'পবিত্র কোরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা আছে। এর মধ্যে ২৯টি সূরার শুরুতে এমন কতগুলো ভিন্ন ভিন্ন আরবী অক্ষর সংযোজন করা হয়েছে, যার মর্ম কেউ জানেন না। এর উত্তর জানতে চাইলে ইসলামী চিন্তাবিদগণের একেকজন একেক রকম জবাব দিয়ে অবশেষে বলেছেন- "ওয়াল্লাহু আ'লামু বিমুরাদিহি বিহী" অর্থাৎ একমাত্র আল্লাহ তা'আলাই এর মর্ম ভাল জানেন।
এ প্রসঙ্গে জনৈক ইসলামী চিন্তাবিদ একটি সুন্দর উপমা পেশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন-প্রত্যেক রাষ্ট্রে কিছু না কিছু গোপন তথ্য থাকে। এসব তথ্য সাধারণ্যে প্রকাশ করা হয় না। তথ্যগুলো শর্টহ্যান্ড বা কতগুলো আঁকাবাঁকা অক্ষরের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়। যারা শর্টহ্যান্ড জানে, এরূপ গুটি কতক লোক ছাড়া অন্য কেউ এর মর্মোদ্ধার করতে পারেন না। কোরআন মাজীদে ব্যবহৃত এই অক্ষরগুলোও সে রকম এক প্রকার গোপন সংকেত। আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ছাড়া সাধারণ মানুষের পক্ষে এর মর্মোদ্ধার করা সম্ভব নয়। আর যেহেতু রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনও কারও কাছে এর সঠিক তাৎপর্য প্রকাশ করেননি, তাই এর মর্মকথা জানতে চাওয়াও আমাদের পক্ষে শোভনীয় নয়।
বর্তমান কালের সর্বশ্রেষ্ঠ আবিষ্কার হলো ইন্টারনেট। সঠিক হিসাব নির্ণয়ে ইন্টারনেটের জুড়ি নেই। পূর্ণ কোরআন মাজীদ কম্পিউটারাইজড করার ফলে শুধু ভিন্ন ভিন্ন অক্ষরগুলোর তাৎপর্যই নয়, বরং আরও অনেক নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। ভবিষ্যতে ইন্টারনেট আরও অনেক তথ্য উপহার দিবে যার ফলে আরো সহজ ভাবে প্রমাণিত হবে যে কোরআন মহান আল্লাহ তা'আলার বাণী ও সর্বশ্রেষ্ঠ মোজেজা ও সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত।
রহস্যময় সংখ্যা ১৯-এর ভিত্তিতে মহাগ্রন্থ আল কোরআন সর্বশ্রেষ্ঠ মোজেজা এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত' এই বইটি আশা করি প্রতিটি বিচক্ষণ মানুষের উপকারে আসবে।