ইসলাম শুধু ইবাদতের নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে হালাল-হারামের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। অর্থ উপার্জন ও ব্যয়ের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। ‘হারাম সম্পদের বিধান’ বইটি এমন এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে কেন্দ্র করে রচিত, যেখানে আল্লাহর দৃষ্টিতে হারাম সম্পদ কী, তার প্রভাব কত ভয়াবহ, এবং একজন মুমিন কীভাবে এ থেকে নিজেকে বাঁচাবে— সে বিষয়গুলো অত্যন্ত স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাস্তব উদাহরণ, কুরআন-হাদীসের দলিল ও গভীর বিশ্লেষণে সমৃদ্ধ এই বইটি সচেতন মুসলিমদের জন্য অপরিহার্য এক পাঠ।
বইটি সম্পর্কে কিছু কথা:
জীবনের ব্যস্ততা, কর্মক্ষেত্রের চাপ আর উপার্জনের প্রতিযোগিতায় কখনো কখনো আমরা বুঝতেও পারি না, আমাদের আয় হালাল না হারাম। এই বইটি যেন আয়নার মতো— নিজের আয়-ব্যয়ের ধরনকে পর্যালোচনা করার সুযোগ দেয়। এমনভাবে লেখা হয়েছে যেন কেউ আপনার কানে ধীরে ধীরে বলে দিচ্ছে— “সততার পথে ফিরে আসুন, কারণ হারাম সম্পদ কেবল দুনিয়া নয়, আখিরাতকেও নষ্ট করে।” সহজ ভাষা, গভীর বার্তা আর বাস্তবমুখী পরামর্শে ভরপুর এই বই হৃদয়কে নরম করে দেয়, এবং তাওবার আহ্বান জানায়।
বইটির মূল বৈশিষ্ট্য:
হারাম সম্পদের ধরন ও উৎসগুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
কুরআন, হাদীস ও সালাফদের বাণীর আলোকে নির্ভরযোগ্য দলিলসমূহ উপস্থাপন।
আধুনিক যুগের আর্থিক লেনদেন, চাকরি ও ব্যবসায় হারাম আয়ের বাস্তব উদাহরণ।
তাওবা, পরিশুদ্ধ উপার্জন ও আল্লাহভীতির পথে ফিরে আসার প্রেরণাদায়ী দিকনির্দেশনা।
সহজ ভাষা ও যুক্তিনির্ভর বিশ্লেষণ, যা সাধারণ পাঠক থেকে আলেম— সবাইকে উপকৃত করবে।
এই বইটি কেন পড়বেন:
আয়-ব্যয়ের ক্ষেত্রে হালাল-হারামের সীমারেখা স্পষ্টভাবে জানতে পারবেন।
নিজের জীবনের আর্থিক লেনদেনকে ইসলামের মানদণ্ডে যাচাই করার সুযোগ পাবেন।
পরিশুদ্ধ জীবিকা অর্জনের মাধ্যমে দোয়া কবুল, রিজিকের বরকত ও হৃদয়ের প্রশান্তি লাভ করবেন।
পরিবার, সমাজ ও কর্মক্ষেত্রে ন্যায় ও সততার চর্চা গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করবে।
এই বইটি এমন এক আয়না, যেখানে নিজের উপার্জনের প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। একবার পড়া শুরু করলে থামতে ইচ্ছা করবে না— কারণ এর প্রতিটি পৃষ্ঠা মনে করিয়ে দেয়, “আল্লাহর সন্তুষ্টিই আসল সফলতা।”