মো. আবদুল মতিন, জন্ম ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলাধীন উচাখিলা নামক গ্রামের এক কৃষক পরিবারে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক সম্পন্ন করেছেন গ্রামের স্কুলেই। অতঃপর ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী আনন্দমোহন কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাৎস্য বিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে। পেশায় ছিলেন ব্যাংকার। ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে সোনালী ব্যাংক পিএলসি হতে অবসর গ্রহণ করেন।
প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোনোর পরপরই পাঠ্যবইয়ের বাইরের সাহিত্য জগতে পদচারণা শুরু হয়েছিল। জীবনে নানাবিধ চড়াই-উৎরাই-এর সাথে লড়তে হয়েছে, তথাপি সাহিত্যজগতে পদচারণা হতে বিচ্যুত হননি। সে পদচারণার ধারাবাহিকতায় আজকে তার কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ।
একজন ব্যাংকারের কঠিন, নিরস ও চ্যালেঞ্জিং পেশায় নিয়োজিত থাকার পরও সাহিত্যসাধনা সমুন্নত রেখেছেন নিজের সাহিত্য রসের তাড়না থেকেই।
কবিতা ছাড়াও লেখেন গল্প, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনি ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে। ইতোমধ্যে ‘ক্রোধ’ এবং ‘দীক্ষা’ শিরোনামে তাঁর দুটি কবিতার বই, ‘মন মাঝে মনকথন’ শিরোনামে একটি প্রবন্ধের বই এবং ‘বাদশাহর মেয়ে জুলেখার গল্প’ শিরোনামে একটি গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছে। ‘ক্রোধ’ শিরোনামের কবিতার বইটি প্রকাশিত হয়েছে অনুপ্রাণন প্রকাশন হতে।
পেশাগত কারণেই সমাজের সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের সাথে মেলামেশার সুযোগ হয়েছে তার। সে সূত্রে সুযোগ হয়েছে প্রত্যাশার সাথে অপ্রাপ্তিকে ঘিরে প্রতিটি মানুষের মনে জমা হওয়া দুঃখ-বেদনা ও মানসিক দ্বন্দ্বের রূপ-প্রকৃতিকে জানার। আগে প্রকাশিত দুটি কাব্যগ্রন্থের ন্যায় আলোচ্য ‘একুশ’ গ্রন্থের কবিতাগুলিতেও মূলত প্রতিটি মানুষের মনে বিরাজমান এসব দুঃখ-বেদনা ও প্রত্যাশা-প্রাপ্তির সংঘাতকেই তুলে ধরা হয়েছে। বাদ যায়নি গ্রাম বাঙলার অপরূপ প্রকৃতির চিত্রায়ণসহ সামাজিক ও রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার বিষয়াবলি।
ব্যক্তিজীবনে তিনি দুই কন্যাসন্তানের জনক।