"ভণ্ড" বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া বিশিষ্ট কবি ও কথা-সাহিত্যিক জসীম উদ্দীন মুহম্মদ সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছুই নেই। ‘বােদ্ধা কবি’ হিসাবে তিনি সমধিক পরিচিত হলেও তিনি একজন অত্যন্ত বড় মাপের লেখক। যাঁর লেখা কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ নিয়মিত জাতীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ‘ভণ্ড’ উপন্যাসের নায়ক অচল একজন রহস্য যুবক। বিশেষ পরিস্থিতিতে মুখে যা বলেন, বাস্তবেও তাই হয়ে যায়! বইটি পড়তে পড়তে আমি যেন ভিন্ন এক জগতে প্রবেশ করেছিলাম। বলা চলে ভণ্ডতে বুদ হয়েছিলাম। উপন্যাসের নায়ক মহামতি অচল নিজেকে দাবি করেন ২৫ পার্সেন্ট মানুষ আর অবশিষ্ট ৭৫ পার্সেন্ট পশু। তিনি মানুষ হতে চান। ১০০ পার্সেন্ট মানুষ। কিন্তু কেন এবং কীভাবে মানুষ হবেন? সুগভীর জীবন দর্শনের এইসব প্রশ্নের জবাব লেখক দিয়েছেন অত্যন্ত প্রাঞ্জল এবং সাহসী উচ্চারণে। আমরা কেউ কেউ মানুষ আর কেউ কেউ জানােয়ার! পশু প্রবৃত্তিকে খুন করে মানুষ হওয়ার এই মিশন দিয়েই সৃষ্টিকর্তা সকল মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। সাকসেসফুল হলে আলাের উপর আলাে আর না হলে অন্ধকারের উপর অন্ধকার। রিকশাওয়ালাকে ভাই বলার অপরাধে নায়ক অচলের ২য় প্রেমিকা কামের দেবী আফ্রোদিতি খ্যাত শিখা যেমন তাকে চিরদিনের মতাে ছেড়ে যায়; তেমনি তাকে ছেড়ে যায় আজন্মের প্রেমিকা নীলাদ্রি, ৩য় প্রেমিকা সুবর্ণা এবং নাবালিকা প্রেমিকা আঁচল। এদের কারাে সাথেই অচল অন্যায়ভাবে আপােষরফা করেননি। নিজের চরিত্র এবং ব্যক্তিত্ব একবিন্দু বেহাত হতে দেননি। এভাবেই অচল প্রতিনিয়ত মানুষ হওয়ার রেটিং পয়েন্ট বাড়িয়ে নিয়েছেন। তাঁর কল্পিত ১০০ পার্সেন্ট মানুষ হওয়ার দৌড়ে পরীক্ষার পর পরীক্ষা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত অচল কি ১০০ পার্সেন্ট মানুষ হতে পেরেছিলেন? সুপ্রিয় পাঠিক, উপন্যাসটি কালজয়ী হবেই-এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। ‘ভণ্ড’ পড়ুন, নিজেও অচলের মতাে নান্দনিক ভণ্ড হউন! জালাল উদ্দিন মুহম্মদ কবি ও কথাসাহিত্যিক
কবিতা এবং কথাসাহিত্যে নিজস্ব ধারা সৃষ্টির সার্থক রূপকার জসিম উদ্দীন মুহম্মদ বর্তমান বাংলা সাহিত্যে একটি বিশিষ্ট নাম। তিনি সুদীর্ঘদিন যাবৎ জাতীয় পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন ছড়া, কবিতা, শিশুতোষ গল্প, অণুগল্প, ছোটগল্প, প্রবন্ধ এবং কলাম। বোদ্ধা কবি হিসাবে সমধিক পরিচিত এই কবির জন্ম তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দ। তিনি স্বনামধন্য জাতীয় আরশি সাহিত্য পরিষদের সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান অ্যাডমিন। তার সম্পাদিত ম্যাগাজিন : আরশি। তার প্রকাশিত একক গ্রন্থ ৭টি। যথাক্রমে-‘খুঁজে চলেছি যারে’ (কাব্য), ‘ভালোবাসার নির্বাচিত কবিতা’ (কাব্য), ‘শেষপত্র’ (পত্রকাব্য), ‘ডাম্বুলার প্রেম’ (গল্পগ্রন্থ), ‘ভণ্ড’ (উপন্যাস), ‘প্রথম মৃত্যু দ্বিতীয় জন্ম’ (গল্পগ্রন্থ) ‘ঘরজামাই’ (গল্পগ্রন্থ)।
তার সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা ১১টি। যথাক্রমে-‘কবিতা উল্লেখ্য’ (কাব্য), ‘আরশি যৌথকাব্য সংকলন-১’, ‘আরশি যৌথকাব্য সংকলন-২’, ‘আরশি যৌথকাব্য সংকলন-৩’, ‘নগ্নপদ ছায়া’ (কাব্য), ‘সুরমা রঙের মেয়ে’ (গল্পগ্রন্থ), ‘অপরুপা’ (কাব্য), ‘জলের মায়া’(কাব্য), ‘ছেঁড়ামেঘের রূপকথা’(কাব্য), ‘আলোর নদী জলের শহর’(কাব্য), ‘দাগ রেখে যায়’(কাব্য)।