-লেখক পরিচিতিঃ -ফোরকান আহমদ একজন আত্মপ্রত্যয়ী,মননশীল ও রুচিশীল লেখক।মানুষের সুন্দর চরিত্র গঠন,নিজকে আদর্শবান হিসেবে গড়ে তোলা,কি কি কাজ করলে মানুষের চরিত্র উন্নত হয় এবং কীভাবে একজন সৎ ও পরিশ্রমী মানুষ উন্নতি লাভ করতে পারে,তা তিনি তার প্রতিটি লেখায় সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলেন।তারই ধারাবাহিকতায় 'জীবন গড়ার কল্প' বইটি তিনি রচনা করেছেন।
-কাহিনী সংক্ষেপঃ ইশতিয়াক স্কুলের শিক্ষার্থী।দৈনন্দিন জীবনে নানান ঘটনার মুখোমুখি হয়ে, জীবনে চলার পথের 'না হলেই নয়' টাইপ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা গ্রহন করে সর্বদা।লেখক বইটিতে গল্পের মাধ্যমে পাঠকদের নিকটে বার্তা পৌঁছাতে চেয়েছেন যে,কীভাবে সমাজ ব্যবস্থা চলা উচিত।কীভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কর্মকান্ডগুলো পরিচালনা করা উচিত।বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখানে উঠে এসেছে।
যেমনঃ
°গাড়ির কালো ধোঁয়া সম্পর্কে সচেতনতা।
°রাস্তার পাশে বাড়ি হলে উপর থেকে কিছু নিচে ফেলা যাবে না,যদি একান্তই ফেলতে হয় লক্ষ্য করে ফেলতে হবে যাতে কারো সমস্যা না হয়।তবে,না ফেলাই উত্তম!
°রাস্তাঘাটে ময়লা আবর্জনা ফেলা নিষেধ।
°অনেকে রাস্তায় কলার ছোলা থেকে শুরু করে কফ,থুথু ইত্যাদি ফেলে রাখে।যা অন্যের জন্য বিরক্তি তো বটে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনাও বয়ে আনতে পারে।
°মায়ের কথা শুনতে হবে।
°গাছপালা আমাদের অস্তিত্বের জন্য দরকার।গাছপালা বেশি করে লাগাতে হবে।
°ড্রেনে,ম্যানহোলে,অত্র ময়লা ফেলা যাবে না।
°শব্দ দূষণ রোধ করতে হবে।
°পানি,বিদ্যুৎ ইত্যাদির অপচয় রোধ করতে হবে।
°লোকাল বাসে নারী,শিশুদের জন্য সংরক্ষিত সীটে অবশ্যই তাদের বসতে দিতে হবে।
°অবৈধ ভাবে নদী ভরাট করে নানান স্থাপনা তৈরি রোধ করতে হবে।
-পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষেই মূলত লেখকের এ প্রচেষ্টা। আমাদের জানার কোনো শেষ নেই।লেখকের এই বইটি দ্বারা যদি আমরা পাঠকরা কিছুটা সচেতন হই,তাহলে বোধহয় লেখকের এ প্রয়াস সফল হবে।