চাকরি দিয়েও করুণা করেছে এবং সম্মানিতও করেছে। পদ্ম, রাজবংশী, মতি, অসতী, কুসুম, নরেন, আশালতা, হরিচরণ, যতিন এই উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র। সর্বোপরি একটা মানুষের স্বপ্ন কিভাবে পূরণ করা সম্ভব হয়, তার উজ্জ্বল স্বাক্ষর লেখক হাজারী চক্রবর্তী চরিত্রের মাধ্যমে চিত্রায়ন করে বাংলা সাহিত্যে এক অমূল্য সম্পদ রেখে গেছেন।
Was this review helpful to you?
or
রাণাঘাটের রেলবাজারে বেচু চক্বত্তির হোটেলে সাধারণ রসুইয়ে বামুন মানে রাধুনী হল হাজারি ঠাকুর। যাকে সবাই হাজারি বামুন বলেই চিনেন। বেচু চক্কত্তির এ হোটেলখানা রেল ষ্টেশনে কাছেই হওয়ায় দূর দূরান্তে লোকজন যাত্রাপথে এ হোটেলটায় আসেন। এখানকার বাজারটা আস পাশের সবচেয়ে বড় বাজার। আসপাশের সব লোক এখানে হাট করতে আসলে অনেকেই বিচু চক্কত্তির হোটেলটায় দুপুরের খাবার খান। এ হোটেলের রান্না যে একবার খেয়েছে সে এ রাণাঘাটের রেলবাজারে আসলো দ্বিতীয় কোন হোটেলের কাছে ঘেঁষে না! সব কৃতিত্ব এ হোটেলের বামুন হাজারি ঠাকুরের। তার হাতের রান্না যে খেয়েছে সেই রাণাঘাটের নাম শুনামাত্র হাজারি বামুনের রান্নায় ঘ্রাণ নাকে লাগতে বাধ্য। একবার মুব্বাই থেকে কিছু লোক বেড়াতে এসেছিলো রাণাঘাটে। তাহারা খোঁজ করতে করতে হাজারি বামুনের রান্না খেতে বেচু চক্কত্তির হোটেলে এসে উঠেছিলো! তারা নাকী সেই মুব্বাইয়ে হাজারি বামুনের রান্নার সুখ্যাতি শুনেছে। হাজারি ঘোষের রান্নার এতো স্বাদ সুদূর মুব্বাই পর্যন্ত পৌছে গেছে। কিন্তু হাজারি ভাল রান্না করলেও বেতনটা তার নায্যভাবে মালিক আদায় করেনা। উল্টো চুন থেকে পান খসলেই জরিমানার ব্যবস্থা করেন। হাজারির জন্য যে এত এত কাষ্টমার আছে হোটেলে তাহা মানতেই চাননা বেচু চক্বত্তি আর এখানকার পদ্ম-ঝি। হাজারিকে বিভিন্ন রকম ভাবে অপদস্ত করে পদ্ম-ঝি। এক রাতে হোটেলের থালা বাসন চুরি হয় দোষ গিয়ে পড়ে হাজারি ঘোষের উপর। এ লাঞ্চনা গঞ্চনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন হাজারি ঘোষ। স্বপ্ন দেখেন বিচু চক্বত্তির মত একদিন সেও নিজের হোটেল দিবে। হোটেলটার নাম দিবে "আদর্শ হিন্দু হোটেল"। হোটেল ব্যবসা কাকে বলে তাহা লোকজন কে দেখিয়ে দিবে আর মুক্তি পাবে পদ্ম-ঝি আর বেচু চক্কত্তির লাঞ্চনা গঞ্চনা থেকে। সহায় সম্পত্তি হীন হাজারি কে পারবে তার দুঃখ দূর্দশা ও স্বপ্ন পূরণ করতে? দিতে পারবে কি তাহার স্বপ্নের "আদর্শ হিন্দু হোটেল"? পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ বইটি পড়লে আপনার নাকে মাংস রান্নার ঘ্রাণ চলে আসবে। :-D হাজারি মাংস রান্নার ঘ্রাণ। মাঝে মাঝে মাংসের চেয়ে হাজারির নিরামিষ রান্নাটা খুব করে চাইবেন একটু হলেও খেতে। আর যদি খাওয়া দাওয়ার অনিচ্চুক হন তবেও আপনাকে পড়তে হবে কেননা বইটি পড়লে আপনি শিখতে পারবেন বেশ কিছু। শিখবেন উদ্যম ও অধ্যবসায়। শিখবেন হার না মানার মানসিকতা। শিখবেন প্রতিকূলতা মোকাবিলা করার দীক্ষা।
Was this review helpful to you?
or
আদর্শ হিন্দু হোটেল :"আদর্শ হিন্দু হোটেল", ১৯৪০ সালে তৎকালীন সময়ের পটভূমিতে রচিত বিভূতিভূষণের একটি বিখ্যাত উপন্যাস। এ উপন্যাস তৎকালীন ব্রাহ্মণ সমাজের একজন পয়তাল্লিশার্ধো "রাঁধুনি বামুণ" হাজারির জীবনকাহিনী! রাণাঘাটের রেল-বাজারে বেচু চক্কত্তির "আদর্শ হিন্দু হোটেল",বিখ্যাত হোটেল।বহুকাল ধরেই এই হোটেলে রাঁধুনি বামুণের কাজ করেন হাজারী ঠাকুর, তাঁর বাড়ি এঁড়োশোলা গ্রামে, যেখানে থাকেন তাঁর স্ত্রী, মেয়ে টেঁপি আর ছেলে খোকা।মাস অন্তে সাত টাকা আর দুইবেলা আহার পেতেন হোটেল থেকে। রাতে হোটেলেই ঘুমাতেন। এঁড়োশোলা থেকে কাজের সন্ধানে ঘুরতে ঘুরতে আসেন রাণাঘাট, এসে বেচু চক্কত্তির হোটেলে কাজ শুরু করছেন পাঁচ বছর ধরে। খুব বেশি না হলেও, বেচু চক্কত্তির "আদর্শ হিন্দু হোটেল", এখনকার এই আয়-উন্নতির পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল হাজারী ঠাকুরেরই।তখন তাঁর মত রান্নার বামুণ রাণাঘাটে আর কেউ ছিলনা। যারা একবার তার হাতের রান্না খেয়েছেন, তারা বারবার এসেছে্ন তার রান্না খাওয়ার জন্য। হোটেলের একজনই তাকে দেখতে পারতোনা, পদ্ম ঝি, হাজারী ঠাকুরের "পদ্মদিদি"। এই পদ্মঝি'র হোটেলের সর্বেসর্বা।এমনকি বেচু চক্কত্তিও তার কথার ওপরে কথা বলতে পারেননা, অথবা কোন কারণে বলেননা। এই বেচু চক্কত্তির কাছেই হাজারী ঠাকুর সম্পর্কে বহু মিথ্যাচার করে তাকে অপদস্থ করে, পদ্মঝি পদেপদে হাজারী ঠাকুরকে অপমান করেন রোজ, কিন্তু এসব নিয়ে হাজারী ঠাকুরের কোনো মাথাব্যাথা কিংবা অভিযোগ নেই, সব মিথ্যা অপবাদ সে মুখবুজে সহ্য করে নেন, পেটের তাগিদে।কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না, একদিন, পদ্মঝি'র ষড়যন্ত্রে মিথ্যা চুরির অপবাদে হাজারী ঠাকুরকে "আদর্শ হিন্দু হোটেল" এর চাকরী ছাড়তে হয়। কপর্দকহীন হয়ে রাস্তায় নেমে আসে হাজারী। হাজারী ঠাকুরের বড় ইচ্ছে ছিল সে একটা হোটেল খুলবে, চারশো টাকার মত হলেই সে হোটেল খুলতে পারে। কিন্তু, টাকা কে দেবে,কোথায় পাবে?? হোটেল নিয়ে অনেক বড় আশা, স্বপ্ন। নানা গ্রাম ঘুরে, নানা আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে অতসী, কুসুম, রতন ঠাকুর, মতি, বংশী ঠাকুর, যদু বাঁড়ুয্যে,নরেন এদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাহায্যে হাজারী হয়ে যান, এক আদর্শ, হয়ে ওঠেন কয়েকটি হোটেল এর মালিক,এমন কি তাঁর সেই পুরানো হোটেলটিকেও কিনে সেইখানে পদ্মদিদি আর বেচু কে বসান।উনার মহত্যে পদ্মঝিও নিজের ভুল বুঝতে পারেন, সততা আর ইচ্ছা মানুষ কে সফল করবেই।
Was this review helpful to you?
or
বিভুতিভুষন বন্দোপাধ্যায় এর “আদর্শ হিন্দু-হোটেল” উপন্যাসটি অসাধারন একটি উপন্যাস হিসেবে বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে আছে।উপন্যাসটির মুল কাহিনী হল,ছেচল্লিশ বছরের এক প্রৌঢ় হাজারি ঠাকুর, যিনি তার রন্ধন বিদ্যাকে নিয়ে গেছিলেন শিল্পের পর্যায়ে। সময়ের প্রয়োজনে জীবনের চাহিদায় রানাঘাটের স্টেশনের নিকটে বেচু চক্রবর্তীর হোটলে মাত্র সাত টাকা মাহিনায় চাকুরী নেয় হাজারী ঠাকুর। শুরু থেকেই হোটেলে চাকরাণী কিন্তু মালিকের বিশেষ পাত্র পদ্মা ঝি হাজারি ঠাকুরের উপর হাজারি ঠাকুরের উপর মিথ্যে রোষের প্রবাহে তার জীবনে শ্রীহীন করে তোলে। হাজারি ঠাকুরের রান্নার গুনেই বেচু চক্রবর্তীর হোটলে সমগ্র রাণাঘাটে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যে একবার হাজারি বামুনের রান্না খেয়েছে সে আর এই হোটেলে ফিরে না এসে পারেনি। আর হাজারি এই পেশাদার গুনটুকু পদ্মা ঝি কখনো মেনে নিতে পারেনি। বিষবাক্য তার মুখে সর্বদা হাজারির জন্য বরাদ্ধ থাকিত। হাজারি অপদস্থ করার কোন সুযোগ সে ছাড়ত না, এমনকি হোটেলে বাসন চুরি গেলে মালিককে প্রভাবিত করে তাকে জেলে পর্যন্ত পাঠাতে তার এতটুকু বিকেক দংশিত হয় না। কিন্তু হাজারি এমন একজন চরিত্র যে আধারের মাঝের মৃদু কিরণের রেখাকে সমগ্র অন্ধকারের নিকট তুচ্ছ করে দেখে। পদ্ম ঝিকে হাজারি কখনো ঘৃণা করেনি, তার প্রাপ্র সন্মান টুকু তাকে হাসিমুখে দিয়েছে আজীবন। আপাত দৃষ্টিতে পদ্মা ঝি এই উপন্যাসের খল চরিত্র হলেই তার কুট এবং ঈর্ষান্বিত ব্যবহার পরবর্তীতে হাজারির কর্ম জীবনের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব রেখেছিল। দীর্ঘসময় হোটেলে কাজ করার দরূন হাজারি একদিন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে তার নিজের একখানা হোটেল হবে যেখানে সে সততা, নিষ্ঠা আর রন্ধনগুনে তার গ্রাহকের আগলে রাখবে। তার স্ত্রী কন্যা টেপির আজীবন অভাব কিন্তু অভিযোগহীন মুখে হাসির ছোয়া বুলিয়ে দেবে । মেয়েকে তার সাথে কাজ করে বংশীর ভাগ্নের সাথে বিয়ে দিয়ে ওদের হাসিমুখ দুটো দেখবে। হোটেল খুললে বেচু চক্রবর্তীর হোটেলের মত অসৎ উপায় অবলম্বন করবে না কখনো। কোন গ্রাহক কে অভুক্ত অবস্থায় ফিরে যেতে দেবে না। তার অর্থ দেবার সামর্থ্য থকুক আর নাই থাকুক। স্বপ্নগুলোকে ছুতে দেখতে বড় সাধ হয় হাজারির । আর হোটেলের নাম দিবে “হাজারি চক্রবর্তীর আদর্শ হিন্দু হোটেল”। কিন্তু হাজারি তো গরীব বামন। হোটেল খোলার এতো অর্থ সে কোথা থেকে পাবে? রানাঘাটের তার এক ধর্মের মেয়ে হাজারিকে নিজের পিতার মত ভক্তি করে তার শেষ অবলম্বন দুই শো টাকা দিতে আগ্রহ করে হোটেল খোলার জন্য ? হাজারি কি গরীবের এই টাকা নিতে পারবে? নিলে বাকী টাকাও বা কোথা থেকে আসবে?জানতে পড়ে ফেলুন এই বইটি।এই উপন্যাসটি সততা থেকে সামর্থ্য আর সামর্থ্য থেকে সাফল্যের গল্প। মানুষ যখন তার সততা, কর্মনিষ্ঠা, অধ্যাবসায় এবং অবশ্যই স্বপ্নকে নিয়ে এগিয়ে চলে তখন তার বিশ্বাস বাস্তবে রূপ নিয়ে সব সাধনার স্বীক্ররতি দেয়। বয়স মানুষকে বৃদ্ধ করে না কর্ম বিমুখতা, অবিশ্বাস আর স্বপ্নের শূন্যতা যেদিন জীবনে ভর করে সেদিন মানুষের জীবনে প্রকৃত অর্থে বার্ধক্য আসে।বইটি পড়ে আমার অসাধারন লাগছে।আশাকরি যারা বইটি পড়বেন তাদের কাছে অবশ্যই ভাল লাগবে।