সালাত সকল ইবাদতের মূল। হাশরের মাঠে আল্লাহ তায়ালা বান্দার সর্বপ্রথম সালাত সম্পর্কে হিসেব গ্রহণ করবেন। সালাতে যদি বান্দা মুক্তি পায় তাহলে সর্ববিষয়েই মুক্তি পাবে এজন্য সালাত সঠিকভাবে আদায় না করলে আল্লাহর কাছে তা কবুল হবে না।
সালাত এমন এক ইবাদত, যা সারা বছর দৈনিক পাঁচ বার আদায় করতে হয়। মৃত্যু ছাড়া আর কোনো অবস্থাতেই সালাত মাফ হয় না। এমনকি মৃত্যুশয্যায় স্বাভাবিক জ্ঞান থাকা অবস্থায় সালাত থেকে বিরত থাকার কোনো বিধান নেই। পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের মধ্যে ফজরের সালাতের গুরুত্ব অত্যধিক। সালাতের মধ্যে যেমন ফজরের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব, তেমনি সময়ের মধ্যে ফজরের সময়ের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। বলা হয়, ফজরের সালাত দেরিতে পড়ায় অভ্যস্ত মানুষগুলো জীবনের সব কাজে পিছিয়ে পড়ে।
ফজরের সালাতের গুরুত্বের কারণে তাতে গাফিলতির পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। মহানবি ﷺ এই সালাতকে মুমিন ও মুনাফিকের মধ্যে পার্থক্য নির্ণায়ক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ফজরের সালাত জামাতে আদায় করার গুরুত্ব অনেক। অধিকাংশ মানুষ এই সময় ঘুমের ঘোরে অচেতন থাকে। তাই এই সময়ে আল্লাহর স্মরণে মসজিদে গিয়ে সালাত আদায়ের ফজিলত সবচেয়ে বেশি। যতটা কষ্ট মনে হয় আসলে ফজরের সালাত পড়া মোটেও তেমন কঠিন কাজ নয়। শুধু প্রয়োজন ফজরের সালাত সময়মতো পড়বই পড়ব' এমন দৃঢ় ইচ্ছা মনে পোষণ করা।
আপনার হৃদয় ঈমানে পরিপূর্ণ, আপনি বিতির পড়েছেন, কিছুটা কুরআন তিলাওয়াত-ও করেছেন এবং যদিও আপনার হাতে ফজর পর্যন্ত ঘুমানোর জন্য মাত্র দু' ঘণ্টা সময় আছে, তারপরও জেগে উঠার ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত। কারণ, আপনি আপনার মন, হৃদয় ও দেহকে প্রস্তুত করে নিয়েছেন। এমনকি মাঝে মাঝে ওয়াক্ত পার হয়ে গিয়ে সালাত মিস করার ভয়ে মাঝ রাতেও ঘুম থেকে জেগে উঠেছেন। যদি আপনি এ ধরনের কোন ঘটনার সম্মুখীন না হয়ে থাকেন, তবে এমন সময়ের কথা ভাবুন যেদিন আপনাকে খুব ভোরে বাস কিংবা ট্রেন ধরতে হয়েছিল। আর ভাবুন, কীভাবে আপনার মন, হৃদয় ও দেহ সজাগ ছিল। হয়তো অনেক দেরিতে ঘুমিয়েও জেগে উঠেছিলেন বাস কিংবা ট্রেনের জন্য।