পাইথন এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় কম্পিউটার গ্রাহ্য ভাষা। পাইথন প্রোগ্রামিং-এর অ্যাপ্লিকেশন এখন সর্বত্র। সাধারণ হিসাবনিকাশ, বিজ্ঞান গবেষণা, স্টক মার্কেট ও বিগ সায়েন্সের বিশাল পরিমাণ ডাটা সামলানো, অ্যাপ তৈরি, ম্যাপ তৈরি, গেম ডিজাইন করা, নেটওয়ার্কিং, অটোমেশন সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে মেশিন লার্নিং তথা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইত্যাদি সমস্ত জায়গাতেই পাইথন-এর ব্যবহার বর্তমানে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। বারোটা পর্বে পাইথন কম্পিউটিং বিষয়ে অত্যন্ত সহজ করে লেখা হয়েছে এই বইয়ে। একেবারে শুরু থেকে উদাহরণ সহযোগে ধাপে ধাপে শেখানো হয়েছে । বইটা পড়তে পড়তে পাইথন প্রোগ্রামিং-এর নিয়মকানুন বা সিনট্যাক্স শিখে সেগুলো নিজেরাই বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োগ করতে পারবেন। পাশাপাশি পাইথন ডাটা স্ট্রাকচার বা তথ্য কাঠামো শিখে নিয়ে তথ্য বা ডাটা কীকরে আয়ত্তে এনে বিশ্লেষণ করা যাবে তা জানতে পারবেন। পাইথনে মডিউল বা লাইব্রেরির কোনো অভাব নেই। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু পাইথন মডিউল নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে এই বইতে। বিভিন্ন ডাইমেনশনের পাইথন অ্যারে, গ্রাফপ্লটিং, ছবি আঁকা বা স্কেচ করা, বাইরে থেকে বিশাল ডাটা ফাইল পড়ে তাই দিয়ে কাজ করা, গ্রাফিক্স-এর মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য অ্যাপ বানানো ইত্যাদি নানা কিছু শিখে ফেলা যাবে এই বই পড়ে।
লেখক অভিজিৎ কর গুপ্ত পদার্থবিদ্যার গবেষক ও শিক্ষক। দীর্ঘ বাইশ বছর ধরে তিনি 'পাঁশকুড়া বনমালী কলেজ'-এর পদার্থবিদ্যা বিভাগে অধ্যাপনা করছেন। এর আগে কলকাতার 'সাহা ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্স' থেকে পি. এইচ. ডি. করে কয়েক বছর গবেষণা-উত্তর কাজ করেন চেন্নাই-এর 'ইন্সটিটিউট অব ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্স' ও ব্যাঙ্গালুরুর 'রমন রিসার্চ ইন্সটিটিউট'-এ। লেখকের বিষয় 'পরিসংখ্যান পদার্থবিদ্যা' ও 'পদার্থবিদ্যায় কম্পিউটার এর প্রয়োগ'। বিগত কয়েক বছর তিনি পাইথন কম্পিউটিং পড়াচ্ছেন স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর পর্যায়ে এছাড়া পাইথন কম্পিউটিং নিয়ে কোর্স করিয়েছেন দিল্লি 'অশোক বিশ্ববিদ্যালয়'-এ। পাইথন কম্পিউটিং-এর নানা বিষয় এবং তার অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে তিনি কলকাতার 'ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টক্যাল ইন্সটিউট'-এ ছাড়াও অজস্র সেমিনার ও ওয়ার্কশপ করেছেন বাংলায় ও বাইরের নানা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই লেখকের লেখা অন্য বই Scientific Computing in Python (Pub: Techno World, Kolkata) পদার্থবিদ্যা ও অন্যান্য বিষয়ের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকদের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত।