শরীফা আক্তার বাঁশরী ১ জানুয়ারি ১৯৫৮ সালে সাবেক ঢাকা, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলাধীন সাদিপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত নয়াপুরের কাঁঠালিয়া পাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জš§গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মোঃ নেওয়াজ উদ্দিন প্রধান, মায়ের নাম আছিয়া খাতুন। তার একমাত্র ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মজিবুর রহমান এবং একমাত্র ভগ্নি ফিরোজা আক্তার। মায়ের কাছেই লেখাপড়ার হাতেখড়ি তার। নয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মদনপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, মদনপুর নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া কলেজ এবং সব শেষে নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে লেখাপড়ার ইতি টেনেছেন। মদনপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে এক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন এ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এবং কবি ও শিশুসাহিত্যিক বাতেন বাহার ও কবি মোঃ হাসান। শরীফা আক্তার বাঁশরী কবি ও শিশুসাহিত্যিক বাতেন বাহারের ছড়া-কবিতার ছন্দ ও ভাব-ভাষায় আকৃষ্ট হয়ে ছড়া-কবিতা লেখায় মন দেন। ১৯৭২ সালে দৈনিক আজাদ পত্রিকার মুকুলের মহফিলের ঈদ সংখ্যায় তার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। এরপর দৈনিক বাংলার বাণী, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক নয়া দিগন্ত, দৈনিক যায়যায়দিন, দৈনিক বর্তমান, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ, দৈনিক বাংলাদেশ বার্তা, সাপ্তাহিক ইত্তেহাদ, সোনার বাংলা, মাসিক ললনা, কিশোর ভুবন, কিশোর কণ্ঠ, মাসিক শিশু, মাসিক কাব্যকথা, মাসিক নবারুণ-সহ অসংখ্য লিটল ম্যাগ ও পত্রপত্রিকায় তার লেখা ছাপা হয়েছে ও হচ্ছে। তার ছড়া-কবিতার ভাষা অত্যন্ত সহজ-সরল অথচ হƒদয়গ্রাহী। তার শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ ‘হাসুক বাংলাদেশ’ গণমুখী ছড়াগ্রন্থ ‘দেশ নিয়ে’ এবং কিশোর কবিতাগ্রন্থ ‘ছবির মত দেশ’ একত্রে ‘ভিন রকমের বীণ একের ভেতর তিন’ প্রকাশ পাচ্ছে। বিটিভিসহ বহু সাহিত্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তিনি। তিনি পরিণত বয়সে দুই বাংলার নন্দিত ছড়াকার, কবি ও শিশুসাহিত্যিক, মা-মাটির অতন্দ্র প্রহরী, সুফি সাধক আলহাজ মোঃ আবদুল বাতেন বাহারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দুই পুত্র এবং দুই কন্যাসন্তানের জননী তিনি। জ্যেষ্ঠ পুত্র জাহিদ বাহার শিপলু এমবিএ, এলএলবি, নাহিদ বাহার পিপলু এমবিএ, জ্যেষ্ঠা কন্যা অ্যাডভোকেট সোহেলী সুলতানা জিপসী এমএ, এলএলবি, এলএলএম, কনিষ্ঠ কন্যা ইশরাত জাহান পপসি (ছাত্রী)। তিনি স্বামীর সঙ্গে একাধিকবার ওমরাহ ও হজব্রত পালন করেছেন। কথা ও কাজে সাবলীল এই কবি স্বামী, পুত্র-কন্যা, আত্মীয়স্বজন, নাতি-নাতনি ও গুণগ্রাহীদের নিয়ে সুখে সংসার ধর্ম পালনের পাশাপাশি নীরবে-নিভৃতে সাহিত্যচর্চা করে যাচ্ছেন। আমরা তার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করি। তার এ চমৎকার বইটি সকল শ্রেণির পাঠকের মনে দাগ কাটতে সমর্থ হবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি বইটির বহুল প্রচার কামনা করি।