আমাদের প্রিয় হযরত বড় হুজুর কেবল (রঃ) এবং হযরত ছোট হুজুর কেবল (রঃ) ছিলেন মহান আল্লাহর ওলি, যাঁরা নিজেদের জীবনকে একান্তভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও মানবতার সেবায় নিবেদন করেছিলেন। তাঁরা সবসময় নিজেদের খাদেমে তরিকত ও শরিয়ত হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করতেন, যাতে তাঁদের প্রতি কর্ম ও কথা শুধুমাত্র আল্লাহর পথে পরিচালিত হয়। দিনভর তাঁরা বিনম্রতা ও নিষ্ঠার সাথে জাগতিক দায়িত্ব পালন করতেন, কিন্তু যখন রাত্রির আঁধার নেমে আসত, আর মানবজাতি গভীর ঘুমে নিমগ্ন থাকত, তখন তারা পৃথিবীর সমস্ত মায়া কাটিয়ে আল্লাহর রহমতের ছায়ায় আশ্রয় নিতেন।
তাঁদের বিভিন্ন রজনীগুলো কেটেছে কান্না, দোয়া-মোনাজাত, আর ইবাদতে মশগুল হয়ে। তাঁরা ছিলেন ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া- নবীদের প্রকৃত উত্তরাধিকারী, যাঁরা মানবজাতিকে আলোর পথে পরিচালিত করেছেন। তাঁদের জীবন আমাদের শেখায় আত্মত্যাগ, বিনয় এবং আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণের প্রকৃত অর্থ। আল্লাহু আকবার।
তাঁরা কখনোই তাঁদের আধ্যাত্মিক উচ্চতা বা মর্যাদা প্রদর্শন করেননি, এবং পুরস্কার বা খ্যাতি ছিলো নাতাঁদের উদ্দেশ্য। তথাকথিত পীর-মুর্শিদের মতো তাঁরা মানুষের কাছ থেকে কোনোরূপ পুরস্কার, হাদিয়া বা স্তুতি গ্রহণে আগ্রহী ছিলেন না। বরং তাঁরা নিজেদের পকেটের পয়সা খরচ করে, নিরলসভাবে মানুষের কলবে আল্লাহর জিকির প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁদের জীবন ছিল এক নীরব সংগ্রাম, যেখানে তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল রেজায়ে মাওলা।
তাঁদের কাছে এই পৃথিবী ছিল শুধুই একটি মাধ্যম, আল্লাহর দিকে পৌঁছানোর পথ। এই গ্রন্থটি, তাঁদের সুহবতলব্ধ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে রচিত, যেন সেই পথেরই এক অন্তর্নিহিত গল্প। অনুভূতির আখরে লেখা এই গল্পগুলো মানুষের অন্তরে নূরের এক নতুন রেখা তৈরী করুক আর সেই নূরের তাজিল্লিয়াতে কলব হয়ে উঠুক শ্বেত, শুভ্র এবং পবিত্র।