10

চাকমা

চাকমা (হার্ডকভার)

জুলাই জাগরণ ২৫ image

পাঠকেরা একত্রে কিনে থাকেন

এই ই-বুক গুলোও দেখতে পারেন

বইটই

বইটির বিস্তারিত দেখুন

বাংলাদেশের সমতল ও পাহাড়ি অঞ্চলে ৪৫টির অধিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস। 'মানব বসতির যাদুঘর' নামে খ্যাত পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘকাল ধরে ভিন্ন ভাষাভাষী ১৩টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মঙ্গোলীয় রক্তধারার মানুষেরা বাস করে আসছে। এঁরা হলো চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, রাখাইন, চাক, খিয়াং, খুমী, কুকী, বম, পাঙ্খোয়া ও লুসাই। এঁদের মধ্যে চাকমারাই অগ্রগামী এবং এ দেশে এরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
বাংলাদেশ ছাড়াও চাকমারা ভারতের মিজোরাম, ত্রিপুরা ও আসামে চাকমা নামে এবং মিয়ানমারে ভিন্ন নামে পরিচিত। তা হলেও তাঁদের ভাষা-সংস্কৃতি অভিন্ন। চাকমারা মঙ্গোলীয় মানবগোষ্ঠীর কিরাতজাতিভুক্ত শাখা। কোনো কোনো নৃতাত্ত্বিক এঁদেরকে 'লোহিতিক' ও 'তিব্বতীয় ব্রহ্মা' বলে অভিহিত করেছেন। জুমচাষ উৎপাদনের প্রধান অবলম্বন বলে এঁদেরকে 'জুমিয়া'ও বলা হয়। প্রায় এক সহস্র বছর আগে পার্বত্য অঞ্চলে এঁদের আগমন ঘটে বলে কোনো কোনো ইতিহাসবিদ মনে করেন। চাকমাদের অনেকের ধারণা তাঁদের আদি বাসভূমি চম্পকনগর। তবে এই চম্পকনগর কোথায় অবস্থিত তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে নানা মতভেদ রয়েছে।
চাকমাদের রয়েছে নিজস্ব কৃষ্টি, ভাষা ও বর্ণমালা। কিন্তু ভাষা-চর্চার প্রসার ঘটছে ধীর গতিতে। লক্ষণীয় যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত মঙ্গোলীয় রক্তধারার ১৩টি নৃগোষ্ঠীর মধ্যে চাকমা ও তাঁদের সহোদর নৃগোষ্ঠী তঞ্চঙ্গ্যা বাদে বাকী ১১টি নৃগোষ্ঠীর ভাষা ভোট-ব্রহ্ম শাখাভুক্ত। চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাদের ভাষা ইন্দো-ইরানীয় বা আর্যশাখাভুক্ত মিশ্রভাষা। যা চট্টগ্রামের বিকৃত বাংলার অনুরূপ। তৎসত্ত্বেও চাকমাদের লোকসাহিত্যের ভাণ্ডার যেমন সমৃদ্ধ তেমনি তাদের লোকসংস্কৃতিও বর্ণাঢ্য।
চাকমারা বর্তমানে বৌদ্ধধর্মের অনুসারী। তথাপি অরণ্য জনপদের নৃগোষ্ঠী হিসেবে তাঁদের প্রাচীন ধর্ম জড়বাদী [Animist]। মূলত প্রাচীন কাল থেকেই এঁরা জড়োপাসক এবং পর্যায়ক্রমে ব্রাহ্মণ্যবাদী বর্ণ হিন্দুদের স্বার্থ ও প্রভাবে এঁদের মধ্যে বিকৃতভাবে হিন্দুধর্মের অনুপ্রবেশ ঘটে। এক পর্যায় চাকমাদের প্রভাবশালী রাণী কালিন্দীর আমলে [১৮৪৪-১৮৭৩] তাঁর রাজ-আদেশে রাতারাতি এঁরা বৌদ্ধত্বে ধর্মান্তরিত হন। তৎসত্ত্বেও তাঁদের প্রাচীন জড়বাদী-ধর্ম ও তৎপরবর্তী হিন্দুধর্মের নানা ধর্মীয় আচার-প্রথা তাঁদের ধর্মাচারে থেকে যায়। মূলত চাকমারা মিশ্র-ধর্মাবলম্বী। তাই এখনো তাঁদের মাঝে প্রাচীন জড়োপাসনার নানা প্রথা-পদ্ধতি এবং বর্ণ হিন্দুদের গ্রহণকৃত আর্যপূর্ব ধর্মাচারেরও নানা আচার-প্রথা তাঁদের মাঝে বিরাজমান রয়েছে। অন্যদিকে নানা রকম লোকবিশ্বাস বা অনক্ষর সমাজের বৈশিষ্ট্য তাঁরা তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে মেনে চলে।
এই গ্রন্থে চাকমা জাতির প্রাগৈতিহাসিক কাল, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, অর্থনীতি, ভাষা, পরিবার গঠন, বিবাহ ব্যবস্থা, গৃহায়ন, আচার- আচরণ, অনক্ষর সমাজের বৈশিষ্ট্য, গহনাগাঁটি, পোশাক-পরিচ্ছদ, খাদ্যাভ্যাস, ধর্ম, উৎসব, নৃত্য-গীত ও লোকসাহিত্য আলোচিত হয়েছে।
বাংলাদেশের সমতল ও পাহাড়ি অঞ্চলে ৪৫টির অধিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস। 'মানব বসতির যাদুঘর' নামে খ্যাত পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘকাল ধরে ভিন্ন ভাষাভাষী ১৩টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মঙ্গোলীয় রক্তধারার মানুষেরা বাস করে আসছে। এঁরা হলো চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, রাখাইন, চাক, খিয়াং, খুমী, কুকী, বম, পাঙ্খোয়া ও লুসাই। এঁদের মধ্যে চাকমারাই অগ্রগামী এবং এ দেশে এরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। বাংলাদেশ ছাড়াও চাকমারা ভারতের মিজোরাম, ত্রিপুরা ও আসামে চাকমা নামে এবং মিয়ানমারে ভিন্ন নামে পরিচিত। তা হলেও তাঁদের ভাষা-সংস্কৃতি অভিন্ন। চাকমারা মঙ্গোলীয় মানবগোষ্ঠীর কিরাতজাতিভুক্ত শাখা। কোনো কোনো নৃতাত্ত্বিক এঁদেরকে 'লোহিতিক' ও 'তিব্বতীয় ব্রহ্মা' বলে অভিহিত করেছেন। জুমচাষ উৎপাদনের প্রধান অবলম্বন বলে এঁদেরকে 'জুমিয়া'ও বলা হয়। প্রায় এক সহস্র বছর আগে পার্বত্য অঞ্চলে এঁদের আগমন ঘটে বলে কোনো কোনো ইতিহাসবিদ মনে করেন। চাকমাদের অনেকের ধারণা তাঁদের আদি বাসভূমি চম্পকনগর। তবে এই চম্পকনগর কোথায় অবস্থিত তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে নানা মতভেদ রয়েছে।
চাকমাদের রয়েছে নিজস্ব কৃষ্টি, ভাষা ও বর্ণমালা। কিন্তু ভাষা-চর্চার প্রসার ঘটছে ধীর গতিতে। লক্ষণীয় যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত মঙ্গোলীয় রক্তধারার ১৩টি নৃগোষ্ঠীর মধ্যে চাকমা ও তাঁদের সহোদর নৃগোষ্ঠী তঞ্চঙ্গ্যা বাদে বাকী ১১টি নৃগোষ্ঠীর ভাষা ভোট-ব্রহ্ম শাখাভুক্ত। চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যাদের ভাষা ইন্দো-ইরানীয় বা আর্যশাখাভুক্ত মিশ্রভাষা। যা চট্টগ্রামের বিকৃত বাংলার অনুরূপ। তৎসত্ত্বেও চাকমাদের লোকসাহিত্যের ভাণ্ডার যেমন সমৃদ্ধ তেমনি তাদের লোকসংস্কৃতিও বর্ণাঢ্য।
চাকমারা বর্তমানে বৌদ্ধধর্মের অনুসারী। তথাপি অরণ্য জনপদের নৃগোষ্ঠী হিসেবে তাঁদের প্রাচীন ধর্ম জড়বাদী [Animist]। মূলত প্রাচীন কাল থেকেই এঁরা জড়োপাসক এবং পর্যায়ক্রমে ব্রাহ্মণ্যবাদী বর্ণ হিন্দুদের স্বার্থ ও প্রভাবে এঁদের মধ্যে বিকৃতভাবে হিন্দুধর্মের অনুপ্রবেশ ঘটে। এক পর্যায় চাকমাদের প্রভাবশালী রাণী কালিন্দীর আমলে [১৮৪৪-১৮৭৩] তাঁর রাজ-আদেশে রাতারাতি এঁরা বৌদ্ধত্বে ধর্মান্তরিত হন। তৎসত্ত্বেও তাঁদের প্রাচীন জড়বাদী-ধর্ম ও তৎপরবর্তী হিন্দুধর্মের নানা ধর্মীয় আচার-প্রথা তাঁদের ধর্মাচারে থেকে যায়। মূলত চাকমারা মিশ্র-ধর্মাবলম্বী। তাই এখনো তাঁদের মাঝে প্রাচীন জড়োপাসনার নানা প্রথা-পদ্ধতি এবং বর্ণ হিন্দুদের গ্রহণকৃত আর্যপূর্ব ধর্মাচারেরও নানা আচার-প্রথা তাঁদের মাঝে বিরাজমান রয়েছে। অন্যদিকে নানা রকম লোকবিশ্বাস বা অনক্ষর সমাজের বৈশিষ্ট্য তাঁরা তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে মেনে চলে।
এই গ্রন্থে চাকমা জাতির প্রাগৈতিহাসিক কাল, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, অর্থনীতি, ভাষা, পরিবার গঠন, বিবাহ ব্যবস্থা, গৃহায়ন, আচার- আচরণ, অনক্ষর সমাজের বৈশিষ্ট্য, গহনাগাঁটি, পোশাক-পরিচ্ছদ, খাদ্যাভ্যাস, ধর্ম, উৎসব, নৃত্য-গীত ও লোকসাহিত্য আলোচিত হয়েছে।
Title চাকমা
Author
Publisher
ISBN 9789849765035
Edition 1st published 2024
Number of Pages 400
Country বাংলাদেশ
Language বাংলা

Sponsored Products Related To This Item

Reviews and Ratings

sort icon

Product Q/A

Have a question regarding the product? Ask Us

Show more Question(s)

Customers Also Bought

loading

Similar Category Best Selling Books

prize book-reading point
Superstore
Up To 65% Off

Recently Viewed

cash

Cash on delivery

Pay cash at your doorstep

service

Delivery

All over Bangladesh

return

Happy return

7 days return facility

0 Item(s)

Subtotal:

Customers Also Bought

Are you sure to remove this from bookshelf?

Write a Review

চাকমা

ড. মুস্তাফা মজিদ

৳ 895 ৳1000.0

Please rate this product