নিজের মনে ব্যথা নিয়ে হলেও অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য যারা নিজেকে, নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দেয়, তারা কতইনা মহান। হ্যাঁ, আর এই মহৎ ব্যক্তিদের মধ্যে এক উৎকৃষ্টতম উদাহরণ হলো- "ফুল বিক্রেতা"।
আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পরিবার থেকে উঠে আসা এই মহৎ ব্যক্তিরা নিজেদের ভারাক্রান্ত মন নিয়ে হলেও অনেক প্রিয়'র প্রিয় মানুষ যেন পরস্পর পরস্পরের মুখে হাসি ফোটাতে পারে, একটুখানি খুনসুটি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারে, ইহাই যেন তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য, অর্থ যেখানে গৌন।
এই মহৎ উদ্দেশ্য থেকে প্রেরণা আর এই প্রেরণা থেকেই আমার গ্রন্থের নামকরণ- "পুষ্পমঞ্জুরি"।
কবিতা লেখা দূরূহ ব্যাপার,অন্তত আমার পক্ষে তো নয়ই।আর কবি?"কবি" শব্দের মত ভারী,ওজন-ওয়ালা ইতস্তত শব্দ আমার কাছে আর দ্বিতীয়টি নেই।তবে এক অর্থে কবি তো বটেই।কেননা যিনি কবিতা লেখেন, তিনিই কবি।মজার ব্যাপার হল,এই শর্তে আপনি নিজেও একজন কবি! কিন্তু লিখলেই কবি হওয়া যায়?যায় না আর তাই কবি জীবনানন্দ দাশ বলেছেন,"সকলেই কবি নয়,কেউ কেউ কবি"।শিবরাম চক্রবর্তী মাঝে মাঝে প্রেমেন্দ্র মিত্রকে আক্ষেপ করে বলতেন কবিতা লেখা কঠিন ব্যাপার। মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে দাঁড়ি-গোঁফ গজালেও কবিতা তেমন আসে না।
আমার এই ছোট্ট বয়সে ক্ষুদ্র জ্ঞানে,সামান্য অধ্যয়নে কবি,কবিতার নির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা পায়নি তবে প্রসিদ্ধ লেখক প্রবন্ধিক প্রমথ চৌধুরী বলেছেন, "কবি তো সেই;যার বিস্ময়কর সৃষ্টির ক্ষমতা রয়েছে"। যা আমার কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য ও প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়েছে।অতএব বিভিন্ন জনের ভিন্ন ভিন্ন সংজ্ঞা দেখে এটা নিশ্চয়ই বলতে পারি,কবি ও কবিতার নির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা নেই,সবই ব্যক্তিবিশেষে তাদের ব্যক্তিগত মতামত।
তাই আমিও আমার ব্যক্তিগত মতামত দিতে কার্পণ্যতা করব না,কবি ও কবিতার সঙ্গা দিতে গিয়ে নিঃসংকোচে বলব,
কবিতার চূড়ান্ত রূপ দুই মলাটে আবদ্ধ কোন পুস্তকে নয়; কবিতার আশ্রয় তো প্রত্যেক কবির প্রিয় মানুষের অন্তরে ।
যে কবিতা পড়তে পড়তে প্রেমিকার চোখের কোণে পানি জমল না,সেটা কোন কবিতাই না;আর যে কবিতা লেখার সময় কবি'র নিজের চোখ ঝাপসা হয়ে আসে না সে নিজেও কোন কবি না।
"প্রেমিকার একার কারনে যদি
প্রেমিক প্রেম-বঞ্চিত হয়-
বারবার নয়;মাত্র একবার,
নাম তার ব্যর্থ প্রেমিক।
মরার আগেই মরে তারা-
একবার নয়;মরে বারবার।
-লেখক