-লেখক পরিচিতিঃ আনু মাহমুদ বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ,প্রবন্ধকার,কলাম লেখক ও গ্রন্থাকার হিসেবে ইতোমধ্যে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছেন।বিসিএস প্রশাসন সার্ভিসের সদস্য হিসেবে মোঃমাহমুদুর রহমান হিসেবে পরিচিত সদ্য প্রয়াত লেখক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
-কাহিনী সংক্ষেপঃবাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করণ,এর থেকে মুক্তিলাভের উপায়ই বইটির প্রধান উপজীব্য বিষয়।দেশের বিশাল সংখ্যক বেকার মানুষের জন্য অধিক সংখ্যক বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা অতীব জরুরি। বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু উপাদানের সহজলভ্যতা বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।যেমনঃ গ্যাস,বিদুৎ। তাছাড়া,সহজে বিনিয়োগ করে ব্যবসাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে যে সকল প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়,সেগুলো যথাসাধ্য চেষ্টা করে অপসারণ নিশ্চয়ই করতে হবে।
কৃষি সেক্টরের সাথে দেশের অধিকাংশ মানুষই জড়িত।এই সেক্টরকে গতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথা না বললেই নয়।বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সবচেয়ে বড় পথ হলো আমাদের গার্মেন্টস শিল্প।এ শিল্পে প্রচুর মানুস কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।সুস্থ স্বাভাবিক কর্মপরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে এর উৎপাদন আরো বাড়ানো যায়।
বইটিতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের দেশের নানান অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো তুলে ধরে এর থেকে পরিত্রাণ পাবার উপায় সমূহ সম্পর্কআছে আলোচনা করা হয়েছে।
-পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ বইটি পাঠের মাধ্যমে আমরা পাঠক সমাজ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যা তথা এর চ্যালেঞ্জসমূহ সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।
আনু মাহমুদ তরুণ অর্থনীতিবিদ, প্ৰবন্ধকার, কলাম লেখক ও গ্রন্থকার হিসেবে ইতোমধ্যে বেশ পরিচিতি অর্জন করে সুধী পাঠক সমাজে একটি স্থান আয়ত্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও তিনি তার কর্মপরিসরে সরকারি কর্মকর্তা ও এ্যাডমিনেস্ট্রেটিভ সার্ভিসের সদস্য হিসেবে মোঃ মাহমুদুর রহমান নামেই সমধিক পরিচিত। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সরকারের উপসচিব এবং জাতীয় গ্ৰন্থকেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আনু মাহমুদ বেশ সময় ধরে লেখা-লেখির সাথে জড়িত রয়েছেন এবং অনেক চড়াই উৎরাই করে দীর্ঘ পথ পরিক্রমার মাধ্যমে পরিস্ফুটিত হয়েছেন গ্রন্থকারের বর্তমান অবস্থানে এবং সংগ্রহের ঝুলিতে অর্জন করেছেন আর্থ-সামাজিক সমস্যা সম্পর্কিতসহ বহু বিষয় ভিত্তিক গ্রন্থের সফলতা, যা ইতোমধ্যে পাঠক সমাজে বেশ সমাদৃতও হয়েছে। তাঁর লেখালেখির শুরু হয়েছে সেই ছাত্র অবস্থা থেকে, আর তা ক্ৰমান্বয়ে শিকড় গেড়ে পত্র পল্লবে শোভিত হয়ে শাখা বিস্তার করে বর্তমানে রূপ নিয়েছে কাণ্ডে, বৃক্ষে। কিন্তু তার প্রত্যাশা রয়েছে একে ব্যাপক প্রসার ঘটিয়ে এক বিরাট বটবৃক্ষের রূপ দেয়ার। লেখালেখির জগতে যেমন জড়িযে আছেন তেমনি আর্থ-সামাজিক সংগঠনের সাথে। তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা মাহমুদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তাদের দুই সন্তান চাঁদনি ও ইযু। তিনি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য, জনাব মজিবর রহমান তালুকদারের দ্বিতীয় সন্তান।