ফেরার পথ নেই বোরহান উদ্দীন রব্বানী ফ্ল্যাপ: ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে বড় হওয়া পরিবারের একমাত্র মেয়ে আয়েশা। সর্বদা পুরুষ সঙ্গ থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা এক রহস্যপুরুষ, ইশরাকের ভাবনায় জড়িয়ে পড়ে সে। ভাবনার জগতে নিজেই নিজের সঙ্গে অন্তর্দ্বন্ধে জড়িয়ে যায়। যতই নিজেকে নিবৃত্ত করে, ততই যেন আয়েশা বন্দী হতে থাকে এক অদৃশ্য ভাবনার বৃত্তে। ইশরাকের পরিমিতিবোধ, ব্যক্তিত্ব, আত্মসম্মানবোধ, সময়ানুবর্তিতা—গুণগুলো আয়েশাকে কেবলই অভিভূত করে। যাকে নিয়ে আয়েশা ভাবনার অতলে ডুবে থাকে, যার উপস্থিতি আয়েশার বেদনাহত হৃদয়ে উপশম আনে, সে কি আদৌ তাকে নিয়ে ভাবে? তার এক মুহূর্তও কি আয়েশাকে নিয়ে ব্যয় করে? সব পূর্ণতার মধ্যেও এ একজনের চুক্তিবিহীন অনুপস্থিতি তার দিনের সব কোলাহল ফিঁকে করে দেয়। চারপাশের সব আয়োজন মিথ্যে মনে হয় আয়েশার কাছে। সে কি আদৌ পারবে এ ভাবনার বৃত্ত ডিঙিয়ে বের হতে? তারপর একদিন এলো সে মাহেন্দ্রক্ষণ। আয়েশা ইশরাককে জানিয়ে দিলো, ‘তাকে নিয়ে জীবনের শেষ বসন্ত বিকেলটা উপভোগ করতে চায়। হাতে হাত রেখে হাঁটতে চায় জীবন নামের অনিশ্চিত যাত্রায়।’ পারিবারিকভাবে সবাইকে জানিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দু'জন। ঠিক পরদিন থেকেই আয়েশার সাথে সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় ইশরাকের। সব রকমের চেষ্টার পরও যখন আয়েশার হদিস পেলো না, তখন ইশরাক অফিস থেকে অব্যাহতি নেয়। একরাশ অভিমান বুকে চেপে ইশরাক চলে যায় অজানা উদ্দেশ্যে। তবে কি হয়েছিল আয়েশার? কেন হঠাৎই সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার আশ্রয় নিয়ে আয়েশা হারিয়ে গেলো ইশরাকের জীবন থেকে? যে হারানোয় আর ফেরার শেষ পথটুকুও বাকি থাকে না...? শ্বাসরুদ্ধকর সে গল্পের উত্তর পেতে ‘ফেরার পথ নেই’ পাঠে আপনাকে স্বাগতম।
বোরহান উদ্দীন রব্বানী। প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ কবি ও কথাসাহিত্যিক। পেশায় শিক্ষক। নিভৃতচারী হয়ে থাকতেই পছন্দ করেন। পারতপক্ষে নির্জনতার খোলস ডিঙিয়ে বের হন না। কিন্তু জীবন ও প্রকৃতির নিগূঢ় মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ে তার আগ্রহ প্রবল। লেখেন প্রেম-বিরহ, সৃষ্টি আর স্রষ্টার অপার রহস্য নিয়ে। জীবনের কঠিনতম পাঠকে তুলে আনেন সহজবোধ্য শব্দের গাঁথুনি দিয়ে। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে জন্ম। উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার এক নিভৃত গ্রামে। ১৯৯৬ সালের ২রা মার্চ। গ্রামের মক্তবেই বাবার হাতে পড়ালেখার হাতেখড়ি। তারপর বাড়ির সদর দরজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে ভর্তি হন স্থানীয় মাদ্রাসায়। ঐতিহ্যবাহী টুমচর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসায় কিছুকাল অধ্যয়ন করে ভর্তি হন লক্ষ্মীপুর দারুল উলূম কামিল মাদ্রাসায়। সেখান থেকে হাদিস শাস্ত্রে কামিল (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন। পাশাপাশি লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ থেকে অর্থনীতি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেছেন। প্রাথমিকেই লেখালেখির হাতেখড়ি। লিখছেন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা-সাময়িকী ও ম্যাগাজিনে। অবসরে পড়া ও লেখালেখি করেন। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা চারটি। আরও বেশকিছু গ্রন্থ প্রকাশের অপেক্ষায়।