কোত্থাও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, লাশটাও মেলেনি। সময়ের বিবর্তনে সবাই যখন মেনে নেয় ব্যাপারটা, একজন মানতে পারেনি। সে হচ্ছে ভিভের বোনের মেয়ে কার্লি। কার্লি কিছুটা উদ্ভট, আঁতেল স্বভাবের মেয়ে, খুনোখুনি নিয়ে যার অপরিসীম আগ্রহ। মা মারা যাবার পর নিজের পরিবারের এই অমীমাংসিত রহস্যটি উদঘটনে রাস্তায় নামলো সে। ঘেঁটেঘুঁটে যা বুঝলো, মামলাটা পড়াশোনা করে বোঝার বিষয় না। তাকে যেতে হবে সেখানে, সবকিছুর সূত্রপাত যেখানে।
কলেজ ছেড়ে নিজের গাড়ি নিয়ে সে বেরিয়ে পড়লো।
ঠিক পঁয়ত্রিশ বছর পর এসে পৌঁছুল নিউইয়র্কের কোলঘেঁষা ফেল নামক একটি উপশহরে।
কাকতালীয়ভাবে তার জায়গা হলো একই এপার্টমেন্টে, যেখানে একসময় তার খালা থাকতো। মিলগুলো আরও প্রকট হলো যখন সে চাকরি নিলো ‘দ্য সান ডাউন’ নামের অতি অখ্যাত এক মোটেলে। রুমমেট হিথার, লাইব্রেরিমেট ক্যালাম এবং মোটেলের রহস্যময় বাসিন্দা নিকের সাথে শুরু হলো তার খোঁড়াখুঁড়ি। ভিভের সাথে কী হয়েছিল, না জেনে সে কিছুতেই থামবে না। কিন্তু একী! খালার অন্তর্ধান রহস্য সমাধান করতে এসে একী বিপদে জড়িয়ে পড়লো কার্লি!
এদিকে, ভিভের নিখোঁজ হবার আগে ফেল-এ কয়েকটি খুন হয়েছিল। সবগুলোই মেয়ে। সিরিয়াল কিলার? পুলিশের সেটা মনে হয়নি, কেননা সিরিয়াল কিলারদের মতো কোনো প্যাটার্ন ফলো করা হয়নি খুনগুলোতে। কিন্তু ভিভের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, ওগুলো কাকতালীয় নয়। সে তদন্ত শুরু করে, কিন্তু খুনির চেয়ে তাকে বেশি ভুগতে হয় ভূতের অত্যাচারে! অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসে ফুলওয়ালা পোশাকের এক মহিলা কী বলতে চাইত ভিভকে? অনেক আগে মোটেল চত্বরে মারা যাওয়া বাচ্চা ছেলেটাইবা কী চাইত তার কাছে?
অনেক প্রশ্ন। জবাব মিলবে সব এক জায়গায়। সুনসান রাস্তার ধারে নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে থাকা দ্য সান ডাউন মোটেলে। ভিভ কিংবা কার্লির সঙ্গে আপনাকেও স্বাগতম সেখানে। কিন্তু যেতে হবে সাবধানে, খুব সাবধানে।