“প্রতিপত্তি ও বন্ধু লাভ" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ সকল প্রশংসা মহান রব্বল আলামীনের, যিনি আসমান যমীন ও তদস্থ যা কিছু আছে তার স্রষ্টা, মালিক, প্রতিপালক, পরিচালক, যিনি এক একক, যার কোন শরীক নেই, যিনি না দ্রিা যান, আর না তন্দ্রা তাকে স্পর্শ করতে পারে। যিনি সর্ব দ্রষ্টা, সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। লক্ষকোটী দুরূদ ও সালাম আখেরী নবী, সাইয়্যেদুল মুরসালীন, রহমাতাল্লিল আলামীন, দু’জাহানের সরদার হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা (স)-এর উপর। | আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতে কেবল তাঁর প্রতিনিধি মানব জাতিকেই প্রেরণ করেননি; বরং জীবন বিধানও দিয়েছেন। এ জীবন বিধান তিনি যুগে যুগে আম্বিয়ায়ে কেরামের মাধ্যমেই পাঠিয়েছেন। আম্বিয়ায়ে কেরামের আগমনের এ ধারাবাহিকতা পথিবীর প্রথম মানুষ হযরত আদম (আ) থেকে শুরু হয়ে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (স) পর্যন্ত ছিল। আম্বিয়া কেরামের জীবন পদ্ধতি, তাঁদের উম্মতদের উত্থান পতন, আচার আচরণ, কায়েমী স্বার্থের দ্বীন প্রচারে বাধা ও বাঁধা দানের ধরন ইত্যাদি সম্বন্ধে জানার একমাত্র নির্ভরযােগ্য মাধ্যম পবিত্র কোরআন। কিন্তু পবিত্র কোরআনে সকল নবী রাসূলদের কথা নেই। আবার যাঁদের কথা উল্লেখ আছে তাদের মধ্যেও কারও সম্বন্ধে বিস্তারিত এবং কারও সম্বন্ধে সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। দুনিয়ার ইতিহাস পর্যালােচনা করলে দেখা যায় আম্বিয়ায়ে কেরামদেরকে দ্বীন প্রচার করতে গিয়ে কায়েমী স্বার্থের ষড়যন্ত্রের মােকাবিলা করতে হয়েছে। এক শ্রেণীর স্বার্থন্বেষী মানুষ সব যুগেই সাধারণ মানুষকে পথভ্রষ্ট করার হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। এক্ষেত্রে অভিশপ্ত ইহুদীদের ভূমিকাই ছিল অগ্রগণ্য। ইহুদীরা তৌরাতে উল্লেখিত পূর্ববর্তী আম্বিয়াদের সহীহ জীবনালেখ্য নিজেদের স্বার্থে বিকৃত করে নিজেদের মনগড়া ঘটনা দ্বারা পূর্ণ করেছে। অভিশপ্ত ইহুদীদের মিথ্যা বর্ণনা যুগ যুগ অতিক্রম করে বর্তমান কাল পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে। একদল মুসলিম মনীষী ইহুদীদের সৃষ্ট এ মিথ্যাচারের পর্দা ছিন্ন করতে আপ্রাণ চেষ্টা করে আল্লাহর রহমতে সফল হয়েছেন। আমাদের মত ক্ষুদ্রজ্ঞানসম্পন্ন লােকের পক্ষে তা থেকে মুক্ত থেকে সংকলন করা রীতিমত দুঃসাধ্যই বটে। আলােচ্য গ্রন্থে উল্লিখিত সকল আম্বিয়ায়ে কেরামের জীবনালেখ্য বিভিন্ন তাফসীর, হাদীস এবং সমকালীন গ্রন্থের সাহায্যে চেষ্টা করেছি ইহুদীদের মিথ্যা প্রচারণা থেকে রক্ষা করতে। কতটুকু সফল হয়েছি তা পাঠকদের সুবিবেচনার জন্য রইল। এ অধমের প্রচেষ্টার ফসল আলােচ্য গ্রন্থখানি দ্বারা পাঠক সমাজ যদি সামান্যতমও উপকৃত হয় তবেই আমাদের শ্রম সার্থক হবে। পরিশেষে যারা গ্ৰন্থখানি সংকলনে সর্বাত্তক সহযােগিতা করেছেন তাদের সক জন্য দোয়া কামনা করছি। আল্লাহ আমাদের সকলকে আম্বিয়ায়ে কেরামের জীবনী গ্রন্থ থেকে উপকৃত হওয়ার তওফিক দান করুন। আমীন।
ভারতের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ মওলানা আবুল কালাম আজাদ (নভেম্বর ১১, ১৮৮৮ মক্কা সৌদি আরব Ñ ফেব্রুয়ারি ২২, ১৯৫৮ দিল্লি) ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সভাপতি (১৯২৩, ১৯৪০-১৯৪৬) এবং ভারতের শিক্ষামন্ত্রী (১৯৪৭-১৯৫৮) ছিলেন। তিনি উর্দু গদ্য সাহিত্যের জনক। উপন্যাস ব্যতীত বিভিন্ন সাহিত্য শাখায় তিনি বিচরণ করেছেন। তাঁর রচিত গুবারে খাতির (Sallies of Mind) ১৯৪৬ সালে প্রকাশ পায়। এটা ১৯৪২-১৯৪৩ সাল পর্যন্ত সময়ে কারাবন্দী অবস্থায় লিখিত পত্রাবলির একটি সংকলন। তাঁর প্রণীত অন্যান্য গ্রন্থের নাম: গুবারে খাতির (১৯৪৬, উর্দু); India wins Freedom (১৯৪৯) Concepts of the Quran (১৯৫৮); তাজকিরাহ; ইনসানিয়াত মওত কি দরওয়াজে পর; ইসলাম মে আজাদি কা তাসাব্বার, ওফবধং ড়ভ ধ ঘধঃরড়হ; তরজমা আল কুরআন; আসহাবে কাহাফং আওর আযুজ মাজুজ; কোয়লে-ই- ফয়সাল; মাসালায়ে খেলাফত; তাহারিকে আজাদি; হায়াতে সারমাদ; আজাদকে আফসানি; গজল; হিকমাহ আল ফাতিহাহ; উমমুল কিতাব; আজাদি কি কাহানি; হযরত ইউসুফ (আ); অলুমসুজ মুদাফা; Towards Freedom; Rasul-e- Rahmat; Shahadat-e- Hussain; Wiladat-e- Nabwi; Sada-e- Haq; Kutbat-e- Azad; হিজবুল্লহ; The Dawn of Hope; কোয়েল-এ-ফয়সাল ইত্যাদি।