এসো আল্লাহকে জানি
অন্ধকার রাতে আকাশের দিকে তাকালে বেশ মুগ্ধ হতে হয়, যেন তারকারাজির এক মেলা বসেছে। বিস্মিত চোখে আমরা চেয়ে থাকি। এখন বলো তো, এই আকাশ, এই জমিন কে সৃষ্টি করেছে? আল্লাহ। আমরা সবাই জানি। কিন্তু তোমার কি জানতে ইচ্ছা হয়, তুমি আল্লাহকে দেখতে পাও না কেন? আল্লাহ এত বড়ো মহাবিশ্ব কীভাবে সৃষ্টি করলেন? কীভাবেই- বা তিনি আমাদের সৃষ্টি করলেন? কীভাবে তিনি এত কিছু একসাথে করেন? আমরা মরে যাওয়ার পর আবার জীবিত হব। কিন্তু কীভাবে হব?
জানতে ইচ্ছা হয় নিশ্চয়। তাহলে আর দেরি কেন? চলো, জেনে নিই ঝটপট।
প্রিয়নবির পরিচয় এবং ফেরেশতা কারা
জিবরাইল আলাইহিস সালাম আমাদের প্রিয় নবিজির কাছে ওহি নিয়ে আসতেন। মৃত্যুর ফেরেশতা আমাদের জান কবজ করেন, এসব তো জানোই তাই না? কিন্তু কখনো কি ভেবেছ, ফেরেশতা আসলে কারা? কী তাঁদের কাজ? কোথায় থাকেন তাঁরা? আমরা তাঁদের দেখতে পাই না কেন? তাঁরা কি খাওয়া- দাওয়া করে?এসবই জানব এই বইয়ে।
এই বইয়ে আরও জানব- আমাদের প্রিয়নবি মুহাম্মাদ ( সা.) কেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ! কোন গুণাবলির কারণে পৃথিবীর শত কোটি মানুষ আজও নবিজিকে ভালোবাসে নিজের জীবনের থেকেও বেশি? কেন তাঁর জন্য মানুষ প্রাণ বিলিয়ে দেয় হাসিমুখে!
চলো তাহলে, জেনে নেওয়া যাক অবাক করা সেই সব তথ্য!
কুরআন কী বলে
পৃথিবীতে কত লক্ষ কোটি বই লিখিত হয়েছে, তার কোন হিসাব নেই। এসবের কতশত যে সময়ের স্রোতে হারিয়ে গেছে, মুছে গেছে শেষ চিহৃও তার কোনো ইয়ত্তা নেই।
এত সব বইয়ের মাঝে কিছু বই দুনিয়ায় এসেছে সাত আসমানের ওপর থেকে । এর মধ্যে সর্বশেষ এবং চূড়ান্ত গ্রন্থ হলো আল কুরআন। এই মহাগ্রন্থ রচনা করেছেন এই বিশ্বজগতের স্রষ্টা, অকল্পনীয় জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অধিকারী আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা।
কিন্তু কী আছে এই গ্রন্থে? কীভাবে এলো এই গ্রন্থ? কার কাছে এলো ? এই গ্রান্থের ভাষা আরবি কেন? অন্য ভাষায় হলে কী হতো? স্রষ্টা এই গ্রন্থ সেই ১৫০০ বছর আগে পাঠিয়েছেন, কিন্তু কীভাবে প্রমাণ হলো যে এটি স্রষ্টাই পাঠিয়েছেন? এই গ্রন্থ পড়লে কী হয়?
জানতে ইচ্ছে করে কি তোমরা? চলো তাহলে, যাত্রা শুরু করি জ্ঞানের রাজ্যে……
পরকাল ও ভাগ্য কী
মৃত্যু ও ভাগ্য- জীবনের চরম দুই সত্য। কিন্তু যখনই আমরা এই বিষয় দুটো নিয়ে চিন্তা করি, কোনো কূল খুঁজে পাই না। কপালে ভাঁজ পড়ে যায়। মনে ভিড় করে কতশত প্রশ্ন-
মৃত্যুর পর আমাদের কী হবে? হাশরের দিন কেমন? আমরা কীভাবে আবার জীবন লাভ করব? আমাদের ভাগ্য কি আগেই লিখিত? সবই যদি ভাগ্যের লিখন হয়, তাহলে দুনিয়াতে আমরা কেন এসেছি? কেনই -বা কাজ করি তাহলে? ফলাফল তো আগে থেকেই নির্ধারিত! আল্লাহ কেন কাউকে গরিব, কাউকে ধনী বানিয়েছেন?
আলহামদুলিল্লাহ! মানুষের সমস্ত প্রশ্নেরই যথাযথ উত্তর আল্লাহ তায়ালা দিয়ে রেখেছেন। আমাদের কর্তব্য হলো- সেই উত্তরগুলোকে খুঁজে বের করা। যদি সত্যিই জানতে চাও এসব প্রশ্নের উত্তর, তবে চলো ঢুঁ মেরে আসি বইয়ের পাতায়!