নিজের বই আর নিজের লেখা সম্পর্কে কিছু বলতে গেলে, এটি আমার জন্য সবসময়ই একটু কঠিন মনে হয়। আমি আসলে অপ্রয়োজনীয় কিছু লেখার পক্ষপাতী নই। আমার বিশ্বাস, যতটুকু প্রয়োজন, ঠিক ততটুকুই লেখা উচিত।
পাঠকদের অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন—আমি লেখার জন্য সময় কোথায় পাই? কখন লিখি—অফিসে, নাকি বাসায়? দিনে, নাকি রাতে? এত কাজের চাপের মাঝেও কীভাবে লিখতে পারি?
এ প্রশ্নগুলোর খুব সুনির্দিষ্ট উত্তর আমার কাছে নেই। তবে এটা ঠিক, আমি সব সময়ই লিখি। ব্যস্ততার ফাঁকেও লিখি, রাতে লিখি, দিনে লিখি, যেখানেই থাকি, সেখানেই লিখি। আমার চারপাশে কোনো ঘটনা আমাকে যখনই আন্দোলিত করে, তখনই কলম তুলে নিই। সুখেও লিখি, দুঃখেও লিখি। কারণ, আমি লিখতে ভালোবাসি।
আমাদের এই যাপিত জীবন নানা অনুভূতির দোলাচলে কাটে। সুখ, দুঃখ, কষ্ট, বিরহ, আনন্দ, আশা, এবং হতাশা—সবকিছু মিলিয়েই আমাদের জীবন।
"প্রেম, ভালোবাসা, কষ্ট, বিরহ, যন্ত্রণা—এসবই যাপিত জীবনের অংশ। আর আমরা কেবল সময়ের কাছে এসব মুহূর্তের সাক্ষী মাত্র।"
আমার এই বইয়ের প্রতিটি লেখা ঠিক সেই বাস্তব অনুভূতিগুলোর বহিঃপ্রকাশ। প্রতিটি মানুষের মনে জমে থাকা সুখ, দুঃখ, আনন্দ, বেদনা, কষ্ট আর হাহাকার—জীবনের বাঁকে বাঁকে এসব অনুভূতিই আমাদের স্পর্শ করে যায়।
কখনো কখনো মনে হয়, আমাদের খাঁচাটা আসলে শূন্যই ছিল। ভুল করে একদিন ভুল পাখি এসে বসেছিল সেখানে। শূন্য খাঁচায় ভুল পাখির গল্পটাই যেন আমাদের জীবনের কথা।
আমি একজন চিত্রশিল্পী। ছবি আঁকতে ভালোবাসি। ছবি আঁকলে আমার মন ভালো হয়ে যায়। কবিতা লেখা আর ছবি আঁকা আমার কাছে এক ও অভিন্ন। একটি রঙের মাধ্যমে মনের ভাব ফুটিয়ে তোলে ক্যানভাসে, আর অন্যটি শব্দের মাধ্যমে প্রকাশিত হয় পাতায়।
আমার প্রিয় পাঠকদের হৃদয়ের পরশে আমার লেখাগুলো প্রাণ ফিরে পাবে, নতুন করে উজ্জীবিত হবে—এটাই আমার একমাত্র প্রত্যাশা।