আমার লেখালেখির হাতেখড়ি হয় স্কুল জীবন থেকে। ক্ষুদ্র পরিসরে লেখালেখির সূচনা হলেও ধীরেধীরে এর প্রসার ঘটানোর চিন্তা মাথায় আসে। কবিতা লেখার পাশাপাশি আমি সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। একজন সুনাগরিকের কাছে সমাজের প্রতি কিছু দায়বদ্ধতা রয়ে যায়। আমরা চাইলেও বিবেকের তাড়নায় দায়বদ্ধতাগুলো এড়িয়ে চলতে পারি না। বিগত বছর চারেকের মধ্যে দেশে চলমান রোহিঙ্গা সংকট এবং বৈশ্বিক মহামারি করোনার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে কিছু প্রিন্টিং ও অনলাইন পত্রিকায় আমার কলাম লেখার সুযোগ হয়েছে। যা পাঠকমহলে ভালো সাড়া ফেলে এবং আমাকে লেখার অনুপ্রেরণা জোগায়।
কবিতা পাঠকের হৃদয়কে উজ্জীবিত করে। কবিতার রয়েছে অসাধারণ এক শক্তি, যা কবিতাপ্রেমীদের মুগ্ধতার সাগরে সাঁতার কাটায়। কবিতায় প্রেম, ভালোবাসা, প্রকৃতি, মানুষ এবং সৃষ্টির রহস্যময় জীবনকে গভীরভাবে উপভোগের শক্তি সঞ্চার হয়। একটি কবিতার বইয়ের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকে কবির আবেগ ও অনুচিন্তনের প্রতিফলনÑযেখানে পাঠকের জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর ও বিদীর্ণ স্মৃতি ফুটে উঠে।
সকল শ্রেণির পাঠকের কথা মাথায় রেখেই কবিতা গ্রন্থ ‘বিদীর্ণ স্মৃতি’ এমনভাবে সজ্জিত করেছি, যেখানে আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য ও নিদর্শন, প্রকৃতির রূপ-বৈচিত্র্য, বাস্তব ও সমসাময়িক বিষয়াবলি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও প্রেম-বিরহের উপাখ্যান এবং জীবনের স্মৃতি-বিস্মৃতির সমাহারে সজ্জিত ‘বিদীর্ণ স্মৃতি’। একটি বই লিখতে গিয়ে একজন লেখককে চতুর্দিকের যাবতীয় বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হয়। সমাজে চলমান বহুমুখী অসংগতি ও বৈষম্যকে গভীর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে অনুভব করতে হয়। সর্বোপরি একজন লেখককে প্রকৃতি ও মানুষের প্রতি প্রগাঢ় প্রেম-অনুরাগের অধিকারী হতে হয়। আমার চিন্তা-মননে উল্লেখিত বিষয়গুলো অহর্নিশ লেপ্টে থাকে।
‘বিদীর্ণ স্মৃতি’ আমার লেখা দ্বিতীয় কবিতা গ্রন্থ। ‘কবিতায় জীবনের গল্প’ শিরোনামে প্রথম কবিতা গ্রন্থের আত্মপ্রকাশ হয়েছিল অমর একুশে বইমেলাÑ২০২৪-এ। দেশের ভেতর-বাইরে বইটি সংগ্রহে পাঠকমহলের আশানুরূপ সাড়া মেলে।
আশা করছি, আমার লেখা ‘বিদীর্ণ স্মৃতি’ কবিতা গ্রন্থটিও পাঠকচিত্তে রসদ জোগাবে। আর তা হলেই আমার প্রচেষ্টা সার্থক হয়েছে বলে মনে করব।