আল কোরআন দ্য আলটিমেট মিরাক্যাল বইটিতে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ, যথা গণিতের চূড়ান্ত ব্যবহার করে লেখক আহমেদ দীদাত বাস্তবসম্মত ও পরীক্ষামূলক প্রমাণ নিয়ে আলোচনা করেছেন যে কোরআন আল্লাহ এর বাণী। আর আল কোরআন বিজ্ঞানময় গ্রন্থ। বিজ্ঞান অর্থ বিশেষ জ্ঞান যা ব্যাপক গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে অর্জিত হয়।
পবিত্র কোরআনের প্রতিটি আয়াতে বিশেষ জ্ঞান কেন সকল জ্ঞানের সার নির্যাস এতে সঞ্চিত রয়েছে। তাই কোরআন গবেষকদের গবেষণায় ধরা পড়েছে পবিত্র কোরআন একটি পরিপূর্ণ-পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ যা বিজ্ঞানের অনেক উর্ধ্বে ঐশী জ্ঞান ব্যতীত আর কিছু নয় ।
মহাপবিত্র আল কোরআন শুধু একটি ধর্মগ্রন্থ নয়, বরং এটি একটি চ্যালেঞ্জ, একটি পথপ্রদর্শক এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য এক চূড়ান্ত নিদর্শন যা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। কেন কোরআনকে ‘আলটিমেট মিরাক্যাল’ বলা হয়?
১. ভাষাগত ও সাহিত্যিক অলৌকিকত্ব: আরবি ভাষাভাষী একটি জাতি, যারা ভাষা ও কাব্যশাস্ত্রে গর্ব করত, তারা কোরআনের ভাষা বুঝতে ও তার সমকক্ষ কিছু তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছিল।
২. নিরক্ষর নবীর দ্বারা প্রকাশ: নবী মুহাম্মদ (সা.) নিরক্ষর হওয়া সত্ত্বেও তিনি যে ঐশী বাণী পাঠ করতেন, তা ছিল অলৌকিকতার অন্যতম বড় প্রমাণ।
৩. বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক সামঞ্জস্য: কোরআনে এমন সব বৈজ্ঞানিক সত্য ও গাণিতিক বিন্যাস রয়েছে যা ১৪০০ বছর আগে অজানা ছিল, যা প্রমাণ করে এটি মানবসৃষ্ট নয়।
৪. ঐতিহাসিক ও ভবিষ্যদ্বাণীমূলক নির্ভুলতা: এতে বর্ণিত অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা ও ভবিষ্যতের ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেছে।
৫. সকল যুগের জন্য প্রাসঙ্গিকতা: এটি একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা সকল সময় ও স্থানের মানুষের জন্য প্রযোজ্য এবং পথপ্রদর্শক।
৬. আহমেদ দিদাতের ব্যাখ্যা: বিখ্যাত ধর্মপ্রচারক আহমেদ দিদাত তার ‘আল-কোর’আন দ্য আলটিমেট মিরাক্যাল’ বইটিতে কোরআনের এই অলৌকিক দিকগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
একজন দক্ষিণ আফ্রিকার লেখক ও ধর্মবেত্ত্বা এবং ভারতীয় বংশদ্ভুত জনবক্তা ও তার্কিক। জন্ম ১ জুলাই ১৯১৮, ভারতের সুরাটে। স্ত্রী হাওয়া দীদাত, সন্তান ইউসুফ দীদাত। তিনি ক্যারিশম্যাটিক স্বশিক্ষিত মুসলিম। ১৯৮৬ সালে জিমি সোয়াগার্ট ও পোপ জন পল দ্বিতীয়কে প্রকাশ্যে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ করেছেন। তাঁর পুত্রের অভিমত, তিনি বক্তৃতা মঞ্চের সিংহ - Lion of The Stage।
তিনি ধর্মপ্রচারকমূলক কাজ ৫০ বছর ধরে করেছেন, তাই তাঁকে ১৯৮৬ সালে বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ কিং ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান করা হয়। তিনি পশ্চিমা বিশ্বের মুসলমান ও অমুসলিমদের কাছে তার বার্তা পৌছাতে ইংরেজি ভাষা ব্যবহৃত করতেন।
২০০৫ সালের ৮ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার ভেরুলাম কাওয়াজুলু নাটালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।