শাড়ি পরে এসো ‘হাবিবুর রহমান বাবুর প্রথম কবিতার বই। নামটা শুনেই বুকের পাঁজরে ঝড় বয়ে যায়। কবি তার প্রেয়সীকে অনুনয় করে বলছে, শাড়ি পরে এসো। এই সহজ বাক্যের ভেতর বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি অবিনাশী আকর্ষণ স্পষ্ট। বিশেষ দিবস ঈদ, পূজো পালা-পার্বণে বাঙালি নারীর অনিবার্য পরিধেয় শাড়ি। আধুনিকতা ও পরদেশি সংস্কৃতির তাণ্ডবে শাড়ির নিত্য ব্যবহার কমে গেলেও শাড়ি একেবারে হারিয়ে যায়নি। লাল বেনারশী শাড়ি পরা বাঙালি বধুতো আমাদের চিরায়ত সংস্কৃতিরই অনির্বাণ অনুসঙ্গ।
বাবুর ‘শাড়ি পরে এসো’ কবিতার বইয়ের কবিতাগুলো সুখপাঠ্য। সহজ সরল ভাষায় বাবু তার ভাবনা তুলে ধরেছে। আধুনিক কবিতার জটিল ও দুর্বোধ্য উপমা তার কবিতায় নেই। সমাজ সচেতন ও জীবনবোধের সহজ ও সচেতন উচ্চারণ তার কবিতা ও ছড়ার মূল প্রবণতা। বিষয়ের দিক থেকেও বহুমাত্রিক বিষয় তার কবিতায় ধরা দিয়েছে। শিল্প ও সাহিত্য সাধনার মূল বিষয় হচ্ছে-জীবনকে সহজ সরলভাবে দেখা। এ তরুণ কবির লেখায় সেটি আছে। মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাঙালি সংস্কৃতি, বঙ্গবন্ধু, সাম্যের সমাজ এসব তার অন্তরে প্রোথিত। বারবার এসব বিষয় তার কবিতায় হাজির হয়েছে।
রোমান্টিকতা, প্রেম, ভালোবাসা, বিরহ, মৃত্যুচিন্তা, চিরায়ত ও ধ্রুপদী বিষয়গুলো এ কবিকে আকুল করে। সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে বাবুর কবিতা হচ্ছে, আমাদের সমাজ ও সময়ের কাব্যচিত্র। বাংলা কবিতার বিশাল ভুবনে হাবিবুর রহমান বাবুকে স্বাগত জানাই। সাহিত্যদেশ প্রকাশনীর শফিক সাইফুল তরুণ কবির লেখা প্রকাশের উদ্যোগ নেয়ায় তাকে অভিনন্দন জানাই। সত্য সুন্দর কল্যাণ ও কবিতার জয় হোক।
প্রত্যয় জসীম কবি, কথাশিল্পী ও প্রাবন্ধিক সভাপতি : বাংলাদেশ রাইটার্স ফাউন্ডেশন
জন্ম ১৯৮৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। পিতা মো. মিনাজ মিয়া, ব্যবসায়ী। মাতা খাইরুননেছা, গৃহিণী। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি মেজো। বাবা-মা ভাই-বোন নিয়ে জন্মস্থান রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বসবাস করেন। পৈত্রিক বাড়ি কুমিল্লার হোমনা উপজেলায়। পেশায় সাংবাদিক। ভালোবাসেন সংগঠন ও লেখালেখি। তিনি ইয়ুথ জার্নালিস্টস্ ফোরাম বাংলাদেশ (ওয়াইজেএফবি) এর কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি ঢাকাস্থ ‘কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম’-এর সদস্য এবং রোটারি ক্লাব অফ আহসান মঞ্জিল-এর সদস্য।