"https://www.youtube.com/embed/8FhpfC6jE48" title="Book Review of " শুভ্রছায়া ", written by Fahim Mahmud" সারাংশ: জন্মদিনে প্রেমিকের সাথে সাক্ষাৎ করতে এসে গুলি খেয়ে মারা গেল প্রেমিকা। অবাক করা বিষয় হলো, খুনি তার প্রেমিক নয়, বরং অন্য কেউ। তবে কে সে? কেন করা হলো খুন? তাছাড়া মেয়েটা তো কিছুক্ষণ আগে প্রেমিকের সাথে রাগ করে ফিরে যাচ্ছিল। তবে আবার ফিরেই-বা এলো কেন? স্থানীয় এক কবরস্থান থেকে বেশকিছুদিন ধরেই লাশ গায়েব হচ্ছে। বিশেষত যুবতী মেয়েদের লাশ। এই লাশগুলো নিয়ে যাওয়ার রহস্য কী? কে করছে এই কাজ? কাজগুলো কি একজনের? নাকি জড়িত আছে একাধিক লোক? গত দুই যুগ আগে খুন হওয়া তিনজন লোকের কেসের সাথে এখন নতুন করে কীসের সংযোগ তৈরি হচ্ছে? এর নেপথ্যে কী রয়েছে? কেনই-বা এতগুলো বছর পর সেই পুরোনো কেস সামনে এলো? সমাজের ক্ষমতাবান বাবার একমাত্র ছেলে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ করেও পার পেয়ে যায়। কে সেই ছেলে? আদতেই কি সে পার পেয়ে যাবে? নাকি সেও কোনো নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী হবে? একজন মধ্যবয়সী পুরুষ, যে কি না নিজের লুপসা সংবারণের জন্য নিজেরই মা-বোনকে শিকার করতেও দ্বিধাবোধ করে না। সেই লোক নেশাগ্রস্তের মতোই একের পর এক ধর্ষণ মামলায় জড়িত। অবশেষে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে জেলখানার ভেতরেই সে মারা যায়। তার মৃত্যুটা কি আদতে স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি খুন? খুন হলে জেলখানার ভেতরে পুলিশদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কে এসেই-বা খুন করে যাবে? জেলখানায় মৃত অপরাধীর কেসের সাথে গত পাঁচ বছর আগে খুন হয়ে যাওয়া প্রেমিকার খুনের সাথে যোগসূত্র কী? কীসের ভিত্তিতে এমনটা সন্দেহ করতে হচ্ছে? কেউ কি আছে যে এর পেছনে বসে দাবার চাল দিচ্ছে? দেশের বিখ্যাত কোম্পানির এমডির মেয়ের সাথে সামান্য এক কর্মীর মৃত্যুর সংযোগ কী? দুটোই কি আত্মহত্যা? নাকি দুটোই পরিকল্পিত হত্যা? যদি পরিকল্পিত হত্যা হয়, তবে খুনগুলো কে করেছে? তাছাড়া কোম্পানির কর্মীর মৃত্যুর সাথে জুয়েলারি দোকানের কর্মীর সাথে কী সম্পর্ক? কোম্পানির কর্মীর মৃত্যুর সাথে চার বছর আগে খুন হওয়া এক দম্পতির সাথে যোগসূত্র কী? এতসব অমীমাংসিত কেসের সুরহা কি ঘটবে? সমস্ত রহস্যগুলো কি উন্মোচন হবে? নাকি অন্ধকারের গ্রাসে এই রহস্যগুলোও হারিয়ে যাবে? প্রিয় পাঠক, এরকম অসংখ্য রহস্য এবং রোমাঞ্চকর টুইস্ট নিয়ে সাজানো ‘শুভ্রছায়া’ গল্পটি নিঃসন্দেহে আপনাকে প্রতি মুহূর্তে দমবন্ধ করা নতুন এক অনুভূতির জগতে নিয়ে যাবে। আপনি কি চান না, এমন দমবন্ধ করা একটা থ্রিলারের সহযাত্রী হতে। কি প্রস্তুত তো?
ফাহিম মাহমুদ। শিকড় মাদারীপুরে হলেও জন্ম গাজীপুরে,শতাব্দীর শুরুলগ্নে। ইট-পাথরের শহরে বেড়ে উঠলেও প্রকৃতির সঙ্গে রয়েছে তার এক নিগূঢ় বন্ধুত্ব। তাই অবসর পেলেই গ্রামবাংলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে যান নানাবাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি সাধারণ স্কুলে। কিন্তু শৈশবেই তিনি মাদরাসায় প্রবেশ করেন/মাদরাসার আঙ্গিনায় পা রাখেন। ধারাবাহিক অধ্যবসায়ের মাধ্যমে ২০২৪ সালে গাজীপুরের খ্যাতনামা বিদ্যাপীঠ জামিয়া রশিদিয়া আরাবিয়া থেকে দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি আরবী সাহিত্য নিয়ে উচ্চতর শিক্ষা অর্জনে নিয়োজিত রয়েছেন।
সাহিত্যচর্চার প্রতি তার অনুরাগ শৈশবকাল থেকেই। শব্দ, অনুভূতি ও কল্পনার মিশেলে তিনি জীবনের অর্থ খুঁজে ফিরেন। উপন্যাস তার কাছে কেবল গল্প নয়—বরং মানুষের অন্তর্জগৎ, স্বপ্ন ও বেদনাকে নতুন করে বলার এক শিল্প। এই প্রথম গ্রন্থেই পাঠক খুঁজে পাবেন তার সৃষ্টিশীল দৃষ্টিভঙ্গি ও ভিন্ন ধরনের কাহিনি বলার শিল্প।