শেখ মামুন একজন উদীয়মান কবি, ঔপন্যাসিক ও কলাম লেখক, যিনি সাহিত্যের মাধ্যমে সমাজের সৌন্দর্য, মানবপ্রেম ও অন্যায়ের প্রতিবাদের কথা বলে আসছেন। ২০০২ সালের ৫ই এপ্রিল পাবনা জেলার সদর উপজেলার সাদুল্লাপুর গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন নিজ গ্রামেই ২০১২ সালে, এরপর মাধ্যমিক পাশ করেন সাদুল্লাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে (২০১৮) এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করেন পাবনা কলেজ থেকে (২০২০)। ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যের প্রতি তাঁর ঝোঁক ছিল প্রবল। ২০১৫ সাল থেকে তিনি সক্রিয়ভাবে লেখালেখিতে আত্মনিয়োগ করেন। বাংলার রূপবৈচিত্র্য, মানবিকতা ও সামাজিক সত্য অন্বেষণ তাঁর লেখার মূল উপজীব্য। শব্দচয়নে ভাঙাচোরা অথচ আবেগঘন রচনায় তিনি তুলে ধরেছেন সমাজের নানা অসংগতি, নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধ সৎ প্রতিবাদ। শুধু লেখায় নয়, স্ব-শরীরে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনেও অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। তিনি বিশ্বাস করেন—“লিখবো মানুষের কল্যাণে আর তাই সকল অন্যায়-জুলুমে করে যাবো প্রতিবাদ।” এই বিশ্বাস থেকে তিনি নির্মাণ করেছেন কবিতা, গল্প ও উপন্যাসের এক স্বতন্ত্র জগত। তাঁর একক গ্রন্থসমূহ: নিষিদ্ধ পল্লীর বাসিন্দা (উপন্যাস, ২০২১) শান্তি নগর (উপন্যাস, ২০২২) ওরা কেন বন্দী (কাব্যগ্রন্থ, ২০২৩) আঠারোর পর চব্বিশ (কাব্যগ্রন্থ, ২০২৫) যৌথ গ্রন্থসমূহ: বিস্ফোরিত অক্ষর বিরহের অন্তদাহ অভিযাত্রী অগ্নিপথের বিজয়ী যোদ্ধা তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন সাহিত্যপত্রিকা ও ম্যাগাজিনে, যেমন— মানভূম, এই যুগ, বিনির্মাণ, অবেলার ডাক, মনন, কলমকার, মিহির ইত্যাদি। জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক, অনলাইন পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন কবিতা, গল্প ও সমাজ সচেতনতামূলক কলাম। তাঁর কিছু আলোচিত কলামের মধ্যে রয়েছে— সেক্স ও লিঙ্গ বৈষম্যের আজব দুনিয়া, তারা কী অপরাধী নয়, স্বপ্নের বাংলাদেশ ইত্যাদি। তিনি মনে করেন, ধর্মে বিভেদ থাকলেও মানুষের মধ্যে মানবিকতা সর্বোচ্চ পরিচয়। তাঁর ভাষায়: "ধর্মে বিভেদ হইলেও সমাজ জন্ম হইতে মৃত্যু মানুষ আজ।" শেখ মামুন একজন সাহসী ও সমাজসচেতন লেখক, যিনি সাহিত্যকে দেখেন পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে।