"নবিজির দোয়া মোনাজাত জিকির ও ওজিফা সর্ববৃহৎ দোয়ার ভাণ্ডার" বইটির ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ চিন্তার জগতে লেখকের বসবাস। শব্দের ঝংকারে ফুটে ওঠে শব্দসৈনিকের চিরন্তন বিশ্বাসের আলােকবর্তিকা। সাজ্জাদ শরিফ এমনই একজন লেখক। তার লেখার প্রতিটি শব্দে ঝরে ঝরে পড়ে তার চিন্তা-চেতনা এবং আদর্শিক বােধ ও বিশ্বাসের ফল্গুধারা। আদর্শিক লড়াইয়ে নিজের চিন্তা ও বিশ্বাসের দীপ্তরেখা থেকে একবিন্দু পরিমাণ নড়তে নারাজ সে। অন্যলেখকদের থেকে তার ফারাকটা এখানেই। গতানুগতিক ধারায় সববিষয়েই লিখতে হবে এটাতে বিশ্বাস নেই তার। একারণে প্রায় সময় দেখা যায়, তার সতীর্থ সারথীরা কোনাে বিষয়ে সরব হলেও সে থাকে একেবারে নির্বিকার। সাজ্জাদ শরিফের লেখা বুঝতে হলে উপরের কথাগুলাে মাথায় রাখতে হবে প্রত্যেক সচেতন পাঠককে। বয়সে নবীন হলেও চিন্তার এই উৎকর্ষের কারণেই তার লেখা কিংবা বইয়ের সংখ্যা তুলনামূলক কম। সে মনােযােগী পাঠক এবং অনুসন্ধানী লেখক। এজন্যই বােধ করি, হুটহাট করে কোনাে বিষয়ে তাকে দিয়ে লেখানাে যায় না। তবে যা লেখে তা আলাদা বৈশিষ্ট্যের দাবি রাখে। বিদ্যমান বইটি তার প্রমাণ। বইটি না পড়লে বিশ্বাস করতেই কষ্ট হতাে যে, এতাে সহজ ও সাধারণ বিষয় এমন সুন্দর করে পরিবেশন করা যায় পাঠকের সামনে। উপস্থাপনশৈলীর বাঙময়তায় উৎরে গেছে অসাধারণ দক্ষতায়। বিশেষ করে প্রতিটি অধ্যায়ের শুরুতে ভিন্ন মাত্রার ভূমিকা এই প্রথম দেখলাম। পড়ে মুগ্ধ হলাম! দৈনন্দিন জীবনের আমল ও। প্রাত্যহিক দোয়ার বই এমন সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায় তা নতুন করে উপলব্ধি হলাে। দোয়ার লাভ, কবুলের সময় ও জায়গা, যাদের দোয়া কবুল হয়, কখন এবং কীভাবে দোয়া কবুল হয়-প্রতিটি বিষয়ই দলিলভিত্তিক আলােচিত হয়েছে এ বইয়ে। বইটির অনন্য বৈশিষ্ট্যের অন্যতম দিক হলাে প্রতিটি দোয়া ও অধ্যায়ে নির্ভরযােগ্য সূত্র উল্লেখ রয়েছে। যেসব জ্ঞানপাপী ‘দলিল-প্রমাণের অজুহাতে দৈনন্দিন জীবনে মাসনুন আমলগুলাে থেকে মানুষকে বিরত রাখার জন্য প্রলুব্ধ হয়; তাদের বিপক্ষে প্রামাণিক এ বইটি উৎসাহ যােগাবে বলিষ্ঠভাবে। প্রতিদিনের আমল, সকাল-সন্ধ্যার জিকির, সারাদিনের কাজ-কর্ম, বিয়ে-শাদি, খাবার-দাবার, আদর-আপ্যায়ন, বছর, মাস ও সপ্তাহের বিশেষ আমলসহ সবকিছুই রয়েছে বইটিতে। প্রতিটি মুসলমানের ঘরে রেখে আমল করার মতাে একটি বই।
Title
নবিজির দোয়া মোনাজাত জিকির ও ওজিফা - সর্ববৃহৎ দোয়ার ভাণ্ডার
মাওলানা আশেক এলাহী বুলন্দশহরী (রহ.) ছিলেন উপমহাদেশের অন্যতম শ্রদ্ধাভাজন আলেম, প্রখ্যাত মুফাসসির, হাদীস ও ফিকহ বিশারদ এবং একজন সুফি লেখক। তাঁর জন্ম ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বুলন্দশহর জেলায়। বুলন্দশহর থেকেই তাঁর নামের শেষে "বুলন্দশহরী" যুক্ত হয়েছে। তিনি বিখ্যাত দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে পাকিস্তানের করাচি শহরে হিজরত করেন। সেখানে তিনি দীর্ঘদিন জামিয়া উলুম ইসলামিয়া, বানুরি টাউন-এ শিক্ষকতা করেন এবং বহু ছাত্রকে আলোকিত করেন। মাওলানা আশেক এলাহী (রহ.) তাঁর সুগভীর জ্ঞান, প্রাঞ্জল ভাষা ও সহজবোধ্য উপস্থাপনায় ইসলামী জ্ঞানভাণ্ডারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি মূলত হাদীস, তাফসীর, ফিকহ ও আত্মশুদ্ধিমূলক বিষয়ের ওপর বিশুদ্ধ আকীদাভিত্তিক বহু মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেছেন।