দি সিনার (The Final Diagnosis) আার্থার হেইলী (Arthur Hailey)–এর লেখা একটি বিখ্যাত উপন্যাস। এটি 1959 সালে প্রকাশিত হয় এবং চিকিৎসা জগতের নৈতিকতা, আধুনিকায়ন ও মানবিক মূল্যবোধকে কেন্দ্র করে রচিত। নিচে বইটির একটি সংক্ষিপ্ত সারমর্ম দেওয়া হলো:
📖 দি সিনার – সারমর্ম (সংক্ষেপে)
প্রেক্ষাপট:
এই উপন্যাসের পটভূমি একটি বড় আমেরিকান হাসপাতাল, যেখানে পুরনো পদ্ধতির ডাক্তার এবং নতুন প্রজন্মের উদ্ভাবনী চিকিৎসকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। মূলত প্যাথলজি (রোগ নির্ণয়ের শাখা) বিভাগকে কেন্দ্র করে কাহিনির বিস্তার।
মূল চরিত্র:
ড. জোনাস (Dr. Joseph Pearson):
একজন প্রবীণ প্যাথোলজিস্ট, যিনি বহু বছর ধরে হাসপাতালের জন্য কাজ করছেন। তিনি অতীতের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভরশীল এবং নতুন প্রযুক্তির প্রতি সন্দিহান।
ড. ডেভিড কোয়েন (Dr. David Coleman):
তরুণ, মেধাবী, আধুনিক চিন্তাধারার চিকিৎসক। তিনি প্রযুক্তি এবং আধুনিক মান বজায় রেখে চিকিৎসা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে চান।
মূল দ্বন্দ্ব:
ড. জোনাস তার গাফিলতির কারণে একটি রোগ ভুল নির্ণয় করেন, যার ফলে এক গর্ভবতী নারীর সন্তান জন্মের আগেই মারা যায়। এটি হাসপাতালের জন্য বড় একটি ধাক্কা হয়ে দাঁড়ায়। এই ঘটনার পর ড. কোয়েন ও প্রশাসন ড. জোনাসের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং অবসরের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়।
মূল বার্তা ও থিম:
চিকিৎসা ক্ষেত্রে দক্ষতা ও আধুনিকতার গুরুত্ব
পুরনো বনাম নতুন প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গির সংঘর্ষ
পেশাগত দায়িত্ববোধ, মানবিকতা, ও নৈতিকতার টানাপোড়েন
শেষপর্যন্ত:
ড. জোনাস সম্মানের সাথে অবসরে যান, কিন্তু তার আত্মমর্যাদা আহত হয়। ড. কোয়েন দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং আধুনিক পদ্ধতির প্রবর্তন শুরু করেন, কিন্তু সেও বুঝতে পারে যে অভিজ্ঞতা এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিও চিকিৎসার এক অপরিহার্য অংশ।
✅ উপন্যাসটির শিক্ষা:
“দি সিনার” আমাদের শেখায় যে, উন্নতি ও আধুনিকতার পথে হাঁটার সময় পুরনোদের সম্মান এবং অভিজ্ঞতার মূল্য দেওয়া জরুরি। পাশাপাশি, পেশাগত দায়িত্বে ভুল হলে তার দায় এড়ানোও অনৈতিক।