বাড়ি থেকে শ্মশান হানাবাড়ি থেকে নির্জন প্রান্তর বর্ষা থেকে শীত কঙ্কাল থেকে সূক্ষ্ম দেহে তেনাদের উপস্থিতি সর্বত্র। ভৌতিক কাহিনীর সম্রাট হেমেন্দ্রকুমার রায়ের সমস্ত ভৌতিক ও অলৌকিক কাহিনী এবার দু মলাটে জনপ্রিয় থেকে দুষ্প্রাপ্য সবরকম কাহিনীর ডালি রয়েছে এই সমগ্রে। সমূদ্র বসু, জন্ম- ১৯৮৩, কলকাতায়। শৈশব কেটেছে কলকাতার ইন্টালি এলাকায়। পাঠভবন স্কুল থেকে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত হওয়ার পর ইনফরমেশন টেকনোলজি' নিয়ে "মেঘনাদ সাহা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে কারিগরী শিক্ষা স্নাতক। বর্তমান একটি বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। কর্মসূত্রে দীর্ঘকাল ইংল্যান্ডে থাকতে হয়েছে। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি সহ বেশ কিছু পাশ্চাত্যের দেশে ভ্রমণ ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের ইঞ্জিনিয়ার হওয়া সত্ত্বেও বাংলা শিশু কিশোর সাহিত্যের একজন প্রতিষ্ঠিত সংগ্রাহক, গবেষক, নিবন্ধকার এবং সম্পাদক তিনি। ছোটদের বইপড়ার নেশা ছোট থেকেই। সেই নেশা ধীরে ধীরে পরিণত হয়েছে সংগ্রহে। বাংলা শিশু কিশোর সাহিত্যের আর্কাইভিংয়ের কাজে বিশেষ ভূমিকা নিচ্ছেন এই তরুণ গবেষক। শুকতারা, কিশোর ভারতী, চির সবুজ লেখা সহ বেশ কিছু প্রথম শ্রেণীর শিশু কিশোর সাহিত্য পত্রিকায় গবেষণামূলক নিবন্ধ লিখে চলেছেন। আনন্দ পাবলিশার্স, দেখ সাহিত্য কুটীর, দীপ প্রকাশন, দেজ পাবলিশিং, পাত্র ভারতী, সাহিত্যিম, শপিজেন বাংলা, কচিপাতা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে অলিখিত ও সম্পাদিত বই। কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের একুশে সম্মান' পুরস্কার সহ একাধিক সাহিত্য সম্মান পেয়েছেন।
জন্ম ১৮৮৮, কলকাতা। সাহিত্যচর্চার শুরু মাত্র ১৪ বছর বয়সে। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। খেয়ালি জীবন, ঘুরে বেড়িয়েছেন সাহিত্য সংস্কৃতির নানান স্রোতে। ‘ভারতী’ গােষ্ঠীর সাহিত্যিক হিসেবেই প্রথম পরিচয়। ‘বসুধা’ পত্রিকায় প্রথম গল্প প্রকাশিত হয়। বহু গান লিখেছেন, নাচ শেখাতেন, নাটকও লিখেছেন। সম্পাদনা করেছেন নাটক বিষয়ক সাময়িকপত্র ‘নাচঘর’। পরবর্তী সময়ে সম্পাদক ছিলেন ছােটদের বিখ্যাত পত্রিকা রংমশাল-এরও। কিশাের সাহিত্যের এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। লিখেছেন অজস্র বই। বয়স্ক পাঠকদের জন্য কাব্য-অনুবাদে ‘ওমর খৈয়ামের রুবায়ত’ বা ছােটদের জন্য ‘যকের ধন, ‘দেড়শাে খােকার কাণ্ড’, ‘ঝড়ের যাত্রী’, ‘কিং কং’ সমান আদৃত। বিখ্যাত প্রবন্ধের বই ‘বাংলা রঙ্গালয় ও শিশিরকুমার। জীবনাবসান ১৮ এপ্রিল ১৯৬৩।