ইন্টারনেট, অনলাইন পিডিএফ এর এই যুগে আপনি বই হাতে নিয়েছেন, আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতেই হচ্ছে।
স্টেশন- বিশেষ করে রেলস্টেশন, স্টিমার স্টেশন এমনকি পুলিশ স্টেশনে নিত্য নতুন ঘটনা প্রবাহ নাকি চলে। ফ্রিকোয়েন্ট ট্রাভেলার হিসেবে বিমান বন্দরেও অনেক কিছু চোখে পড়েছে বিভিন্ন সময়ে, ট্রানজিটের সময়তো আরো বেশি। আমার কয়েকটি গল্পে তা উঠে এসেছে। যখন যেটা মনে এসেছে, লিখে রাখার চেষ্টা করেছি, সাহিত্যমানে হয়তো উৎরাতে পারেনি, তবে আন্তরিকতায় কোন কমতি ছিল না। পাঠক হিসেবে আমি সর্বগ্রাসী কিন্তু লেখার ব্যাপারে কিছুটা কনজার্ভেটিভ। ডিসক্লেইমার হিসেবে বলতে হয়-উত্তম পুরুষে লেখা বলে সব গল্প লেখকের নিজের ঘটনা মনে করার কোনো কারণ নেই, হাহাহা। গল্পগুলো যদি পাঠকের ভালো লাগে, নিজেকে ধন্য মনে হবে আমার।
বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ও সাহিত্যিক বন্ধু এনামুল হক জুয়েল ও ব্যাংকার জীবনে অতি ব্যস্ত হয়েও নিরলস ভাবে সাহিত্য চর্চা করে যাওয়া বন্ধু কবি সুলতান আলাউদ্দিন এর কেন যেন মনে হয়েছে আমার ছোট গল্পগুলো পাঠকের গ্রহণযোগ্যতা পাবে। তাদের উৎসাহে পানি ঢেলে দিতে পারিনি বলে "মায়ের আঁচল" গ্রন্থাকারে প্রকাশ পাচ্ছে। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা না জানানোর মত অকৃতজ্ঞ আমি হতে চাই না। আমার অনুপস্থিতিতে লেখা বাচাই, প্রুফ রিডিং সহ প্রকাশনার যাবতীয় খুটিনাটি বিষয়ে তদারকির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জুয়েলের প্রাপ্য। আরো ধন্যবাদ দিতে হয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বন্ধু মুন্না ও ইকবালকে যারা আমাকে লেখার জন্য সবসময় উৎসাহ দিয়ে যায়।
আমার স্ত্রী আমার প্রতিটা লেখার প্রথম ক্রিটিক। লেখার ভুলগুলো স্বাভাবিকভাবে তাঁরই চোখে প্রথম পড়ে। ভুল শুধরিয়ে দিয়ে লেখায় উৎসাহ দানে কখনো কার্পণ্য দেখাতে দেখিনি। কৃতজ্ঞতা জানাতেই হয়।
"মায়ের আঁচল” প্রকাশে প্রুফ রিডার, হৃদয়ে সাহিত্য প্রকাশনী ও প্রকাশক সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, অনলাইন সফটকপি সংস্করণের সময়েও বইটি হাতে নিয়ে পড়ছেন বলে সবচেয়ে বড় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপনাদের প্রতি প্রিয় পাঠক।