"প্রজাপতির বাসা" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: রাতে ঘরের ছাদে কিছু পাখি হাঁটাহাঁটি করে। শিশিরের শব্দের মতন। টুপটাপ। টুপটাপ। রাইসুলের একথা বিশ্বাস করে না জিনাতা আরা। নাখালপাড়ার সাহারা ভাবীও। কিন্তু রাইসুল বিশ্বাস করে, কিছু মানুষ তো পাখি হতেই জন্মায় এবং পাখি হয়ে যায় একদিন। প্রথমে একটা পাখি হাঁটতো। তারপর দুটো। তারপর তিনটে...। এখন আঠারোটা। রাইসুল আসলে কে? কোন তার কাছে বেরেটা অটোমেটিক? কেন সে নিশ্চিত, কাল রাত থেকে উনিশটা পাখি হাঁটবে তার ছাদে? কম্পিউটার কম্পোজিটর আলী ফরিদের দিন শুরু হয় মহল্লার মসজিদের মাইকে শোক সংবাদ শুনে। তারপর সারা দিন শুধুই শোক সংবাদ। কাজ শেষে বাসার দরজায় ফিরে মহল্লার মাইকে শোনে নিজের মৃত্যুর শোক সংবাদ। ...আলী ফরিদ ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন। ডিপ ফ্রিজারে বোর্ডবক্সে শামায়লার মাথা রেখে গেল নিকোলাস। ওদিকে উজানের মেসেজ-নিকোলাস সুইসাইড করেছে। শামায়লা খুব কাঁদছে। মানে কী এর? ফ্রিজারে মাথাটা আসলে মুনিয়ার। বডি পার্ট বাই পার্ট কবর দেয়া হয়েছে। দু’বছর ধরে শুধু মাথাটাই তেকে গেছে। পুলিশ আসছে। ততক্ষণ অপেক্ষা? রহস্যের ভেতরে রহস্য দিয়ে এরকম টানটান কাহিনি লেখেন ধ্রুব এষ। এ বইয়ের প্রতিটি রহস্যকাহিনি যেন পাঠকের জন্য এক অভিনব অভিজ্ঞতা। চারপাশের চেনা চরিত্র আর বিষয়ের রহস্যময় উপস্থাপনা পাঠককে চমকিত করে। শুরুর ভাবনা বদলে বদলে যায়। বাস্তব ও পরাবাস্তবের চমৎকার মিশেলে এক আলো-আঁধারির খেলা। তল পেয়েও যেন পাওয়া যায় না। পাওয়া যায় অতলে কোনো এক রহস্যময় ইশারার হাতছানি। আশরাফুল আলম পিন্টু
জন্ম ৭ জানুয়ারি ১৯৬৭, উকিলপাড়া, সুনামগঞ্জ, মা : লীলা এষ, বাবা : ভূপতি রঞ্জন এষ। সার্বক্ষণিক প্রচ্ছদশিল্পী। পাশাপাশি লিখেন। মূলত ছোটদের জন্য লিখলেও লিখতে পছন্দ করেন রহস্য কাহিনি। বড়দের। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত চল্লিশের অধিক বই প্রকাশিত হয়েছে।