ভয়াবহ বিপদ শুরু হয়েছে পৃথিবী জুড়ে। বিভিন্ন দেশে যত্রতত্র পড়ে থাকছে লাশ। মৃত্যুর কারণ অচেনা এক সংক্রমণ। বেগুনি ছোপ পড়ছে লাশের মুখগুলোয়। মুহূর্তেই মৃত্যু। কেমন অসুখ এটা? অদ্ভুত অচেনা এক ধরনের পতঙ্গ কেন দেখা যাচ্ছে লাশগুলোর কাছে? হঠাৎ করেই একের পর এক পৃথিবীবিখ্যাত বৈজ্ঞানিক, ডাক্তার, বোটানিস্টেরও মৃত্যু হচ্ছে। কফিন থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে তাদের লাশ। চিন্তায় পাগল হওয়ার দশা সরকারপ্রধানদের।
বিখ্যাত ব্রিটিশ বিজ্ঞানী কেভিনকে দেয়া হলো প্রতিষেধক তৈরির কাজ। সাহায্য চাইলেন এক প্রতিভাবান তরুণ বোটানিস্টের। দুর্জয় প্রত্যয় নিয়ে বিপদগ্রস্ত পৃথিবীর পাশে দাঁড়ালো এক বাংলা মায়ের সন্তান তমাল। কিন্তু কোনদিকে এগোবে ওরা? শত্রু কে, মিত্র কে আর তার উদ্দেশ্য কী? আসছে একের পর এক আঘাত। মরছে লোকজন। আবিষ্কৃত প্রতিষেধকের ফর্মুলা পৃথিবীবাসীর কাছে দেয়ার আগেই মারা গেলেন বৈজ্ঞানিক কেভিন। মৃত্যু নাকি হত্যা? কী করবে এখন তমাল একা? ক্ষুরধার মগজাস্ত্র নিয়ে পাশে এসে দাঁড়ালেন পুলিশ কমিশনার জ্যাকব আরনল্ড। শুরু হলো চারিদিকে ষড়যন্ত্র। সেই সাথে এলো প্রেম। বানভাসি প্রেম। এলো প্রলোভন। এলো ছলনা। কোনটি বেছে নেবে তমাল? প্রেম নাকি সারা বিশ্বের মুক্তি? এক প্রতিভাবান চাইনিজ উন্মাদ বৈজ্ঞানিক সারা বিশ্বকে করতে চাইছে পদানত। নিষ্ঠুরতম প্রক্রিয়ায় গড়ে তুলতে চাইছে পৃথিবী জুড়ে এক দাস বাহিনী। নিজে হতে চাইছে অজর, অমর ও অজেয়। তৈরি হয়েছে দুনিয়া জুড়ে জীবাণু ছড়ানো অসংখ্য পতঙ্গ বাহিনী। জানা গেলো, নেট প্র্যাকটিস শেষ পাগল বৈজ্ঞানিকের। এবার সে চালাবে আসল হামলা। ভাইরাসের বিরুদ্ধে তৈরি কেভিনের ফর্মুলাটি কোথায়? কোটি কোটি মানুষের মৃত্যু এখন এক অতি শক্তিশালী পাগল বৈজ্ঞানিকের নখের ডগায়। লড়ছে তমাল আর আরনল্ড। এ এক অসম যুদ্ধ। কী ঘটতে যাচ্ছে আসলে? পারবে কি ওরা পৃথিবীকে এক প্রতিভাবান উচ্চাভিলাষী উন্মাদের দাসত্ব থেকে রক্ষা করতে? তমাল কি হারিয়ে ফেলবে সেই রহস্যময়ী বেগুনি নয়না অপরূপাকে?
প্রিয় পাঠক আসুন পদে পদে বিপদ, উত্তেজনা, রহস্য, নৃশংসতা আর আতঙ্কের প্রহরে ভরা রুদ্ধশ্বাস এই বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ‘দংশন’ পড়ে জেনে নেই সব উত্তর।
প্রিম রিজভী বরিশালের মেয়ে। বেড়ে ওঠা ঢাকায়। মা ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী আর বাবা সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংসদ। তিনি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পরবর্তী সময়ে অবশ্য দেশ-বিদেশে স্কলারশিপসহ আরো কিছু সার্টিফিকেট অর্জন হয়েছে। প্রিম রিজভীর প্রথম চাকরি ক্যাডেট কলেজে। কুমিল্লা ও সিলেট ক্যাডেট কলেজ। এরপর বিসিএসের মাধ্যমে প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন সরকারি চাকরিতে এবং অদ্যাবধি কর্মরত সেখানেই। স্বামী সামরিক অফিসার হওয়ায় থেকেছেন অতি ব্যস্ত। কাজেই দুটি যমজ পুত্রসন্তানকে গড়ে তুলতে হয় মূলত লেখিকাকেই। বর্তমানে পুত্রদ্বয় বিদেশে পড়ালেখা অন্তে সেখানেই কর্মজীবনের দ্বারপ্রান্তে। প্রিম রিজভীর লেখালেখির প্রেরণা তার মা জাহানারা ফায়জী খান। মায়ের চব্বিশ ঘণ্টায় আঠারো ঘণ্টা বই পড়ার নেশা সংক্রমিত হয় কন্যার মাঝেও। দেশি-বিদেশি বই পড়তে পড়তেই উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী অবস্থায় তিনি লিখে ফেলেন তার প্রথম বই। সাড়া পড়ে যাওয়ায় এরপর চললো লাগাতার লেখা। স্পাই থ্রিলার, ওয়েস্টার্ন, রহস্যোপন্যাস এবং রোমান্টিক। ফাঁকে ফাঁকে চললো পত্রপত্রিকায় গল্প ও কবিতা। সেবা ও অবসরসহ বেশ কিছু প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করলেও সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন অবসর প্রকাশনার সাথে। তবে সংসার ও চাকরি সামলাতে গিয়ে বাস্তবের চাপে একসময় লেখালেখি থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। গত বছর অবসর প্রকাশনা সংস্থার অনুরোধে পেশাগত ব্যস্ততার মাঝেও আবারও ফিরে এলেন লেখালেখির জগতে।