"বাংলাদেশে ফোকলোর চর্চার গতিপ্রকৃতি (প্রাচীন ও মধ্যযুগ)" বইটি বাংলাদেশের লোকসাহিত্য তথা ফোকলোরের বিকাশ, চর্চা ও সংরক্ষণের ধারাবাহিক ইতিহাস তুলে ধরে। নিচে বইটির একটি সংক্ষিপ্ত সামারি দেওয়া হলো:
📘 বইয়ের নাম:
বাংলাদেশে ফোকলোর চর্চার গতিপ্রকৃতি (প্রাচীন ও মধ্যযুগ)
✍️ মূল বিষয়বস্তু:
এই বইটিতে বাংলাদেশের প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় সমাজে ফোকলোর তথা লোকসাহিত্যের কীভাবে জন্ম, বিকাশ ও চর্চা হয়েছে, তার একটি বিশ্লেষণাত্মক আলোচনায় পাওয়া যায়। বইটি মূলত তিনটি দিককে ঘিরে রচিত:
🏛️ প্রাচীন যুগ:
এই অংশে সমাজের মৌখিক সাহিত্য, কাহিনিনির্ভর সংস্কৃতি ও আচার-অনুষ্ঠানের ভিত্তিতে লোকসাহিত্যের গোড়াপত্তন আলোচনা করা হয়।
আর্য-অনার্য সংস্কৃতির মিলনে যেসব উপকথা, রীতি, ও লোকবিশ্বাস তৈরি হয়েছিল, সেগুলোর উদাহরণ উঠে আসে।
পাল যুগ ও সেন যুগের সাহিত্য ও ধর্মীয় সংস্কৃতি লোকচর্চাকে কীভাবে প্রভাবিত করেছে, তা বর্ণিত।
🏰 মধ্যযুগ:
মধ্যযুগে ফোকলোরের সঙ্গে ধর্মীয় ভাবধারা বিশেষভাবে জড়িত ছিল। যেমন: বৈষ্ণব, সুফি ও বাউল ভাবধারা।
চৈতন্য দেব, লালন, হাছন রাজা প্রমুখদের গান ও দর্শনে লোকসাহিত্যের দার্শনিক রূপ প্রকাশ পায়।
এই সময়ে মৌখিক গল্প, লোককবিতা, পালা গান, ও কিস্সা-কাহিনির বিকাশ ঘটে।
📚 গবেষণামূলক আলোচনা:
বইটিতে প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ফোকলোর সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ঐতিহাসিক প্রচেষ্টার বিশ্লেষণ রয়েছে।
লোকচর্চা কীভাবে সামাজিক চিন্তা, ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে গড়ে উঠেছে—তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
এতে ইতিহাস, নৃবিজ্ঞান ও সাহিত্যতত্ত্বের আলোকে ফোকলোর বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
📌 উপসংহার:
এই বইটি মূলত বাংলাদেশের লোকজ ঐতিহ্য ও সমাজ-সংস্কৃতির এক দীর্ঘ ও ধারাবাহিক ইতিহাসকে তুলে ধরে। এটি যারা লোকসাহিত্য, সংস্কৃতি এবং ঐতিহাসিক ফোকলোর গবেষণায় আগ্রহী, তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্য।
Title
বাংলাদেশে ফোকলোর চর্চার গতিপ্রকৃতি (প্রাচীন ও মধ্যযুগ)