বইয়ের নাম “রাজশ্রী তোমার জন্য” নচিকেতার জনপ্রিয় গান রাজশ্রী তোমার জন্য থেকে নেওয়া হয়েছে। অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকবে, গানের লাইনের সঙ্গে মিল রেখে কেন বইয়ের নাম দেওয়া হলো। এবার তাদের প্রশ্নের উত্তরটা আমিই দিয়ে দিচ্ছি -- গানটা যখন আমি শুনি, তখন আমার মস্তিষ্কে ঘুরঘুর শুরু করে রাজশ্রী চরিত্রটা। দিনরাত আমি এই চরিত্রটাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করলাম। রাজশ্রী চরিত্রটাকে নিয়েই যত আয়োজন। এরপর একদিন সিদ্ধান্ত নিলাম রাজশ্রীকে নিয়েই আমি লিখব। শুরু করলাম রাজশ্রীকে নিয়ে এক নতুন যাত্রা। বেশ অনেকটা সময় নিয়ে সাজালাম রাজশ্রীর জীবনচক্রকে। যেখানে একটা মেয়েকে খুব অল্প বয়সেই বাড়ির সবার সিদ্ধান্তে বিয়ে নামক বন্ধনে জড়াতে হয়। নানারকম ভয়, ভীতি, দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিয়ে নতুন জীবনে প্রবেশ করতে হয় তাকে। এক পর্যায়ে মানুষটার সঙ্গ তার ভালো লাগতে শুরু করে। কিন্তু সেই ভালো লাগাটা বেশিদূর গড়াতে পারল না। প্রবাহমান জীবনে চলে আসে এক বিরাট পরিবর্তন। জীবনচক্রে অবিশ্বাস, ধোঁকা, কষ্ট, কিছুটা পাওয়ার বাকিটা না পাওয়ার যন্ত্রণা নিয়ে কোনো একজনকে পাড়ি দিতে হয় অজানা জীবনের উদ্দেশ্যে। সেখান থেকেই জীবনের মোড় ঘুরতে শুরু করে৷ উপন্যাসটিতে এতটুকুই বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে, সত্যিকারের ভালোবাসা থাকলে হাজারো ঝড় আসুক, খড়া লাগুক, তুফানে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যাক তবুও দুটো মন মিলবেই। তবুও তারা ভালোবাসবেই। তবুও তারা এক হবেই। খুব সাধারণ একটা জীবনচক্র নিয়ে বইটি সাজিয়েছি। আশা করব পাঠকমহল আনন্দের সাথে এই বই গ্রহণ করবেন। (ভূমিকা)
“আফরোজা আক্তার"-জন্ম ৭ই ফেব্রুয়ারি। পৈতৃক নিবাস চাঁদপুর জেলায় হলেও তাঁর শৈশব কাটে একেক জায়গায়। বাবার চাকরিসূত্রে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় থাকতে হয়েছে তাঁকে। তারপর একটা সময় নিজ শহরে ফিরে আসেন আর পড়াশোনায় সমাপ্তি ঘটান চাঁদপুর সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে। লেখালেখির হাতেখড়ি রোজনামচা থেকে শুরু হলেও একটা সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখিতে প্রবেশ করেন এবং সেখান থেকেই লেখক হিসেবে তাঁর একটু-আধটু পরিচিতি। তাঁর ভাষ্যমতে, লেখক হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে তাঁকে আরও দীর্ঘ পথ হাঁটতে হবে। লেখক শব্দটা অনেক সম্মান বহন করে। সেই সম্মানটা অর্জন করা এত সহজ নয়। ভবিষ্যতে তিনি লেখালেখি নিয়ে এগিয়ে যেতে চান। "ঝরে যাওয়া বেলিফুল”-নবকথন প্রকাশনী থেকে তাঁর লেখা দ্বিতীয় বই আর ব্যক্তিগত ঝুলিতে সপ্তম বই।