‘পালংকিতে রইয়াছে অমূল্য ধন আও বরণ জেওরো মাঝ সহোদ্রের রূপকথার তুষার পরি নাড়ে ছড়ি...’ কোনো বিখ্যাত কবির কবিতার বিখ্যাত চরণ নয়, এটি ধাঁধা! পাহাড় গর্ভের এক অজানা বৈভব খুঁজে বের করবার ধাঁধা! প্রাচীন একটি পাণ্ডুলিপিতে লেখা রয়েছে এ ধাঁধা। যা খুঁজে বের করতে উঠে পড়ে লাগে এক তরুণ ও এক কিশোরী, শুভ ও সুহানী। বাবা-মা’র সাথে তারা বেড়াতে এসেছে কক্সবাজার। সমুদ্র-স্নান, সূর্যাস্ত দেখার ফাঁকে তাদের হাতের নাগালে আসে একটি পাণ্ডুলিপি। নিজেদের অজান্তেই সুহানী ও শুভ জড়িয়ে পড়ে পাণ্ডুলিপিটির রহস্যময় জটিল ধাঁধার জালে। ধাঁধাটির সমাধান পেলেই তারা পেয়ে যাবে এক অজানা, অমূল্য গুপ্তধনের সন্ধান! কিন্তু এ গুপ্তধন কার? কী রয়েছে এ গুপ্তধনের মধ্যে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পরিস্থিতি জটিল থেকে আরও জটিলতর হতে থাকে। রহস্য যত ঘন হয়, বুকের ধুকপুকানি তত বাড়ে। অনেক প্রশ্ন জড়ো হয়। সুহানী ও শুভ কি খুঁজে পাবে জটিল ধাঁধার সমাধান? তারা কি পারবে গুপ্তধনের রহস্য উদ্ধার করতে? যে গুপ্তধনের ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে রয়েছে ‘কক্সবাজার’ নামকরণের ইতিহাস। কিন্তু ধাঁধার সমাধান খুঁজে পাবার আগেই পাণ্ডুলিপিটি হারিয়ে যায়। তবে কি ধাঁধার সমাধান, পাণ্ডুলিপিটির মর্মার্থ রহস্যাবৃতই থেকে যাবে? সুহানী ও শুভ কি আবার উদ্ধার করতে পারবে প্রাচীন পাণ্ডুলিপিটি? তাদের সামনে এসে সমাধান ছাড়াই সমুদ্রের অগুনতি ঢেউয়ের মতো মিলিয়ে যাচ্ছে। এসব প্রশ্নের তল-থই খুঁজে পাবে কী না তারা? তা জানতে চাইলে পড়তে হবে সামিহা মাহজাবিন অর্চি’র শিহরণ জাগানো, রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ পরিপূর্ণ রহস্য-উপন্যাস ‘পালংকি রহস্য’।
সামিহা মাহজাবিন অর্চি, জন্মগ্রহণ করেছেন ১৪ই এপ্রিল, ২০০৯ সালে। কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজের দশম শ্রেণিতে বর্তমানে অধ্যয়নরত। শৈশব থেকে বই পড়ার আবহ পেয়েছেন। নতুন নতুন বই, নতুন নতুন অভিজ্ঞতা। ডিটেকটিভ-অ্যাডভেঞ্চার গল্পের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাকাবাবু ও সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা। ব্যোমকেশ, কিরিটী, প্রোফেসর শঙ্কু, ঘনাদার অবদানও কম নয়। সেসব রহস্য রোমাঞ্চ কাহিনি পড়তে পড়তে নিজের অজান্তেই সৃষ্টি করেন শুভদা-সুহানীর মতো চরিত্র। তার প্রিয় ও পছন্দের চরিত্রদের অনন্য বৈশিষ্ট্য ছাপিয়ে নতুন চরিত্র তৈরিতে উদ্যমী হন তিনি। প্রিয়জনদের উৎসাহ, অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় গত বছর প্রকাশিত হয়েছে তার প্রথম উপন্যাস ‘পালংকি রহস্য’। অর্চি’র প্রথম উপন্যাসকে পাঠক মহল স্বাগত জানিয়েছেন, প্রশংসা করেছেন, সাহস যুগিয়েছেন। সেই উৎসাহ উদ্দীপনাকে সম্মান জানিয়ে, লেখালেখির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে তিনি লিখেছেন এই উপন্যাসটি। প্রথম উপন্যাসটির ধারাবাহিকতায় দুই কিশোরী ও তরুণ চরিত্র শুভদা-সুহানীর দ্বিতীয় অ্যাডভেঞ্চার ‘ঐশী রহস্য’।