ভূমিকা কর্মব্যস্ত দিন শেষে সমবয়সী বন্ধুরা নিজেদের মধ্যে একটু আনন্দানুভূতি আদান-প্রদান করব, এই প্রয়াসে হুট করেই ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলেছিলাম একদিন...কিছু সমমনা বন্ধুকে নিয়ে। ভাবগাম্ভীর্যের সীমা ছাড়িয়ে, গুরুগম্ভীর আচরণ এড়িয়ে চেয়েছিলাম শুধু হাহা-হিহিতেই মেতে থাকব পােস্টের কথায়, গানে আর মজায়! গ্রুপটার বিবরণীতে স্পষ্টতই উল্লেখ করেছি কোনাে রকম আর্থিক আর জটিল আলাপ এখানে নিষিদ্ধ। নিখাদ হাসি-তামাশা আর আনন্দের একটা প্ল্যাটফর্ম, যার নাম ‘ফান অব ফ্রেন্ডস'। বন্ধুদের বিনােদনমূলক বিচরণ ক্ষেত্র আমাদের এই গ্রুপ। সদস্যসংখ্যা ১০০০-এর কাছাকাছি বর্তমানে। শুরু থেকে আমি আর ইরফান আহমেদ অপু দুজনে মিলে প্রতিটি মুহূর্তে চেষ্টা করে যাচ্ছি কীভাবে সবাইকে মানসম্মত আনন্দ দিয়ে হাসিতে মাতিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা যায়! সেই উদ্যোগ থেকেই হঠাৎ ইরফানের দেয়া আইডিয়া নিজের আয়নায়' শিরােনামে গ্রুপে ইভেন্ট দিই আমরা। ভাবতেও পারিনি এত এত সাড়া আসবে। শেষ পর্যন্ত পােস্টের জন্য বেঁধে দেওয়া সময়সীমা বাড়াতেও হয়েছিল আমাদের। নিজের আয়নায় নিজের জীবনটাকে কীভাবে দেখছে সেটাই বন্ধুদের কাছে শেয়ার করার এই ইভেন্টটা আমাদের দুজনের সাহস বাড়িয়ে দিল! বন্ধু মােহাম্মদ এনামুল হকের পরামর্শে আবেগাপ্লুত হয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, প্রতিটি গল্প ছাপার অক্ষরে নিয়ে এসে আমরা একটা বইয়ে সংরক্ষণ করব, যার ফলাফল আজ সবার হাতে। এ বইটিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে একটি ধনসম্পদসমৃদ্ধ রত্নভাণ্ডার হিসেবে আখ্যায়িত করতে চাই। একেকটি গল্প যেন একেকটি ভালােবাসা! খুব সহজ ছিল না এই ভালােবাসার গল্পগুলাে এভাবে বই আকারে সবার হাতে তুলে দেওয়ার পেছনের গল্পটা! তবুও আমরা পেরেছি—এটাই আমাদের গ্রুপের সফলতা। বন্ধু মিজানুর রহমান এবং আদেল ইসমাইলকে ধন্যবাদ, তাদের মূল্যবান মানসিক সহযােগিতার জন্য। ‘ফান অব ফ্রেন্ডস' নামক এই গ্রুপটার প্রথম লিখিত আবেগের ক্রোড়পত্র হচ্ছে এই বই, ‘নিজের আয়নায়। বইটি ছাপাতে যারা আমাদের সাহস এবং সহযােগিতা করেছে তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার এবং ইরফান আহমেদ অপুর পাশাপাশি তারা প্রত্যেকে এ বইটি প্রকাশনার সফলতায় সমান অংশীদার। সাথে রয়েছে প্রতিটি গল্পের লেখক, যাদের লেখাগুলাে মূলত এ বইটির প্রাণ! আরাে একটি কথা, যেটি না বললেই নয়! সেটি হলাে, বইটির প্রচ্ছদ। গ্রুপ সদস্যদের নিজের হাতে আঁকা অনেকগুলাে ছবি থেকে সর্বশেষ এই ছবিটি সবার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে স্থান পায়। তাই বইটির প্রচ্ছদশিল্পীকেও গ্রুপের পক্ষ থেকে বিশেষ ধন্যবাদ। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আর ভালােবাসা জানাচ্ছি। আশা করব পাঠকের মনে নিজের আয়নায় নিজের জীবনের এই গল্পগুলাে আবেগের এক অন্য রকম অনুভূতি তৈরি করবে!
সাহিত্যদেশ একটি অগ্রগামী ও মননশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান, যার যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালে। গুণগত মান, নির্ভুলতা এবং গবেষণাভিত্তিক উপস্থাপনাই এই প্রতিষ্ঠানের মৌলিক বৈশিষ্ট্য। জ্ঞান ও সৃজনশীলতার অঙ্গনে নিরীক্ষাধর্মী, দায়বদ্ধ এবং সুসম্পাদিত গ্রন্থ উপহার দেওয়ার প্রত্যয়ে সাহিত্যদেশ আজ পাঠকমহলে একটি নির্ভরযোগ্য নাম। এ যাবৎকাল মুক্তিযুদ্ধ, ধর্ম, ইতিহাস, গবেষণা, প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ভ্রমণ, ছড়া ও রম্য রচনাসহ বিভিন্ন ধারায় এগারো শতাধিক গ্রন্থ প্রকাশ করেছে সাহিত্যদেশ। সাংবাদিক, গবেষক, আইনজীবী, সমাজকর্মীসহ নানা পেশার পাঠকের জন্য সহায়ক রেফারেন্স সংগ্রহ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রকাশনার পাশাপাশি সাহিত্যদেশ বিভিন্ন গ্রন্থ সম্পাদনা এবং পাঠপ্রস্তুতির তত্ত্বাবধানও করে থাকে, যা লেখক ও গবেষকদের জন্য এটি একটি পেশাদার সহায়ক প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত করেছে। প্রকাশক পরিচিতি: প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ১৯৮২ সালের ১ জুন নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার এনায়েতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাপ্তাহিক খবরের অন্তরালে এবং অনলাইন পোর্টাল আইএনবি (InDepth News of Bangladesh)-এর সহসম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া গণমাধ্যমভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ম্যাসলাইন মিডিয়া সেন্টার (MMC)-এর সঙ্গেও দীর্ঘসময় যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি সাহিত্য পত্রিকা জমিন এবং অনলাইন পোর্টাল গল্পগ্রাফি-এর সম্পাদনায় নিয়োজিত আছেন। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে— শিরোনাম লেখা হয়নি (কাব্যগ্রন্থ, ২০১০) বাংলাদেশের কবি ও কবিতা (সম্পাদিত সংকলন, ২০১২)—যাতে স্থান পেয়েছে ৫৩৬ জন কবির সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও ছবি ফিরে দেখা ফেনী আমার সাংবাদিকতা (প্রতিবেদন সংকলন, ২০২২) সৃজনশীলতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার সম্মিলন ঘটিয়ে সাহিত্যদেশ একটি মানবিক ও পাঠকবান্ধব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় গড়ে তুলেছে।