Close
  • Look inside image 1
  • Look inside image 2
  • Look inside image 3
  • Look inside image 4
  • Look inside image 5
  • Look inside image 6
  • Look inside image 7
  • Look inside image 8
  • Look inside image 9
  • Look inside image 10
  • Look inside image 11
  • Look inside image 12
  • Look inside image 13
  • Look inside image 14
  • Look inside image 15
  • Look inside image 16
  • Look inside image 17
  • Look inside image 18
আধুনিক বাংলা ভাষায় আরবি ও ফারসি শব্দমালার ব্যবহার image

আধুনিক বাংলা ভাষায় আরবি ও ফারসি শব্দমালার ব্যবহার (হার্ডকভার)

মুহম্মদ আবদুর রসুল

TK. 600 Total: TK. 450
You Saved TK. 150

down-arrow

25

আধুনিক বাংলা ভাষায় আরবি ও ফারসি শব্দমালার ব্যবহার

আধুনিক বাংলা ভাষায় আরবি ও ফারসি শব্দমালার ব্যবহার (হার্ডকভার)

জুলাই জাগরণ ২৫ image

এই ই-বুক গুলোও দেখতে পারেন

বইটই

বইটির বিস্তারিত দেখুন

বাংলা ভাষায় আরবি ও ফারসির সংখ্যা কত? -এমন প্রশ্নের নিখুঁত কোনো জবাব নেই। আরবি ও ফারসি শব্দমালা বলতে বাংলা ভাষায় মুসলমানদের মাধ্যমে আগত আরবি, ফারসি, তুর্কি, উর্দু ও হিন্দি শব্দমালা মুসলমানদের মাধ্যমে আগমন ঘটেনি। সুতরাং শব্দটি নথিভুক্ত করা বাঞ্ছনীয় শব্দমালাকে বুঝায়। বলা হয়ে থাকে বাংলা ভাষায় এ ধরনের শব্দ-সংখ্যা আট হাজারেরও অধিক। বাংলা পিডিয়ার প্রধান সম্পাদক ড. সিরাজুল ইসলাম পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর নিবন্ধে বলেছেন যে, এ সংখ্যা ১০ হাজারের মতো।
এই সংখ্যা আট হাজারই হোক বা ১০ হাজারই হোক— মুসলমানদের মাধ্যমে আগত একটি বিশাল সংখ্যার শব্দসম্ভার বাংলা ভাষার সঙ্গে মিশে গিয়ে বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে। এ শব্দগুলো বাংলা ভাষার স্থায়ী সম্পদে পরিণত হয়ে গেছে। আর এ শব্দগুলো বাংলাভাষী হিন্দু ও মুসলমান সবাই তাদের লেখায় প্রায় সমানভাবেই ব্যবহার করে থাকে। বাংলা ভাষার সাধারণ অভিধানগুলোয় আরবি- ফারসি শব্দমালার অন্তর্ভুক্তি মোট আরবি-ফারসি শব্দের এক-চতুর্থাংশের মতো হয়ে থাকে। এদেশ প্রায় নব্বই শতাংশ মুসলমানের দেশ। কাজেই বাংলা ভাষায় আরবি-ফারসি শব্দমালার ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টিতে বর্তমান বইটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
কথা বলায় বা লেখায় শব্দচয়ন সব সময়ই শ্রোতা বা পাঠকের প্রতি শ্রদ্ধা বা দরদবোধ রেখেই করতে হয়। একজন মুসলমানের নামের আগে ‘জনাব’-এর বদলে 'শ্রী' লিখলে সেই ব্যক্তি খুশি হবেন না। যদিও অর্থের দিক থেকে ‘শ্রী’ কোনো খারাপ শব্দ নয়। কিন্তু প্রচলিত রেওয়াজকে শ্রদ্ধা করতে হয়। তেমনি কোনো মুসলমানের ‘লাশ’-কে ‘মরদেহ' বলা অনুচিত। কোনো মুসলমান মারা গেলে তাঁর লাশকে গোসল করিয়ে, কাফন পরিয়ে; আতর-খুশবু মাখিয়ে, জানাজার নামাজ আদায় করে অনেক তাজিমের সঙ্গে কবরে শুইয়ে দেওয়া হয়। এখানে ‘মরদেহের সৎকার করা হয়েছে' বলা অশোভন।
মৃত মুসলমানের বেলায় তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। কিন্তু তাঁর বিদেহী আত্মার সদগতি কামনা শোভন নয়। একজন মুসলমানের লাশ দাফন-কাফনের পর মিলাদ, কুলখানি, জেয়াফত ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হয়। এখানে ‘চণ্ডিপাঠ', 'শ্রাদ্ধ', ‘কাঙালভোজ' ইত্যাদি শব্দের ব্যবহার অশালীনতার পরিচয় বহন করবে। খাসীর গোশত আর পাঁঠার মাংস- এ দুটোর দুরকম আমেজ। মুসলমানদের বাড়িতে ‘খেশ’, ‘মেহমান' আসে, কিন্তু নরেন বাবুর বাড়িতে ‘কুটুম্ব’ আসে। এভাবে বাংলা ভাষায় মুসলমানদের মাধ্যমে আগত শব্দমালার শালীন ব্যবহার ও সচেতনতা সৃষ্টিতে বর্তমান বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
বাংলা ভাষাকে এক সময় ব্রাহ্মণ পণ্ডিতরা ইতরজনের ভাষা বলে ঘৃণা করত। সে-সময় বাংলা ভাষার শব্দসম্ভারও খুবই সীমিত ছিল। বিভিন্ন সময়ে নৌপথে ও স্থলপথে এ-দেশে অনেক আরব বণিক ও মুসলমান অলি, দরবেশ তথা ধর্মপ্রচারকের আগমন ঘটে। এসব অলি, দরবেশ ও ধর্মপ্রচারকগণ এ-দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে মিশে যেতেন। ফলে তাঁদের ভাষার দৈনন্দিন ব্যবহার্য অনেক শব্দ বাংলা ভাষায় মিশে যায়। এটি ঘটে মুসলমানদের এ-দেশ বিজয়ের অনেক আগেই। তারপর ত্রয়োদশ শতকের শুরুতে বখতিয়ার খিলজির বাংলা বিজয়ের পর এ-দেশ যখন মুসলমানদের শাসনাধীনে আসে তখন স্বাভাবিক নিয়মে ও প্রয়োজনে অনেক আরবি, ফারসি, তুর্কি ইত্যাদি ভাষার শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করে।
পরবর্তী সময়ে মুসলমান সুলতানদের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা ভাষায় সাহিত্য চর্চার সত্যিকার বুনিয়াদ প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বভাবতই সেই সময়ের রচিত বাংলা সাহিত্যে প্রচুর আরবি, ফারসি, তুর্কি ভাষার শব্দ ব্যবহৃত হয়। মুসলমানদের মাধ্যমে বাংলা ভাষায় আগত সে-সব শব্দমালা দৈনন্দিন কথা বার্তায় ও সাহিত্যকর্মে ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলা ভাষার নিজস্ব সম্পদে পরিণত হয়ে যায়। এ-দেশের হিন্দু, মুসলমান সকলেই এ-সব শব্দমালা প্রায় সমানভাবেই ব্যবহার করে থাকে ।
আরবি ও ফারসি-এ দুটো ভাষাই জীবিত ও সমৃদ্ধশালী ভাষা। কোনো জীবিত ভাষা থেকে অন্য কোনো জীবিত ভাষায় শব্দ গ্রহণ করলে গ্রহীতা ভাষার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়। তাই আরবি ও ফারসি ভাষা থেকে স্বাভাবিক নিয়মে শব্দ প্রবেশ করার ফলে বাংলা ভাষার শব্দসম্ভার সমৃদ্ধ হয়েছে। পণ্ডিতদের মতে আরবি, ফারসি, তুর্কি ইত্যাদি ভাষা থেকে প্রায় আট হাজার শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছিল। এমন বিশাল সংখ্যার শব্দসম্ভারের কিছু কিছু শব্দের ব্যবহার বর্তমানে কমে এলেও এখনও প্রায় ছয় হাজারের অধিক শব্দ বাংলাভাষী মানুষের দৈনন্দিন কথাবার্তায় ও সাহিত্যচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
Title আধুনিক বাংলা ভাষায় আরবি ও ফারসি শব্দমালার ব্যবহার
Author
Publisher
ISBN 9789848471739
Edition Edition, 2022
Number of Pages 408
Country বাংলাদেশ
Language বাংলা

Sponsored Products Related To This Item

Reviews and Ratings

sort icon

Product Q/A

Have a question regarding the product? Ask Us

Show more Question(s)

Customers Also Bought

loading

Similar Category Best Selling Books

prize book-reading point
Superstore
Up To 65% Off

Recently Viewed

cash

Cash on delivery

Pay cash at your doorstep

service

Delivery

All over Bangladesh

return

Happy return

7 days return facility

0 Item(s)

Subtotal:

Customers Also Bought

Are you sure to remove this from bookshelf?

Write a Review

আধুনিক বাংলা ভাষায় আরবি ও ফারসি শব্দমালার ব্যবহার

মুহম্মদ আবদুর রসুল

৳ 450 ৳600.0

Please rate this product