মীর রেজাউল হোসেন

কবি মীর রেজাউল হোসেন ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে সাতক্ষীরা জেলার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা : মরহুম মীর তোছমান আলী, মাতা : মরহুমা রিজিয়া খাতুন। স্ত্রী : সালমা খাতুন, মেয়ে : বুশরা বৈশাখী ও ছেলে মীর তানভীর রেজা তামিম। তিনি ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে গাবুরা জিএলএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক, ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে কালীগঞ্জ মহাবিদ্যালয় হতে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে মানবিক শাখায় স্নাতক পাস করেন। সুন্দরবন সংলগ্ন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ও লবণাক্ত ক্ষুদ্র দ্বীপসহ ঊপকূলবর্তী অঞ্চলসমূহে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও নদী ভাঙনের ফলে মানুষ সীমাহীন দুঃখ-দুর্দশার সাথে লড়াই করে কোনো রকমে টিকে থাকে। মানুষের এমন সংগ্রাম করে বেঁচে থাকা তাঁকে মানসিকভাবে শক্তিশালী ও আত্মবিশ্বাসী করেছে। খেটে-খাওয়া সাধারণ মানুষের সাথে ক্ষমতাসীনদের বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার, অনিয়ম ও নিপীড়ন কবি মীর রেজাউল হোসেনকে প্রতিবাদী করে তোলে। খুলনা বিএল কলেজে স্নাতকোত্তর করা কালে ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ালে পুলিশের নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। জিদ করে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে পুলিশ বাহিনীতে সাব-ইন্সপেক্টর পদে যোগদান করেন। বহুবিচিত্র পুলিশ পেশায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে ঢাকার গুলশান, মানিকগঞ্জ ও যশোরের কেশবপুরসহ একাধিক ইউনিটে দায়িত্ব পালনের মূল্যবান অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। বর্তমানে পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে পিবিআই, যশোরে কর্মরত আছেন কবি মীর রেজাউল হোসেন। কবিতাই তাঁর প্রতিবাদের ভাষা ও হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। কর্মকালে ঘটে যাওয়া ও দেখা বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির সমান্তরালে আত্মত্যাগ ও সহমর্মিতার খণ্ড খণ্ড চিত্র নিয়ে ‘অক্ষরে আঁকা জীবন’ কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এহেন প্রেক্ষাপটে ও জীবনের বিপুল অভিজ্ঞতার আলোকে কবি মীর রেজাউল হোসেন লিখিত গল্পগ্রন্থ ‘গল্প বলে মিথ্যে নয়’ প্রকাশের অপেক্ষায়...