‘জিঘাংসা‘ —এমন একটি গোয়েন্দা উপন্যাসিকা যেখানে একটি রুদ্ধশ্বাস কাহিনীর মধ্যেও আছে অন্য একটি রোমাঞ্চকর কাহিনী। প্রেক্ষাগৃহে, উৎসবের মরশুমে শপিংমলে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপচে পরা ভিড়ের মাঝে ঘটে চলেছে একের পর এক হত্যাকান্ড। খুনের পদ্ধতিও অদ্ভুত। নড়েচড়ে বসে লালবাজারের তাবড় তাবড় পুলিশ মহল। কে এই হত্যাকারী? ক্ষুরধার বুদ্ধি নিয়ে পায়েল সেন ঝাঁপিয়ে পড়ে রহস্য সমাধানে।
‘রাণীবাগানের রাজবাড়ি’ —বান্ধবী ঝিমলি মারফত রাণীবাগানের তিনশো বছরের পুরোনো রাজবাড়ির বাসন্তীপূজোয় আমন্ত্রণ পায়েল-অনামিকা। ঐতিহ্য, সাবেকিয়ানা, নিষ্ঠা আর সৌভাতৃত্বের মিশেলের বাহ্যিক দেখনদারি থাকলেও সেখানে আছে ঈর্ষা, পারিবারিক জটিলতা, জটিল সম্পর্ক। পূজার দিন ভোরবেলায় অদ্ভুত ভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় ঝিলামের খুড়তুতো বোন মুনি। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নিপুণভাবে রহস্যজাল ছিঁড়ে পায়েল পৌঁছে যায় রহস্যের কেন্দ্রে।
‘মৃত্যুছক’ —বলিউডের সুপার হিরোইন মনিকা মুখার্জি। জন্মভূমি কলকাতা শহরে পৌঁছানোর আধঘন্টার মধ্যেই মনিকা মারা যান। পুলিশের তরফে ফরেনসিক রিপোর্ট উল্লেখ করে ডেথ সার্টিফিকেটে জানানো হয় কার্ডিয়াক ফেইলিওর বা হার্ট অ্যাটাক। মনিকার মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগের ফোনকলের লিস্ট পরীক্ষা করে দেখতে শুরু করে পুলিশ মহল। কোনো সূত্রই মেলে না। তারপর…
‘প্যাংগঙে পান্না উধাও’ —মেঘ-রোদ্দুরের লুকোচুরির সঙ্গে ঘটেছে জলের রঙের তারতম্য । কখনও তা ধূসর নীল, কখনও তা সবুজাভ নীল। অকৃপণ হাতে প্রকৃতি তার রঙ-রূপ দান করেছে এখানে। পাথুরে জমিতে গাছপালা , ফুল-ফল কিছুই নেই। পাখির কলরব নেই। চারদিক নিঃশব্দ, নিস্তব্ধ। আল্পনা দেওয়া পাহাড়ে ঘেরা স্বচ্ছ জলরাশি। প্রকৃতির এই অপার বিস্ময় সৌন্দর্যের মাঝে উধাও হয়ে যায় রুমেলাদেবীর পান্না বসানো পেনডেন্ট। এই বস্তুটিকে কাছ-ছাড়া করলেই মৃত্যু ঘটবে রুমেলার, এমনটাই তার আশঙ্কা। ঘটনাচক্রে এই ট্রাভেল ট্রিপের ভ্রমণসঙ্গী ছিলেন পায়েল-অনামিকা। ঘটনার সঙ্গে পায়েলের জড়িয়ে পড়ে ও সবার চোখের আড়ালে পায়েলের তদন্ত একসময় ফাঁস করে দেয় তস্করের মুখোশ।
পায়েল সেন সিরিজের দুর্ধর্ষ অভিযানের কাহিনী নিয়ে মোট চারটি উপন্যাসিকাকে একত্রে নিয়ে এই সংকলন “চার অধ্যায়।”