বইটি বের হতে একটু দেরি হয়েছে কেননা একটি মাস ছিলো আন্দোলন সংগ্রামে প্রকম্পিত। ছাত্রদের যৌক্তিক কোটা আন্দোলন অবশেষে একটি স্বৈরাচারী সরকারের পতনের মবাধ্যদিয়ে দেশ যেনো একটি নতুন স্বাধীনতা পেলো।উচ্ছাসে ফেটে পড়ে গোটা দেশ। বিজয়ের আনন্দে উদ্বেলিত ছাত্র জনতা ও সব পেশার মানুষ। জুলাই মাসের প্রায় পুরোটাই ছিলো ছাত্রদের রক্তে এই পবিত্র ভূমি রক্তিম হওয়ার মর্মান্তিক বেদনায় ভরপুর। গ্রেফতার, নির্যাতন অবশেষে একটি দমবন্ধ হওয়া অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে বিশুদ্ধ বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার পরিবেশ তৈরি করেছে সকল শ্রেণীর ছাত্ররা। পৃথিবীর ইতিহাসে কেবল ছাত্রদের মাবাধ্যমে একটি স্বৈরাচারী সরকারের পতন করা বিরল। এই সুন্দর বিজয় যেনো বাংলাদেশ গড়ার প্রধান সোপান হয়ে থাকে। যে কোন গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ স্থিতিশীল হতে একটু সময় লাগে আমরাও নিজেদের অবস্থান থেকে সুন্দর ভূমিকা পালন করবো ইনশাআল্লাহ। যৌথ বই, লেখনি সাহিত্য কুঁড়ি,র লেখক ও লেখা সংগ্রহ প্রকাশনা থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ আমাকে একাই করতে হয়েছে।
তবু লেখকদের আন্তরিকতা ও কিছু বন্ধুদের কাছে পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। পরকথা, গদ্য-কাব্য কবিতা ও ছন্দ ছড়া অনুশীলন বা চর্চা করে লেখা য়ায় না। আল্লাহ প্রদত্ত এক বিশেষ দান-অনুদান। যদিও অনুশীলনের প্রভাব কিছুটা থাকবে।কাব্য সাহিত্য পৃথিবীর আদি সাহিত্য আদিকাল গদ্যের তুলনায় পদ্যের চর্চা ছিল বেশি। কোন গোত্রে একজন কবির জন্ম নেয়া গৌরব ও আভিজাত্যের বিষয় ছিল।সাহাবাদের মাঝেও বেশ কজন কবি ছিলেন। তাদের স্মরণ করেই একদল বিশ্বাসি কবি এক মলাটে আবদ্ধ হয়েছেন। তারা একদিন সাহিত্য অঙ্গনে নেতৃত্ব দেবে,মাথা উঁচু করে দাড়ানোর যোগ্যতা সবার আছে। আমি দারুণ উৎসাহী ও আশাবাদি অকবিরা অবিশ্বাসিরা ইঁদুরের গর্তে ঢুকতে বাবাধ্য হবে।লেখনি সাহিত্য কুঁড়ি তে প্রতিটি ছড়া কবিতা ভাবসমৃদ্ধ ও রসময়, গভীর মর্ম ও তাত্বিক কথাও এসেছে।
লেখনি সাহিত্য কুঁড়ি একটি যৌথ কাব্য গ্রন্থ, এতে ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের বেশ ক,জন প্রবীণ ও বর্তমান সময়ের আলোচিত কয়েক জন কবি ও ছড়াকারদের পাশাপাশি, নবীন তরুণ উদীয়মান ছড়াকারদের আমরা ফ্রেমবন্দী করেছি। আমরা কবিকে খুঁজেছি ছান্দিক কলমের উছল তরঙ্গে। লেখনি সাহিত্য